Tuesday, January 26, 2021
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

Homeodigest

  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট
No Result
View All Result
Home প্রবন্ধ

পুনরুত্থান: ডা. জে. এন. কাঞ্জিলালের দৃষ্টিতে হোমিওপ্যাথি (শেষের পর্ব)

October 25, 2020
in প্রবন্ধ
1 min read
0
0
SHARES
280
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare via Email

ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী

পুরানো ও আধুনিক (হোমিওপ্যাথি) চিকিৎসা পদ্ধতির রোগের ধারণা সম্পর্কে আলোচনার পর এবার আমরা রোগের কারণ সম্পর্কে পুরানো চিকিৎসা পদ্ধতির আলোচনা করবো। এমনকি আজ পর্যন্ত তারা কি ভাবেন সেই বিষয়ে কিছু কথা। পুরানো পদ্ধতি রোগের কারণ সম্পর্কে বহুবিধ জানা ও অজানা বস্তুকে কারণ হিসাবে গ্রহণ করেছেন। তাদের আলোচনার সুবিধার জন্য তারা আমাদের দেহকে বিভিন্ন পৃথক তন্ত্রে ভাগ করেছেন যথা স়ংবহন তন্ত্র, শ্বসন তন্ত্র, মূত্র তন্ত্র, পৌষ্টিক তন্ত্র ইত্যাদি। তারা রোগের নাম বা তন্ত্র অনুসারে চিন্তা করেন কিন্তু রোগীকে সার্বিকভাবে চিন্তা কখনোই করেন না। তারা মনে করেন প্রতিটি তন্ত্র যেন আলাদা একটা দ্বীপ।

কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে পুরানো চিকিৎসা পদ্ধতির বিপরীত চিন্তা করা হয়। যে কোন ধরনের উপদ্রব বা গোলমাল একটি বা বিভিন্ন তন্ত্রে হলে আমরা ভাবি প্রাণশক্তির বিশৃঙ্খলার জন্য হয়েছে। এই বিশৃঙ্খলা আমাদের জ্ঞাত শক্তির দ্বারা (সোরা, সাইকোসিস, সিফিলিস) অথবা উত্তেজক ও পরিপোষক কারণের জন্য হয়। আমরা সর্বদা উত্তেজক ও পরিপোষক কারণের অন্তর্নিহিত শক্তির প্রভাবের কথা বিবেচনা করি।

একটি সহজ আদর্শ উদাহরণ বিষয়টিকে পরিষ্কার করে দেবে। ধরুন একজন রোগী আপনার কাছে বিভিন্ন কষ্টের নিরাময়ের জন্য এসেছেন। রোগীলিপি করে জানতে পারলেন তার মাথায় আঘাত লেগেছিল। রোগী বলছেন ঐ মাথায় আঘাতের পর থেকে ধীরে ধীরে তার বিভিন্ন কষ্ট শুরু হয়েছে। হোমিওপ্যাথ হিসাবে আপনি এই মাথায় আঘাত লাগা উত্তেজক কারণটিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবেন। আমরা মাথায় আঘাত থেকে বিভিন্ন ওষুধের কথা বিবেচনা করতে পারি রোগীর স্বতন্ত্রতা অনুসারে। কিন্তু যে কোন ব্যক্তি আপনাকে প্রশ্ন করতে পারেন, ওহ্! ডাক্তারবাবু- মাথায় আঘাত হচ্ছে যান্ত্রিক জড়বস্তু সংক্রান্ত বিষয়। তাহলে আপনি কেন এটিকে হোমিওপ্যাথির অন্তর্গত বলে বিবেচনা করছেন? এখানে কোথায় আপনার শক্তি কারণ হিসাবে ধরা হচ্ছে? এই প্রশ্নের মধ্যে যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার ছাপ আছে।

আমি খুবই খুশি এই ধরনের প্রশ্নের জন্য। ডাঃ কেন্টের সাহায্য নিয়ে আমার উত্তরটি হলো, “If you will just remember the chronic effects from injuries upon the skull.” অর্থাৎ তোমাকে ঠিক মনে রাখতে হবে যে খুলির উপর আঘাতের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের কথা।” – এটি আমি উদ্ধৃতি করেছি ” ন্যাট্রাম সালফিউরিকাম এবং সাইকোসিস ” লেখা থেকে, পাতা – ৭৯০। “Chronic effects” বা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব বস্তুগত কারণকে নির্দেশ করে না বরং আঘাতের অন্তর্নিহিত শক্তির প্রভাবের কথা বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সিটিস্ক্যান বা এক্স রে করলেও প্রায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে যান্ত্রিক ত্রুটি পাবেন না।

যতই গুরুত্বপূর্ণ বা যতই জোরালো বা ভয়়ংকর হোক না কেন – স্বতন্ত্র ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রাণশক্তি সার্বিক ভাবে তার মন ও দেহকে সঞ্জীবিত করে এবং প্রভুত্ব করে- এই কথা সমভাবে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। “হোমিওপ্যাথির এই মৌলিক দৃষ্টিভঙ্গি চিকিৎসা বিজ্ঞানের সকল শাখার প্রতি তার অভিমুখকে এক স্বতন্ত্র রূপ প্রদান করবে।”- “যা বিশাল চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার অন্তর্ভূত হবে” – এবং এজন্যই হোমিওপ্যাথি স্বতন্ত্র চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে পরিণতি লাভ করেছে বরং বিশেষ ধরণের ওষুধ প্রয়োগ পদ্ধতি হিসাবে নয়।

রোগ সম্পর্কে ধারণা, বিশেষত স্বতন্ত্র একটি লক্ষণ বা অঙ্গ রোগীর কাছে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে। কিন্তু এটা কখনোই রোগীকে ছাপিয়ে যেতে পারে না। সকল রোগীই স্বপ্ন দেখে ভোজবাজির মতো উপশম (আরোগ্য নয়); ভবিষ্যতে বিপদের কথা না ভেবে।

অশিক্ষিত মানুষ এরূপ করতেই পারেন। কিন্তু হায়! ভালো স়়ংখ্যক উপাধি প্রাপ্ত ব্যক্তি অশিক্ষিত মানুষের মতো আচরণ করেন। কিন্তু স্বল্প স়়ংখ্যক শিক্ষিত মানুষ হোমিওপ্যাথিকে পছন্দ করেন- একমাত্র জরুরি অবস্থা বাদে। আমি মনে করি বেশির ভাগ জরুরি অবস্থা আসে তাদের ভুল চিকিৎসার জন্য অর্থাৎ আশু উপশমকারী অথবা দমন মূলক চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য।

আমরা জানি আমাদের দেহ ও মন প্রাণশক্তির দ্বারা সঞ্জীবিত। জীবন্ত মানুষের মধ্যে প্রাণশক্তির আধিপত্য বিস্তার করে অসুস্থ ও সুস্থ দুই অবস্থায়। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই স্বচ্ছ। আমরা প্রাণশক্তিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করি প্রচন্ড কষ্ট পাওয়া লক্ষণটিকে অথবা রোগাক্রান্ত অঙ্গটিকে।

এখন সাহায্যকারি অন্যান্য চিকিৎসা বিষয়গুলি সম্পর্কে আমাদের স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গির কথা বলি। এই বিষয় এক একটি অ়়ংশের প্রতিনিধিত্ব করে। এই আ়ংশিক জ্ঞানভাণ্ডারকে যুক্তিসংগত ভাবে একত্রিত করে বুনতে হবে। এটাই আমাদের যুক্তিস়ংগত দৃষ্টিভঙ্গি। এই পদক্ষেপ এই বিষয়গুলির তাৎপর্যের আমূল সংস্কার সাধন করবে এবং অনুমান নির্ভর ও কাল্পনিক মতবাদকে অপসারিত করবে। তখন এই বিষয়গুলি হোমিওপ্যাথি সাহিত্যের ফাঁক দূর করবে এবং এই যুক্তিস়ংগত শিল্পকলার একটি মঞ্চ তৈরি করবে। সুতরাং আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে, হোমিওপ্যাথি একটি স্বতন্ত্র চিকিৎসা পদ্ধতি যা প্রকৃতির নিয়ম ও নীতির দ্বারা পরিচালিত হয়।

যদি আমরা হোমিওপ্যাথির উন্নতি শুরু থেকে সর্ব্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত ক্রমশ অনুসরণ করি তবে আমরা উপলব্ধি করবো যে হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে ধারণা প্রথমত তাঁর মনে হয়েছিল এটা রোগনাশক সমস্যা- যখন তিনি ১৭৯০ সালে কালেনের মেটিরিয়া মেডিকা অনুবাদ করছিলেন।

বিজ্ঞান কখনোই এক জায়গায় থেমে থাকে না। একেবারে নতুন ধারণার (হোমিওপ্যাথি) আরো উন্নতির কথা তিনি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করেছেন তাঁর নতুন প্রবন্ধ, “নিউ প্রিন্সিপাল বা New Principle”. (১৭৯৬) এবং “মেডিসিন অভ্ এক্সপিরিয়েন্স বা Medicine of experience.” (১৮০৫) নামক বই দুটিতে। এখানে স্বাস্থ্য এবং রোগ ও আরোগ্য সম্পর্কে গুণগতভাবে স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন।

১৮১০ সালে তিনি অর্গাননের প্রথম সংস্করণ প্রকাশ করেছিলেন। তারপর হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথিকে সম্পূর্ণ, স্বতন্ত্র চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ক্রমশ হোমিওপ্যাথির গুণগত উন্নতিসাধন করেন আরো গভীরভাবে, পরবর্তী অর্গাননের স়়ংস্করণ ও ক্রনিক ডিজিজ (১৮৩৮) নামক গ্রন্থের দ্বারা। সর্বশেষ সংযোজন ষষ্ঠ স়়ংস্করণ (১৮৪২) সালে। তিনি হোমিওপ্যাথিকে আরো উন্নতি করবার দায়িত্ব অর্পণ করলেন পরবর্তী প্রজন্মের চিকিৎসকদের হাতে কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতি পরিবর্তন না করে।

আমাদের মহান পথপ্রদর্শক ডা. কাঞ্জিলাল উপদেশ দিয়েছেন, সাহায্যকারী অন্যান্য চিকিৎসা স়ংক্রান্ত বিষয়গুলির প্রতি আমাদের জড়বাদী থেকে শক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন করা উচিত। এটা কিন্তু খুব সহজ কাজ নয়! আমরা বংশানুক্রমে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ঐতিহ্যবাহী কুসংস্কার দ্বারা সম্পূর্ণভাবে স়়ম্পৃক্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও কথাটি সমভাবে প্রযোজ্য। এখনো পর্যন্ত তারা অনুমান নির্ভর চিকিৎসা করেন বিশেষত অস্থায়ী চিকিৎসার ক্ষেত্রে (যখন তাদের রোগ নির্ণয় হয় নি) এবং চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে তারা অনুমান নির্ভর চিন্তা করেন। হোমিওপ্যাথি একমাত্র ব্যতিক্রম। (আমরা হেরিং, কেন্ট প্রভৃতির আরোগ্যকারী পর্যবেক্ষণ থেকে আমরা নিশ্চিতভাবে ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি) । আমি খুবই আনন্দিত যে তাঁর অবিস্মরণীয় লেখা থেকে উদ্ধৃতি করছি –

” যদি আমরা প্রকৃত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হতে চাই তবে প্রথমেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন করতে হবে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহায্যকারী বিভিন্ন শাখা যথা অঙ্গব্যবচ্ছেদবিদ্যা, শারীরবিজ্ঞান, তথা রোগবিদ্যা, মনোরোগবিদ্যা এবং বিভিন্ন চিকিৎসা বিদ্যা যথা, শল্য, ধাত্রী, চক্ষু, দন্ত, ত্বক ইত্যাদির প্রতি ঐতিহ্যবাহী দৃষ্টিভঙ্গি বাদ দিয়ে একেবারে যথাযত সামঞ্জস্যপূর্ণ হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করতে হবে। আমরা যদি প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হই, আমরা ভয় পাচ্ছি আমরা কখনোই সফল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হতে পারবো না। এবং সেই কারণে হোমিওপ্যাথি কখনোই প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারবে না।”

সেই কারণে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের যে সংজ্ঞা আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব্ হোমিওপ্যাথি অনেক দিন পূর্বে গ্রহণ করেছেন- তা মানতে পারছি না। সেখানে যা বলা হয়েছে,

“একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক তিনি ওষুধ সম্পর্কে জ্ঞানের সঙ্গে বিশেষ হোমিওপ্যাথিক আরোগ্য বিজ্ঞানকে স়়ংযুক্ত করেন এবং তিনি সদৃশ নীতি মানিয়া চলেন। সবকিছুই বিশাল চিকিৎসা বিজ্ঞানের শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত হবে পরম্পরাগত ভাবে, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত, অধিকারের দ্বারা চিকিৎসক হিসাবে।”

আমরা এই স়়ংজ্ঞাটিকে সংশোধন করতে চাই এরূপ-

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এমন একজন হবেন যার হোমিওপ্যাথিক আরোগ্য বিজ্ঞান সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান থাকবে। এবং সদৃশ বিধানের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত অন্যান্য সাহায্যকারী নীতি ও পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তিনি প্রাণশক্তি, সার্বিকতা, ও স্বতন্ত্রতার সঙ্গে সাজুয্য রেখে স্বাস্থ্য, রোগ ও আরোগ্য সম্পর্কে তিনি জ্ঞান অর্জন করবেন বা দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করবেন। এগুলি তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরম্পরাগত, উত্তরাধিকার সূত্রে, অধিকারের দ্বারা প্রাপ্ত হবেন। এবং প্রাপ্ত জ্ঞান মুক্ত মনে প্রয়োগ করতে পারবেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতির দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে।

ব্রিটিশ হোমিওপ্যাথিক এসোসিয়েশন তাদের মুখপত্র, “হোমিওপ্যাথি” পুস্তিকায় হোমিওপ্যাথির যে স়ংজ্ঞা নিরূপণ করা হয়েছে সেটা এরূপ – “হোমিওপ্যাথি হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি শাখা যা, ‘সদৃশ আরোগ্য করে সদৃশকে’ নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত। যথা যে বস্তু কোন একটি বিশেষ অবস্থায় এবং মাত্রায় রোগলক্ষণ তৈরি করতে পারে- সেই বস্তু আবার সদৃশ রোগলক্ষণ যুক্ত রোগের আরোগ্যের জন্য প্রয়োগ করা যেতে পারে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সার্বিকভাবে রোগীকে স্বতন্ত্রতার দৃষ্টিভঙ্গিতে বিবেচনা করেন। এবং মূলতঃ এইসব রোগলক্ষণ সৃষ্টির জন্য মৌলিক ব্যাধি (এখানে মায়াজমের কথা বলা হয়েছে) দায়ী, তাকে আরোগ্য করার কথা বিবেচনা করেন। সদৃশতম বিশেষভাবে তৈরি ওষুধটি খুব ক্ষুদ্র মাত্রায় প্রয়োগ করা হয়। এবং এই ওষুধ স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা ও দেহের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করে।” (এই শেষ লাইনটি নিয়ে পাঠকদের গভীরভাবে ভাবতে অনুরোধ করছি)

যদিও এই বর্ণনামূলক স়ংজ্ঞা অন্যান্য চিকিৎসা বিষয়ের সঙ্গে হোমিওপ্যাথির সম্পর্কের বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে। তবে আমাদের এই বিষয়ে গুরুতর আপত্তি নাই একমাত্র শব্দ “শাখা ” ব্যতীত। শাখা ইঙ্গিত করে সরু বৃক্ষ কান্ডকে। কিন্তু আমাদের অভিমত হচ্ছে প্রচলিত চিকিৎসা জগতে হোমিওপ্যাথি একটি স্বতন্ত্র শ্রেণীর চিকিৎসা বৃক্ষ বিশেষ। সুতরাং আমরা “শাখা” শব্দটিকে বদল করে “পদ্ধতি” লিখতে চাই।
আমরা হোমিওপ্যাথির বিশ্ব- নেতৃত্বের কাছে নিম্নলিখিত স়়ংজ্ঞাটি বিবেচনার জন্য পেশ করছি।

” হোমিওপ্যাথি হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি পদ্ধতি যাহা প্রকৃতির আরোগ্য নীতির উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত – সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার ( সদৃশ রোগ সদৃশ রোগের দ্বারা আরোগ্য হয় ), প্রাণশক্তি, সার্বিকতা, স্বতন্ত্রতার দৃষ্টিভঙ্গির সহিত মানুষের স্বাস্থ্য, রোগ এবং তার আরোগ্যের বিষয়ে এবং একই দৃষ্টিভঙ্গি চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখার উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বা অর্জিত জ্ঞানের প্রতি এবং বিশেষ ভাবে প্রস্তুত ওষুধের অন্তস্থ শক্তি ( লেখক — কোন মাদার ও ফাদার টিঙ্কচার নয় এবং বায়োকেমিক নয় ) প্রয়োগ করে একক সময়ে একটি এবং ক্ষুদ্রতম মাত্রায়। “

জয়তু হ্যানিম্যান। জয়তু হোমিওপ্যাথি।

Related Posts

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার সংবিধান ‘অর্গানন অব মেডিসিন’ গ্রন্থ আয়ত্তের কৌশল

by ডা. এ কে এম রুহুল আমিন
January 17, 2021
0
161

 “অর্গানন অব মেডিসিন আয়ত্তের কৌশল” এই বিষয়ে আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করছি। আলোচনার সুবিধার জন্য বিষয়টিকে কয়েকটি শিরোনামে বিভক্ত করে উপস্থাপন করছি, শিরোনামগুলো হচ্ছে – ১।...

হোমিওপ্যাথিক ঔষধ অপছন্দকারীর ঔষধ নির্বাচনের সহজ কৌশল

by ডা. মোহা. আশরাফুল হক
January 4, 2021
0
583

নবশিক্ষার্থী ভাই-বোন আজ আপনাদের সাথে একটা মজার থিম, আমার ও মনীষীদের অভিজ্ঞান শেয়ার করতে চাই। পূর্ণাঙ্গ কেস টেকিং এর ভিত্তিতে যার জন্য যে ঔষধ নির্বাচন হবে...

পুনরুত্থান: ডা. জে. এন. কাঞ্জিলালের দৃষ্টিতে হোমিওপ্যাথি

by sayeed
October 23, 2020
0
304

ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী (শুরুর পর্ব) Task -- A controversy has been prevailing in the homoeopathic school as to the exact meaning of the word Homoeopathy --...

আঘাতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

by sayeed
October 21, 2020
0
622

ডা. শাহীন মাহমুদ: প্রাত্যাহিক জীবনে আমরা যত সাবধানেই কাজ করি না কেন, আঘাত আমরা পাই। সারা শরীরের যে কোন জায়গায় যে কোন সময় এই আঘাত পাওয়ার...

হোমিওপ্যাথিতে বিকল্প ওষুধ হয়না

by sayeed
September 21, 2020
0
292

ডা. সৌমিত্র সরকার এই পৃথিবীতে কোন দুটি বস্তু পুরোপুরি...

Next Post

চলমান গবেষণা: হোমিওপ্যাথিক ঔষধ কিভাবে কাজ করে?

হোমিওপ্যাথির দ্বারা শামুকের আক্রমণ প্রতিরোধ

একটি বিস্তৃত কেইস-টেকিং ও তার বিশ্লেষণপদ্ধতি

Subscribe Us

Join 119 other subscribers

CATEGORIES

  • অনুবাদ
  • আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  • ইন্টারভিউ
  • ঔষধ পরিচিতি
  • কেস রেকর্ডস
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • বায়োগ্রাফি
  • বুক রিভিউ
  • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
  • রিসার্চ রিভিউ
  • হোমিও সংবাদ

RECOMMENDED

রিসার্চ রিভিউ

গবেষণাপত্রে ব্যবহৃত পরিভাষা (পর্ব-৩)

May 16, 2020
হোমিওপ্যাথিক-ঔষধের-ফিজিওকেমিক্যাল-অনুসন্ধান-2
রিসার্চ রিভিউ

হোমিওপ্যাথিক ঔষধের ফিজিওকেমিক্যাল অনুসন্ধান: একটি পদ্ধতিগত পর্যালোচনা ও বিবলিওমেট্রিক বিশ্লিষণ (পার্ট-২)

March 12, 2020

TAGS

biography Corona in homeopathy Corona in Repertory homeodigest Homeopathic remedy of Corona Homeopathic treatment of Influenza Homeopathy Phase of Corona Remedy Selection for Corona Remedy Selection for COVID-19 Repertorial analysis of Corona Repertorial Introduction for Corona Repertorial Introduction for COVID-19 Repertory about Pneumonia Repertory of Corona Repertory of COVID-19 Repertory of Influenza Rubrics about Corona Rubrics about COVID-19 Rubrics of Corona Stage-wise Symptoms of Corona Symptoms of Corona অর্গানন করোনা ভাইরাস করোনাভাইরাস কেস রেকর্ডস চিকিৎসক চিকিৎসা ডাক্তার মায়াজম মায়াজমের দর্শন-চিন্তা মেটেরিয়া মেটিকা হোমিও হোমিও ওষুধ হোমিও ঔষধ হোমিও চিকিৎসক হোমিও চিকিৎসা হোমিওডাইজেস্ট হোমিও ডাক্তার হোমিওপ্যাথ হোমিওপ্যাথ বুক রিভিউ হোমিওপ্যাথি হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

বাংলাদেশের প্রথম আদর্শিক অনলাইন হোমিওপ্যাথিক প্লাটফর্ম। হোমিও বিষয়ক সংবাদ, প্রবন্ধ, কেস রেকর্ডস, কেস স্টাডি, বুকস রিভিউ, ইন্টারভিউ, বায়োগ্রাফিসহ বিভিন্ন বিষয়ের লেখার এক সমৃদ্ধ ভান্ডার। এছাড়াও স্টুডেন্টদের জন্য রয়েছে বিশেষ সাজেশন্স।
contact@homeodigest.com

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.

No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.