নিজস্ব প্রতিবেদক:
যতোই দিন যাচ্ছে নতুন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ততই মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মারা গেছে ১০৬ জন। আক্রান্ত হয়েছে হাজারো মানুষ।
তবে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চীনে হলেও সম্প্রতি এটি ভারতীয় উপমহাদেশ ও ইউরোপের দিকেও ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এ ভাইরাস সম্বন্ধে ধারণা থাকা প্রয়োজন। করোনাভাইরাস মূলত পশুর দেহ থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির থেকেও অন্য ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে এলে বা তার সঙ্গে হাত মেলালেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এদিকে এই ভাইরাস প্রতিরোধে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে অনতিবিলম্বে আইসোলেশন ইউনিট খোলা নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আপাতত দেশের আটটি বিভাগের সকল জেলাসদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ইউনিট খোলা হবে। এছাড়াও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে কিছু দিক-নির্দেশনাও দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
কিভাবে ছড়ায়-
- আক্রান্ত ব্যাক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে
- আক্রান্ত ব্যাক্তিকে স্পর্শ করলে
- পশু/পাখি বা গবাদি পশুর মাধ্যমে
প্রতিরোধের উপায়-
- সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া
- হাত না ধুয়ে চোক, মুখ ও নাক স্পর্শ না করা
- হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা
- অসুস্থ পশু/পাখির সংস্পর্শে না আসা
- ডিম, মাছ, মাংস ভালোভাবে সেদ্ধ করা
- ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার করা
এ সংক্রান্ত কোনো প্রয়োজনে আইইডিসিআর এর নিম্নোক্ত হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
০১৯৩৭-১১০০১১
০১৯৩৭-০০০০১১
০১৯২৭-৭১১৭৮৪
০১৯২৭-৭১১৭৮৫
