এটি একটি বিরল রোগ যেখানে শরীরের ইমিউন সিস্টেম স্নায়ুকে (Nerves) আক্রান্ত করে খুব দ্রুত মাংসপেশীর (Muscles) দুর্বলতা সৃষ্টি করে। এটিকে সাধারনত মেডিকেল ইমারজেন্সি হিসেবেই ধরা হয় কারন এটি খুব দ্রুত নার্ভগুলিকে ড্যামেজ করে পেশী থেকে পেশীতে ছড়িয়ে পড়ে- ফলে অল্প সময়েই আক্রান্ত ব্যাক্তির প্যারালাইজড অবস্থা দেখা দেয়।
রোগের কারণ (Aetiology of GB syndrome):
- সঠিক কারন অজানা, তবে Centre for disease control and prevention (CDC)-এর তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এর শুরু হয় Inflammatory Condition থেকে।
- Infectious Condition গুলির মধ্যে- Previous respiratory infection, Gastroenteritis, Severe diarrhoea প্রধান হিসেবে বিবেচিত।
- এছাড়াও Influenza, Pneumonia, HIV, Campylobacter jejuni, Epstein- barr virus infection, Herpes virus infection কেও সম্ভাব্য কারণ বলে মনে করা হয়।
- হেপাটাইটিস A. B. C, Hodgkins lymphoma এবং Childhood vaccinations থেকেও হতে পারে।

প্রকারভেদ (Types) :
- Acute inflammatory demyelinating polyradiculoneuropathy (AIDP): এটিই সবচেয়ে কমন যার শুরুটা হয় পায়ের আঙুল থেকে অবশ ভাব, ঝিনঝিন অনুভুতি দিয়ে এবং দিন দিন এই লক্ষন তীব্র আকারে উপরের দিকে ধাবিত হয়।
- Miller Fisher Syndrome (MFS): এখানে অবশ ভাব চোখের দিক থেকে শুরু হয়ে নাক, কান, দাত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
- Acute motor axonal neuropathy (AMAN)
- Acute motor- sensory axonal neuropathy ( AMSAN): এটি অত্যন্ত বিরল।
Clinical features( লক্ষণসমুহ):
- হাত, পা, আংগুল সমুহে ঝিনঝিন অনুভূতি
- পেশিতে দুর্বলতা যেটা সাধারনত পায়ের দিক থেকে শুরু হয়ে উপরের অংগসমূহের দিকে ধাবিত হয়।
- হাটার সময় বা দীর্ঘ সময় বসে থাকলে অবশ ভাব এবং জড়তা সৃষ্টি হয়।
- নার্ভের কারনে পেশিসমুহ আক্রান্ত হয় বলে চোখ, মুখ, নাক, কান অর্থাৎ nerve endings এ ঝিনঝিন, সুড়সুড় অনুভুতি হয় ফলে অনেক সময় কথা বলতে, কোন কিছু গলাধঃকরণ করতে, চোখের মুভমেন্টে কষ্ট হয়।
- প্রচন্ড আকারে কোমড় ব্যাথা এবং সাথে অবশ ভাব।
- শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড় এবং অসাড়ে প্রস্রাব ( In advanced state)
- হাইপারটেনশন অথবা লো ব্লাড প্রেসার দেখা দেয়।
রোগ নির্ণয় ( Laboratory tests):
- Spinal tap test – GB syndrome এ আক্রান্ত ব্যাক্তির Protein level বেশি থাকে সেজন্য Lumber puncture করে Cerebrospinal fluid নিয়ে Protein level দেখার জন্য Spinal tap test করা হয়।
- Electromyography- এর মাধ্যমে পেশির Electrical activity নির্ণয় করা হয়
- Nerve conduction tests- এর মাধ্যমে nerve damage এর পরিমান নির্ণয় করা হয়।

চিকিৎসা (Treatment):
Conventional method: এ হসপিটাল ম্যানেজমেন্টের সাথে ক্লোজ অবজারভেশনে রাখতে হবে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:
পূর্ণরূপে কেইস টেকিং ও রেপার্টরি ব্যবহার করে উপযুক্ত ঔষধ নির্বাচনের মাধ্যমে Constitutional treatment (ধাতুগত চিকিৎসা) এ থেকে আরোগ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়।তবে লক্ষণানুসারে Causticum, Gelsemium, Phosphorus, Zincum met, Merc sol, Plumbum met, Lathyrus, Nat mur,Hypericum,Ledum, Tuberculinum, Rhus tox, Lachesis etc, ইত্যাদি স্নায়ুপ্রধান ঔষধগুলো নির্বাচিত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
ভবিষ্যত সম্ভাবনা (Prognosis):
কনভেনশনাল চিকিৎসায় (এলোপ্যাথি) এর কোন আরোগ্যকারী চিকিৎসা নেই। সাময়িক উন্নতি ঘটলেও অবশেষে রোগী ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যেতে থাকে। হোমিওপ্যাথিতে আরোগ্য সম্ভব এবং এর আরোগ্যের কিছু কিছু কেইসের বর্ণনা পাওয়া যায়। তবে রোগ খুব বেশি এগিয়ে গেলে- Prognisis বেশিরভাগ কেইসেই favourable নয়। কারণ এক্ষেত্রে Irreversible Nerve Damage হয়ে যায়। যদিও Damage টি Reversible Condition-এ থাকলে আরোগ্য সম্ভব। তবে প্রায় সমস্ত রোগীর ক্ষেত্রেই অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি ঘটে।
