যে বিষয়টি নিয়ে আমি আলোচনা করবো বলে মনস্থির করেছি, তা হয়তো শিরোনাম দেখেই আপনারা অনুধাবন করতে পেরেছেন। বিষয়টি হচ্ছে- “স্ত্রীপ্রজননতন্ত্রের অসুস্থতা ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা”; বর্তমান সময়ে যে ব্যাপারে ধারণাটি, বহুবিধ কারণে আমাদের প্রতিটি চিকিৎসককেরই নখদর্পণে থাকা উচিৎ।
বিষয়টিকে আরও বিস্তৃত করে বিভিন্ন শিরোনামে বিভক্ত করে আলোচনা করা হবে। আলোচনায় অন্তর্ভূক্ত থাকবে স্ত্রীপ্রজননতন্ত্র সুস্থ রাখার উপায়, স্ত্রীপ্রজননতন্ত্রের অসুস্থতা, রোগ নির্ণয় ও রোগী চিকিৎসার মূলনীতি ইত্যাদি বিষয়ে। আল্লাহ্ চান তো, প্রতিটি বিষয়েই বক্তব্য রাখব ইনশাআল্লাহ।
মূল আলোচনায় বক্তব্য রাখার পূর্বে ভূমিকা হিসাবে বলতে হয় – স্ত্রীজননেন্দ্রিয় ও সংশ্লিষ্ট অংগগুলোতে যে সকল অসুস্থতা দেখা দেয় তাদের বিবিধ রোগাবস্থা নিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে একটি স্বতন্ত্র শাখার সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত শাখায় স্ত্রীজননাঙ্গের বিভিন্ন ব্যাধি, তাদের সংজ্ঞা, সম্ভাব্য কারণ, লক্ষণ ও চিহ্ন, ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা ইত্যাদি বিবিধ বিষয় আলোচিত হয়। সমষ্টিগতভাবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় উক্ত শাখাকে স্ত্রীরোগবিদ্যা বা বলা হয় এবং এ বিদ্যায় বিশেষভাবে জ্ঞান গ্রহণকারী চিকিৎসককে বলা হয় Gynaecologist বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তবে স্মরণ রাখতে হবে যে, হোমিওপ্যাথিতে বিশেষজ্ঞ বলে কোন কথা নেই। যেহেতু হোমিওপ্যাথির মূলনীতিতে রোগের নাম ধরে নয় বরং রোগীর বৈশিষ্ট্য অনুধাবন করে চিকিৎসা পরিচালিত হয়, সেহেতু প্রতিটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকই সর্বপ্রকার রোগাবস্থার বিশেষজ্ঞ। সে জন্য একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক যিনি পুরুষের রোগাবস্থার চিকিৎসায় পারদর্শী, তিনি স্ত্রীরোগের ক্ষেত্রেও তেমন পারদর্শী বা শিশুরোগের ক্ষেত্রেও সমান পারদর্শী। এই পারদর্শিতা অর্জন করতে হলে বিজ্ঞ চিকিৎসককে সে বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করতে হয়। বর্তমান নিবন্ধে কেবল মাত্র স্ত্রীপ্রজননতন্ত্র ও হোমিওপ্যাথি বিষয়ে আলোচিত হবে বিধায় আমি এই বিষয়ের দিকেই দৃষ্টি নিবিষ্ট রাখব।
প্রতিটি চিকিৎসককে স্ত্রীরোগে বা যে কোন রোগের চিকিৎসা করতে হলে প্রথমেই সে অঙ্গের গঠন বৈশিষ্ট্য বা এনাটমি, তারপর সে অঙ্গের কাজ বা ফিজিওলজি এবং তার পর সে অঙ্গের অসুস্থাবস্থায় কি ধরনের পরিবর্তন হয় বা নিদানতত্ত্ব বা প্যাথলজী সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হয়। বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ এখানে নেই, সে জন্য কেবল স্ত্রীজননাঙ্গের প্রধান প্রধান অঙ্গের নাম গুলো এখানে উল্লেখ করা হলো, যথা –
(১) পেরিনিয়াম
(২) বহিঃজননাঙ্গ বা vulva, এর প্রধান অঙ্গ গুলো হচ্ছে ল্যাবিয়া মেজোরা, ল্যাবিয়া মাইনোরা, মনস পিউবিস, ক্লাইওটেরিস, ভেজাইনাল অরিফিস ইত্যাদি
(৩) যোনিপথ বা vagina
(৪) জরায়ু বা uterus
(৫) ২টি ডিম্ববাহী নালী বা 2 fallopian tube,
(৬) ২টি ডিম্বাশয় বা 2 ovaries,
(৭) ব্রড লিগামেন্ট (broad ligaments)
(৮) বিভিন্ন রক্তনালী, স্নায়ু ও লসিকাবাহী নালীসমূহ এবং পেলভিক ফ্লোর।
অপ্রধান বা সহকারী অঙ্গগুলো হচ্ছে-
(১) স্তন বা Breast
(২) বিভিন্ন এন্ডোক্রাইন গ্লান্ড নিঃসৃত হরমোনসমূহ এবং
(৩) Genetic and Chromosomal system যা যৌনতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

প্রথমেই আলোচনায় আসা যাক স্ত্রীজননেন্দ্রিয় সুস্থ রাখার সাধারণ উপায় সম্পর্কে –
স্ত্রীপ্রজননতন্ত্র সুস্থ রাখার উপায়:
স্ত্রীপ্রজননতন্ত্রকে সুস্থ রাখার প্রধান উপায় হচ্ছে, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা । সমগ্র দেহ-মনের সুস্থতার নামই স্বাস্থ্য। সে জন্য স্ত্রীজননাঙ্গকে সুস্থ রাখতে হলে সমগ্র মানুষটিকেই সুস্থ থাকতে হবে। নিয়মমত পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য বিধি পালন, যেমন – নিয়মিত গোসল, পরিমিত পুষ্টিমান সম্মত আহার গ্রহণ, পরিমিত নিদ্রা, পরিচ্ছন্ন ঢিলা পোষাক পরিধান, অনৈতিক পোষাক ও কার্যকলাপ বর্জন, কুচিন্তা ও কুমনন সকল রোগের জননী সোরার সৃষ্টি করে বা সোরাকে প্রকাশিত করে, সুতরাং প্রতিটি মানুষকে কুমনন ও কুচিন্তা থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে নিজ নিজ জীবনীশক্তি বা ভাইটাল ফোর্সকে উন্নত করার চেষ্টা করতে হবে। ফলে শুধু স্ত্রীজননেন্দ্রিয় নয় সমগ্র দেহ-মনই সুস্থ থাকবে।
স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের সুস্থ রাখার প্রচেষ্টা শুরু হয় সন্তান জন্ম নেয়ার পর মুহূর্ত থেকেই, জন্মের পর পরই ধাত্রী মেয়ে-শিশুর দৈহিক পরিচ্ছন্নতা রক্ষার সাথে তার জননাঙ্গ পরিষ্কার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তারপর শিশুর প্রজননতন্ত্র সুস্থ রাখার দায়িত্ব সন্তানের মায়ের, মা লক্ষ রাখবেন – শিশু সন্তানের মল-মূত্র ত্যাগের পর যেন তার জননাঙ্গ দ্রুত পরিষ্কার করা হয়, মল দীর্ঘ সময় জননাঙ্গে লেগে থাকলে তা থেকে জননাঙ্গে ইনফেকশান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, মলের সাথে নির্গত হওয়া ক্রিমি স্ত্রীজননাঙ্গে ঢুকে গিয়ে উৎপীড়নকর এক অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে।
ছোট মেয়ে শিশুদের লিউকোরিয়ার মত সাদা স্রাব নির্গত হয়, এতে ঘাবড়ে না গিয়ে পরিচ্ছন্নতা ও পরিমিত আহারের ব্যবস্থা করলে রোগটি এমনিতেই সেরে যায়, গুরুতর ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ও ব্যবস্থা নিতে হয়। কিশোরীদের যৌবন উদগমন কালে অর্থাৎ পিউবার্টিকালে অতি দ্রুততার সাথে নানা রকম দৈহিক ও মানসিক পরিবর্তন হতে থাকে, প্রাইমারি সেক্স ক্যারেক্টার তখন দ্রুততার সাথে সেকেন্ডারি সেক্স ক্যারেক্টার প্রকাশ করে। কেউ কেউ পুরুষ সঙ্গ কামনা করে, আবার কেউ পুরুষ দ্বারা নিগৃহিত হতে পারে, সন্তানের মাকেই এ বিষয়ে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে।
প্রথম মাসিক বা মেনার্কি দেখা গেলে মেয়েটি ভয় পেয়ে যেতে পারে, মাকেই বুঝাতে হতে এটি স্বাভাবিক ব্যাপার; পরিচ্ছন্ন থাকার যাবতীয় নিয়ম মা-ই এসময় সন্তানকে শিক্ষা দেবেন। পরবর্তিতে মাসিকের সময় পরিচ্ছন্ন থাকার নিয়ম পালন করলে বহুবিধ স্ত্রীরোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত যৌনকেশ মুন্ডন, যৌন উত্তেজক বই পড়া থেকে বিরত থাকা, হস্তমৈথুনের মত কুঅভ্যাস বর্জন, অশ্লীল চলচ্চিত্র না দেখা, ধর্মীয় বিধি বিধান পালনের মাধ্যমে মানসিক উন্নতি সাধন ইত্যাদি সাধারণ নিয়ম নীতি পালন করার ফলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করলে স্ত্রীজননতন্ত্র সুস্থ থাকবে।
দাম্পত্য জীবনে যৌন মিলনের পর জননাঙ্গ পরিষ্কার করা, মাসিককালে পরিচ্ছন্ন ন্যাপকিন পরিধান করা, কোন প্রকার অসুস্থতা অনুভব করলে লজ্জা না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে স্ত্রীজননাঙ্গকে সুস্থ রাখা যায়। সন্তান গর্ভধারণকালে, সন্তান প্রসবের পর প্রসূতিকালে ও চিরদিনের মত মাসিক বন্ধ হওয়ার পর অর্থাৎ মেনোপজ কালেও যথাযথ পরিচ্ছন্ন রাখা সুস্থ থাকার অবিচ্ছিন্ন ফ্যাক্টর। নারীদেহের স্তনকেও অতিরিক্ত যৌন অঙ্গ বিবেচনা করতে হয়, অতিরিক্ত টাইট ব্রা, আবার অতিরিক্ত ঢিলা ব্রা স্বাস্থের অবনতি ঘটায়। অপরিষ্কার ব্রা নানা রকম চর্ম রোগের কারণ হয়ে দাড়ায়, সে জন্য স্তন ও ব্রা পরিচ্ছন্ন রাখাও সুস্থতার পরিচায়ক। মনে রাখতে হবে সুস্থ প্রজননতন্ত্রই সুস্থ যৌন জীবন ও সুস্থ সন্তান জন্ম দিতে পারে । সুতরাং প্রতিটি নারীকে সুস্থ থাকতে হলে তার স্ত্রী জননাঙ্গকেও সুস্থ রাখতে হবে।
এবার আলোচনায় আসছি, স্ত্রীপ্রজননতন্ত্রের বিবিধ অসুস্থতার নামকরণ ও রোগনির্ণয় সম্পর্কে –
স্ত্রীপ্রজননতন্ত্রের অসুস্থতা ও রোগনির্ণয়:
এবার আসুন, স্ত্রীজননেন্দ্রিয়ে প্রায়ই দেখা যায় এরূপ বিভিন্ন সাধারণ রোগলক্ষণাবলী সম্পর্কে পরিচিত হওয়া যাক (Common gynaecological problems)। সহজে আয়ত্বের জন্য স্ত্রী জননেন্দ্রিয়ের রোগাবস্থায় প্রকাশিত লক্ষণাবলীকে ৭টি প্রধান বিভাগে ভাগ করে নেয়া যায় । অধিকাংশ রোগীনীতে এই ৭টি পয়েন্টের উপর ভিত্তি করে প্রশ্নউত্তরের মাধ্যমে কেইস টেকিং করলে পূর্ণাঙ্গ রোগীলিপি করা সহজ হয়। এবার আসুন এই ৭টি প্রধান বিভাগের সাথে পরিচিত হই ।
১। মাসিকের অনিয়মের অভিযোগ
২। মাসিক ছাড়া অন্য স্রাবের অভিযোগ
৩। তলপেটে বেদনার অভিযোগ
৪। তলপেটে চাকা থাকার অভিযোগ
৫। যোনি পথে কিছু নেমে আসার অভিযোগ
৬। গর্ভ সম্পর্কিত অভিযোগ, এবং
৭। মাসিক চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরের অভিযোগ
১। মাসিকের অনিয়মের অভিযোগসমূহ (Disturbances in menstrual cycle)
রোগী মাসিক রজঃস্রাব জনিত কোন অভিযোগের কথা জানালে চিকিৎসক তার রোগাবস্থাকে মাসিক চক্রের অনিয়মজনিত ব্যাধি (Disturbances in menstrual cycle) হিসেবে চিহ্নিত করে নিতে পারেন । সাধারণতঃ পূর্ণ বয়স্ক ঋতুমতি মহিলার মাসিক চক্র ২৮ দিন। মাসিকের অনিয়ম হচ্ছে এ জাতীয় অভিযোগ থেকে আপনি রোগীনীর বর্ণনার বিবরণ থেকেই তার রোগাবস্থার অস্বাভাবিকতার নিম্নরূপ নামকরণ করতে পারেন, যেমন –
ক) যদি কোন বালিকা বা মহিলার মাসিক অনুপস্থিত থাকে তা হলে তাকে মাসিকের অনুপস্থিতি বা রজঃরোধ (Amenorrhoea) বলা হয়, এটি আবার দু প্রকার, যথা –
১) প্রকৃত রজঃরোধ (True amenorrhoea) –
(i) যৌবন বা Puberty আসার পূর্বে ও রজঃনিবৃতি বা Menopause এর পরে যখন মাসিক হয় না।
(ii) গর্ভাবস্থায় মাসিক বন্ধ থাকে।
(iii) যৌবন বিকাশ সময়ে বা Adolescence – প্রথম মাসিক প্রকাশের পর ২ থেকে ১২ মাস মাসিক বন্ধ থাকা, যা ১ থেকে ২ বৎসর চলতে থাকে। এই তিনটি অবস্থা স্বাভাবিক মাসিক বন্ধ, এটি কোন রোগাবস্থা নয়, এদেরকে ফিজিওলজীক্যাল অ্যামেনোরিয়া বলা যেতে পারে।
২) অপ্রকৃত রজঃরোধ বা গুপ্ত মাসিক (False amenorrhoea or Crypto menorrhoea)- মাসিক রজঃস্রাব নির্গমন পথে অবরূদ্ধতার জন্য মাসিক দেহের বাইরে নির্গত না হয়ে জরায়ুর ভেতরে সঞ্চিত হয়, সে জন্য মাসিক হয়েছে কিনা তা বুঝতে পারা যায় না।
খ) কষ্টরজঃ বা বাধকবেদনা বা বেদনাদায়ক মাসিক (Dysmenorrhoea) – মাসিকের সময় জরায়ুতে ভয়ানক যন্ত্রণা হয়, এ অবস্থাকে তিন ভাগে বর্ণনা করা যায়, যেমন-
১) প্রাথমিক বা আক্ষেপিক বা প্রকৃত কষ্টরজঃ (Primary or spasmodic or true dysmenorrhoea) – যা প্রধানত জরায়ু থেকে উদ্ভূত কারণেই যন্ত্রণাদায়ক মাসিক হয়।
২) গৌণ কষ্টরজঃ (Secondary dysmenorrhea) বহু বৎসর স্বাভাবিক মাসিক চলার পর শেষ জীবনে কষ্টকর মাসিক হিসেবে দেখা দিতে পারে।
৩) রক্তসঞ্চয়জাত কষ্টরজঃ (Congestive dysmenorrhea) – যা জরায়ু বর্হিভূত কারণে বা দেহের অন্য কোন রোগের কারণে যন্ত্রণাদায়ক মাসিক হয়।
গ) অস্বাভাবিক মাত্রায় এবং অতিরিক্ত পরিমাণে জরায়ু থেকে রক্তস্রাব হলে (Abnormal and excessive utrine bleeding), রক্তস্রাবের পরিমাণ ও রক্তস্রাবের সময় থেকে বিভিন্ন রোগাবস্থার নাম করণ করা যায়, যেমন-
১) মেনোরেজিয়া (Menorrhagia) – ২৮দিনের স্বাভাবিক মাসিক চক্রে অধিক সময় ব্যাপী বা অধিক পরিমানে মাসিক রক্তস্রাব, রক্তক্ষরণ পর্ব ৪ -৮দিন (৪/২৮ -৮/২৮)।
২) ইপিমেনোরিয়া (Epimenorrhoea) – ঘন মাসিক, ২২ দিনের কম বিরতিতে নিয়মিত স্বাভাবিক পরিমানের মাসিক, যেমন মাসিক চক্র ২১ দিনের এর মধ্যে ৪ দিন রক্তক্ষরণ পর্ব (৪/২১)।
৩) ইপিমেনোরিজিয়া (Epimenorrhagia) – ঘন মাসিক, ২২ দিনের কম বিরতিতে নিয়মিত প্রচুর পরিমানে মাসিক, যেমন মাসিক চক্র ২১ দিনের এর মধ্যে ৪ দিন রক্তক্ষরণ পর্ব (৪/২১)।
৪) মেট্রোরিজিয়া (Metrorrhagia) – কম বা বেশী যে কোন পরিমানের মাসিক যা অনিয়মিতভাবে দেখা দেয় অথবা মাসিক রক্তস্রাব দীর্ঘদিন যাবৎ চলতে থাকে।
৫) অলিগোমেনোরিয়া (Oligomenorrhoea) – মাসিক চক্র ৩৫ দিনের অনিয়মিত বিরতিতে সংঘটিত হয় এবং মাসিক স্রাব কম বা বেশী হতে পারে, নিয়মিতভাবে দীর্ঘ বিরতিতে হতে পারে।
ঘ) ডিস্ফাংশানাল ইউটেরাইন ব্লিডিং (Dysfunctional Uterine Bleeding -DUB) – জরায়ুর যে কোন রকমের অস্বাভাবিক অধিক পরিমানের রক্তস্রাব, কিন্তু পরীক্ষা নিরীক্ষায় জরায়ু বা পেলভিকের কোন অস্বাভাবিক রোগাবস্থা পাওয়া যায় না । লিভার সিরোসিস, হাইপোথেলামাস বা পিটুইটারী গ্রন্থি বা ডিম্বাশয়ের হরমোন প্রবাহে অস্বাভাবিকতা, থাইড়য়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক ক্রিয়া ইত্যাদি বশতঃ এটি হতে পারে।
Discussion about this post