Saturday, January 16, 2021
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

Homeodigest

  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট
No Result
View All Result
Home ঔষধ পরিচিতি

পালসেটিলা

ডা. মোহা. আশরাফুল হক by ডা. মোহা. আশরাফুল হক
July 9, 2020
in ঔষধ পরিচিতি
0
153
SHARES
613
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare via Email

নবশিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজ আপনাদের একজন সুন্দর চেহারার, শান্তশিষ্ট, স্নেহশীল, লাজুক, মনের মানুষের গল্প শোনাবো। যার মন ও রোগ সবকিছুতেই পাবেন ঘন ঘন পরিবর্তন। হ্যাঁ আপনারা ঠিক ধরেছেন আমি পালসেটিলার কথা বলছি।

হলুদাভ, লাল, কটা চুল, নীল চোখ, উজ্জ্বল ফর্সা, ফ্যাকাসে বা লাল মুখ বিশিষ্ট, সুন্দর মুখাকৃতি, মোটাসোটা, গোলগাল, থলথলে পেশী, রক্তপ্রধান স্বাস্থ্যের বৈশিষ্ট্য। এদের দেখে রোগ লক্ষণ বা পরিবর্তন বোঝা যায় না। বাহির থেকে দেখে মনে হয় কোন রোগ নাই। পালসেটিলা-কে “পরিবর্তন” শব্দটি দিয়ে চিত্রিত করার চেষ্টা করবো। পরিবর্তনশীলতাই যেন এর প্রধান কথা। তাহলে শুরু করা যাক।

সাদৃশ্য:

পালসেটিলা-কে Wind flour বলা হয়। সামান্য বাতাসে এর হালকা পাপড়িযুক্ত ফুলগুলো দোলে এ কারণে এ’কে উইন্ড ফ্লাওয়ার বলে। পালসেটিলা উদ্ভিদের সাথে পালসেটিলার রোগীদের মনে রাখার মতো বেশ কিছু সাদৃশ লক্ষ্য করা যায়। পালসেটিলার অনেকগুলো গাছ একসঙ্গে জন্মায় ও বেড়ে উঠে, অনুরুপ পালসেটিলার রোগীরাও একসাথে থাকতে পছন্দ করে। এটি বালুময় অঞ্চলে জন্মালেও, জলের প্রয়োজন হয় না। অনুরূপ পালসের রোগীদের মুখ শুকিয়ে থাকলেও জল পান করতে চায়না।

এই গাছটির ডালপালায় বা পাতায় প্রচুর নরম রোমে (চুল) ঢাকা থাকে মনে হয় যেন শীতকালের কম্বল। পালস ঠান্ডা বাতাস পছন্দ করে কিন্তু শীতের সময় গায়ে আবরণ চায়।

পালসেটিলা উদ্ভিদের ফুলগুলি নত হয়ে ঝুলে থাকে: অনুরূপ পালসেটিলার রোগীরাও সমাজ ও সংসারে নত হয়ে চলে।

সামান্য বাতাস যে দিকে দোল দেয় উদ্ভিদ’টি সেদিকে হেলে পড়ে, শক্ত হয়ে থাকতে পারে না। পালসের রোগীরাও অনুরূপ। কেউ কোন বিষয়ে চাপ দিলে, খারাপ আচরণ করলে, প্রতিবাদ করে না, বরং নত হয়ে থাকে, বশ্যতা স্বীকার করে।

উদ্ভিদটির ফুলের পাপড়ি দেখতে অনেকটা চোখের মতো তাই আদিকাল থেকে চোখের রোগে এর ব্যবহার আছে। পালসেটিলা ওষুধ’টি চোখে আঞ্জনি ও পিঁচুটি হলে দারুণ কাজ করে।

পালসেটিলা গাছের ফুল দারুন সুন্দর, নানা রঙের হয় এবং রঙ পরিবর্তন হতে থাকে। সাদা, হলুদ, সবুজ, কালো, নীল, বেগুনি ইত্যাদি। প্রথমে হালকা কালচে, তারপরে নীলচে, তারপরে হালকা বেগুনি, তারপরে মিষ্টি গাঢ় বেগুনি রঙ, এভাবে একটি ফুল প্রস্ফুটিত হওয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রঙ পরিবর্তন করতে থাকে। অনুরূপ পালসের রোগীদের মন ও রোগলক্ষণ ঘনঘন পরিবর্তন হয়। এর মন সহজেই পরিবর্তন হয়: এই হাসি খুশি কিন্তু একটু কষ্ট পেলেই চোখে জল। একজন মনিষী বলেছেন পালসেটিলা-কে এক কথায় চিনতে চাও! তাহলে মনে রেখো, যাকে সহজেই হাসানো যায় কিংবা সহজেই কাঁদানো যায় সেই হচ্ছে- পালসেটিলা।

পালস নম্র, ভদ্র, বিনয়ী, কিন্তু পাকস্থলীর সমস্যা বা হজমের সমস্যা থাকলে শিশুদের মেজাজ পরিবর্তন হয়ে খিটখিটে হয়।

চিকিৎসক কিংবা আপনজনের কাছে কষ্টের কথা বলার সময় মন ভারাক্রান্ত হয়, কান্না করে কিন্তু কষ্টের কথা বলা হয়ে গেলে, মনে পরিবর্তন আসে। মন হালকা হয়ে যায়।

কখনো মনে করে বিয়ে করা বা স্বামী স্ত্রীর মেলামেশা করা মহাপাপ তাই এসব থেকে বিরত থাকে, আবার মতের পরিবর্তন হলে স্বাভাবিক হয়ে যায়।

এরা অনেক ক্ষেত্রে বৈচিত্র বা পরিবর্তন চাই কিন্তু নিজের জিহ্বা বা মুখ শুষ্ক থাকলেও যেমন জল পান করতে চায়না। তেমনি বন্ধুবান্ধব, আত্মীয় স্বজনের মুখ‌ও বুঝি শুষ্ক রাখতে চায়। এরা বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনের সাথে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলবে, যত্ন নিবে কিন্তু এদের পিছে খরচ করতে চাইবে না, খেতে দিতে চাইবে না। খুব হিসেবী। এই ক্ষেত্রে পরিবর্তন লক্ষ করা যায় না।

কখনো কখনো প্রাণী হত্যা মহাপাপ মনে করে ডিম, মাছ, মাংস, দুধ খায় না। আবার কিছুদিন পর মতের পরিবর্তন হয়, তখন এসব ছাড়া অন্য কিছু খেতে চায় না।

খাবারের ব্যাপারেও রুচির ঘন ঘন পরিবর্তন হয়। কখনো খুব ক্ষুধা পায়, কখনো ক্ষুধাহীনতা দেখা দেয়।

এর রোগলক্ষণ ঘন ঘন শরীরের পার্শ্ব বা স্থান পরিবর্তন করে: ধরুন, সকালে ডানদিকের গ্ল্যান্ড ব্যথা করছে, আবার বিকেলে দিক পরিবর্তন হয়ে বামদিকের গ্ল্যান্ড ব্যথা করছে।

কোন স্ত্রীলোকের বামদিকে মাম্পস হলে (কানের নিচের গ্রন্থি ফোলা, প্রদাহ) বামদিকের স্তন ফোলে ও প্রদাহ হয় কিন্তু পরে দিক পরিবর্তন হয়ে ডানদিক আক্রান্ত হয়।

কোন পুরুষ মানুষের বামদিকে মাম্পস হলে (কানের নিচের গ্রন্থি ফোলা, প্রদাহ) বামদিকের অণ্ডকোষ ফোলে ও প্রদাহ হয়, পরে দিক পরিবর্তন হয়ে ডানদিক আক্রান্ত হয়।

এদের পানির পিপাসা যেমন কম তেমনি যৌন পিপাসাও কম: কিন্তু কখনো কখনো তা পরিবর্তন হয়ে, অতিরিক্ত সঙ্গম ইচ্ছা দেখা দেয়।

আর জ্বরের রোগীদের বিশেষত, শীত করে জ্বর আসার পূর্বে প্রচুর পানির পিপাসা হয় : (১ম গ্রেড)।

পছন্দ অপছন্দের ব্যাপারে একটা বিশেষ পরিবর্তন লক্ষণীয়। যথা: ঠাণ্ডা মেজাজ, ঠান্ডা পানি, ঠান্ডা খাবার, ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ। কিন্তু গরম মেজাজ, গরম পানি, গরম খাবার, গরম আবহাওয়া অপছন্দ।

ঘুমের ক্ষেত্রে একটা পরিবর্তন লক্ষণীয়: গভীর নিদ্রা, পেটের উপরে হাত রেখে চিৎ হয়ে ঘুমায় : (১ম গ্রেড)।

কিন্তু নিদ্রাহীনতা, ঘুম ঘুম ভাব, মাথার উপর হাত রেখে ঘুমায়: (১ম গ্রেড)।

জিহ্বার রঙের ক্ষেত্রে গ্ৰেডের পরিবর্তন লক্ষণীয়:

জিহ্বা শুষ্ক, সাদা : (১ম গ্ৰেড)।

কিন্তু জিহ্বা শুষ্ক, হলদে : (২য় গ্ৰেড)।

স্নানের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় পরিবর্তন :

ঠান্ডা জলে স্নান বা আক্রান্ত স্থান জলে ধুলে উপশম : (১ম গ্ৰেড)।

কিন্তু কখনো কখনো স্নানে ভয় বা বৃদ্ধি : (২য় গ্ৰেড)।

মেয়েদের মাসিক হওয়ার বয়সে যদি হঠাৎ পরিবর্তন দেখা দেয় অর্থাৎ শরীর শুকিয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে ক্ষয় দোষে আক্রান্ত হয়েছে।

পালসের রোগী পুরাতন হলে সাইলিসিয়া কিন্তু রোগ সুগভীর হলে, ওষুধ পরিবর্তন করে কেলি সালফ প্রয়োগ করতে হবে।

পালসের রোগী কান্না করলে তার কষ্টের পরিবর্তন হয়, মনে শান্তি পায়। সে কারণে কান্না করে।

সহজে মন পরিবর্তন হয়: সামান্য তিরস্কারে কষ্ট পায়, সামান্যতে অভিমান করে, আবার সামান্য সান্তনায় বা আদরে মুখে হাসি আসে। পালসের অধিকাংশ রোগী মেয়েলি বা ছ্যাবলামি স্বভাবের হয়।

পালসের রোগ এত ঘনঘন পরিবর্তন হয় যে, আজ এই রোগ, কাল সেই রোগ, লেগেই থাকে। যে কারণে আমি রসিকতা করে পালসের রোগীকে পুরাতন গাড়ির সাথে তুলনা করি। পুরাতন গাড়ি যেমন আজ এটা নষ্ট, কাল সেটা নষ্ট, ঘনঘন মেকারের কাছে যেতে হয়, অনুরূপ পালসার রোগী ঘনঘন ডাক্তারের কাছে আসে।

পালসের রোগী অচিররোগে শীতকাতর হলেও চিররোগের বেলায় পাবেন এর পরিবর্তন অর্থাৎ গরমকাতর।

সকালবেলা সরল কাশি, কিন্তু সন্ধ্যায় পরিবর্তন অর্থাৎ শুষ্ক কাশি।

পাকস্থলীর রোগ বাড়ে সকালে কিন্তু মানসিক কষ্টের বেলায় পাবেন পরিবর্তন অর্থাৎ মানসিক কষ্ট সন্ধ্যায় বাড়ে। এরা পাকস্থলীর রোগ ছাড়া সাধারণত সকালে ভালো থাকলেও সন্ধ্যায পরিবর্তন আসে অর্থাৎ সন্ধ্যায় দৈহিকভাবে খারাপ থাকে।

পালসের কথাবার্তা, খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, কাজকর্ম সবক্ষেত্রেই ধীরগতি, এদের এই ধীর গতির সাধারণত পরিবর্তন না।

মাসিক স্রাবের ক্ষেত্রেও নানা রকম পরিবর্তন দেখা যায়, কখনো অল্প কখনো প্রচুর, কখনো বন্ধ, কখনো আবার হয়, পা ভেজা থাকলে ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যায় কখনো কালচে, কখনো লাল রঙ। কখনো চাপ চাপ। মাসিকের আগে পরে হজমের পরিবর্তন ঘটে, যথা মাসিকের আগে পরে পেট খারাপ হয়। মাসিকের সময় কোন কোন অবিবাহিত মেয়েদের স্তনে পরিবর্তন আসে যথা দুধ সঞ্চয় হয়।

সন্তান প্রসব ও ঋতুস্রাবের সময় খুব শীত করে কিন্তু অন্য সময় পাবেন পরিবর্তন অর্থাৎ খুব গরম কাতর।

ঘি, দুধ, ইলিশ, পোলাও খেয়ে আর পাঁচজন মানুষ আনন্দে থাকলেও পালসের বেলায় পাবেন পরিবর্তন, এদের পেট খারাপ করে, পেট ব্যথা করে। এসব সহ্য হয় না।

পালসের ব্যথা বা রোগ হঠাৎ আসে কিন্তু যাবার বেলায় গতি পরিবর্তন করে ধীরে ধীরে যায়।সকালে নাক বন্ধ হলে ঝেড়ে পরিষ্কার করতে পারে কিন্তু সন্ধ্যায় সেই লক্ষণ পরিবর্তন হয়ে যায়, তখন নাক ঝাড়লেও পরিষ্কার হয় না।

নিম্নের এই কয়টি লক্ষণ থাকলে পালসেটিলা পরিবর্তন করে অন্য কিছু দেওয়ার কথা চিন্তা করা যায় না। যথা:

ভীরুতা, কান্না করার স্বভাব, অন্তর্মুখী দুঃখ, নীরব বিরক্তি, সুস্থ অবস্থায় শান্ত, কোমল, ধীরগতি সম্পন্ন, সুন্দর স্বাস্থ্য, সুশ্রী চেহারা, গরমকাতর বা শীতকাতর, পিপাসাহীন ইত্যাদি।

পালসেটিলার শিশুরা কান্না করলে, কোলে করে ধীরে ধীরে হাঁটলে কান্না থেমে যায়, কিন্তু জোরে হাঁটলে কান্না থামে না বা মেজাজের পরিবর্তন হয় না, কারণ পালসের রোগের গতি ধীর।

দিনে হাসিখুশি মানুষটার মধ্যে সন্ধ্যায় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, যথা : মৃত্যুভয়, অন্ধকারের ভয়, একা থাকতে ভয় ইত্যাদি।

মাথা ঘোরানি, দাঁতব্যথা, পাকস্থলী ও লিভারে খোঁচামারা ব্যথা, পিঠ ও হাঁটু ব্যথার কষ্ট, হাঁটলে শান্তিদায়ক পরিবর্তন বা উপশম হয়।

পালসেটিলার শরীরের যে কোন এক পাশ রোগাক্রান্ত হলেও অন্য পাশে কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না অর্থাৎ সুস্থ থাকে। যথা : শরীরের একপাশে ব্যথা, অন্যপাশ স্বাভাবিক। এক পাশে ঘাম, অন্যপাশ শুষ্ক। একগাল লাল, অন্যগাল ফ্যাকাশে। এক পা ঠান্ডা’ত অন্য পা গরম ইত্যাদি। তবে পরবর্তীতে রোগলক্ষণ দিক পরিবর্তন করে।

ডা. হ্যানিম্যান বলেন, দেহের অর্ধেক অংশে রোগ লক্ষণ সংগঠিত হওয়া একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।

মলের রঙ পরিবর্তনশীল: মল কিছুক্ষণ থাকলে তার রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়। দুইবার মল ত্যাগ করলে দুই রকম রঙ হয়।

পালসের শিশু আনন্দদায়ক কিছু না পেলে করুণভাবে কাঁদে। জিনিসটি দিলে কিংবা একটু আদর করে দিলে তাৎক্ষণিক তার কান্না পরিবর্তন হয়ে আনন্দে রূপান্তর হয়।

পালসে পুরাতন সর্দিতে ঘ্রাণশক্তি পরিবর্তন হয় অর্থাৎ নষ্ট হয়ে যায়।

পালসের রোগীর শরীরের কষ্ট, শরীর নড়াচড়ায় স্বস্থিদায়ক পরিবর্তন বা উপশম হয়, আর মনের কষ্ট, মন সঞ্চালননে অর্থাৎ মনের কথা প্রকাশ করলে বা কান্না করলে উপশম হয়।

শরীরের বাইরে গরম সহ্য হয় না বলেই হয়তো শরীরের ভিতরেও গরম সহ্য হয় না। এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন লক্ষিত হয় না।

মানুষ বলে ভালো মানুষের নাকি বিপদ বেশি হয়, পালসেটিলার এত ঘনঘন মনের পরিবর্তন, রোগের পরিবর্তন বুঝি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। মানুষ তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকলেও রোগবালাই তার প্রতি অসন্তুষ্ট এ যেন প্রকৃতির এক রহস্য।

পালসেটিলায় সব লক্ষণের সাথে গরম ঘরে শীতার্ততা লক্ষণটি রয়েছে: ডা. এম. এল. টাইলর।

ডা. হ্যানিম্যান বলেন যেখানে শীতার্ততা ও পিপাসাহীনতা রয়েছে সেখানে ঔষধটি সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ কাজ করে।

পালসেটিলার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে :

নম্রতা, এরা শক্ত বা দৃঢ় হতে পারে না। যেন পৃথিবীতে থাকতে হলে নম্র-ভদ্র দুর্বল হয়ে টিকতে হবে, তার ভিতরে এমন দুর্বল ভাবনা কাজ করে।
কঠিন পৃথিবীতে শক্ত হয়ে মোকাবেলা করতে পারে না। সে নিজে সোহাগী ও মমতাময়ী তাই স্নেহ-মমতার জন্য সোহাগী মানুষ খুঁজে। সে যেন মায়া মমতা ও প্রেমের কাঙাল। সে নিজে সহানুভূতিশীল, আত্মবিশ্বাসহীন, বাধ্যগত, সমবেদনাশীল ও ভীতু। তবে কখনো কখনো এর ব্যাতিক্রম পাবেন, যথা স্বার্থপর, ঈর্ষাপরায়ন, বদমেজাজি, সন্দেহপ্রবণ ইত্যাদি। তবে এরা সংখ্যায় খুব কম। কষ্ট পেলে, দুঃখ নীরবে মনের ভিতর রাখে। কাঁদলে, শান্ত্বনা পেলে স্বস্তি বোধ করে। সন্ধ্যায় ভূতের ভয়, ভয়ের কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হয়।

পালসের মানুষেরা সংসারে সব কাজে অংশ নেয়, স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, দেবর, ভাসুর, ননদ, দাদা-দাদী সবার সেবা করে। না কেঁদে রোগের কথা যেন বলতেই পারে না।

পালসেটিলার মন লাউ গাছের ডগার মতো নরম। লাউয়ের ডগা যেমন সামান্য বাতাসে নেতিয়ে পড়ে, তেমনি পালসেটিলার মনও সামান্য চাপে, কষ্টে, বেদনায় নত হয় বা কাতর হয়। এদের সহজে বাধ্য করা যায়। সে কারণে প্রেম বা বিয়ে পালসেটিলার সাথে করলে বেশি সুবিধা।

উৎস : উদ্ভিদ।
কাতরতা :
গরমকাতর +++
শীতকাতর ++

মায়াজম :
সোরিক ++
সিফিলিটিক +
সাইকোটিক +++ L
টিউবারকুলার ++

ধরণ: পলিক্রেস্ট, নারী ও শিশু প্রধান ওষুধ।

আক্রান্তদিক: শরীরের উপর অংশ বাম, নিচের অংশ ডানদিক। বাম থেকে ডান দিক পর্যায়ক্রমে আক্রান্ত হয়।

ডা. মোহা. আশরাফুল হক

ডা. মোহা. আশরাফুল হক

প্রভাষক, মেটেরিয়া মেডিকা বিভাগ,
সাভার হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
যুগ্ম-মহাসচিব, কেন্দ্রীয় কমিটি
হোমিওপ্যাথিক কল্যাণ সোসাইটি।
ফোন: ০১৬৭৩০০১২৩৭

Related Posts

ইগ্নেশিয়া অ্যামেরা

by sayeed
September 24, 2020
0
266

সম্পূর্ণ নাম : ইগ্নেশিয়া অ্যামেরা । সাধারণ নাম: সেন্ট ইগনেসিয়াস বিন কিংডম: উদ্ভিদ শ্রেণি: লোগানিসিয়াই ঔষধ প্রস্তুতে ব্যবহৃত অংশ: বীজ মূল প্রকৃতি: সোরিক, শীতকাতর, পলিক্রেস্ট, ডান...

ক্রোটন টিগলিয়াম

by sayeed
January 12, 2021
0
390

ডা. মো: নাজমুল হোসেন (নাজম): সম্পূর্ণ নাম: ক্রোটন টিগরিয়াম সাধারণ নাম: Croton Oil Seed উৎস: শুকনো বীজের চূর্ণ ফ্যামিলি: ইউফোরভিয়াসিয়াই কিংডম: উদ্ভিদ প্রধান বৈশিষ্ট্য: সাইকোটিক, বাম...

ক্যামোমিলা ভালগারিস

by sayeed
June 19, 2020
0
360

প্রথম কথা: খিটমিটে, ঘ্যানঘেনে, অস্থির, অসৌজন্যতামূলক আচরণ (অভদ্র), খেয়ালী, অসামাজিক, খামখেয়ালী, অধৈর্য্য শিশু চায় কেউ তাকে কোলে নিয়ে জোরে জোরে হাঁটুক। অত্যানুভূতিপ্রবণ, রূক্ষ-মেজাজ, পিপাসার্ত, গরমকাতর। কানে...

সিঙ্কোনা অফিসিনালিস

by sayeed
May 28, 2020
0
379

কিংডম: উদ্ভিদ মূল বৈশিষ্ট্য: সোরিক, সাইকোটিক, শীতকাতর, পলিক্রেস্ট, বামপার্শ্বে আক্রমণ প্রবণতা, একিউট ও ক্রনিক উভয় প্রকার উপসর্গেই ব্যবহৃত হয়, ইন্টারকারেন্ট হিসাবে এর ব্যবহার রয়েছে। প্রধান কথা:জীবনীশক্তির...

এব্রোটেনাম

by ডা. মোহা. আশরাফুল হক
May 12, 2020
0
431

এব্রোটেনাম উৎস: উদ্ভিজ। কাতরতা: শীতকাতর। ধরণ: দীর্ঘক্রিয় ও গভীরক্রিয়, ব্যক্তিলক্ষণ ভিত্তিক, অন্তবর্তীকালীন, ক্রণিক ও শিশুপ্রধান ঔষধ। ধাতুগত বৈশিষ্ট্য: চেহারা: শরীরের নিচের অংশ অর্থাৎ পায়ের দিক শীর্ণ...

Discussion about this post

Subscribe Us

Join 119 other subscribers

CATEGORIES

  • অনুবাদ
  • আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  • ইন্টারভিউ
  • ঔষধ পরিচিতি
  • কেস রেকর্ডস
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • বায়োগ্রাফি
  • বুক রিভিউ
  • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
  • রিসার্চ রিভিউ
  • হোমিও সংবাদ

RECOMMENDED

কেস রেকর্ডস

IBS (Irritable Bowel Syndrome) Cured by Homeopathic Constitutional Treatment

January 23, 2020
রিসার্চ রিভিউ

গবেষণাপত্রে ব্যবহৃত পরিভাষা (পর্ব-৩)

May 16, 2020

TAGS

biography Corona in homeopathy Corona in Repertory homeodigest Homeopathic remedy of Corona Homeopathic treatment of Influenza Homeopathy Phase of Corona Remedy Selection for Corona Remedy Selection for COVID-19 Repertorial analysis of Corona Repertorial Introduction for Corona Repertorial Introduction for COVID-19 Repertory about Pneumonia Repertory of Corona Repertory of COVID-19 Repertory of Influenza Rubrics about Corona Rubrics about COVID-19 Rubrics of Corona Stage-wise Symptoms of Corona Symptoms of Corona অর্গানন করোনা ভাইরাস করোনাভাইরাস কেস রেকর্ডস চিকিৎসক চিকিৎসা ডাক্তার মায়াজম মায়াজমের দর্শন-চিন্তা মেটেরিয়া মেটিকা হোমিও হোমিও ওষুধ হোমিও ঔষধ হোমিও চিকিৎসক হোমিও চিকিৎসা হোমিওডাইজেস্ট হোমিও ডাক্তার হোমিওপ্যাথ হোমিওপ্যাথ বুক রিভিউ হোমিওপ্যাথি হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

বাংলাদেশের প্রথম আদর্শিক অনলাইন হোমিওপ্যাথিক প্লাটফর্ম। হোমিও বিষয়ক সংবাদ, প্রবন্ধ, কেস রেকর্ডস, কেস স্টাডি, বুকস রিভিউ, ইন্টারভিউ, বায়োগ্রাফিসহ বিভিন্ন বিষয়ের লেখার এক সমৃদ্ধ ভান্ডার। এছাড়াও স্টুডেন্টদের জন্য রয়েছে বিশেষ সাজেশন্স।
contact@homeodigest.com

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.

No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.