It accepts all the objective facts, findings and data as evolved so far, by study, research and experience in the different subjects related with medicine; but with a distinct approach of its own to all these facts and data, which is guided solely by a dynamic, holistic and individualistic outlook ; and its practical works i.e. therapeutics and management of this individual case of disease are guided exclusively by semeiology of this individual case in hand at the particular time, condition and environment. Any sort of traditional prejudice or preconceived notion stands in the way of this out and out rational objective outlook.
এখানে ডা. কাঞ্জিলাল বলছেন রোগীলিপিতে অর্গাননের নিয়ম অনুসারে সব লেখার সঙ্গে অন্যান্য চিকিৎসার বিষয় যেমন প্যাথোলজি, ফিজিওলজি প্রভৃতির তথ্য যা ঐ রোগীর সঙ্গে সম্পর্ক আছে সব কিছু আমাদের লিখতে হবে। কিন্তু ঐ তথ্যগুলি অবশ্যই হোমিওপ্যাথির প্রগতিশীল (ছকে বাঁধা বা গতানুগতিক নয়), সার্বিকভাবে এবং স্বতন্ত্রতার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে। এবার ব্যাখ্যা করতে গেলেই অনেকের ভুরু কুচকে যাবে। আমারও এক সময়ে ভুরু কুচকে গিয়েছিল। প্রথমে একটি সহজ উদাহরণ দিয়ে শুরু করি।
(১) আপনাদের কাছে অনেক সময় ক্যানসারের রোগী আসেন। তার কাগজ বলছে এটি ক্যানসারের শেষ অবস্থা। গরীব বা ফতুর হওয়া মানুষ তখন আমাদের কাছে আসেন। হাসপাতাল বলে দিয়েছে ১৫ থেকে ৩০ দিন বা ২ থেকে ৩ মাস। এবার রোগ সংক্রান্ত কাগজ দেখলেন। ক্যানসার কোথায় হয়েছে বা কতটা ছড়িয়েছে এর ভিত্তিতে তারা ভবিষ্যতবানী করা হয়েছে। এখান থেকে রোগীর বর্তমান অবস্থা তথা রোগের ভয়াবয়তা সঠিক বুঝতে গেলে Practice of medicine, Pathology, Physiology এর জ্ঞান খুবই জরুরী। যদি না বোঝেন রোগীকে ছেড়ে দেবেন। যদি বোঝেন তবেই হাত দেবেন। এর পরেই আসবে হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গি। যদি দেখি রোগীতে সোরার প্রাধান্য, তবে জানবেন রোগীটি নির্ধারিত দিনের থেকে বেশি বাঁচবেন। আর যদি সিফিলিসের প্রাধান্য থাকে তবে নির্ধারিত দিনের আগে মারা যেতে পারেন ইত্যাদি। অন্যান্য জ্ঞান ওষুধের মাত্রা ও শক্তি এবং ওষুধের স্কেল নির্বাচনে সাহায্য করবে। তবে ওষুধের পুনরাবৃত্তি খুব সাবধানে করতে হবে। তাহলে হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গির একটি উদাহরণ দিলাম।
(২) এবার বিতর্কিত বিষয়টি বলি। আসলে সংখ্যাগুরু চিকিৎসক যা মানেন বা করেন- তার বিপরীত বললে সবাই আপত্তি করতেই পারেন। বন্ধুদের কাছে বলতে কোনো বাধা নাই। একজন উচ্চ রক্তচাপের (High blood pressure) রোগী এসেছেন আপনার কাছে। হোমিওপ্যাথির নিয়ম অনুসারে রোগীলিপি অবশ্যই করবেন। Practice of medicine থেকে জানতে পারবেন এটি বংশগতির জন্য হতে পারে। তাহলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বংশের ইতিহাস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে হবে। বলা আছে, মানসিক কারণে এই রোগ হতে পারে। যেহেতু এই অংশটি হোমিও দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে সুতরাং মানসিক লক্ষণকে আরোও অধিক গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। এবার সমস্যা হচ্ছে রোগী অনেকটা কাঁচা লবণ খান। আমি লবণ নিয়ে বিশেষ কিছু বলি না। অনেক সময় রোগী জিজ্ঞাসা করে লবণ কী কমাতে হবে ? আমি বলি, জোর করে কিছু করবেন না। মন যতটুকু সায় দেবে ততটুকু কমাবেন। লবণ কমাতে হবে এর অর্থ ডা. কাঞ্জিলালের ভাষায়, ” Traditional prejudice or preconceived notion “
আমার বন্ধুরা, সব ধ্যান ধারণা একটু উলটোপালটা হয়ে যাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীকে লবণ খেতে মানা করবো না, তাহলে উচ্চচাপ কমবে কী ভাবে? এখানে ধরে নেওয়া হচ্ছে, লবণ উচ্চরক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। তাহলে বন্ধু ওষুধ নির্বাচনের সময় মায়াজম, তথা স্বতন্ত্রতা আর পথ্যের ক্ষেত্রে সেই গতানুগতিকতা। একটু অসঙ্গতি মনে হচ্ছে কী? লবণকে যদি কারণ ধরেন- তবে কী মায়াজম বাদ। মায়াজমকে বাদ দিলে হোমিওপ্যাথি বলে কিছু থাকে কী ? তাছাড়া যে উচ্চরক্তচাপের রোগী লবণ স্বাভাবিক খায়- তার ক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত হবে? আমি লবণ নিয়ে ভোট হলে আমার জামানত জব্দ হবে। তাহলে বন্ধু আমি কেন এখন লবণ সম্পর্কে উদাসীন কেন?
উচ্চরক্তচাপ সক্রিয় সোরার সঙ্গে সিফিলিসের মিশ্রণ। আবার লবণ বেশি খাবার কারণও সিফিলিস। খনিজ পদার্থের বিপাকীয় গন্ডগোলের জন্য লবণ বিপাক হয় না, তাই লবণের চাহিদা বেশি হয়। এই কারণে রোগী লবণ খেতে চায়। এই গন্ডগোলের জন্য সিফিলিস একমাত্র দায়ী। তাহলে উচ্চরক্তচাপ ও লবণ খাবার ইচ্ছা- আসলে সিফিলিস মায়াজমের ভিন্ন প্রকাশ। তাহলে বন্ধু লবণ নিয়ন্ত্রিত করলে কী সিফিলিস মায়াজম কমবে?
এবার যদি জোর করে নির্দেশ (Dynamic Operation) দিয়ে লবণ বন্ধ করলে, রোগীর মানসিক প্রতিক্রিয়া আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আচ্ছা বন্ধু, লবণ বেশি খাবার বদলে অন্য সিফিলিসের প্রকাশ একটি ঘা (Ulcer) যদি থাকতো, তবে সেটা কমাবার (লবণের মতো) কিছু করা কী উচিৎ?
আমরা দেখেছি, সঠিক ওষুধ নির্বাচনের পর লবণে গ্রহণ কমে গেছে বা স্বাভাবিক হয়েছে এবং রোগী সার্বিকভাবে ভাল থাকে। আমরা যদি শারীরবিজ্ঞান না জানি বড়ই বিপদ হতে পারে। কিছু হোমিও চিকিৎসকের হাত ঘুরে একটি ১৫ বা ১৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে এক মা এসেছিলেন আমার কাছে। তার রজঃস্রাব এখন শুরু হয় নি। তাছাড়া মনে হল স্তন নাই। আমি পেটের ফটো করতে বললাম। তিনি বললেন হাতে টাকা নাই সামনের মাসে করবো। এখন ওষুধ দিয়ে দিন পরের মাসে ছবি (USG) তুলে আনবো। আমি তাকে বললাম আগে ছবি, তারপর ওষুধ। ছবিতে জানতে পারলাম জরায়ু খুবই ছোট। আর কিছু বলছি না। এই রোগী আমার কাছে না এসে যদি কোন অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসকের কাছে যেত তাহলে আমাদের লজ্জার শেষ থাকতো না। তাই বলি চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায় যতটা সম্ভব জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। সেই জ্ঞানকে অবশ্যই হোমিওপ্যাথির দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে ব্যবহার করতে হবে এটাই ডা. কাঞ্জিলালের উপদেশ।
The fourth essential requirement is the development of the power of observation, circumspection and correct inference from the observed fact. Without development of this faculty the art of case taking i.e. eliciting the correct symptomatology and tracing the significant points in the whole anamnesis for spotting out the fundamental miasmatic causes, on which rational curative treatment and management of the case depends, will never be acquired. This faculty can be developed only by regular systematic and deep study and and apprehension of Materia Medica and Nature of chronic Diseases.
Observation (পর্যবেক্ষণ করা) ও Circumspection (সতর্কতা ) শব্দ দুটি ডা. কাঞ্জিলাল বলেছেন বিশেষ তাৎপর্যকে বোঝাতে। এই শব্দের দ্বিতীয়টির আক্ষরিক অর্থ করলে আমরা আতান্তরে পড়বো। এখানে সতর্কতা বলতে বিচক্ষণতার সঙ্গে সতর্কতা বলা হয়েছে। দুটি গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরছি।
(১) প্রথম ঘটনাটি শোনা কথা। ঘটনাটি ডা. জে. এন. কাঞ্জিলালের চেম্বারে। ডা. কাঞ্জিলাল শুনছেন, আর এক নবীন চিকিৎসক লিখছেন। রোগী দেখার পর ছাত্রটি পড়ে শোনালেন। ডা. কাঞ্জিলাল বললেন সাদা স্রাবের কথা বাদ দিলি কেন? এখানে রোগী বলেছিল খুব সাদা স্রাব হয়- যা মাসিকের সময় বন্ধ থাকে। ছাত্রটি বলেছিল রজঃস্রাবের সময় সাদা স্রাব বোঝা সম্ভব নয় – তাই বাদ দিয়েছি। ডা. কাঞ্জিলাল বকা দিয়ে বললেন- রোগী বললো আর তুই লিখলি না? আরে এটা সিপিয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
এখানে ডা. কাঞ্জিলালের বিচক্ষণতার সঙ্গে সতর্কতা প্রকাশ পেয়েছে। আর একটি কথা বলা যায়, ডা. কাঞ্জিলালের রোগীর প্রতি দায়বদ্ধতা ও গভীর মনোযোগ আমাদের শিক্ষণীয়। এবার রেপার্টরিতে একটু দেখি। Genitalia, female, leucorrhoea, menses, between (Kent repertory, page -722.) এখানে সিপিয়া ছাড়া আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ পাবেন। এটি কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সার্বিক দৈহিক (Physical general) লক্ষণ।
(২) এই ঘটনাটি আমার গুরু ডা. তপন কাঞ্জিলালের চেম্বারে ঘটেছিল। একটি বাইশ বছরের কুমারী মেয়ে। তার সমস্যা শ্বাসকষ্ট ও বাম স্তনে দুইটি বড় টিউমার। তাকে থুজা ২০০ একমাত্রা দেওয়া হয়। তার গায়ে বিভিন্ন স্থানে ফোঁড়া পরপর বের হতে শুরু হয়। তার সবকিছু ভাল হতে শুরু হয়। তার টিউমার ও শ্বাসকষ্ট কমতে শুরু হয়। শ্বাসকষ্ট সম্পূর্ণ কমে যায়। ফোঁড়া কিন্তু চলছে এবং এমতাবস্থায় ঠান্ডা লেগে অল্প শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কিন্তু টিউমার ক্রমশ ছোট হতে থাকে। এরূপ তিনমাস অপেক্ষা করার পরে শ্বাসকষ্ট অনেক বেড়ে গেল। এদিকে অল্প ফোঁড়া বের হলে, টিউমার একটু ছোট হয়। যেহেতু হেরিং ল’ ফলো করছে আমি আর একটু অপেক্ষা করার পক্ষে ছিলাম। স্যার তাকে থুজা হাজার শক্তির একমাত্রা দিয়েছিলেন।ওষুধটি অসাধারণ উপশম দিয়েছিল।
এবার আগের কথায় আসি। আমার পর্য়বেক্ষণে ফোঁড়া বেরিয়ে টিউমার কমছে তখন ওষুধ দেওয়া উচিৎ নয় আবার স্যারের ওষুধে অসাধারণ কাজ করেছে এটাও আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছিল। আমার পর্য়বেক্ষণে কোথায় ভুল বুঝতে পারছিলাম না। আসলে আমার বিচক্ষণতার অভাব ছিল। আমি টিউমার, ফোঁড়া আর হেরিং ল’ এর দিকে দৃষ্টি দিলেও রোগীকে সার্বিক ভাবে বিচার করতে পারিনি। স্যার আমাকে বলেছিলেন, “তুই কী টিউমার কমার জন্য ওষুধ দিস? এখানে হেরিং ল’ ফলো করছিল বলে আমিও তিন মাস অপেক্ষা করেছিলাম। অপেক্ষা করে দেখলাম শ্বাসকষ্ট উত্তরোত্তর বাড়ছে অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে। হোমিওপ্যথির নিয়মে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ফুসফুস আক্রান্ত হলে বুঝতে হব রোগী খারাপ দিকে যাচ্ছে। তাই টিউমার কমলেও অপেক্ষা না করে ওষুধ দিয়েছি।” ফলে পর্যবেক্ষণের সঙ্গে বিচক্ষণতাও অত্যন্ত জরুরী।
Anamnesis for spotting out the fundamental miasmatic causes – রোগীলিপিকে মায়াজমের দৃষ্টিভঙ্গিতে কীভাবে বিশ্লেষণ করতে হয় নমুনা আমি আমার কার্সিনোসিনের আলোচনায় করেছি। ডা. জে. এন. কাঞ্জিলাল বলেছেন গভীরভাবে আমাদের পড়াশোনা করতে হবে মেটিরিয়া ও মায়াজম। এই দুটি বিষয় ভালভাবে না বুঝলে সফল (হোমিও নীতি অনুসারে) চিকিৎসক হওয়া সম্ভব নয়। এটাই ডা. জে. এন. কাঞ্জিলালের বাণী।
=These books (Materia medica + Nature of chronic diseases — A. N.) give clear picture of large numbers of symptoms with their diverse uncommon peculiarities and strange modalities, concomitants and other characteristics and also diverse outstanding disease syndromes. The deeper one goes into the Materia Medica and the chronic diseases in the perspective of general knowledge in anatomy, physiology, pathology and clinical medicine, with a thoroughly rational, holistic and dynamistic approach to each of them as per the teachings of the Organon,the more clear become the power of observation, circumspection and correct inference; the quicker and more correct becomes the task of case taking, the easier becomes the selection of the curative remedy, the more rational becomes the management of the case.
একজন সফল হোমিওপ্যাথের চতুর্থ গুণটির বিষয়ে আগে কিছুটা আলোচনা আমি করেছি। এবার বাকি অংশটি আলোচনা করছি। বই দুটি পড়ে প্রচুর লক্ষণ পাবো এবং তাদের মধ্যে অদ্ভুত স্বাতন্ত্রসূচক লক্ষণ সহ বিস্ময়কর হ্রাস- বৃদ্ধি, সহগামী বৈশিষ্ট্য সূচক লক্ষণ এবং অসাধারণ কিছু রোগলক্ষণ সমষ্টি (Syndrome) ইত্যাদি পাবার পর, ডা. কাঞ্জিলাল বলছেন, General knowledge in anatomy, physiology, pathology and clinical medicine এই বিষয়গুলিতে আমাদের জ্ঞান থাকা উচিৎ। তবে ঐ বিষয়গুলিকে অর্গাননের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে হবে। Practice of medicine মানেই সব সাধারণ লক্ষণ এটি ভুল ধারণা। বিশেষ করে মেডিসিনের কারণ অংশটি হোমিওপ্যাথির কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক দিন আগের কথা মনে পড়ল। Emotional disturbances are the first and foremost cause of acidity। হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গিতে এখান থেকে উত্তেজক বা পরিপোষক কারণ নির্ণয় করে সেইরূপ ব্যবস্থা নিতে হবে।
আমরা আজকাল বেশ কিছু রোগী পাই তাদের প্রেসক্রিপশানের মাথায় একধারে লেখা থাকে ‘Functional’। উচ্চ ডিগ্রিধারী চিকিৎসকেরা তাদের কিছুই করতে পারেন না। আসলে এদের রোগ নির্ণয় করা যায় না, অথচ বিভিন্ন কষ্টে ভোগে। কষ্টের জ্বালায় এরা বিভিন্ন চিকিৎসকের কাছে যান কিন্তু বিশেষ কোন উপশম হয় না। এই রোগী চিকিৎসা করা বেশ কঠিন। এদের কৃত্রিম ওষুধ জনিত রোগও পাওয়া যায়, তাই চিকিৎসা করা বেশ কঠিন। সাধারণত দীর্ঘদিন রোগে ভোগার জন্য এরা গুছিয়ে কথা বলতে পারে না। যাইহোক সর্বক্ষেত্রে অর্গানন নির্দেশিত পথে সম্পূর্ণ রোগীলিপি করতে হবে এবং রোগীর স্বাতন্ত্রতা অনুসারে নির্দেশ দিতে হবে। এইভাবে চললে আমরা নিশ্চয় সফল হতে পারবো।
The last but the most important requirement is throw far away the tendency to laziness and love of ease. This is possible if only the practitioner realise the supreme responsibility he has voluntarily taken on him as the custodian of the life and health of his client. The more he comprehends the weight of this responsibility the more his love of ease becomes transformed into zeal for developing his capability in fulfilling the mission of his life as a physician.
হোমিওপ্যাথ হিসাবে সফল হবার শেষ গুণ দুটির কথা ডা. কাঞ্জিলাল বলেছেন যা আমার কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। Tendency to laziness – অলসতা মানুষের মহাশত্রু, বিশেষ করে একজন হোমিওপ্যাথের জীবনে। আমি এমন কোন মনীষী হোমিওপ্যাথের সন্ধান পাইনি- যিনি অলস। তুলনামূলকভাবে বলা যায়, অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থায় অলসতার কিঞ্চিৎ সুযোগ আছে, কারণ তাদের চিকিৎসা পদ্ধতিতে তারা একটি খন্ডিত অংশের প্রতিনিধি।
কিন্তু হোমিওপ্যাথের কাছে খন্ডের কোন দাম নাই। এখানে পীড়িত মানবকে অখন্ড সার্বিক সত্ত্বার বিচলিত প্রকাশ বলে ধরা হয়। তাই হোমিওপ্যাথকে একটি রোগীর সর্বদিক বিচার তবেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সবদিক বিচার করলে সময় বেশি প্রয়োজন। তাই হোমিওপ্যাথকে অধিক পরিশ্রম করতেই হয়।
Love of ease – এক বিখ্যাত ওস্তাদ (Classical Music) গান গাইছেন। এক শ্রোতা বুঝলেন “সা” এর একটি বিশেষ শ্রুতি ঠিক যেন লাগছে না। এটা সাধারণ শ্রোতার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। শ্রোতা অনেকবার শোনার পর অস্থির হয়ে ওস্তাদকে বললেন, “সা” ঠিক সে লাগাও ওস্তাদজী। মুহূর্তের মধ্য গান থেমে গেল। ওস্তাদ হাত জোড় করে বললেন “আজকে কম রেওয়াজ হয়েছে তাই ঠিক সুর লাগছে না। আমাকে ক্ষমা করে দিন” তাহলে দেখলেন রেওয়াজ কম হলে সুর নিখুঁত লাগে না। ঠিক তেমনি হোমিওপ্যাথের যদি রেওয়াজ কম হয় তবে নিখুঁত লক্ষ্যে ওষুধ প্রয়োগ করা সম্ভব হবে না।
আপনারা দেখেছেন বা শুনেছেন মোবাইলে সহজে রোজগার (প্রায় বিনা পরিশ্রমে) করার জন্য বিভিন্ন ফাঁদ পাতা হয়। ফাঁদে পা দিলেই অর্থদন্ড। আজকাল অনেকেই স্বঘোষিত মেথডের মাধ্যমে দাবী করছেন সহজেই সফল হতে তাদের রচিত মেথড সর্বশ্রষ্ঠ। পদ্ধতিগুলি বিভিন্ন প্রকার হলেও একটি জায়গায় তাদের অদ্ভুত মিল। তারা দাবী করেন- তাদের মেথড হচ্ছে “Real Homoeopathy” এখানেও ফাঁদে পা দিলে অর্থদন্ড। এটা প্রাথমিক ক্ষতি। বাস্তবে ক্ষতি ভয়ংকর। যারা মনে করেন আমার কাছে কোন সহজ রাস্তার সন্ধান পাবেন- তাদের বলি কোন সহজ রাস্তা জানা নাই। যারা সহজ রাস্তা পছন্দ করেন, তাদের অনুরোধ করছি আমাকে ব্লক করে দিন।
বস্তুতান্ত্রিক সমাজে চিকিৎসকের সফলতা বলতে বোঝায়- কত অধিক সংখ্যক রোগী দেখেন তিনি। যত দ্রুত রোগী দেখেন তাকে ততবড় চিকিৎসক বলে মানা হয় ইত্যাদি। পক্ষান্তরে একজন হোমিওপ্যাথকে অর্গাননের নিয়ম অনুসারে রোগীলিপি করে তাকে ওষুধ প্রয়োগ করতে হয়। তাই রোগী দেখতে বেশি সময় অবশ্যই লাগবে। আরার ওষুধ দেবার পর লক্ষণের গতি প্রকৃতি দেখে আমাদের বুঝতে হয় রোগীর আরোগ্য হবে কী না? রোগ লক্ষণ দূর হলেই আমরা আরোগ্য বলি না। সেটি রোগ চাপা পড়াও হতে পারে। রোগ চাপা পড়ার কথা অন্য প্যাথিতে নাই। তাই আমাদের সৎ হতে হবে। অসৎ চিকিৎসক রোগ চাপা পড়লে সত্যকে গোপন করে নিজের সাফল্য বলে মনে করেন। যে চিকিৎসক অন্তরের গভীরে আর্ত মানবের কষ্টকে উপলব্ধি করে স্বেচ্ছায় অসুস্থ মানবের সেবায় নিয়োজিত তিনি কখনোই পরিশ্রম বিমুখ হতে পারেন না। এই মহৎ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে যে তৃপ্তি ও শান্তি তাকে গুণগত সাফল্য বলে। ভয় নাই না খেয়ে মরবেন না। গুণগত সাফল্য অনেক বেশি মূল্যবান- বস্তুগত সাফল্যের চেযে। এই পথে জয় আমাদের হবেই হবে। এইভাবে এগিয়ে গেলে আমরা একদিন মহাগুরু হ্যানিম্যানের মত বলতে পারবো,
“আমি বৃথা জীবন ধারণ করি নাই।”
জয়তু হ্যানিম্যান জয়তু হোমিওপ্যাথি।
[সমাপ্ত]
Discussion about this post