Sambhaji S. Phadatare, A. B. Jadhav, Rama Bhadekar
Posted By Sambhaji Phadatare On July 17, 2018 In Scientific Research
নিউমোনাই মানুষের ফুসফুসের প্রদাহ ও কোষের মৃত্যুর সাথে রক্তস্রাব (নেক্রোসিস) ঘটিয়ে বিধ্বংসী পরিবর্তন আনয়ন করতে পারে যা কখনো কখনো ঘন, রক্তযুক্ত, শ্লেষ্মাযুক্ত লালা (Currant jelly sputum) তৈরি করতে পারে। সাধারণত এই ব্যাকটেরিয়াগুলি কোন ব্যক্তির মাঝে প্রবেশ করে- যখন সে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে অরো-ফ্যারিঞ্জিয়াতে থাকা মাইক্রোবের কলোনি থেকে তা লোয়ার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে গ্রহণ করে। সচরাচর ক্লেবসিয়েলা ইনফেকশন অধিকাংশ সময়ই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতায় দুর্বল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই হতে দেখা যায়। প্রায় সময়ই, রোগগুলো মাঝবয়সীদের এবং বিভিন্ন দুর্বলকর রোগে সংক্রামিত বৃদ্ধদের আক্রান্ত করে। মনে করা হয় যে, এর রোগাক্রান্ত জনসংখ্যাটি হচ্ছে তারা- যারা ডায়াবেটিস, এলকোহলিজম, ম্যালিগন্যান্সি, লিভার ডিজিজ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, গ্লুকো-কর্টিকয়েড থেরাপি, রেনাল ফেইলিউর ও কিছু পেশাগত রোগযুক্ত ব্যক্তিসহ (যেমন কাগজমিলে চাকুরিরত ব্যক্তিগণ) যাদের শ্বাসযন্ত্রের প্রতিরোধক্ষমতার দুর্বলতা থাকে।
এই সংক্রমণগুলোর অনেকগুলো আক্রমণ করে যখন একটি ব্যক্তি অন্য কোনো কারণে হাসপাতালে থাকে (A Nosocomial Infection)। মল হচ্ছে রোগীর ইনফেকশন আক্রমণের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উৎস, এরপর দূষিত জিনিসপত্রের সংস্পর্শ। হাসপাতালের বাইরে ক্লেবসিয়েলা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সবচেয়ে সাধারণ অবস্থাটি হচ্ছে নিউমোনিয়া, সাধারণত ব্রঙ্কো-নিউমোনিয়ো এবং ব্রঙ্কাইটিসরূপে দেখা যায়।

এই রোগীগণের ফুসফুসে ফোঁড়া, ক্যাভিটেশন, পূঁজোৎপত্তি ও প্লুরাল এ্যাডহেশনের একটি বৃদ্ধিপ্রাপ্ত প্রবণতা থাকে। এন্টিমাইক্রোবিয়াল চিকিৎসা সত্ত্বেও এর মৃত্যুহার ৫০%। এ্যালকোহলিজম ও ব্যাকটেরিমিয়াযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে -এর মৃত্যুর হার প্রায় ১০০% ও হতে পারে। নিউমোনিয়া ছাড়াও ক্লেবসিয়েলা ইউরিনারি ট্র্যাকে, লোয়ার বিলিয়ারি ট্র্যাকে এবং সার্জারিকৃত ক্ষতে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। এর ক্লিনিক্যাল রোগগুলোর পরিসরের মধ্যে পড়ে- নিউমোনিয়া, থ্রমবোফ্লেবাইটিস, ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশন, কলিসিস্টাইটিস, ডায়রিয়া, আপার রেসপিরাটরি ট্র্যাক ইনফেকশন, ক্ষতে সংক্রমণ, অস্টিওমায়ালাইটিস, মেনিনজাইটিস, ব্যাকটেরিমিয়া ও সেপ্টিসেমিয়া। শরীরে বাইরের কোন ডিভাইস স্থাপন (Invasive device) করা রোগীদের মাঝে সেই ডিভাইসটির দূষণ হবার একটি ঝুঁকি থাকে। তাছাড়া এন্টিবায়োটিকের ব্যবহারও ক্লেবসিয়েলা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা ‘হাসপাতালে-আক্রান্ত সংক্রমণে’র ঝুঁকি বৃদ্ধির একটি কারণ হতে পারে। রক্তে ব্যাকটেরিয়ার অনুপ্রবেশের পর সেপসিস ও সেপটিক শক দেখা যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্লেবসিয়েলা নিউমোনিয়া এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট, কাজেই অন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
আমরা কোন ‘Similibiotics’ বা ‘Energetic biotics’ তৈরি করতে পারবো কিনা সেটাই ছিলো আমার ভাবনার বিষয়, এজন্য আমি প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রে এন্টিম টার্টের সাধারণভাবে বহুল-ব্যবহৃত পোটেন্সি 30, 200, 1M, 50M নিয়ে মানবদেহের বাইরে তার সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমরা ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৩০ টি পরীক্ষা সম্পন্ন করি। আমি অধিকাংশক্ষেত্রেই এন্টিম টার্ট ৩০ ও ২০০ পোটেন্সি থেকে ইতিবাচক ফল লাভ করেছি। যা বোঝায় (পরীক্ষাপাত্রে) এন্টিম টার্ট ৩০ ও ২০০ ব্যবহার করায় কোনো ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারেনি এবং এন্টিম টার্ট 1M, 50M -এর ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়া জন্মেছিলো।
Discussion about this post