ডা. এস. এম. গুণবন্তের নাম শোনেননি এমন কেউ হয়তো নেই। তার অনবদ্য গ্রন্থ “Roadmap to the correct Prescription” ও হয়তো অনেকেই পড়েছেন। কিন্তু ভালো লাগাটা শেয়ার করতেও ভালো লাগে। আসলে ভালো ব্যাপারটিও সবারই ভালো লাগবে- এটাই স্বাভাবিক। আর গুনবন্তের লেখার মান কে না জানে!
তবে বইটির ব্যাপারে আলাদা করে বলার মতো কিছু ব্যাপারও আছে। একটি বইয়ের বিষয়বস্তুতে এত বিচিত্রতা থাকতে পারে এবং স্বল্প একটি পরিসরের মধ্যেও যে কেউ হোমিওপ্যাথির একটি সর্বাঙ্গীন পরিচয় তুলে ধরতে পারবে- এই ধারণাটি এই বইটি চোখে না দেখলে আমার কখনোই আসতো না।
বইটিতে হোমিওপ্যাথির পূর্ণাঙ্গ পরিচয়কে ধারাবাহিক পদ্ধতিতে আলোচনা করা হয়েছে। প্রথমেই হোমিওপ্যাথির মূলনীতি ও অন্যান্য পদ্ধতির সাথে এর পার্থক্য দু’টি আলাদা আলাদা চ্যাপ্টারে উল্লেখ করে তিনি হোমিওপ্যাথিকে আগে স্বতন্ত্রভাবে চিহ্নিত করেছেন। এরপর এসেছেন এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক মেটেরিয়া মেডিকা ও ঔষধ প্রুভিংয়ে। ঠিক একই ধারাবাহিকতায় এবার এলেন তিনি এই মেটেরিয়া মেডিকার লক্ষণগুলোকে রোগীর উপর প্রয়োগের অপরিহার্য বিবেচনার বিষয় লক্ষণের মূল্যায়নের বিষয়টিতে, তার চিন্তায়, তার কৌশলে, তার বিচার-বিশ্লেষণে।
এখানেই শেষ নয়, কেইস-টেকিং থেকে শুরু করে রেপার্টরাইজেশন, পোটেন্সি ও মাত্রা নির্বাচন, তার পুনঃপ্রয়োগ, কেইস ম্যানেজমেন্ট এবং এই কাজগুলো করতে কিভাবে মেটেরিয়া মেডিকাকে পড়তে হবে, আয়ত্ব করতে হবে- কি নেই এই বইতে! ৩৩৫ পৃষ্ঠার একটি বইতে এত সার্থক উপস্থাপন বিস্মিত করার মতো! আরো একটি বিষয় হচ্ছে- ইংরেজিতে লেখা বই যে এতটা প্রাঞ্জল ও বোধগম্য হতে পারে- সেটাও আমার চিন্তার বাইরে ছিলো। স্বল্প ইংরেজি জানা কেউ যদি ইংরেজিতে হোমিওপ্যাথিক বই পড়ে অভ্যস্ত হতে চান- আমার মনে হয়, এটি তার জন্য আদর্শ বই হতে পারে।
Discussion about this post