ডা. নাজমুল হোসেন:
ডা. বোনিংহাউসেন নেদারল্যান্ডসের ওভারিজসেল প্রদেশের ফ্লেরিনজেনের নিকটবর্তী এস্টেট হেরিনখাভে একটি ব্যারন উপাধি প্রাপ্ত পুরানো জমিদার পরিবারের বংশধর হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম Baron Clemens Maria Franz von Boenninghausen। অনুসন্ধানে তিনি ওয়েস্টফিলিয়া ও অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত বলে জানা যায়- যার পূর্বপুরুষ ১৬৩২ সালে ফার্দিনান্দ-II কর্তৃক ফিল্ড-মার্শাল হিসাবে নিয়োগকৃত হন বলে পাওয়া যায়। শতাব্দী ধরে পরিবারটি সেনাবাহিনীতে নিজেদের উৎসর্গ করে যান।
প্রথম জীবনটি তিনি বেশ মুক্তভাবেই কাটান এবং পড়াশুনা কিছুটা দেরিতেই শুরু করেন। কিন্তু একবার শুরু করার পর তিনি অতিদ্রুত উন্নতি লাভ করতে থাকেন। তিনি Gröningen এর ডাচ ইউনিভার্সিটি থেকে সিভিল ও ক্রিমিনাল ল’য়ের উপর ডক্টরেট ডিগ্রিলাভ করেন। এবং এরপর কয়েক বছর তিনি হল্যান্ড রাজতন্ত্রের কোর্ট অব লুইস নেপোলিয়নে নিজ যোগ্যতাগুণে ক্রমবর্ধমান প্রভাব, প্রতিপত্তি ও সম্মানজনক অবস্থান লাভ করেন। ১৮১০ সালে ডাচ সিভিল সার্ভিস থেকে রাজার নিকট ইস্তফাপত্র প্রদান করার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানেই দায়িত্ব পালন করেন ও এরপর চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
১৮১২ সালে তিনি বিয়ে করে তার পারিবারিক জমিদারির একটি অংশে চলে যান- যাকে বর্তমানে Western Prussia বলা হয়। তার এলাকাকে কৃষি-উৎপাদনে সমৃদ্ধশালী করার ব্যাপারে তিনি বহু চিন্তাভাবনা করেন এবং কৃষি ও তার সাথে সম্পর্কযুক্ত বিজ্ঞান বোটানিতে তিনি ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট হন। কৃষিসম্পদ উন্নয়নে তার এই ব্যাপক আগ্রহের মধ্য দিয়ে তিনি জার্মানির সবচেয়ে বিখ্যাত কৃষিবিদদের সান্নিধ্যে আসেনে এবং তিনিই প্রথম জার্মানির পশ্চিম অংশে এগ্রিকালচারাল সোসাইটি গড়ে তোলেন।
১৮১৬ সালে রাইনল্যান্ড ও ওয়েস্টফিলিয়ার প্রুশিয়ান অঞ্চলকে পুনর্গঠনের সময়, তাকে ওয়েস্টফিলিয়া ডিস্ট্রিক্টের ‘President of the Provincial Court of Justice’ পদগ্রহণের জন্য প্রস্তাব দান করা হয়। পূর্বতন দায়িত্বের সাথেই, কৃষিবিদ্যাগত ও ভূমির মূল্যসংক্রান্ত তার সুগভীর প্রযুক্তিগত জ্ঞানের জন্য তাকে দুইটি প্রদেশের ভূমিজরিপের একমাত্র জুডিশিয়াল প্রেসিডেন্ট হিসাবে কাজ করতে অনুরোধ করা হয়। কাজের প্রয়োজনে তাকে প্রচুর ভ্রমণ করতে হতো এবং পরবর্তীতে জেনারেল কমিশনারদের একজন হিসাবে নিযুক্ত হওয়ায়- এরপর তাকে লাগাতার প্রদেশগুলোতে ভ্রমণ করতে হতো।

বোনিংহাউসেন তার এই ভ্রমণকে প্রদেশগুলোর উদ্ভিদকূল সম্বন্ধে জ্ঞানলাভের চমৎকার সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করেন এবং তিনি উক্ত ডিস্ট্রিক্টের প্রাচুর্যময় উদ্ভিদকূল সম্বন্ধে আলোচনা করে একটি বই প্রকাশ করেন যা তৎকালীন ইউরোপের শ্রেষ্ট বোটানিস্টদের নজর কাড়ে। পরবর্তীতে তিনি Münster এর বোটানিক্যাল গার্ডেনের ডিরেক্টর হবার পরে এই বোটানিস্টগণ তার ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে আসেন। তার কৃষিবিদ্যাগত ও উদ্ভিদবিদ্যাগত রচনাগুলোর দরুন তাকে বিভিন্ন শিক্ষিত সমাজ ডিপ্লোমা উপাধিতে সম্মানিত করেন এবং তৎকালীন দু’জন বিখ্যাত উদ্ভিদবিজ্ঞানীর প্রত্যেকে তার নামে উদ্ভিদের একটি করে প্রজাতির নামকরণ করেন।
১৮২৭ সালে তিনি স্বাস্থ্যের ভগ্নদশায় পতিত হন এবং যা থেকেই একটি চমৎকার ঘটনার উদ্ভব ঘটে। তৎকালীন সময়ের দুজন বিখ্যাত চিকিৎসক তার রোগকে পচনশীল যক্ষা বলে রায় দেন। ১৮২৮ সালের বসন্তকাল অব্দি তার স্বাস্থ্য ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে- আর এরপর আরোগ্যের সমস্ত আশা ত্যাগ করা হয়। এ সময় তার ঘনিষ্ঠ উদ্ভিদবিদ বন্ধু A. Weihe, M.D. এর কাছে বিদায়ী চিঠি পর্যন্ত লিখেন। তাঁর এই বন্ধুটি প্রথমে একজন হোমিওপ্যাথ ছিলেন – যা বোনিংহাউসেন জানতেন না। এ যাবৎ পর্যন্ত তাদের যত কথা হয়েছ তা হয়েছে উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে- চিকিৎসাবিদ্যা নিয়ে নয়।
খবরটি শুনে অত্যন্ত ব্যথিত হন এবং তৎক্ষণাৎ বোনিংহাউসেনের কাছে তার লক্ষণগুলোর বিস্তারিত বর্ণনা চেয়ে পত্রপ্রেরণ করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, একটি নতুন পদ্ধতির চিকিৎসা তার প্রাণপ্রিয় বন্ধুকে সারিয়ে তুলবে বলে তিনি মনে করেন। এর উত্তর স্বরূপ বোনিংহাউসেন যে পত্রটি পাঠান- তার উপর ভিত্তি করে তিনি বোনিংহাউসেনকে পালসেটিলা প্রদান করেন ও সাথে কিছু স্বাস্থ্যবিধিগত পরামর্শ প্রদান করেন। বোনিংহাউসেন ঔষধটি গ্রহণ করেন ও তাঁর পরামর্শগুলো যথাযথরূপে মেনে চলেন। বোনিংহাউসেন ধীরে ধীরে কিন্তু লাগাতার উন্নতি লাভ করতে থাকেন এবং গ্রীষ্মের শেষের দিকে তিনি পুরোপুরি আরোগ্য হন।
এই ঘটনাটি বোনিংহাউসেনের মনে হোমিওপ্যাথির আরোগ্যকারী ক্ষমতা সম্বন্ধে গভীর বিশ্বাসের জন্ম দেয় এবং এই বিষয়টিকে নিয়ে তিনি চিন্তাভাবনা শুরু করেন। আরোগ্যপদ্ধতির এই নতুন কলার উপর তিনি ভীষণরকম আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং তাঁর সাথে যোগাযোগ থাকা চিকিৎসকদের মাঝে তিনি এ ব্যাপারে আগ্রহ সঞ্চার করতে সচেষ্ট হন এবং তিনি নিজে উদ্যোগে Münster-এ একটি মেডিক্যাল সোসাইটি গঠন করেন; কিন্তু তার যুক্তি তারা কানে তোলার মতো যথেষ্ঠ বুদ্ধিমান ছিলো না আর এজন্য তিনি নিজেই তার যথাসাধ্য চেষ্টার দ্বারা যে বইগুলো জোগাড় করতে সমর্থ হন- তার মাধ্যমে নিজেরই এ ব্যাপারে প্রশিক্ষিত হবার সাধনায় নিমগ্ন হন।
তার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠকালীন সময়ে তিনি কিছু চিকিৎসাবিষয়ক জ্ঞানার্জন করেন, যদিও তিনি কোন তৎকালীন আইন দ্বারা অনুমোদিত চিকিৎসক ছিলেন না। অবশেষে দু’জন প্রবীণ চিকিৎসক বোনিংহাউসেনের দ্বারা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ব্যাপারটিতে আগ্রহী হন এবং তাদের বাদবাকী জীবন তারা হোমিপ্যাথির প্রতি নিষ্ঠাবান থাকেন। ইতোমধ্যে বোনিংহাউসেনের চিকিৎসার সুখ্যাতি ফ্রান্স, হল্যান্ড ও আমেরিকা অব্দি বিস্তৃত হয় এবং এই অঞ্চলগুলোর বহু চিকিৎসককে তিনি তার চিকিৎসাবিষয়ক রচনা ও চিঠিপত্রের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার এই নতুন পদ্ধতিকে গ্রহণ করাতে সমর্থ হন।
অনুমোদিত চিকিৎসক না হওয়ায় তিনি এসময় চিকিৎসাচর্চা করতেন খুব কম বরঞ্চ লেখালেখির পেছনে তিনি নিজের অধিকাংশ প্রচেষ্টা উৎসর্গ করেন- যে কাজটির দরুন হোমিওপ্যাথি চর্চাকারীদের কাজটা অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়। বলার অপেক্ষা রাখে না, এ সময়টিতে সহজে হোমিওপ্যাথি শেখার কোন রাস্তা খোলা ছিলো না।
স্যামুয়েল হ্যানিমানের ল্যাটিনে লেখা একটি রেপার্টরি যা নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ইনডেক্স হিসাবে প্রকাশ করা হয়েছিলো- সেটি ছাড়া আর কোন রেপার্টরি ছিলো না। ঔষধের সত্যিকারের চিত্রকে অনুধাবন করার জন্য একটার পর একটা ঔষধ ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে পড়ে যেতে হতো। ডা. জার ১৮৩৪ সালের আগে তাঁর প্রথম রেপার্টরিটি ছাপাননি, এবং তাঁর চতুর্থ সংস্করণে তিনি একটি ভূমিকা লিখেন যেখানে ঔষধের মূল্যায়নকরণ পদ্ধতি আবিষ্কারের কৃতিত্ব বোনিংহাউসেনকে প্রদান করেন- যে পদ্ধতিটি তিনি সবেমাত্র ব্যবহার করা শুরু করেছেন বলে জানান। এই চতুর্থ সংস্করণটি ১৮৫১ সালে প্রকাশিত হয়।
King Friedrich Wilhelm IV – ১৮৪৩ সালের জুলাই মাসের ১১ তারিখে, বোনিংহাউসেনকে কোনরকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই চিকিৎসাচর্চা করার ক্ষমতা ও অনুমতি প্রদান করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
১৮৩০ সাল থেকে হ্যানিমানের জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বোনিংহাউসেন তাঁর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে থাকেন এবং যতদিন বোনিংহাউসেন বেঁচে ছিলেন তিনি অন্য সমস্ত হোমিওপ্যাথি অনুশীলনকারীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। যদিও মুক্তভাবে চিকিৎসা করার অনুমতি পাওয়ায়- লেখালেখির কাজটি বেশ ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে ও আগের মতো ঘন ঘন তার লেখা প্রকাশ করতে পারছিলেন না- তথাপি তিনি এই কাজে প্রচুর সময় ব্যয় করতেন।

বোনিংহাউসেনের ১৮৪৬ সালে প্রকাশিত ‘Therapeutic Pocketbook ’ প্রথম হোমিওপ্যাথিক রেপার্টরি যেখানে তিনি প্রতিটি ঔষধকে লক্ষণের সাথে তাদের, এবং তাদের পরস্পরের সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রেডিং করেছেন। তার প্রবর্তিত রেপার্টরি পদ্ধতি আজ অব্দি প্রচলিত আছে। তিনি বিচ্ছিন্ন লক্ষণগুলোকে বিশেষ উপায়ে দলবদ্ধ করে একটি সাধারণীকরণ তৈরি করেন এবং হ্রাসবৃদ্ধি সহযোগে চিন্তাভাবনা করে কেইস এনালাইসিসের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। যদিও ডা. হেরিং, ডা. কেন্টের মতো অনেকে তার এই পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন – তথাপি এটি স্বীকৃত যে, বহু সংখ্যক কেইসের এনালাইসিসে তার পদ্ধতির কোন বিকল্প থাকে না। তিনি প্রথমদিকের উচ্চশক্তির প্রবক্তাদের মধ্যে একজন। গৃহপালিত পশু-প্রাণীর উপর তিনিই প্রথম ২০০ শক্তির ঔষধ প্রয়োগের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করে- হোমিওপ্যাথিকে প্লাসিবো ইফেক্ট বলে দাবী করা তৎকালীন এলোপ্যাথিক চিকিৎসক ও ফার্মাসিস্টদের মুখ বন্ধ করে দেন।
তিনি চিকিৎসক অনুমোদন অনেক দেরিতে পেলেও, তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞার গভীরতা এতটাই বেশি ছিলো যে, তাঁর প্রথমদিকের লেখাগুলোও এই নতুন চিকিৎসাপদ্ধতিতে আগ্রহী ব্যক্তিগণের মাঝে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তো এবং প্রতিটি অনুশীলনকারী হোমিওপ্যাথের লাইব্রেরিতেই বোনিংহাউসেনের রচনাগুলো থাকতো। বোনিংহাউসেনের কাজগুলো তার প্রকাশের ক্রম অনুসারে নিচে তালিকা আকারে দেয়া হলো-
- 1831 – The Cure of Cholera and Its Preventatives (according to Hahnemann’s latest communication to the author)
- 1832 – Repertory of the Antipsoric Medicines, with a preface by Hahnemann
- 1833 – Summary View of the Chief Sphere of Operation of the Antipsoric Remedies and of their Characteristic Peculiarities, as an Appendix to their Repertory
- 1833 – An Attempt at a Homoeopathic Therapy of Intermittent Fever
- 1833 – Contributions to a Knowledge of the Peculiarities of Homoeopathic Remedies
- 1833 – Homoeopathic Diet and a Complete Image of a Disease (For the non-professional public)
- 1834 – Homoeopathy, a Manual for the Non-Medical Public
- 1835 – Repertory of the Medicines which are not Antipsoric
- 1836 – Attempt at Showing the Relative Kinship of Homoeopathic Medicines
- 1846 – Therapeutic Manual for Homoeopathic Physicians, for use at the sickbed and in the study of the Materia Medica Pura
- 1849 – Brief Instructions for Non-Physicians as to the Prevention and Cure of Cholera
- 1853 – The Two Sides of the Human Body and Relationships. Homoeopathic Studies
- 1833 – The Hom. Domestic Physician in Brief Therapeutic Diagnoses – An Attempt
- 1860 – The Homoeopathic Treatment of Whooping Cough in its Various Forms
- 1863 – The Aphorisms of Hippocrates, with Notes by a Homoeopath
- 1864 – Attempt at a Homoeopathic Therapy of Intermittent and Other Fevers, especially for would-be homoeopaths. Second augmented and revised edition. Part I. The Pyrexy
চিকিৎসাবিদ্যা চর্চার অনুমতি পাবার পর, বোনিংহাউসেন ওয়েস্টফিলিয়াতে ‘Society for homoeopathic physicians’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং এর মাধ্যমে তিনি তার সন্নিকটস্থ চিকিৎসকদের হোমিওপ্যাথ হিসাবে গড়ে তুলতে ব্যাপক কাজে লাগান। বোনিংহাউসেন বিখ্যাত চিকিৎসক Adolph Lippe ও Carroll Dunham এর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আমেরিকান হোমিওপ্যাথিক রিভিউয়ের চতুর্থ সংখ্যায় তারা দুজনেই বোনিংহাউসেনের কর্ম নিয়ে তাদের প্রশস্তি জ্ঞাপন করেন। Lippe বিশেষ করে বোনিংহাউসেনের রেপার্টরি, তার নিখুঁতত্বকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
হোমিওপ্যাথির প্রগতিতে বোনিংহাউসেনের দুটি মৌলিক ও অবিস্মরণীয় অবদান হচ্ছে-
১. চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্বলিত লক্ষণগুলোর শ্রেণিবিভাগ
২. এন্টিসোরিক ঔষধগুলোর প্রথম রেপার্টরি প্রস্তুত
বোনিংহাউসেন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসম্বলিত লক্ষণগুলোকে সাতটি ক্যাটাগরিতে শ্রেণিবদ্ধ করেন। সেগুলি হচ্ছে-
- Quis (Personality of the Patient) – রোগীর ব্যক্তিত্ব
- Quid (Peculiarity of Complaints) – লক্ষণের বিশিষ্টতা
- Ubi (Seat of Disease) – রোগাক্রমণের স্থান
- Quibus Auxilus (Concomitant Symptoms) – সংযুক্ত লক্ষণ
- Cur (Causations) – কারণতত্ত্ব
- Quamado (Modalities of Time) – সময়সম্পর্কিত হ্রাস-বৃদ্ধি
- Quando (Modalities of Circumstances) – অবস্থাগত হ্রাস-বৃদ্ধি
এই মহাপুরুষ ও হোমিওপ্যাথির একজন স্বীকৃত ভিত্তিস্তম্ভ ১৮৬৪ সালে জানুয়ারির ২৬ তারিখে জার্মানির মুনস্টারেই পরলোকগমন করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় Münster এর Hörster graveyard এ থাকা তাঁর কবরটি ধ্বংস হয়। আজো এখানটাতেই এই মহামতি ব্যারনের ছবি প্রদর্শন করে পৃথিবীর বিভিন্ন পণ্ডিত ও বোদ্ধাব্যক্তিগণ তাক সম্মান প্রদর্শন করতে ও স্মরণ করতে আসেন। তার নামে কয়েকটি সড়কেরও নামকরণ করা হয়েছে। উদ্ভিদজগতের Boenninghausenia altiflora, Boeninghausia vincentina উদ্ভিদপ্রজাতিদ্বয় ও Rutaceae, Boenninghausenia উদ্ভিদবর্গ তার নামে নামকরণকৃত।
১৯৯০ সালে Clemens von Bönninghausen Academy এবং ২০০৯ সালে Von Bönninghausen Institute প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০০৫ সালে, মহাত্মা হ্যানিমানের চতু:শতবার্ষিক জন্মোৎসবে University of Münster তে বোনিংহাউসেনের স্মরণে একটি মেমোরিয়াল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
Discussion about this post