Sunday, January 17, 2021
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

Homeodigest

  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট
No Result
View All Result
Home প্রবন্ধ

হোমিওপ্যাথি- একটি সমন্বিত চিকিৎসাব্যবস্থার নাম

January 5, 2020
in প্রবন্ধ
4 min read
0
294
SHARES
186
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare via Email

ডা. শাহীন মাহমুদ:

Honor your body, which is your representative in this universe. Its magnificence is no accident. It is framework through which your works must come; through which the spirit and the spirit within the spirit speaks. The flesh and the spirit are two phases of your actuality in space and time. Who ignore one, falls apart in shambles. So it is written…….. (The Sacred script of the Covenant, The Holy Old testament)

ধর্ম, যুক্তি, বিজ্ঞান, সাহিত্য- সর্বত্রই মানুষকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এক অনন্য সমন্বিত (Integrated) পূর্ণ সত্ত্বা হিসেবে। মানুষকে শরীর, মন, আত্মার সম্মেলনে এক পূর্ণ অস্তিত্বরূপেই বিবেচনা করা হয়েছে। এবং এর যে কোন একটি অংশ ছাড়া বাদবাকী অংশকে কেউই সম্পূর্ণ “মানুষ”বলে স্বীকৃতি দেবে না। এই মানুষেরই রোগ হয় এবং এ একথাটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু কথাটা কতটুকু বুঝতে পারি তা কিন্তু চিরকালই প্রশ্নসাপেক্ষ। প্রশ্ন উঠার কারণটা হচ্ছে, আমরা দেখি আমাদের হাতে রোগ হয়, দাঁতে রোগ হয়, চর্মে রোগ হয়, লিভারে রোগ হয়, হৃদপিণ্ডে রোগ হয়, কিডনিতে রোগ হয় এবং তা চিকিৎসার জন্য রিউমেটোলজিস্ট, ডেন্টিস্ট, ডারমাটোলজিস্ট, গ্যাষ্ট্রোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট, ইউরোলজিস্ট ইত্যাদি বিশেষজ্ঞ সমাজ আছেন। তেমনি আবার মানুষের মনও আছে এবং তা চিকিৎসার জন্য সাইকোলজিস্টও আছেন। কিন্তু যার হাত আছে, তার কি দাঁত থাকে না? কিংবা যার মন আছে, তার লিভার?

আমরা জানি, একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষের সব কিছুই আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একটি মানুষের যে কোন একটা রোগের সাথে তার শরীরের অন্যান্য অংশ এবং মনের কি কোন সম্পর্ক থাকে না? একথাও সব প্যাথির সব চিকিৎসকই একবাক্যে বলবেন- অবশ্যই থাকে। তাহলে, বিজ্ঞানের প্রত্যেকটা শাখায় যেরকম একটা বিষয়ের সবগুলো শাখা বা অঙ্গের সাথে সুষম সম্পর্ক বিচার করে তার ব্যতিক্রমে অন্যান্য অংশে কি ধরণের প্রভাব পড়ে, তার সুনির্দিষ্ট একক প্রাকৃতিক নিয়মাধীন সংজ্ঞার্থ (Definition), সূত্র (Theory) ও তার ব্যাখ্যা (Explanation) আবিষ্কার করে, তা থেকে উদ্ভূত সমস্যার সমন্বিত, গাণিতীক ও যৌক্তিক সমাধান করা হয়, প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসা বিজ্ঞানে আজ পর্যন্তও তা করা হয়নি কেন? তাহোলে কেন আজও হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসক রোগীর মধ্যে বাতের সমস্যা দেখলে রিউমেটোলজিস্টের কাছে, আর চর্মের সমস্যার জন্য তাকে ডারমাটোলজিস্টের কাছে পাঠান? মানুষের বায়োলজিক্যাল, ফিজিওলজিক্যাল অস্তিত্ব ও প্রক্রিয়া কি এতটাই খাপছাড়া যে এগুলোর একটার সাথে আরেকটার কোন সম্পর্ক নেই? এ প্রশ্নের উত্তরে হয়তো অনেকে বলবেন, প্রত্যেকটা বিষয়কে ভালোভাবে জেনে তার যথোপযুক্ত সমাধান ও আরোগ্য করার জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা। তাহলেও প্রশ্ন এসে যাবে, যদি একটা অঙ্গকে ভালোভাবে বোঝার জন্য অন্যান্য অঙ্গ সম্বন্ধে বিশেষভাবে জ্ঞান অর্জন করাকে স্থগিত রাখতে হয়- তবে যে রোগীর মধ্যে হৃদরোগ, রিউমেটিজম, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ ও চর্মরোগ (যা বর্তমান সময়ে অহরহই দেখা যায়) একসাথে থাকবে তার এই পাঁচটি অঙ্গের জন্য ঔষধ সমন্বয় করে প্রদান করার জ্ঞান কোন বিশেষজ্ঞের হবে? যেখানে আজ এই উত্তরাধুনিকতার যুগে এসেও যেখানে চিকিৎসাবিজ্ঞান যে পাঁকে তো সেই পাঁকেই পড়ে আছে- সেখানে তার এরকম সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞান ও সমন্বয় অর্জন করে চিকিৎসাবিদ্যার পূর্ণাঙ্গ রূপান্তরে কতদিন লাগবে? কবে তারা নিশ্চিত করতে পারবেন- তারা যে পথে কিংবা গোলকধাঁধায় ঘুরপাক খেয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পচছেন- তা আদৌ সঠিক পথ কিনা, নাকি কানাগলি? কবে তারা সেই চিকিৎসার অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করতে পারবেন, যেখান ঔষধের ক্ষতিকর প্রভাব বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তার মূল রোগের ক্ষতির মাত্রাকে অতিক্রম করবে না?

চিকিৎসাবিজ্ঞান আজ এনাটমি, ফিজিওলজি, প্যাথলজি, সাইকোলজি, সাইকিয়াট্রি, বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকিউলার বায়োলজি, বায়োফিজিকস এবং এরকম আরো বহু শাখা থেকে এক পর্বতপ্রমান তথ্য স্তুপীকৃত করেছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, গবেষণার এই প্রত্যেকটি শাখা, ব্যক্তিকে আলাদা আলাদাভাবে তাদের নিজস্ব একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বা পৃথক পৃথক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার-বিবেচনা করে আসছে এবং তার ভিত্তিতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা, বিচার-বিশ্লেষণ করে আসছে। কোন চিন্তাশীল মানুষই অস্বীকার করবে না যে,  এই শ্রমসাধ্য গবেষণাগুলো থেকে আমরা অজানাকে জেনে, জ্ঞানের আলোকে উদ্ভাসিত হই এবং অনেকক্ষেত্রেই আমরা বিশেষভাবে উপকৃতও হই। কিন্তু শুধুমাত্র মলিকিউলার লেভেল নয়, শুধুমাত্র অরগান লেভেল নয়, অথবা শুধুমাত্র সাইকোলজিক্যাল লেভেলও নয়, সম্পূর্ণ অংশ নিয়ে ক্রিয়াশীল মানবসত্ত্বা (Human Being) আসলে কি- এই গবেষনাগুলো আমাদের আজও পরিস্কারভাবে, পূর্ণ ও অখণ্ডরূপে ধারণা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আজও তাদের কর্মকাণ্ড, গবেষণা, এত বিচার-বিশ্লেষণ, স্তুপীকৃত পর্বতপ্রমাণ তথ্যরাজি অখণ্ড মানুষের রোগের- অখণ্ড প্রকৃতি, তার রোগের কারণ, ও আরোগ্যপদ্ধতির প্রাকৃতিক মৌলিক নীতি বা সূত্রের বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলাফলস্বরূপ, আজও তা মানুষকে অখণ্ড প্রাণসত্ত্বারূপে বিচার করে সমগ্রভাবে চিকিৎসাকার্য সম্পাদন করতে পারছে না। এতে মানুষের গুটি কয়েক লক্ষণ হয়তো দূর হয়, মানুষ উন্নত ও সুস্থ হয়  কি?

প্রচলিত চিকিৎসাবিজ্ঞানের কর্মকান্ড থেকে স্বীকৃত না হলেও, পৃথিবীর অন্য সমস্ত ক্ষেত্র থেকে সর্বজনস্বীকৃত এই তথ্য জেনে নিই যে, মানুষ হচ্ছে অখণ্ড  প্রাণসত্তা। এই সত্ত্বার একটি অঙ্গ অসুস্থ হলে তার প্রভাব অন্য প্রত্যেকটি অঙ্গেই পড়বে। অন্য কথায় বলতে গেলে, মানুষ অসুস্থ হলেই একমাত্র তার কোন অংশে অসুস্থতার চিত্র- লক্ষণ হিসাবে প্রষ্ফূটিত হবে। মানুষ দুর্বল হলে সমগ্র মানুষই দুর্বল হবে, মারা গেলে সমগ্র মানুষই মারা যাবে, সবল হলেও সমস্ত মানুষই সবল হবে। আর এই সমন্বিতভাবে মানুষের রোগাক্রান্ত হওয়াকেই বলা যায়- “মানুষের রোগ হওয়া”। ভালোভাবে জানা ও বোঝার জন্য এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক তথ্যপ্রাপ্তির জন্য, আপনি আলাদা আলাদাভাবে তার যে কোন অঙ্গ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, গবেষণা করে বিশেষভাবে জ্ঞান অর্জন করতে পারেন- কিন্তু মানুষকে সুস্থ কোরতে গেলে আপনাকে তার অখণ্ড প্রানসত্ত্বার জন্যই ঔষধ নির্বাচন করতে হবে, অন্যথায় রোগীর সেই বিশেষ অঙ্গ লক্ষণমুক্ত হতে পারে কিন্তু রোগী আরোগ্য (Cure) হবে না। এই ধারণাটিকেই বলা হয় হলিস্টিক (Holistic) ধারণা- সামগ্রিকতার ভিত্তিতে বিচার করার ধারণা।

আর হোমিওপ্যাথি হোচ্ছে সেই সমন্বিত চিকিৎসাব্যবস্থা (Holistic Medicine System), যেখানে মানুষকে কিছু আলাদা আলাদা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমষ্টি না ভেবে, একটি অবিচ্ছিন্ন প্রাণসত্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ধারণা করা হয়, মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হচ্ছে এই অবিচ্ছিন্ন সত্তার অবিচ্ছেদ্য অংশবিশেষ। আরও ধারণা করা হয়- মানুষ শুধু তার দেহেই সীমাবদ্ধ নয়, সে প্রকৃতির একটা অংশ। এই মহাবিশ্বের প্রত্যেকটা বস্তুর সাথেই মানুষের সমন্বয় বিরাজমান। যে বিধানের দ্বারা এই মহাবিশ্ব, মহাসৃষ্টি পরিচালিত হয়- মানুষও সেই একই বিধানের দ্বারাই শাসিত হয়। মানুষের সুস্থতা ও অসুস্থতাও এই বিধানেরই অধীন। এ কারণেই সে প্রচন্ড তাপে বা প্রচন্ড শৈত্যে অসুস্থ হয়, অমাবশ্যা বা পূর্নিমা তার উপর প্রভাব বিস্তার করে, বৃষ্টি বা শীতের দিনে অনেকের ব্যথা বৃদ্ধি পায়, মৌসুমী বাতাস কিংবা সমুদ্রের বাতাসও আলাদা রকম প্রভাব বিস্তার করে, এমনকি সূদুর গ্রহ-নক্ষত্রও তার উপর প্রভাব বিস্তার করে। তার উপর প্রভাব বিস্তার করে তার জাতি, ভৌগলিক অবস্থান, তার পারিপার্শ্বিক সমাজ, তার জীবন-ব্যবস্থা, তার পরিবার ইত্যাদি আরো হাজারো বিষয়। আর এ কারণেই ডা. আলেক্সান্ডার ফেসিক হোমিওপ্যাথির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে পরিচ্ছন্নভাবে উল্লেখ করেছেন,

“Homeopathy is a science (a system of knowledge) concerning the regularities for the: individual development of organisms, individual adaptation of organisms, interaction between the environment and the organisms from the point of view of individual reactions to adaptation, individual process of diseases; the result of the practical application of knowledge is a precise choice, selected from highly dynamised medicines, manufactured by special procedures, achieving rapid cure based on the principle of similarity. ”

অর্থাৎ,

“হোমিওপ্যাথি এমন একটি বিজ্ঞান (জ্ঞানের এমন একটি শাখা) যা ব্যক্তিসত্ত্বার স্বতন্ত্র্য বিকাশ, তার স্বতন্ত্র্য অভিযোজন ক্ষমতা এবং অভিযোজনের ক্ষেত্রে সত্ত্বাটির প্রতিক্রিয়ার দৃষ্টিকোণ থেকে সেই সত্ত্বার ও তার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের মিথষ্ক্রিয়া ও রোগাক্রমণের স্বতন্ত্র্য প্রক্রিয়ার নিয়মগুলো নিয়ে আলোচনা করে; এই জ্ঞানের বাস্তব প্রয়োগের ফল হচ্ছে- বিশেষভাবে প্রস্তুত উচ্চশক্তিসম্পন্ন ঔষধের নিখুঁত নির্বাচনের মাধ্যমে সদৃশ-নীতির ভিত্তিতে দ্রুত আরোগ্য অর্জন।”

আরেকটু বিস্তৃতভাবে বললে- একজন মানুষের ক্যান্সার হলে, প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসাব্যবস্থার সমর্থনে সেই ক্যান্সার কোষগুলো, অথবা সেই আক্রান্ত অঙ্গকে কেটে ফেলে দিয়ে- তাকে কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি দিয়ে ক্যান্সার সেলগুলো থেকে মুক্ত করে ঘোষণা করা হয়- রোগী আরোগ্য হয়েছেন। এই ব্যবস্থায়, এই বিশেষ রোগীর কেন ক্যান্সার হলো? এর নিয়ামক কি? এর পরিপোষক কারণ কি? কিংবা এর মূল কারণটা কি রোগীর এই নির্দিষ্ট অঙ্গেই অবস্থিত নাকি অন্য কোন অঙ্গে বা ক্ষেত্রে – যেমন, মন কিংবা বংশধারার দূষণের প্রভাবও এতে আছে?  আদৌ নির্দিষ্ট এই রোগীর এই রোগটিই কেন দেখা দিয়েছে? তার শরীরে তা দেখা দেবার অপরিহার্য শর্ত কি ছিলো বা প্রাকৃতিক কোন নিয়মের অধীনে সে এই দুর্দশায় পতিত হয়েছে? এই প্রবণতা, দূষণ, কারণ বা উৎসটাকে চিরতরে বন্ধ করার নিশ্চিত উপায় কি? প্রচলিত চিকিৎসাতত্ত্বে এই প্রশ্নগুলোর কি ব্যাখ্যাসহ উত্তর দেবার কথা নয়- যেখানে তা নিজেকে সবচেয়ে উগ্রভাবে বিজ্ঞানধর্মী বলে দাবী করে?

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে- উক্ত বিষয় বা প্রশ্নগুলো বিবেচনা বর্হিভূতই থাকে। সচেতন ও অবচেতন উভয়ভাবেই এই প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া থেকে গোটা মানবজাতি নিজেকে এড়িয়ে চলে। আর তার অপরিহার্য ফলাফল হোচ্ছে, রোগীর অঙ্গটা কেবল সাময়িকভাবে সুস্থ (?) হয়। কিন্তু রোগী নিজে অসুস্থ থাকার দরুন- তার মধ্যে তার অসুস্থ হবার কারণ, পরিবেশ, প্রবণতা থাকার দরুন- সে আবারও ক্যান্সার কিংবা সমগোত্রীয় প্রাণহানিকর রোগে আক্রান্ত হয়ে অকালে মৃত্যুবরণ করে অথবা একটি মুত্যুসম অথর্ব, ক্লীব জীবনযাপন করতে থাকে। এখানে তার ঐ একখন্ড অঙ্গ রোগী ছিলো না, তা ছিলো রোগীর রোগের একটি বহিঃপ্রকাশ- যাকে নিয়ে মহা হৈ চৈ করে, লম্ফ-ঝম্ফ করে, মেরে কেটে, অবশেষে  ধামাচাপা দিয়ে দেয়া হলো। আমার এই উদাহারণ শুধু ক্যান্সার নয়, প্রায় সব ক্রনিক রোগের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

মানুষ চিকিৎসকের নিকট এসে কি প্রার্থনা করেন? চিকিৎসার উদ্দেশ্য কি? শরীরে অবস্থিত কোন বিশেষ লক্ষণ থেকে মুক্তি? একজন দুর্বল ব্যক্তির টিউমার কেটে ফেলে দিলে, কিংবা ক্যান্সারযুক্ত অঙ্গ কেটে ফেললেই কি সে সবল হবে? রোগীর চিকিৎসকের নিকট আগমনের উদ্দেশ্য সাধন হবে? প্রশ্নগুলোর উত্তর হয়তো ডা. জর্জ ভিথোলকাসের একটা উক্তির মাধ্যমেই দেয়া সম্ভব,

The idea of practicing medicine is to make people happy, Is to bring people to the point of happiness in their life. This is the goal of life: happiness.

অর্থাৎ,

“চিকিৎসা প্রদানের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে সুখী করা, তাদের জীবনকে সুখের শৈলান্তরীপে নিয়ে আসা। যা মানবজীবনের লক্ষ্য: সুখ।”

আর এই সুখ কি শুধু কিছু শারিরীক উপসর্গের অপসারণের মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব? না, পরিপূর্ণ সুস্থতা ও প্রশান্তি এককভাবে মন কিংবা এককভাবে শুধু শরীরের উপর নির্ভরশীল নয়। এ কারণেই স্বাস্থ্যের সংজ্ঞার্থ দিতে গিয়ে তিনি বলেন,

“Health is freedom from pain in the physical body, having attained a state of well-being; freedom from passion on the emotional level, having as a result a dynamic state of serenity and calm; and freedom from selfishness in the mental sphere, having as a result unification with truth.”

অর্থাৎ,

“ সু্স্থতা হচ্ছে শারীরিক যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হয়ে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী ও কল্যাণকর অবস্থায় উপনীত হওয়া; আবেগের ক্ষেত্রে কোন রকম মোহ থেকে মুক্ত একটি স্থির, প্রসন্ন ও প্রশান্ত সক্রিয় অবস্থায় উন্নীত হওয়া; এবং মানসিকভাবে আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে মুক্ত হয়ে সত্যের সাথে একাত্ম হওয়া।”

মানুষকে সুস্থ হতে হলে এভাবে শারিরীক, মানসিক ও আবেগপ্রবণতার ক্ষেত্র তিনটি দিকেই সুস্থ হতে হবে, নয়তো মানুষ নিজেকে সুখী হিসেবে অনুভব করতে পারবে না। চিকিৎসার উদ্দেশ্যও ব্যর্থ হবে, যা বরাবর হয়ে চলেছে।

বিজ্ঞ লোক মাত্রই এ কথা জানেন যে, প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থায় তার তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ক্রনিক রোগ দূরীকরণে বা রোগীকে আরোগ্যকরণের ব্যর্থতা, রোগাক্রান্ত অবস্থার চাইতে সামগ্রিকভাবে রোগীকে সুস্থ করায় ব্যর্থতা, সময়ের সাথে সাথে ক্রমান্বয়ে রোগাক্রমণের হার বৃদ্ধি, বংশগত রোগের প্রার্দুভাব বৃদ্ধি ও নতুন নতুন রোগের উৎপত্তি ও জীবাণুর শক্তিবৃদ্ধি, ক্রমাগতভাবে অল্পবয়সেই জটিল রোগগুলোর আক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ায়- এর ভবিষ্যত আশঙ্কাজনক অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছে। আর এই দিশেহারা অবস্থায় পৌঁছে বর্তমানে এই প্রচলিত চিকিৎসাধারাটিও মৃদুসুরে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে যে, মানুষের আরোগ্যের পথ তার সমন্বিত চিকিৎসাব্যবস্থায়। যদিও বাস্তবে তারা সে লক্ষ্য আজও অর্জন করতে পারেনি কিংবা যে চিকিৎসাব্যবস্থা এই কাজটা করতে পারবে, তাকে আজও উপলব্ধি করতে পারেনি কিংবা- অর্থলিপ্সাতেই হোক আর অহংবোধের দরুনই হোক- স্বীকৃতি দিতে পারেনি। কিন্তু এই ক্রমাগত ব্যর্থতা থেকে মুক্তি ও চিকিৎসাক্ষেত্রে সমন্বয়ের চিন্তাধারা থেকেই বর্তমান সময়ের নিউট্রেশন, ডি-টক্সিফিকেশন, এক্সারসাইজ, আকুপ্রেসার, আকুপাংচার, পোলারিটি ম্যাসাজ, লুমি ম্যাসাজ, রিফ্লেক্সোলজি, বিভিন্নপ্রকার গতি ও অবস্থান কৌশল (Various Motion and Posture Technique), কাইরোপ্র্যাকটিক, অষ্টিওপ্যাথি ইত্যাদি চিকিৎসার উদ্ভব। এবং অবশেষে সাইকো-সোমাটিক মুভমেন্টের শুরু, যেখানে রোগীর শরীর ও মনকে স্বতন্ত্র বিবেচনা না করে সমন্বিতরূপে বিবেচনা করা হয় এবং দৈহিক রোগের কারণ হিসাবে মানুষের মানসিক বিশৃঙ্খলা ও মনের উপর বিভিন্ন রকম প্রতিকূল প্রভাবকে স্বীকার করা হয়।

হোমিওপ্যাথি তার জন্মের শুরু থেকেই এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই রোগীকে বিবেচনা করে। এ ব্যবস্থায় রোগীর অত্যন্ত শ্রমসাধ্য রোগী বিবরণী সংগ্রহ করে- রোগীর জীবন, জীবনের বিশেষ অনুকূল ও প্রতিকূল ঘটনার প্রভাব, রোগীর শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য, রোগীর ব্যক্তিত্ব, জীবনযাপন-প্রণালী, রোগীর বংশগত রোগের প্রভাব, রোগ উৎপাদন ও পরিপোষণের নিয়ামক কারণ, জন্মগত বৈশিষ্ট্য, সমগ্র জীবনের সমস্ত একিউট ও ক্রনিক রোগের গতি-প্রকৃতি, রোগীর মন, আবেগের প্রকৃতি ও শরীরের সার্বিক অবস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলোর সমন্বয়ে রোগের উৎস, অবস্থান ও সার্বিক চিত্র খুঁজে বের করে তা দূর করা হয়। আর উৎস দূর হলে তার পরিণতি অপসৃত হওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়, সে পরিণতি যত কঠিন আকারই ধারণ করে থাকুক না কেন?

কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশ্ন আসতে পারে- মানুষের এই মন, আবেগ ও শরীরের সমন্বয় সাধনের পদ্ধতি কি? কোন্‌ বিধানের বলে মানুষের এই সমগ্র অস্তিত্ব ও সত্ত্বা চালিত হয়? কোন্‌ বিধানের বিচ্যুতিতে সমগ্র মানুষের সত্ত্বায় প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা বা রোগ দেখা দেয়? প্রচলিত চিকিৎসাব্যবস্থা এর উত্তর দিতে পারেনি এটা সর্বজনজ্ঞাত, এর উত্তর খোঁজার ধান্দায় তারা কোটি কোটি ডলার জলে ফেলছে এটাও গোপন কোন বিষয় নয়। কিন্তু হোমিওপ্যাথি কি এর উত্তর দিতে পারে?

এর উত্তরে মহাত্মা ডা. হানিম্যানের ঘোষণাটিই উল্লেখ করছি,

“In the healthy condition of man, the spiritual vital force (autocracy), the dynamism that animates the material body (organism), rules with unbounded sway, and retains all the parts of the organism in admirable, harmonious, vital operation, as regards both sensations and functions, so that our indwelling, reason-gifted mind can freely employ this living, healthy instrument for the higher purposes of our existence.”

অর্থাৎ,

“মানুষের সুস্থ অবস্থায় বিমূর্ত মৌলিক প্রাণশক্তি (স্বাধীন, একচ্ছত্র শক্তি) এই ভৌত দেহকে সঞ্জীবিত করে রাখে, অসীম প্রভাবে তাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীর সংস্থানের সমস্ত অংশগুলোকে তাদের ক্রিয়া ও অনুভূতি- উভয় বিষয়ে চমৎকার, সুসামঞ্জস্যরূপে, সজীব ক্রিয়াশীল অবস্থায় ধারণ করে- যাতে আমাদের অর্ন্তনিহিত বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন মন এই সুস্থ সক্রিয় যন্ত্রকে (দেহ) জীবনের উচ্চতর উদ্দেশ্য সাধনের জন্য অবাধে নিয়োজিত করতে সক্ষম হয়।” (Organon of Medicine, Aphorism – 9)

আর এর ভিত্তিতেই তিনি অসুস্থতার কারণ ও অবস্থানকে ব্যাখ্যা করেছেন,

“When a person falls ill, it is only this spiritual, self-acting (automatic) vital force, everywhere present in his organism, that is primarily deranged by the dynamic influence upon it of a morbific agent inimical to life. It is only the Vital force, derange to such an abnormal state, that can furnish the organism with its disagreeable sensation and incline it to the irregular process which we call disease; for, as a power invisible in itself, and only cognizable by its effects on the organism, its morbid derangement only makes itself known by the manifestation of disease in the sensations and functions of those parts of the organism exposed to the senses of the observer and physician, that is, by morbid symptoms, and in no other way can it make ifself known.”

অর্থাৎ,

“ মানুষ যখন অসুস্থ হয়, তখন তার আত্মাসম্ভূত, স্বয়ংক্রিয়, শরীরের সর্বত্র বিরাজিত জীবনীশক্তিই মুখ্যত, জীবনের প্রতি বৈরীভাবাপন্ন রোগোৎপাদিকা শক্তির সক্রিয় প্রভাবে বিশৃঙ্খল অবস্থাপ্রাপ্ত হয়; এরকম বিকৃতাবস্থাপ্রাপ্ত জীবনীশক্তি মানবদেহে যে সমস্ত অনাকাঙ্ক্ষিত অনুভূতি উৎপাদন করে এবং শরীর সংস্থানে যে সমস্ত বিশৃঙ্খলা সংঘটন করে, তাদেরকেই আমরা রোগ বলে থাকি; কারণ, জীবনীশক্তি মানুষের দৃষ্টির অগোচর এবং দেহযন্ত্রে কেবল তার বহিঃপ্রকাশিত প্রভাব দ্বারাই পরিজ্ঞাত হয়; পর্যবেক্ষক ও চিকিৎসকগণ রোগীর ইন্দ্রিয়গোচর অঙ্গগুলোতে বিকৃত অনুভূতি ও ক্রিয়া-বৈলক্ষণ্য অর্থাৎ রোগলক্ষণের বিকাশের দ্বারাই শুধুমাত্র তা উপলব্ধি ও দর্শন করতে পারেন, এছাড়া তা জানার আর কোন উপায় নেই।” (Organon of Medicine, Aphorism – 11)

কাজেই হোমিওপ্যাথিক শিক্ষা ও দর্শন মোতাবেক- মানুষের মন, আবেগ, শরীর, মানুষের প্রত্যেকটি অরগান, টিস্যু, মলিকিউল অর্থাৎ সম্পূর্ণ মানুষটিই একপ্রকার বিমূর্ত, স্বয়ংক্রিয়, সুসমন্বিত, মৌলিক শক্তি দ্বারা সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয় এবং কোনভাবে এই সর্বত্র প্রবহমান শক্তির বিশৃঙ্খলা ঘটলে, সম্পূর্ণ মানুষটি অসুস্থ হয়। আর এই অসুস্থ ও বিশৃঙ্খল অবস্থাটির বহিঃপ্রকাশ ঘটে তার মন, আবেগ ও শরীরে উদ্ভূত লক্ষণসমষ্টির মাধ্যমে। কাজেই, মানুষের কোন কিছুকে যদি রোগ বলে অভিহিত করা হয়- তবে তা হবে সেই বিমূর্ত শক্তির বিশৃঙ্খলার পূর্ণ চিত্রটিকে; কোন একটি বিশেষ লক্ষণকে কিংবা লক্ষণগুলোর বৃদ্ধিজনিত সর্বশেষ ফলটিকে নয়।কোন বিশেষ প্যাথলজিকে নয়, বরং মানুষের মন, আবেগ ও শরীরের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বহিঃপ্রকাশিত বিশৃঙ্খল লক্ষণসমূহের সামষ্টিক অবস্থাটিকে। লক্ষ করুন, এখানে কোন টিউমার, ক্যান্সার, ফোঁড়া, দাউদ, একজিমা, পচন, জীবাণুর আক্রমণ এসবকে রোগ বলা হচ্ছে না, বলা হচ্ছে পূর্ণ মানুষটির পরিচালক শক্তির বিশৃঙ্খল অবস্থাটিকে- যে বিশৃঙ্খল অবস্থার দরুন উক্ত লক্ষণগুলো দৃষ্ট হচ্ছে, মানুষের ইমিউনিটি সিস্টেম দুর্বল বা অকার্যকর হয়ে পড়ছে, অসংখ্য রোগ তার খোলা প্রবেশদ্বার পেয়ে যাচ্ছে, জীবাণু আক্রমণ করার সুযোগ ও বেঁচে থাকার পরিবেশ পেয়ে যাচ্ছে, অঙ্গে পচন ধরছে, রক্ত পরিচালন প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে, চর্মে বিনষ্ট হচ্ছে ইত্যাদি। আর এই বিশৃঙ্খল অবস্থাটিকে পুনরায় সুশৃঙ্খল করা গেলে, এই বিশৃঙ্খল অবস্থাজনিত পরিণতিও দূর হয়ে যাবে নিঃসন্দেহে। একারণেই হোমিওপ্যাথিতে রোগীর হাজারো লক্ষণের জন্য মাত্র একটা ঔষধ নির্বাচন করে তার প্রত্যেকটা লক্ষণের (সে রোগের নাম Nosology তে থাকুক আর নাই থাকুক) আরোগ্য করা হয়। এর ব্যতিক্রমে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রদান করা হলেও তা হোমিওপ্যাথি নয়। সেটা হবে এলোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি দুটোরই বিকৃত রূপ। দুঃখের বিষয় হোচ্ছে, বাংলাদেশে বেশিরভাগ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাক্ষেত্রগুলোতে এই রূপটাই পরিদর্শিত হয়, যে কারণে মানুষের হোমিওপ্যাথি সম্বন্ধে ভ্রান্তি ধারণা দূর করাটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মানুষকে এই সমন্বিতরূপে দর্শনের কারণেই, যে রোগীর শরীরে একই সাথে হৃদরোগ, বাতরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ, ও চর্মরোগ থাকবে- তার জন্য পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্রয়োজন হোমিওপ্যাথিতে হয় না। এখানে বিবেচনা করা হয়- যে মানুষটা অসুস্থ হয়েছে, তাকে সুস্থ কোরতে হবে। আর মানুষটা সুস্থ হলে- তার জীবনীশক্তি, নিজের আত্মাসম্ভুত মৌলিক সক্রিয় শক্তি যথাযথরূপে সুশৃঙ্খল অবস্থাপ্রাপ্ত হলে এই সব বাহ্যিক লক্ষণ ও বিশৃঙ্খল অবস্থাগুলো একই সাথে একই ঔষধে দূরীভূত হয়ে যাবে। এবং একই কারণে কোন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক কখনোই নিজেকে কোন অঙ্গবিশেষের বিশেষজ্ঞ বলে দাবী করতে পারেন না (আইনগতভাবেও নয়)। কারণ একজন পূর্ণাঙ্গরূপে প্রশিক্ষিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের মধ্যে যিনি সর্দি-কাশির যথোপযুক্ত আরোগ্যকারী চিকিৎসা করতে পারবেন, তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসাও করতে পারবেন। যিনি লিভারের চিকিৎসা তরতে পারবেন, তিনি মানসিক রোগের চিকিৎসাও তরতে পারবেন। এখানে সবাই- আরোগ্যের ব্যাপারে, ঔষধপ্রয়োগবিদ্যার ক্ষেত্রে- হয় সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, নয়তো কোন বিষয়েই নয়। কারণ প্রত্যেকটা চিকিৎসার ক্ষেত্রেই রোগীর মন থেকে শুরু করে শরীরের প্রত্যেকটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, তার গঠন, তার সুস্থ বা অসুস্থ অবস্থা, তাতে প্রকাশিত লক্ষণ, এই লক্ষণের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও হ্রাস-বৃদ্ধি বিবেচনায় এনেই কেবলমাত্র রোগীর জন্য (রোগের জন্য নয়) প্রয়োগযোগ্য আরোগ্যকারী ঔষধ নির্বাচন করা সম্ভব। এখানে প্রত্যেকটি লক্ষণকে রোগীকে আরোগ্য করার ক্ষেত্রে সাহায্যকারী ইঙ্গিত হিসাবে বিবেচনা করা হয়, লক্ষণকে শরীরে উৎপন্ন এমন একটা বিরক্তিকর শত্রু হিসাবে বিবেচনা করা হয় না, যাকে যে কোন মূল্যে এবং যে কোন প্রকারে দমন (Supress) করতে হবে। এখানে লক্ষণকে বিবেচনা করা হয়- শরীরের সাহায্য প্রার্থনার ভাষা হিসাবে, যার ইঙ্গিতকে গ্রহণ, উপলব্ধি ও ব্যবহার করে আমরা সমগ্র, অখণ্ড মানুষের মন, আবেগ ও শরীরের প্রত্যেকটি মাত্রাকে তথা পূর্ণ, সমন্বিত প্রানসত্তাকে একটি সমন্বিত চিকিৎসার মাধ্যমে আরোগ্য করতে পারি। আজকের স্বাস্থ্যের দুরবস্থার এই ভয়াবহ যুগে- যেখানে মানবজাতি ক্রমান্বয়ে জটিলতম লক্ষণসমৃদ্ধ, মারাত্মক প্রাণঘাতি সব রোগে- আয়ুতে, শক্তিতে ও প্রশান্তিহীন অস্থিরতায় তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে- সেখানে এই চিকিৎসাব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা ও অপরিহার্যতা কি এখনো উপলব্ধি করার সময় হয়নি?

Tags: homeodigestহোমিওডাইজেস্টহোমিওপ্যাথি- একটি সমন্বিত চিকিৎসাব্যবস্থার নাম

Related Posts

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ অপছন্দকারীর ঔষধ নির্বাচনের সহজ কৌশল

by ডা. মোহা. আশরাফুল হক
January 4, 2021
0
505

নবশিক্ষার্থী ভাই-বোন আজ আপনাদের সাথে একটা মজার থিম, আমার ও মনীষীদের অভিজ্ঞান শেয়ার করতে চাই। পূর্ণাঙ্গ কেস টেকিং এর ভিত্তিতে যার জন্য যে ঔষধ নির্বাচন হবে...

পুনরুত্থান: ডা. জে. এন. কাঞ্জিলালের দৃষ্টিতে হোমিওপ্যাথি (শেষের পর্ব)

by sayeed
October 25, 2020
0
259

ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী পুরানো ও আধুনিক (হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসা পদ্ধতির রোগের ধারণা সম্পর্কে আলোচনার পর এবার আমরা রোগের কারণ সম্পর্কে পুরানো চিকিৎসা পদ্ধতির আলোচনা করবো। এমনকি আজ...

পুনরুত্থান: ডা. জে. এন. কাঞ্জিলালের দৃষ্টিতে হোমিওপ্যাথি

by sayeed
October 23, 2020
0
292

ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী (শুরুর পর্ব) Task -- A controversy has been prevailing in the homoeopathic school as to the exact meaning of the word Homoeopathy --...

আঘাতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

by sayeed
October 21, 2020
0
556

ডা. শাহীন মাহমুদ: প্রাত্যাহিক জীবনে আমরা যত সাবধানেই কাজ করি না কেন, আঘাত আমরা পাই। সারা শরীরের যে কোন জায়গায় যে কোন সময় এই আঘাত পাওয়ার...

হোমিওপ্যাথিতে বিকল্প ওষুধ হয়না

by sayeed
September 21, 2020
0
281

ডা. সৌমিত্র সরকার এই পৃথিবীতে কোন দুটি বস্তু পুরোপুরি...

Next Post

অর্গানন অব মেডিসিন - দর্শন নাকি বিজ্ঞান?

হোমিওপ্যাথির উদ্ভব, বিকাশ ও সংকট- ডা.চন্ডীপদ চক্রবর্তী

হোমিও সাথী - ডা. এস.পি.দে

Subscribe Us

Join 119 other subscribers

CATEGORIES

  • অনুবাদ
  • আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  • ইন্টারভিউ
  • ঔষধ পরিচিতি
  • কেস রেকর্ডস
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • বায়োগ্রাফি
  • বুক রিভিউ
  • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
  • রিসার্চ রিভিউ
  • হোমিও সংবাদ

RECOMMENDED

Italy
হোমিও সংবাদ

ইতালিতে হাজার ছাড়িয়েছে করোনায় মৃতের সংখ্যা

March 13, 2020
বুক রিভিউ

কার্সিনোসিন -ডা. শ্রীকান্ত চৌধুরী

January 19, 2020

TAGS

biography Corona in homeopathy Corona in Repertory homeodigest Homeopathic remedy of Corona Homeopathic treatment of Influenza Homeopathy Phase of Corona Remedy Selection for Corona Remedy Selection for COVID-19 Repertorial analysis of Corona Repertorial Introduction for Corona Repertorial Introduction for COVID-19 Repertory about Pneumonia Repertory of Corona Repertory of COVID-19 Repertory of Influenza Rubrics about Corona Rubrics about COVID-19 Rubrics of Corona Stage-wise Symptoms of Corona Symptoms of Corona অর্গানন করোনা ভাইরাস করোনাভাইরাস কেস রেকর্ডস চিকিৎসক চিকিৎসা ডাক্তার মায়াজম মায়াজমের দর্শন-চিন্তা মেটেরিয়া মেটিকা হোমিও হোমিও ওষুধ হোমিও ঔষধ হোমিও চিকিৎসক হোমিও চিকিৎসা হোমিওডাইজেস্ট হোমিও ডাক্তার হোমিওপ্যাথ হোমিওপ্যাথ বুক রিভিউ হোমিওপ্যাথি হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

বাংলাদেশের প্রথম আদর্শিক অনলাইন হোমিওপ্যাথিক প্লাটফর্ম। হোমিও বিষয়ক সংবাদ, প্রবন্ধ, কেস রেকর্ডস, কেস স্টাডি, বুকস রিভিউ, ইন্টারভিউ, বায়োগ্রাফিসহ বিভিন্ন বিষয়ের লেখার এক সমৃদ্ধ ভান্ডার। এছাড়াও স্টুডেন্টদের জন্য রয়েছে বিশেষ সাজেশন্স।
contact@homeodigest.com

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.

No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.