Monday, January 18, 2021
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

Homeodigest

  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট
No Result
View All Result
Home প্রবন্ধ

মায়াজমের দর্শন-চিন্তা (পর্ব-৫)

ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী by ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী
April 29, 2020
in প্রবন্ধ
0
240
SHARES
413
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare via Email

Again, suppose that we prescribe the similar remedy and have no knowledge of the laws of action and reaction (or primary and secondary action), how can we watch the progress of a case without a definite knowledge of these disease forces (miasm), with their mysterious, but persistent, progression, pauses, rest, forward movements, retreats and attacks along unfamiliar lines, and of whose multiplied modes of action we have taken no cognizance? In fact, if we know nothing about the traits and characteristics of our enemy, is it possible to wage an equal warfare?

এখানে ডা. অ্যালেন বলেছেন, ওষুধ দেবার পর প্রাথমিক ক্রিয়া (জীবনী শক্তি +ওষুধের শক্তি) ও গৌণ ক্রিয়া (জীবনী শক্তির ক্রিয়া বা আরোগ্যকারী ক্রিয়া) চিকিৎসক যদি না বোঝেন, তবে আরোগ্যকারী চলন (Followup – Movement of the symptoms) কিভাবে বুঝবেন? শুধু তাই নয়, আমরা অসাধ্য রোগ বা ওষুধের ভুল প্রয়োগ ইত্যাদিও বুঝতে পারবো না। বহু রোগী নষ্ট হয়- ওষুধের গৌণ ক্রিয়া না বোঝার জন্য। প্রথম ওষুধটি অনেকেই দিতে পারেন কিন্তু পরবর্তী ওষুধ প্রয়োগে ভুলের জন্য রোগী সারে না বা রোগীর ঐ স্তরে রোগ চাপা পড়ে। আমরা না বুঝে ব্যর্থ হই অথবা চাপা দিয়ে সফল চিকিৎসক হিসাবে দাবী করি।

আমার মনে পড়ে এক চিকিৎসক বন্ধু থুজা-১০ এম দিয়ে Evidence base case হিসাবে আঁচিল আরোগ্য করেন। থুজা দেবার পরে দাদ বেরিয়েছিল, তারপর আঁচিল কমেছিল। আঁচিল কমে যাবার পরে Bacillinum 1M দিয়ে সব রোগ আরোগ্য হয়েছে বলে সফল চিকিৎসক হিসাবে গর্ব বোধ করেন। এখানে থুজাতে আঁচিল আরোগ্য হয়েছিল দাদ (দাদ – Sycotic dominant disease) বের হবার পরে। কেন চাপা বলছি? আঁচিলের তুলনায় দাদ কম জটিল- তাই এখানে রোগশক্তি More Complex To Less Complex Disease এ পরিণত হয়েছে।

আমরা দেখেছি, এরকম ক্ষেত্রে অপেক্ষা করলেই দাদ ঠিক হয়ে যায়। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি Anti-Sycotic দিলে চামড়ায় Sycotic dominant চর্মরোগ আসে। অন্যান্য মায়াজমের ক্ষেত্রেও এটা সত্য। একটু সহজ করে বলি, আপনি ওষুধ দেবার সময় On the basis of totality of symptoms এর ভিত্তিতে ওষুধ দেবেন, আর দাদ বা আঁচিল বা অন্য কিছু বেরিয়ে এলে Totality of symptoms ভুলে গিয়ে চামড়ায় বের হওয়া রোগটিকে লক্ষ করে ওষুধ দেবেন- এটা কি ঠিক? আসলে চামড়ায় প্রকাশিত রোগ হচ্ছে মায়াজমের নিষ্কাশন (Elimination of miasm) । মায়াজমের নিষ্কাশন কি বন্ধ করা উচিৎ ? আমার বন্ধুরা কি বলেন?

প্রাথমিক ক্রিয়া সম্পর্কে হ্যানিম্যান বলেছেন,

Every agent that acts upon the vitality, every medicine, deranges more or less the vital force, and causes a certain alteration in the health of the individual for a longer or a shorter period. This is termed Primary Action. To its (Primary) action our vital force endeavors to oppose its own energy. This resistant action is a property, is indeed an automatic action of our life- preserving power, which goes by the name of Secondary Action Or Counteraction. (Aph.–63) [একে Curative Action (Aph.–64) ও বলে]

তাহলে বন্ধু, আপনি ওষুধ দেবার পর প্রথমে কষ্টের উপশম (প্রাথমিক ক্রিয়া) পরে কষ্টের বৃদ্ধি (গৌণ ক্রিয়া) হতে শুরু করলো অথবা প্রথমে রোগ লক্ষণের জোড়ালো, দ্রুত বৃদ্ধি (প্রাথমিক ক্রিয়া) এবং পরে দ্রুত উপশম (গৌন ক্রিয়া) হতে শুরু করলো; এক্ষেত্রে লক্ষণের চলনগুলির অর্থ না বুঝলে রোগীর সর্বনাশ।

লক্ষণের চলন ঠিক ঠিক বুঝতে হবে। আর এজন্য মনে রাখা দরকার নিচে উল্লেখ করা এর বৈশিষ্ট্যগুলো-

(১) Persistent – ধরুন, মনের কষ্ট সবসময় ঘুরপাক খাচ্ছে এটা সাইকোসিসের বৈশিষ্ট্য। ওষুধ দেবার পর দেখতে হবে এই কষ্ট আগের চেয়ে কতক্ষণ কম থাকছে কিনা? যদি কষ্টের স্থায়িত্ব কম হয়- তবেই রোগী আরোগ্যের পথে চলছে। শরীরের ক্ষেত্রে যেমন দাদ, একজিমা সহজে যেতে চায় না এই Persistent বৈশিষ্ট্যটির জন্য।

(২) Progression – রোগটির ক্রমবিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধরুন রোগটি বিকাশ হয়েছে ক-খ-গ-ঘ অনুসারে তবে আরোগ্য হবে ঘ-গ-খ-ক অনুসারে।

(৩) Pauses – রোগটি শুরু হবার পর অল্প কয়েকদিন চুপ থেকে আবার অগ্রসর হয়। এভাবেই হয়তো চলতে থাকে ।

(৪) Rest – রোগটি শুরু হবার পর অনেকদিন চুপ থাকে আবার শুরু হয় এই ভাবে চলতে থাকে । Pause ও Rest ওষুধ দেবার পরে ঘটতে পারে এই রকম রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে। এই ক্ষেত্রে আমরা বিভ্রান্ত হয়ে এবার Stand-still হয়েছে ভেবে ওষুধ দিয়ে রোগী নষ্ট করি এবং এক সময় হাল ছেড়ে দিতে হয়। এই ধরণের রোগীর ক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হবে। এসময় রোগীর পরিজনদের বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সামলাতে হবে- যদি ওষুধ নির্বাচনের ওপর নিজের আস্থা থাকে ।

(৫) Forward Movement – কোন গতিতে ও কোন দিকে রোগ আক্রমণ করে সেটা ওষুধ নির্বাচনের সময় খেয়াল করতে হবে ।

(৬) Retreat – অনেক সময়ই দেখা যায় উন্নতি হতে হতে আবার খারাপের দিকে যায়- তখন আমরা পুনরায় ওষুধ দিয়ে রোগীটি নষ্ট করি। আমরা সবাই ঢেউ দেখেছি ঢেউ কখনো এগিয়ে আসে আবার পিছিয়ে যায়; রোগ আরোগ্য হবার পথেও অপরিহার্য কিছু কারণে এই গতিটি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখতে পাওয়া যায়। তাই ওষুধ দেবার আগে সাবধান হতে হবে।

(৭) Attacks along unfamiliar lines – ভুল ওষুধ দেবার ফলে এরকম হয়। ডাঃ কেন্টের ১২ নং পর্যবেক্ষণ। আমরা যদি শত্রুর আক্রমণের বৈশিষ্টই না বুঝি, তবে কেমন করে তার সঙ্গে যুদ্ধ করবো?

Suppose that one would say that disease was due to bacteria, to a certain germ, to atmospheric conditions, to taking cold—facts to which the majority of diseases are attributed, would those facts assist us in the selection of the similar remedy? Would they help us to understand the phenomena of germs development, of taking cold? Why should he take a cold? Why should one have germs or be subject to atmospheric changes? Are thoughts that come to the reasoning mind.

ধরুন, কেউ দাবী করলো- রোগের কারণ হচ্ছে অণুজীব ( জীবাণু, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি) । ধরে নিলাম এটা সত্য। এর দ্বারা অণুজীবের ক্রমবিকাশ বা আক্রমণের ধারা বোঝা যায় না । সবচেয়ে বড় কথা এই রোগগুলি প্রায় সব আরোপিত অর্থাৎ নামের সঙ্গে রোগীর চরিত্রের কোন মিল পাওয়া যায় না। তাছাড়া অণুজীবের উৎপত্তি বা আক্রমণের ধারা সম্পর্কে তখনকার বিজ্ঞানে জানা ছিল না অর্থাৎ লেখকের জানা ছিল না। তাই লেখক এই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন- এই জ্ঞানের দ্বারা সদৃশতম ওষুধ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কিন্তু এতেও তার (লেখকের) প্রাসঙ্গিকতা হারায়নি। এর থেকেও বড় প্রশ্ন তিনি বলেছেন, কেন কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়- সবাই কেন হয় না? মানুষটির মধ্যে কি এমন থাকে যে যার জন্য অণুজীবেরা শত্রু-ভাবাপন্ন হয়ে ওঠে! আমি এখানে অণুজীবের কথা বলেছি, কারণ তখন সম্ভবত ভাইরাস বা ছত্রাক আবিষ্কার হয়নি। তার এই কথা ভাইরাস বা ছত্রাকের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য।

যতই আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি না কেন শ্বাসগ্রহণ বা খাদ্য গ্রহণের সময় কোটি- কোটি অণুজীব শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে। কিন্তু তার মধ্যে সাধারণত বিশেষ কিছু প্রকার অনুজীব কেন শত্রুভাবাপন্ন হয়ে আক্রমণ করে? যদি সত্যই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবার জন্যই হতো তাহলে সবাই নয় কেন? কেউ যদি বলেন আবহাওয়ার জন্য বা ঠান্ডা লাগার ফলে রোগ সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রেও বলবো একই পরিবারের সবাই কেন হয়না?  বিভিন্ন টীকাকরণ বা উন্নত বিজ্ঞান সম্মত ওষুধ কেন পারছে না- অণুজীবের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে। ছোটবেলা থেকে যাদের হোমিওপ্যাথ (চিকিৎসক নয়) দ্বারা চিকিৎসা করানো হয়েছে তারা কিন্তু অণুজীবের আক্রমণের হাত থেকে প্রায় রক্ষা পেয়েছেন।

আমার চিকিৎসক জীবন ৩২ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, বিভিন্ন চিকিৎসকের সান্নিধ্যে এসে দেখেছি- যারা তথাকথিত আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি, তারা অন্যের তুলনায় অনেক অনেক বেশি সুস্থ আছেন। তবে এর ধারাবাহিক পরিসংখ্যান না থাকার জন্য তাত্ত্বিক ভাবে বৈজ্ঞানিক-সমাজে প্রমাণ করা যায় না। আমি আশা করি, আমার জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথ বন্ধুরা এ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলবেন। এই নেতিবাচক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তনে হোমিওপ্যাথি কিভাবে মানব সমাজকে সাহায্য করতে পারে সে বিষয়ে বন্ধুদের সুচিন্তিত পরামর্শ আশা করি। হোমিওপ্যাথির চিন্তাধারা চিন্তাশীল ও যুক্তিবাদী মননকে সমৃদ্ধ করবে বলে আশা রাখি। বর্তমানে গণটীকাকরণ ও শক্তিশালী জীবানুনাশক থাকা ব্যবস্থা সত্ত্বেও তারা আশঙ্কা করছেন- সংক্রমণ জনিত রোগ আগামী দিনে মহামারী আকার ধারণ করবে (এ অংশটুকু কভিড-১৯ আক্রমণের আগের লেখা)  অর্থাৎ তারা তাদের ব্যর্থতার কথা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই মনে করি, আগামী প্রজন্ম হোমিওপ্যাথির সাহায্যের প্রতিক্ষায়। আমার বন্ধুরা কি ভাবছেন?

Why should disease return in the same form or some diverse form? These are the things that disturbed the mind of Hahnemann, and in the end, led him to discover the psoric theory of disease.

হোমিওপ্যাথি আবিষ্কারের প্রথম দিকে তিনি দেখলেন, নির্দিষ্ট নীতি মেনে সদৃশ ওষুধ দেবার পরেও দেখতে পেলেন- রোগ লক্ষণ একই ভাবে বা কিছু পরিবর্তিত আকারে ফিরে আসছে। তিনি ভাবতে শুরু করলেন- কেন এরূপ ঘটনা ঘটছে? মনে রাখতে হবে স্বয়ং হ্যানিম্যান ওষুধ দিচ্ছেন। বার বছর গবেষণা করে আবিষ্কার করলেন এর কারণ- সোরা। তাহলে তিনি যে ওষুধ দিয়েছিলেন তা সোরা-নাশ করতে পারেনি। সুতরাং সোরা নাশক ওষুধ দিতে হবে। এখানে হ্যানিম্যান আমাদের শিক্ষা দিলেন শুধু লক্ষণ সদৃশ হলেই রোগ আরোগ্য হবে না, বরং মায়াজম সদৃশ হলেই রোগ আরোগ্য হবে।

আমরা দেখতে পাচ্ছি, ওষুধ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল-

(ক) সোরা নাশক

(খ) সোরা নাশক নয়

কোন এক জায়গায় পড়েছিলাম, Acon, Bell, Bry, Caps ইত্যাদি ওষুধগুলো মায়াজম নাশক নয়। ডা. কেন্ট তার দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্রে (Second Prescription) ১১ নং অনুচ্ছেদে Complementary প্রসঙ্গে বললেন – একটি বিশেষ ক্ষেত্রে যেখানে,

Cold settles in the head Bell relieves, but it not acts as a constitutional remedy. He continues to have these headaches, which are due to a psoric constitution, and the time comes when Bell will not relieve them;………… Calcarea carb. একে আরোগ্য করবে।

ঠিক হ্যানিম্যানের নির্দেশিত পথেই আরোগ্য হবে। এবার ডা. অ্যালেন কিন্তু Acon, Bell, Bry, Caps ইত্যাদিকে মায়াজমের অন্তর্গত করলেন। বিশুদ্ধবাদীরা ডা. অ্যালেনের প্রতি খর্গহস্ত হলেন । তার বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি হ্যানিম্যানের শিক্ষাকে বিকৃত করেছেন। আমরা তার অবদান ভুলে গিয়ে তাকে বর্জন করেছি। আমরা জোর দিয়ে বলছি তাকে বাদ দিয়ে মায়াজম নাশক চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। হোমিওপ্যাথিতে ব্যক্তি নয় যুক্তি বড়। এবার একটু কথাটি বিচার করে দেখা যাক।

(১) হ্যানিম্যান সাইকোসিস ও সিফিলিস মায়াজম সম্পর্কে খুব সামান্য লিখে গেছেন যার থেকে সাইকোসিস বা সিফিলিস নাশক চিকিৎসা সম্ভব নয়। দুইটি মায়াজম সম্ভবত ১২ থেকে ১৪ টি মাত্র লক্ষণ। বড়জোর ২|১ টি বেশি হতে পারে। তারা কোন যুগে কাজ করেছেন সেটা অবশ্যই বিচার করতে হবে । এ যুগে দাঁড়িয়ে ভুল মনে হলে, ভুলটি অবশ্যই বর্জন করতে হবে শ্রদ্ধার সঙ্গে। তাদের চিন্তাধারা অনুভব করার চেষ্টা করতে হবে। আমি হ্যানিম্যানের ক্রনিক ডিজিজের সিফিলিস মায়াজমের একটি অংশ তুলে ধরছি-

The chancre appears, after impure coition, usually between the seventh and fourteenth days, rarely sooner or later, mostly on the member infected with the miasma, first as a little pustule, which changes into an impure ulcer with raised borders and stinging pains, which if not cured remains standing on the place during man’s lifetime, only increasing with the years, while the secondary symptoms of the venereal disease, syphilis, cannot break out as long as it exists.

আমার বন্ধুদের এই অংশটির বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করতে অনুরোধ করছি।

(২) ওষুধ পরীক্ষণের সময় মায়াজমের কোন প্রয়োজন হয় না। ওষুধকে মায়াজম ভিত্তিক পরে করা হয়েছে। যথা, Aurum Met কে হ্যানিম্যান বলেছেন Psoric, আর আমরা জানি এই ওষুধটি Syphilitic- তাহলে কোনটা সত্য? আবার Dulcamara ওষুধটি Psoric হ্যানিম্যান বলেছেন আর আমরা জানি এটি Sycotic। বিশুদ্ধবাদীরা বলবেন হ্যানিম্যানকে বিকৃত করা হয়েছে । এবার বলুন, আমার মতো নিরেট মাথার ঠিক বিচার করা সম্ভব নয়- কিন্তু আমার জ্ঞানী বন্ধুদের কাছ থেকে সমাধান পাবো আশা রাখি। আমার মতামত জানিয়ে দিচ্ছি- বিচারের ভার আপনাদের। আমি মনে করি, হ্যানিম্যানের পরে অনেক ওষুধ পরীক্ষণ হয়েছে, আর মায়াজমের ওপর অনেক কাজ হবার ফলে ওষুধের লক্ষণের সংখ্যা যোগ হয়েছে- ফলে ওষুধের চরিত্র পরবর্তী হোমিও গবেষকদের কাছে পরিষ্কার হবার জন্য মায়াজমের প্রাধান্য অনুসারে Syphilitic Or Sycotic হয়েছে- যা আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। তবে আমাদেরও বিচার করে গ্রহণ অথবা বর্জন করতে হবে। যোগ ও বিয়োগ বিজ্ঞানের ধর্ম- যা বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

(৩) রোগীটি মিষ্টি খেতে ভালবাসে। মিষ্টি খাবার ইচ্ছা সোরার লক্ষণ- আমরা সবাই জানি। আমার বিনীত প্রশ্ন, সালফারে লক্ষণটি থাকলে সোরা হবে আর ব্রায়োনিয়ায় থাকলে সোরা হবে না- এটা কি যুক্তি সম্মত? আবার ধরুন, রোদ লাগলে মাথা ব্যথা করে। গরমে বৃদ্ধি সিফিলিটিক লক্ষণ। এটি সালফারে, নেট্রাম মিউরে থাকলে সিফিলিটিক লক্ষণ বলবো আর একোনাইটে ও বেলেডোনায় থাকলে সিফিলিটিক লক্ষণ হবে না – এটা কি যুক্তি সম্মত? Consolation aggravation লক্ষণটি Sycotic। লক্ষণটি Sepia, Natrrum Mur এ থাকলে Sycotic আর Belladonna তে থাকলে Sycotic হবে না এটা কোন যুক্তি হতে পারে কি?

লক্ষণের বৈশিষ্ট্য অনুসারে মায়াজমকে চিহ্নিত করা উচিৎ কিন্তু ওষুধের নাম অনুসারে মায়াজমকে চিহ্নিত করা কি সম্ভব? তাই হ্যানিম্যানের একটি কথাকে একক ভাবে বিচার না করে, সার্বিকভাবে ভাবে বিচার করতে হবে- যেমন আমরা একটি রোগীর চিকিৎসার সময় সার্বিকভাবে বিচার করে ওষুধ নির্বাচন করি ঠিক তেমন।

(৪) ডা. জে এন কাঞ্জিলাল একোনাইট দিয়ে একটি দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী প্যারালাইসিসে আক্রান্ত রোগীকে সম্পূর্ণ আরোগ্য করেছিলেন। প্যারালাইসিস কি মায়াজমকে বাদ দিয়ে সম্ভব? কাক-দ্বীপের এক চিকিৎসক বন্ধুকে একোনাইট হাজার শক্তি দিয়ে ধ্বজভঙ্গ আরোগ্য হয়েছে। রোগীটি সেরিব্রাল স্ট্রোকের রোগী। ওষুধটি প্রায় দুবছর কাজ করেছিল। তার কথাবার্তা এখন স্বাভাবিক। এই রোগটি কি মায়াজমকে বাদ দিয়ে?

সব ওষুধের মায়াজমের গভীরতা সমান নয়। কম বেশি নিয়ে তর্ক যুদ্ধ না করে যে রোগীর ক্ষেত্রে যা প্রয়োজন তাই দিতে হবে। ডা. কে সি দাশের কাছে খুব বকা খেয়েছিলাম। কোন একটি ওষুধকে ছোট ওষুধ বলেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘একটা বাসের দাম লক্ষ-লক্ষ টাকা আর স্টিয়ারিং বা চাকার কম দামী নাটবল্টু চলন্ত অবস্থায় খুলে গেলে তোর দামী গাড়িটার কি অবস্থা হবে ভেবে দেখ।’ এখানে একোনাইট দুবছর কাজ করেছিল তবে একোনাইটকে এই রোগীর ক্ষেত্রে Acute or Chronic কোন আসনে বসাবেন- সেটা বন্ধুদের হাতে ছেড়ে দিলাম।

(৫) আর একটি অভিযোগ করা হয় ডা. অ্যালেন Dominant miasm নামক তত্ত্ব আবিষ্কার করে হোমিওপ্যাথির সর্বনাশ করে দিয়েছেন। এর উত্তরে Meteria Medica Pura-এর ভূমিকার একটি অংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি-

And also to bear in mind the circumstances under which they occur, that have a determining influence on our choice; and proceed in the same way with all the other symptoms, noting by what medicine each is excited; from the list so prepared we shall be able to perceive which among the medicines homeopathically covers the most of the symptoms present, ESPECIALLY THE MOST PECULIAR AND CHARACTERISTIC ONES,– this is the remedy sought for (Meteria Medica Pura, Jain Publishing Co. New Delhi, Vol. 1, Page 23, Para 5).

আমি ক্যাপিটাল লেটারে টাইপ করা অংশটির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমার মনে হয় এই সব প্রাতঃস্মরণীয় চিকিৎসকদের ভুল ধরতে গিয়ে আমরা নিজেরাই ‘Censorious’ হয়ে পড়ছি না তো! ডা. অ্যালেন The Most Peculiar And Characteristic Ones লক্ষণটির দ্বারা Dominant miasm টিকে চিনে নিতে বলেছেন। তাহলে বন্ধু, ডা. অ্যালেনের ভুল কোথায়? আমরা মনে করি হ্যানিম্যানের পর ডা. অ্যালেন এর মতো সহজবোধ্য অথচ জোরালো ভাবে মায়াজমের পক্ষে আর কেউ বলেননি।  এ প্রসঙ্গে বলার আরো বহু কিছু আছে এবং ক্রমান্বয়ে তা আমি বলবো।  আজকের আলোচনা বেশি বড় হয়ে যাচ্ছে বলে, আজকের মতো এখানেই ইতি টানছি।  অনেক বেশি পড়ার চাইতে যতটুকু পড়লাম- ততটুকুর সঠিক উপলব্ধি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা কি বলেন?

Tags: অর্গাননচিকিৎসকচিকিৎসাডাক্তারমায়াজমের দর্শন-চিন্তামেটেরিয়া মেটিকাহোমিওহোমিও ওষুধহোমিও ঔষধহোমিও চিকিৎসকহোমিও চিকিৎসাহোমিও ডাক্তারহোমিওপ্যাথ
ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী

ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী

ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী ভারতের সোদপুরে চিকিৎসারত একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। হোমিওপ্যাথির মূল আদর্শকে ধারণ করে তিনি অত্যন্ত সুনামের সাথে ক্লাসিক্যাল ধারায় চিকিৎসাসেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। হোমিওপ্যাথির প্রকৃত শিক্ষার্জনের ব্যকুল আকাঙ্ক্ষা তাঁকে বেশ কয়েকজন পৃথিবীবরেণ্য শিক্ষকের সংস্পর্শে নিয়ে আসে। তিনি ডাঃ কে. সি. দাস, তপন কাঞ্জিলাল, ডাঃ এস. এন. চ্যাটার্জী, ডি রায়, ডি. ডি. ব্যানার্জী, বি. এন.সেনগুপ্ত প্রমূখ প্রকৃতধারার হোমিওপ্যাথের নিকট থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় পারদর্শীতা লাভ করেন। অত্যন্ত বিনয়ী ও প্রচারবিমূখ কিন্তু অসাধারণ ধীশক্তিসম্পন্ন এই চিকিৎসক ক্লাসিক্যাল ধারার চিকিৎসাবিস্তারে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।

Related Posts

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সংবিধান ‘অর্গানন অব মেডিসিন’ গ্রন্থ আয়ত্তের কৌশল

by ডা. এ কে এম রুহুল আমিন
January 17, 2021
0
9

 “অর্গানন অব মেডিসিন আয়ত্তের কৌশল” এই বিষয়ে আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করছি। আলোচনার সুবিধার জন্য বিষয়টিকে কয়েকটি শিরোনামে বিভক্ত করে উপস্থাপন করছি, শিরোনামগুলো হচ্ছে – ১।...

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ অপছন্দকারীর ঔষধ নির্বাচনের সহজ কৌশল

by ডা. মোহা. আশরাফুল হক
January 4, 2021
0
510

নবশিক্ষার্থী ভাই-বোন আজ আপনাদের সাথে একটা মজার থিম, আমার ও মনীষীদের অভিজ্ঞান শেয়ার করতে চাই। পূর্ণাঙ্গ কেস টেকিং এর ভিত্তিতে যার জন্য যে ঔষধ নির্বাচন হবে...

পুনরুত্থান: ডা. জে. এন. কাঞ্জিলালের দৃষ্টিতে হোমিওপ্যাথি (শেষের পর্ব)

by sayeed
October 25, 2020
0
259

ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী পুরানো ও আধুনিক (হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসা পদ্ধতির রোগের ধারণা সম্পর্কে আলোচনার পর এবার আমরা রোগের কারণ সম্পর্কে পুরানো চিকিৎসা পদ্ধতির আলোচনা করবো। এমনকি আজ...

পুনরুত্থান: ডা. জে. এন. কাঞ্জিলালের দৃষ্টিতে হোমিওপ্যাথি

by sayeed
October 23, 2020
0
292

ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী (শুরুর পর্ব) Task -- A controversy has been prevailing in the homoeopathic school as to the exact meaning of the word Homoeopathy --...

আঘাতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

by sayeed
October 21, 2020
0
557

ডা. শাহীন মাহমুদ: প্রাত্যাহিক জীবনে আমরা যত সাবধানেই কাজ করি না কেন, আঘাত আমরা পাই। সারা শরীরের যে কোন জায়গায় যে কোন সময় এই আঘাত পাওয়ার...

Discussion about this post

Subscribe Us

Join 118 other subscribers

CATEGORIES

  • অনুবাদ
  • আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  • ইন্টারভিউ
  • ঔষধ পরিচিতি
  • কেস রেকর্ডস
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • বায়োগ্রাফি
  • বুক রিভিউ
  • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
  • রিসার্চ রিভিউ
  • হোমিও সংবাদ

RECOMMENDED

ফিচার

হোমিওপ্যাথগণ কিভাবে করোনা প্রতিহত করবে?

March 24, 2020
বুক রিভিউ

রেপার্টরি শিক্ষা ও কম্পিউটারাইজড হোমিওপ্যাথি

December 28, 2019

TAGS

biography Corona in homeopathy Corona in Repertory homeodigest Homeopathic remedy of Corona Homeopathic treatment of Influenza Homeopathy Phase of Corona Remedy Selection for Corona Remedy Selection for COVID-19 Repertorial analysis of Corona Repertorial Introduction for Corona Repertorial Introduction for COVID-19 Repertory about Pneumonia Repertory of Corona Repertory of COVID-19 Repertory of Influenza Rubrics about Corona Rubrics about COVID-19 Rubrics of Corona Stage-wise Symptoms of Corona Symptoms of Corona অর্গানন করোনা ভাইরাস করোনাভাইরাস কেস রেকর্ডস চিকিৎসক চিকিৎসা ডাক্তার মায়াজম মায়াজমের দর্শন-চিন্তা মেটেরিয়া মেটিকা হোমিও হোমিও ওষুধ হোমিও ঔষধ হোমিও চিকিৎসক হোমিও চিকিৎসা হোমিওডাইজেস্ট হোমিও ডাক্তার হোমিওপ্যাথ হোমিওপ্যাথ বুক রিভিউ হোমিওপ্যাথি হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

বাংলাদেশের প্রথম আদর্শিক অনলাইন হোমিওপ্যাথিক প্লাটফর্ম। হোমিও বিষয়ক সংবাদ, প্রবন্ধ, কেস রেকর্ডস, কেস স্টাডি, বুকস রিভিউ, ইন্টারভিউ, বায়োগ্রাফিসহ বিভিন্ন বিষয়ের লেখার এক সমৃদ্ধ ভান্ডার। এছাড়াও স্টুডেন্টদের জন্য রয়েছে বিশেষ সাজেশন্স।
contact@homeodigest.com

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.

No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.