ডাঃ সৌমিত্র সরকার:
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাশাস্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির একটি হচ্ছে “হোমিওপ্যাথিক দমন” (Homoeopathic suppression) বিশেষতঃ যেখানে বহু সংখ্যক মানুষ মনে করে যে, হোমিওপ্যাথিতে কখনই রোগীর ক্ষতি হয়না না এবং এই পদ্ধতিতেই রোগ নির্মূল হয়। বলতে দ্বিধা নেই প্রথম কথাটি সর্বাংশে ভুল, দ্বিতীয় কথাটি সর্ত সাপেক্ষ। সর্তসাপেক্ষ বললেই হয়ত প্রশ্ন উঠতে পারে কিন্তু কেবল মাত্র রোগীর লক্ষ্মণ নির্ভর ওষুধ নির্বাচন করা, যা রোগীর বংশ ইতিহাস বা তার অতীত ইতিহাসের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়নি তা কখনও রোগকে মূল থেকে উৎপাটিত করতে পারে না।
দমন বিষয়টাকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয় হোমিওপ্যাথিতেই। বিষয়টা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয় বা কিছু বলেনা অন্য চিকিৎসা পদ্ধতিগুলো। হোমিওপ্যাথিতে রোগ যন্ত্রণার সাময়িক উপশম (Palliation) বা দমম (Suppression) করা নিয়ে এত কথা বলার কারণ, এই পদ্ধতিতেই কেবলমাত্র আরোগ্য বিষয়টাকে গুরুত্ত্ব দেওয়া হয় ও নীতিনির্ভর চিকিৎসা করা হয় যা অন্য চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোতে করা হয় না।
আমরা জানি স্বাস্থ্যের পুনরুদ্ধার করাকে আরোগ্য বলা হয়। রোগ যন্ত্রনাকে কমিয়ে রাখাকে সাময়িক উপশম বলা হয়। সেই রকম দমন বিষয়টার সঠিক অর্থ হদিস করতে গেলে দেখা যায় রোগ যন্ত্রণা কমিয়ে রাখা বা সাময়িক উপশম রোগ দমন করারই সামিল। ডাঃ জে,টি, কেন্ট তার লেকচারস অন হোমিওপ্যাথিক ফিলজফি গ্রন্থের অষ্টাদশ অধ্যায়ে “চির রোগ সোরা” সম্বন্ধে আলোচনা করতে গিয়ে লিখেছেন—
“স্বল্পক্রিয় ওষুধগুলো সোরার অচির প্রকাশের মতই কাজ করে; এতএব যখন অচির রোগ তখন তার লক্ষ্মণগুলি মারফৎ প্রকাশিত হয়, স্বভাবতঃই আপনারা স্বপ্লক্রিয় ওষুধগুলি নির্বাচন করেন এবং আপনারা বিভিন্ন সময়ে রোগ যন্ত্রণা কমিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক বছর বাদে প্রত্যেকটা স্বতন্ত্র রোগীর ক্ষেত্রেই আপনারা দেখবেন যে রোগ দৃঢ়তার সাথেই এগিয়ে চলেছে। আপনারা দেখবেন রোগের মূলে আঘাত করতে পারেননি এবং রোগের কারণ হিসাবে কিছু একটা থেকেই যাচ্ছে আরো গভীরভাবে এবং যার জন্য ক্রমাগত আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।
“The short-acting medicines are the ones that contain the counterparts of the acute manifestations of psora, and hence when these acute manifestations appear in groups of symptoms you will naturally select acute remedies, and you will palliate them from time to time , but at the end of years, you will look upon every individual case, and will notice that the case has been steadily progressing. You will find that you have not struck at the root of the trouble, that there is an underlying something present and prevailing and that the disease is steadily growing worse.”
তাই যখন কোন রোগীর চিকিৎসায় সার্বিক লক্ষনকে গুরুত্ত্ব না দিয়ে রোগীর স্থানিক লক্ষ্মণ ও তার হ্রাসবৃদ্ধি ইত্যাদির ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচন করে নীতিহীনভাবে রোগ যন্ত্রণা কমানোকে বলা হয় রোগ দমন করা। ঠিক সেই রকমই সম্পূর্ন রোগী বিবরণ লিপিবদ্ধ করেও বংশগত রোগ ও রোগীর অতীত ইতিহাসের ভিত্তিতে ওষুধ নির্বাচন না করলে ওষুধের সামগ্রিক সদৃশতার অভাবে এক্ষেত্রেও রোগ যন্ত্রণা কমানো বা দমন করা ছাড়া আর কিছুই হয়না। (মূলতঃ যে সব ক্ষেত্রে রোগ এত বেশী এগিয়ে গেছে যে, হোমিওপ্যাথি দ্বারা আর আরোগ্য করা সম্ভব নয় অর্থাৎ অনারোগ্য ব্যাধির ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথিতেও অনেক সময় সাময়িক উপশমের কথা চিন্তা করা হয় কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাশাস্ত্রে কোনটা আরোগ্য সম্ভম বা কোনটা অনারোগ্য, সঠিক করে পূর্বনির্ধারণ করা খুবই কঠিন।) অনেক চিকিৎসকই মনে করেন যে, চর্মরোগ বা বাতে বাহ্য প্রয়োগ করলে রোগ চাপা পড়ে, এমনকি তা যদি হোমিওপ্যাথিক নামযুক্ত মলম দ্বারাও করা হয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা কিছুতেই উপলব্ধি করতে পারেন না যে, আভ্যন্তরীণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এই রকম রোগ চাপা দিতে পারে। তাঁরা বলেন হোমিওপ্যাথিক ওষুধ এত অল্প মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় যে, সমলক্ষন সম্পন্ন না হলে রোগীর উপশম আদৌ সম্ভব হত না। সুতরাং এই রকম অবস্থাতে রোগ চাপা পড়ার কোন সম্ভাবনা থাকতে পারেনা। কিন্তু তাঁরা কখনও ভাবেননি বা লক্ষ্য করেননি যে স্থানিক লক্ষ্মণ ভিত্তিক সদৃশ ওষুধও স্থানীয় লক্ষনকেই কেবলমাত্র উপশম দেয় যদিনা ঘটনাক্রমে, আমাদের অজান্তে সার্বিকভাবে রোগীর সদৃশ হয়।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা কোন রোগ চিকিৎসার পর রোগীর আরোগ্যের বিষয়ে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। যেমন উচ্চ জ্বর, টনসিল প্রদাহে রোগীর গলা ব্যথা বা জ্বর কিছুটা কমে গেলে আমরা অনেক সময়ই নিশ্চিন্ত হই। কিন্তু রোগীর কাজকর্মে উৎসাহ আগের মত ফিরে এল না। খাওয়ায় অরুচি রয়েই গেল। ধীরে ধীরে খিদে বাড়বে বলে তাকে আশ্বস্ত করলাম। কিন্তু কিছুদিন বাদেই রোগী পিঠে ধাক্কা মারার মত ব্যাথা, চোখের চারিদিকে শোথ নিয়ে ফিরে এল। রক্তচাপ মেপে দেখা গেল উচ্চ রক্তচাপ। অর্থাৎ বৃক্ক প্রদাহের লক্ষ্মণ রোগীর মধ্যে উপস্থিত হল। এই অবস্থায় সাধারণতঃ প্রশ্ন হতে পারে, রোগীর দ্বিতীয় রোগটা প্রথম রোগের ধারাবাহিকতা, না রোগীর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে নতুন জীবাণু আক্রমনের জন্য বৃক্ক প্রদাহ হয়েছে? প্রথম রোগের ক্ষেত্রে রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়নি বলেই রোগ আরও অগ্রসর হয়েছে নতুবা অসুস্থতার সুযোগে নতুন জীবাণু আক্রমণ হয়েছে, না মেনে উপায় নাই। টনসিল প্রদাহের রোগীর, টনসিল প্রদাহ ও জ্বর তার উত্তেজক কারণের সাথে যদি রোগী সার্বিকভাবে গুরুত্ত্ব পেত তাহলে রোগ কম গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থান টনসিল ছেড়ে আরও বেশী গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থান বৃক্ককে আক্রমণ করত না। রোগটা এই ভাবে পাশ কাটালো কেন? তার কারণটি হচ্ছে সময় অল্পের জন্যই হোক বা জ্ঞানের স্বল্পতার জন্যই হোক অনেক সময়ই রোগীর লক্ষনসমষ্টিকে আমরা গুরুত্ত্ব না দিয়ে স্থানিক লক্ষনকে গুরুত্ত্ব দিয়ে থাকি ও রোগ রোগীর আরও গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থানে নিজের যায়গা করে নেয়।
অচির রোগের মত ঠিক চিররোগের ক্ষেত্রেও আমরে প্রায়ই দেখি, রোগের দমন অর্থাৎ রোগ পাশ কাটিয়ে রোগীর কম গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থান ছেড়ে রোগীর বেশী গুরুত্ত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। কোনও এক যুবক পেটে প্রচণ্ড শূল ব্যথা ও অম্বলে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আমাদের কাছে চিকিৎসা করাতে এসেছিল। তার নির্বাচিত ওষুধ লাইকোপোডিয়াম উচ্চ শক্তিতে দেওয়ার পর তার পেট ব্যাথা ও অম্বল পাওয়ার সাথে সাথে দুই হাতের পাতায় চর্মরোগে ভরে গিয়েছিল যা তার অনেক পূর্বে ছিল এবং এলোপ্যাথিক ও তথাকথিত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অপসারিত হয়েছিল। এর পর সেই রোগীকে দীর্ঘদিন লক্ষ্য করে লক্ষ্মণ সদৃশে কয়েক মাত্রা সালফার পঞ্চাশ সহস্রতমিক শক্তিতে ব্যবস্থা করায় তার চর্ম লক্ষ্মণ, পেটের ব্যথা, অম্বল সবই আরোগ্য হয়েছিল। অনুরূপভাবে আমরা প্রায়ই চিররোগের কোন বাহ্যিক লক্ষ্মণ অপসারিত হলে ভাবি রোগী সুস্থ হয়ে গেছে। কিন্তু রোগীর কিছু যন্ত্রণা উপশম হলেই চটপট সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয় যে, রোগী আরোগ্য হয়েছে। প্রায়শঃই আমরা নিজেদের জ্ঞানের স্বল্পতার জন্য রোগকে আরও গভীরতর ও জটিলতর করে থাকি।
সুতরাং আমাদের প্রত্যেক অচির ও চির রোগী চিকিৎসায় কিছু বিষয় সম্বন্ধে সতর্ক থাকা প্রয়োজনঃ
১) ওষুধের ক্রিয়া কখন সন্দেহজনক যদিও রোগীর যন্ত্রণা কম।
২) রোগী নির্দিষ্টভাবে না বললেও কখন নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ওষুধ সঠিক নির্বাচিত।
৩) রোগের গতিমুখ অনুযায়ী বিশ্লেষণ করা।
৪) ওষুধের ক্রিয়া কখন সন্দেহজনক যদিও রোগীর যন্ত্রণা কম।
ডাঃ কেন্ট তার লেকচারস অন হোমিওপ্যাথিক ফিলজফি গ্রন্থে “আরোগ্যকর ওষুধের ক্রিয়ার ভিত্তিতে রোগীর ভাবিফল নির্ধারণ করা” (Prognosis After Observing the Action of the Remedy)অধ্যায়ের চতুর্থ নিরীক্ষণে লিখেছেন “এক শ্রেণীর রোগীতে আপনারা দেখবেন যে, ওষুধ প্রয়োগ করার পরে, কোন রকম বৃদ্ধি ছাড়াই খুবই আশাব্যাঞ্জক আরোগ্য যা ঘটে থাকে এমন সমস্ত ক্ষেত্রে যেখানে কোন যান্ত্রিক গোলযোগ ছিল না ও সেরকম হওয়ার সম্ভাবনাও নেই বা চির রোগের ক্ষেত্রে যেখানে ওষুধটা উপযুক্ত কিন্তু রোগ খুব গভীর মূল নয়। যেখানে টিসুর সম্ভাব্য পরিবর্তনের পরিবর্তে স্নায়ুর ক্রিয়াগত বিচ্যুতিই মুখ্য যদিও অচির রোগে এটাই সর্বোৎকৃষ্ট চিকিৎসা তবুও যদি ওষুধ ব্যাবস্থার পর কিছু বৃদ্ধি ঘটে তাহলে চিকিৎসক বেশী আশান্বিত হন। (You will notice a class of cases wherein you will find very satisfactory cures, where the administration of the remedy is followed by no aggravation. There is no organic disease, and no tendency to organic disease. The chronic condition itself to which the remedy is suitable is not of great depth, belong to the functions of nerves rather than to threatened changes in tissues….. It is the highest order of cure in acute affections, yet the physicians sometimes will be more satisfied in the beginning of his prescribing he notices a slight aggravation of the symptoms……)
আমাদের ব্যবহারিক জীবনের অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে যে, অচির রোগ চিকিতসাতেও হোমিওপ্যাথিক বৃদ্ধি সঠিক ব্যবস্থাপত্রের নির্দেশক বা রোগীর বৃদ্ধিহীন আরোগ্যের ক্ষেত্রে অতি অবশ্যই খুবই সতর্কতার সাথে দেখা উচিত রোগীর মনের প্রফুল্লতা, বিভিন্ন কাজে উৎসাহ, খিদে, ঘুম, মলমূত্র ইত্যাদি স্বাভাবিক কিনা। অন্যথায়, হাজার যুক্তি হাজির করা হলেও রোগীর এই উন্নতিকে সন্দেহজনক বলে মনে করাটা অত্যুক্তি হবে না। অচির রোগের ক্ষেত্রে খুব শীঘ্রই বা অদূর ভবিষ্যতে পুনরায় অসুস্থতা আশ্চর্যজনক কিছু নয়; যেমন, হাম, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগ ভোগের পর থেকে রোগীর স্বাস্থ্য স্বাভাবিক না হওয়া; চিররোগের ক্ষেত্রে চর্মরোগ চাপা পড়ে পাকস্থলীর ঘা, হাঁপানী, মাথা খারাপ বা অন্য কিছু হওয়া। যেখানে হয়ত প্রাথমিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধিহীন উপশম ঘটিয়ে বহুবছর পর দ্বিতীয় লক্ষ্মণগুলোর আগমন ঘটিয়েছে।
রোগী নির্দিষ্টভাবে না বললেও কখন নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ওষুধ সঠিক নির্বাচিতঃ
অনেক সময়ই আমরা দেখি রোগীকে তার রোগ কষ্ট বৃদ্ধির কথা বলতে। যেমন আমাশয়ের রোগীর পায়খানার কষ্টবৃদ্ধি; বাতের রোগীর ব্যথার বৃদ্ধি, ইত্যাদি। এতে আমরা অনেকেই অস্থির হয়ে নতুন ওষুধ ব্যাবস্থার কথা ভাবি বা করে থাকি। কিন্তু সেই সময় একটু বিস্তারিতভাবে রোগীর দৈনিক ক্রিয়াকলাপ সম্বন্ধে খোঁজ নিলে প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, তার আমাশয়ের বৃদ্ধি পেলেও দীর্ঘ দিনের অনিদ্রা রোগের কষ্ট পূর্বের থেকে কম বা বাতের কষ্ট বৃদ্ধি পেলেও অল্প পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট পূর্বের তুলনায় অনেক কম। স্থানিক লক্ষ্মণ খারাপের দিকে যাওয়া সত্ত্বেও মানসিক স্তরে বা আভ্যন্তরীণ রোগ যাতনা কম হওয়াকে আমরা অবশ্যই সঠিক ব্যবস্থার পক্ষে বলে দাবী করতে পারি।
রোগের গতিমুখ অনুযায়ী বিশ্লেষণ করাঃ
আমরা সবাই জানি, সুনির্দিষ্টভাবে হেরিংয়ের রোগ আরোগ্যের সূত্রগু্লি আমাদের সঠিক পথের হদিস দেয়। যেমন:- (ক) কেন্দ্র থেকে রোগের গমন, (খ) বেশী গুরুত্বপূর্ণ স্থানের রোগ যাতনা উপশম হওয়ার সাথে সাথে কম গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রোগ কষ্ট বৃদ্ধি পাওয়া, (গ) রোগ যেমনভাবে শুরু হয়েছিল ঠিক তার বিপরীত গতিমুখে রোগ লক্ষ্মণগুলির বিদায় নেওয়া।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি, হ্যানিম্যান অর্গানন অব মেডিসিনের ৩৬-৪০ সূত্রে বিসদৃশভাবে নির্বাচিত ওষুধ দ্বারা রোগ আরোগ্যের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিয়ে ৪৩-৪৫ সূত্রে আলোচনা করেছেন, সদৃশ লক্ষ্মণ ভিত্তিক চিকিৎসাই একমাত্র রোগ আরোগ্য করতে পারে। সুতরাং আমরা যদি দীর্ঘ উপশমকে আরোগ্য বলে দাবী করি মূলত যেখানে পূর্বের লক্ষ্মণগুলোর অবর্তমান থাকা সত্ত্বেও আরো গভীর ও গুরুতর লক্ষ্মণ উপস্থিত, আমদের পঠনপাঠন ও কার্যকলাপ সম্বন্ধে সতর্ক হওয়ার যথেষ্ট প্রয়োজন। কারণ হ্যানিম্যান কখনই সদৃশলক্ষ্মণ সমষ্টি বলতে সম্পূর্ণ রোগীকে না দেখে স্থানিক লক্ষনগুলিকে কেবলমাত্র গুরুত্ব দিতে শেখাননি বা চিররোগে মায়াজমকে বাদ দিয়ে লক্ষ্মণ সমষ্টির কথা বলেননি। সুতরাং আমরা যদি তার শিক্ষা বিরোধী নিজ নিজ ধারনায় বদ্ধমূল থেকে রোগীর সঠিক লক্ষণের বদলে স্থানিক লক্ষ্মণকে বা চির রোগে বংশগত ইতিহাস বা রোগীর অতীত ইতিহাসের গুরুত্বকে অস্বীকার করে চিকিৎসা কার্য পরিচালনা করি, বলতে দ্বিধা নেই, সেই চিকিৎসা অতি অবশ্যই অপহোমিওপ্যাথিক ও রোগলক্ষন দমনকারী বলে প্রতিপন্ন হবে।
Discussion about this post