It might be well to recall some of the simple reasons given by Hahnemann as proof of the existence of a chronic miasm, lying beneath all these multiplied outward expressions of disease. The first to be mentioned was the persistency of chronic ailments, seen when the diet, hygiene and general health of those patients were carefully considered.
যে কোন রোগের একমাত্র কারণ মায়াজম বা রোগ-সৃজনী শক্তি। মহাত্মা হ্যানিম্যান ১২ বছর রোগী পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ফল শাণিত যুক্তির দ্বারা কাটাছেঁড়া করে স্থির সিদ্ধান্তে আসলেন রোগের মৌলিক কারণ মায়াজম । তিনি আবিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গে তা প্রকাশ করেননি। তিনি অনুভব করেছিলেন, তাঁর কারণ-তত্ত্ব ভয়ংকর আক্রমণের সম্মুখীন হবে। বাস্তবে সত্যই ভয়ংকর আক্রমণ হয়েছে। বাইরে থেকে তো হয়েছেই, আবার আশ্চর্যের বিষয় ভিতর থেকেও হয়েছে। এখনও আক্রমণ বজায় আছে। বিভিন্ন অজুহাতে মায়াজম তথা হোমিওপ্যাথিকে ঘৃণিত আক্রমণ চলছে।
করোনা আক্রমণে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বেহাল দশা। তাদের সব গরিমা তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে। রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যা নিয়ম বলা হচ্ছে- তা হ্যানিম্যানের সোরা প্রবন্ধে সবই বলা আছে। আপনারা তা পড়লেই আমার কথার সত্যতা উপলব্ধি করতে পারবেন। লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসার মাধ্যমে পূর্বে আমরা বিভিন্ন মহামারীতে সফল হয়েছি তা ঐতিহাসিক সত্য। আজ আমরা অপবিজ্ঞানের অজুহাতে ব্রাত্য। এই অজুহাত বৈজ্ঞানিক কারণ সম্মত নয় বরং অর্থনৈতিক। কথায় কথায় একটু অন্য জায়গায় চলে এসেছি।
আজ আমরা নতুন বা পুরাতন যা রোগ দেখছি তা আসলে মায়াজমের বহুরূপতা। প্রত্যেক মায়াজমের কিছু মৌলিক বৈশিষ্ট্য আছে। এই বৈশিষ্ট্য চিনতে পারলে চিকিৎসা অনেক সহজ হয়। এই বৈশিষ্ট্য বোঝার একমাত্র সহজ উপায়- কঠোর পরিশ্রম। যেহেতু মায়াজম – শক্তি; তাই চোখে দেখা যায় না। লক্ষণের পর্যবেক্ষণ দ্বারা অনুভব করা যায়। ধরুন একজন ব্যক্তির বোনের বিয়ের জন্য বেশ কয়েকদিন দিনরাত পরিশ্রম করবার পর থেকে পেটের বিভিন্ন গোলমাল শুরু হল। বোন খুব শান্তিতে আছে। এমতাবস্থায়, সবরকম নিয়ন্ত্রণ করে রোগের উপশম হচ্ছে কিন্তু সামান্য সময় বা সামান্য মশলা (আগে অধিক মশলা খেয়ে কিছু হত না) যুক্ত খাবার খেলেই পুনর্মূষিক ভব। এই ঘটনাকে যুক্তি দিয়ে বিচার করলে বোঝা যায়, বিয়ের অনিয়ম পেটের গোলমালের প্রকৃত কারণ নয়। যদি তা হত তবে নিয়ম মেনে চললে রোগ সম্পূর্ণ আরোগ্য হয়ে যেত। যেহেতু বিয়ের অনিয়মের পরেই এই রোগ হয়েছে বিয়ের অনিয়ম (Indiscretion of diet, Loss of sleep etc.) এই রোগের সলতে হিসাবে কাজ করেছে। তাই একে উত্তেজক কারণ বলা হয়।
তাহলে যুক্তির দ্বারা বলা যায়, রোগটিকে স্থায়ী করছে কোন শক্তি। এই শক্তিকেই হ্যানিম্যান মায়াজম বলছেন। এই শক্তিকে চেনার সহজ উদাহরণ দিচ্ছি। ধরুন রোগীর পাতলা পায়খানা হয়-
(ক) পায়খানার পর রোগী আরাম বোধ করে – সোরা; স্বাভাবিক বস্তু নিঃসরণে আরাম হয় অর্থাৎ উপশম হয় বা Natural discharge amelioration।
(খ) পায়খানার পর কষ্ট বেড়ে যায় – সাইকোসিস; স্বাভাবিক বস্তু নিঃসরণে কষ্ট বৃদ্ধি পায় বা Natural discharge aggravation।
(গ) দুই তিনবার পায়খানার পর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় এবং রোগী খুব দুর্বলতা অনুভব করে – সিফিলিস; হাত-পা ঠান্ডা হওয়াকে বলে Physiological perversion বলে। সিফিলিসের রোগীদের প্রয়োজন হলে নুন-চিনি জল দিতে হবে অন্যদের দরকার নাই।
Even then the life force was unable to disengage itself from certain recurrent expressions of disease, conditions which were constantly repeating themselves; although the apparently well – selected remedy was given with what appeared to be success, as the symptoms were, for a time, removed; removed but to return with all their former energy, or with a new expression of symptoms, having to all appearances the same root or origin.
আমি পূর্বে আলোচনা করেছি, স্বাস্থ্যসম্মত ও জীবনশৈলী মেনে চললেও দেখা যায়- কোন কোন রোগ কিছুতেই আরোগ্য হয় না বরং সামান্য উত্তেজক কারণে ফিরে আসে। যখন বারেবারে এমন ঘটনা ঘটতে থাকে, তখন রোগী ভাবেন তার চিকিৎসা ঠিক হচ্ছে না। তখন সে পাড়া ছেড়ে উন্নতমানের চিকিৎসার জন্য শহরের বড় হাসপাতালে বা নামকরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তারা বহু পরীক্ষার পর দামি ওষুধ আর পথ্য এবং নিয়মিত ব্যায়ামের বিধান দিলেন।
ধরুন, রোগীটি আমাশয়ের রোগী। রোগী বলেন আমাশয়ের ধাত। মাঝে মাঝে এমন চলতে থাকে। এরকম ভাবে চলতে চলতে একসময় তার মনে হয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা করি। আয়ুর্বেদ চলতে থাকলো। কিন্তু সামান্য কারণে পুনর্মূষিক ভব। এর পর কবজ তাবিজ, দৈব সব দেখে নিয়ে হতাশ হয়ে পড়লেন। এবার তার প্রবাদ বাক্যটি মনে পড়ল, “যার নাই কোন গতি সেই করে হোমিওপ্যাথি।”
আসলে তখন তার ভাল থাকার সময় অনেক কমে গেছে। আমাশার ভয়ে বিয়েবাড়ি, বন্ধুর বাড়ী যাওয়া বন্ধ করেও রক্ষা নাই। এক নামকরা হোমিও চিকিৎসকের কাছে গেলেন। জুনিয়র পরিবৃত চিকিৎসক অল্প সময়ের মধ্যে একটি মাত্র ওষুধ নির্বাচন করে হোমিওপ্যাথির নিয়মে ওষুধ দিলেন। ওষুধ ম্যাজিকের মত কাজ করলো। কিন্তু কয়েকমাস পরে ভয়ংকর আক্রমণ। এবারও চিকিৎসকের ওষুধ খুব আরাম দিল। কিন্তু মাঝে মাঝে ফিরে আসছে। কিছুতেই সারছে না। লোকটি একদিন বললো, ‘স্যার, আমার আমাশয়ের ধাত কী সারবে না?’ নামকরা চিকিৎসকটি দৈববাণী দিলেন, ‘এ রোগ সম্পূর্ণ সারবে না। আপনি অনেক দেরী করে আমার কাছে এসেছেন, তাই সম্ভব নয়। তবে আপনাকে অন্য প্যাথির থেকে ভাল রাখতে পারবো’।
এইভাবে দিন চলছে। একদিন এক পুরানো বন্ধুর সঙ্গে দেখা। সে অনুরোধ করলো, ‘আয়, আমার বাগান বাড়ীতে সপরিবারে আয়। কয়েকদিন থেকে যাবি’। তখন ভদ্রলোক উত্তর দিলেন, ‘আর বলিস না, আমাশার ভয়ে কোথাও যেতে পারিনা।’ বন্ধুটি বলল, ‘চিন্তা নাই, আমার ছেলে হোমিওপ্যাথ। তুইতো জানিস আমি সখের হোমিওপ্যাথি করতাম। তবে আমি বলতে পারি আমার ছেলে নামকরা চিকিৎসক না হলেও ভাল চিকিৎসক ।’
যাই হোক, নবীন চিকিৎসকটি দীর্ঘসময় ব্যয় করে বংশের ইতিহাস, অতীতের ইতিহাসসহ বর্তমান সব কষ্ট লিপিবদ্ধ করে ওষুধ দিলেন। বলে দিলেন আমাশয় কিছুদিন বাড়তে পারে এবং চামড়ায় কিছু বার হতে পারে। এগুলি সহ্য করতে হবে। পথ্য রোগীলিপি অনুসারে দিলেন। সত্যই মাস দুয়েক অনেক কষ্ট সহ্য করার পর, গায়ে চুলকানি বের হতে শুরু হল। চুলকানি বের হতেই সার্বিকভাবে উন্নতি হতে শুরু করলো। বাকিটা বুঝে নিন।
সোজা কথায় বলি জুনিয়র মানে কম জানে এই ধারণা ভুল। যে চিকিৎসক পুরানো রোগীর জন্য দীর্ঘ সময় দিয়ে রোগীর রোগিলিপি করে ওষুধ দেন তিনিই প্রকৃত হোমিওপ্যাথ। তাহলে এই রোগীটি আগে অন্যান্য চিকিৎসা সহ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় আরোগ্য না হয়ে নবীন চিকিৎসকের কাছ আরোগ্য হবার রহস্যটি কী! এবার আমি ব্যাখ্যা করছি।
আমরা মেটিরিয়া পড়তে গিয়ে দেখেছি, When carefully selected remedies fail to produce a favorable effect তখন সালফার, সোরিনামের কথা বলা হয়েছে। দুটিই কিন্তু গভীর ক্রিয়াশীল ওষুধ । এর কারণ একটু উপমা দিয়ে ব্যাখ্যা করবার চেষ্টা করছি। ডা. কেন্ট আর একটু পরিষ্কার করে বলেছেন, Ars alb – Thuja, Rhus tox – Tuberculinum, Colocynth – Medorrhinum এর ক্ষেত্রে। আর্সেনিক-থুজার কথাটি ছোট করে বলি।
সাইকোটিক ক্ষেত্রে রোগী আর্সেনিকের লক্ষণ দিলেও রোগী আরাম পাবে কিন্তু সারবে না। বারে বারে ফিরে আসবে। তখন থুজা বা গভীর ক্রিয়াশীল সাইকোটিক ওষুধ দিতে হবে তবেই সম্পূর্ণ আরোগ্য হবে। কেন আরোগ্য হবে না সেটা ডা. কেন্টের ভাষাতেই শোনা যাক –
Asthmatic and many other sycotic conditions seem to call for Arsenic, but it will do nothing but palliate, the constitutionality is not reached by Arsenic, its fundamental symptoms are not similar.
বিষয়টি এবার ঠান্ডা মাথায় ভাবুন। ‘Fundamental symptoms are not similar’ কথাটি গুরুত্বপূর্ণ। Fundamental বলতে মায়াজমকে বোঝায়। আর্সেনিকে সাইকোসিসের গভীরতা কম, তাই সাইকোসিসের প্রাধান্য যুক্ত রোগীর লক্ষণ আর্সেনিকের লক্ষণের সদৃশ হলেও মায়াজমের গভীরতার সদৃশ না হবার জন্য রোগী আরোগ্য হবে না। তাই বলা যায় অ্যালোপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক ও নামকরা হোমিও চিকিৎসকের ওষুধ মায়াজমের সদৃশ না হবার জন্য আরোগ্য হয়নি। কিন্তু নবীন চিকিৎসকের ওষুধটি রোগীর লক্ষণ ও মায়াজমের সদৃশ হয়েছিল বলে রোগী আরোগ্য হয়েছে।
Discussion about this post