প্রথম যখন দেখি রাধারমণ বিশ্বাস নোসোডের উপর বই লিখেছেন, তখন আমি সত্যিই অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। এমনিতেই আমাদের উপমহাদেশের হোমিওপ্যাথিক শিক্ষার এই পথিকৃতের লেখা আমার ভালো লাগে। কিন্তু এত আগে থেকেই যে আমরা নোসোডের ব্যাপারে এতটা সচেতন এই ধারণা আসলে এতটা স্পষ্ট আমার ছিলো না।
এর কারণও আছে, ব্যক্তিগত চিকিৎসাক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা যত বাড়ছে, স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হচ্ছি- বর্তমান সময়ে নোসোডস হোমিওপ্যাথিক অস্ত্রসম্ভারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র। রাধারমণ বিশ্বাস যখন বইটি লিখেন তখনও তা এতটা জরুরি ছিলো না- আর এজন্যই এটা আমার চিন্তাবহির্ভূত ছিলো। আজকে নোসোডসগুলো ছাড়া চিকিৎসা করার কথা চিন্তাও করা যায় না। আর এজন্যই এই অস্ত্রগুলোকে শাণিত করা অতি-প্রয়োজনীয়। যতদিক, যত দৃষ্টিকোণ থেকে সম্ভব আমাদের এই নোসোডগুলোকে বুঝতে হবে, জানতে হবে- তাকে নিজের হাতের তালুর মতো করে চিনতে হবে।
আর আমাদের আগের লেখাগুলো সেই চেনা-পরিচয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবে- এতে কোন সন্দেহ নেই। ডা. বিশ্বাস বইটিতে তার গুরুত্বপূর্ণ প্রারম্ভিক আলোচনা ছাড়াও তাঁর নিজের প্রাঞ্জল ভাষায়, উপস্থাপনায় ৩০টি নোসোডের বর্ণনা করেছেন। বাংলাভাষায় একবার বইটি পড়লে – ঔষধচিত্রগুলো মনে বেশ গভীরভাবে ছাপ ফেলে, গেঁথে যায়। তার সাথে আছে- ডা. রাধারমণ বিশ্বাসের লেখার স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য, অনন্য কিছু রোগ-আরোগ্যের বর্ণনা। এরকম একটি বই পড়তে পেরে আমি সত্যিই অভিভূত। আর এই আনন্দটাই সবার সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যে এই কথা ক’টি নিবেদন করলাম।
Discussion about this post