Thursday, January 21, 2021
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

Homeodigest

  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট
No Result
View All Result
Home অনুবাদ

জ্বরকে কি তার গতিতেই চলতে দেয়া উচিৎ!

মো. ইমরান খান by মো. ইমরান খান
August 26, 2020
in অনুবাদ
0
190
SHARES
222
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare via Email

[মূল: ‘The Case for Letting Fevers Run Their Course’ Paul A. Offit, MD, is a professor of pediatrics and director of the Vaccine Education Center at the Children’s Hospital of Philadelphia. Pennsylvania, USA.]

বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে জ্বর পূর্ণমাত্রায় সম্পন্ন হতে না দিয়ে বার বার কমিয়ে দিলে- আমাদের শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা রোগারোগ্য হবার ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়।

আমাদের আধুনিক ব্যস্ত জীবনে জ্বর হওয়াকে আমরা রোগ বা অসুস্থতা বলে বিবেচনা করি। আসলে জ্বর আসা মানেই কি অসুস্থতা, জ্বর মানেই কি রোগ? আপাতদৃষ্টিতে জ্বরকে রোগ বলে মনে হলেও জ্বর মূলত কোন রোগ নয়। এটা যে কোনো সংক্রমণ, বা প্রদাহ, বা রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে আমাদের শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার সংগ্রাম করার একেবারে প্রাথমিক একটি প্রয়াস বা প্রচেষ্টা। সুতরাং আমরা যখন Acetaminophen (Tylenol) বা Ibuprofen নামক Antipyretics দ্বারা জ্বরের চিকিৎসা করি, তখন বাস্তবিক পক্ষেই আমরা আমাদের শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে হাতকড়া পরিয়ে তার ক্ষমতাকে দূর্বল বা সীমিত করে রাখি। আপাতদৃষ্টিতে এটা অসঙ্গত বলেই মনে হতে পারে, কিন্তু এটাই স্বাভাবিক-সত্য। বর্তমানে বিভিন্ন গবেষণায় এটা দেখা যায় যে, এই ধরনের Antipyretics দ্বারা জ্বরের চিকিৎসা করে জ্বরকে চাপা দিলে বা দমিয়ে রাখলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের তীব্রতা আরো বেড়ে যায়। তাই এখন সময় এসেছে এই জ্বর ভীতিকে প্রশ্রয় না দিয়ে এই ভীতি থেকে বের হয়ে আসার।

জীবদেহে জ্বরের প্রয়োজনীয়তা বা উপকারিতা কতটুকু এই বিষয় নিয়ে প্রাণিদের উপর নানাবিধ গবেষণা করা হয়েছে। প্রাণিজগৎকে সাধারণত প্রধান দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা-

১. Ectotherms (শীতল রক্তবিশিষ্ট অস্তন্যপায়ী প্রাণী, যারা পরিবেশ থেকে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় তাপ শোষণ করে বেঁচে থাকে।

২. Endotherms (উষ্ণ রক্তবিশিষ্ট স্তন্যপায়ী প্রাণী, যাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় তাপ দেহের অভ্যন্তরেই তৈরি হয়।

Ectotherms গ্রুপের প্রাণীরা তাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা পরিবেশ থেকে গ্রহণ ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। উদাহরণ স্বরূপঃ Lizards (গিরগিটি) দের যখন দেহে অতিরিক্ত তাপের দরকার হয় তখন তারা পাহাড় বা উচু গাছের উপর উঠে যায় এবং সূর্যালোক থেকে তাপ গ্রহণ করে -তাদের দেহের প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। আবার যখন তাদের তাপমাত্রা কমানোর দরকার হয় তখন কোন গর্তে ঢুকে পড়ে।
অপরপক্ষে Mammals বা স্তন্যপায়ী প্রাণী হলো Endotherms গ্রুপের। তাই যখনই আমাদের শরীরে অতিরিক্ত তাপের প্রয়োজন হয় তখন আমাদের মস্তিষ্ক Cytokines (যেমনঃ Interleukin-1, Interleukin-2, Interleukin-6, Interleukin-8, Tumor Necrosis Factor, and Others) নামক এক প্রকার জৈব রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করে থাকে, যা আমাদের মস্তিষ্কের Hypothalamus নামক স্থান থেকে তৈরি হয় এবং আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তৈরি করে। তাপমাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠলে আমরা কাঁপতে থাকি, চাদরের নিচে ঢুকে পড়ি, গরম কাপড় পরিধান করি, কারণ শরীরের রক্তের প্রবাহ হাত-পা থেকে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের দিকে (Core) (কেন্দ্রের) ধাবিত হয়।

Matthew Kluger, যিনি আমেরিকান Michigan University এর Physiology বিভাগের একজন Scientist ছিলেন, ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে কয়েকটি Lizards (গিরগিটি)- এর উপর একটি যুগান্তকারী পরীক্ষা করেছিলেন। তিনি কিছু গিরগিটিকে Aeromonas Hydrophila নামক ব্যাকটেরিয়ার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত করেন। তারপর গিরিগিটি গুলিকে ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রার চেম্বারে রাখেন, কিছু গিরগিটিকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (গিরগিটির জন্য নরমাল তাপমাত্রা) যুক্ত চেম্বারে রাখেন। কিছু গিরগিটিকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (গিরগিটির জন্য সামান্য জ্বর low fever) যুক্ত চেম্বারে রাখেন। আবার কিছু গিরগিটিকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (গিরগিটির জন্য উচ্চ জ্বর High fever) যুক্ত চেম্বারে রাখেন। ফলাফল ছিল চমকপ্রদ, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ৩৮ ডিগ্রি অর্থাৎ নরমাল তাপমাত্রায় রাখা প্রায় ৭৫% গিরগিটি মারা যায়। ৪০ ডিগ্রি অর্থাৎ সামান্য উষ্ণ তাপমাত্রায় (low fever) রাখা প্রায় ৩৩% গিরগিটি মারা যায় এবং ৪২ ডিগ্রি অর্থাৎ তীব্র তাপমাত্রায় (High fever) রাখা কোন গিরগিটিই মারা যায় নি। পরবর্তিতে এই গবেষণাটি আরো অন্যান্য প্রজাতির উপর, যেমনঃ গোল্ডফিস মাছকে Aeromonas দ্বারা সংক্রমিত করে, ইঁদুরকে Coxsackie B virus বা Klebsiella দ্বারা সংক্রমিত করে, খরগোশকে Pasteurella দ্বারা ও কুকুরকে Herpes Virus দ্বারা সংক্রমিত করে আরো ব্যাপক ভাবে করা হয়। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই যে সমস্ত প্রাণিদের তাপমাত্রা বা জ্বরকে কমিয়ে দেয়া হয়েছে বা দমিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের অধিকাংশই মারা গেছে। Matthew Kluger এর দাবি অনুযায়ী- এটাই প্রমান করে যে, জ্বর বা উচ্চ তাপমাত্রা আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার (Immune response) একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া।

জ্বর আমাদের শরীরের জন্য যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ- এই বিষয়টি Matthew Kluger এর পরীক্ষার আরো অনেক আগে থেকেই আমাদের সামনে উঠে এসেছে। ১৯০০ সালের শুরুরদিকে, তখনো Antibiotics দ্বারা Bacterial infection এর চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি, Wagner von Jauregg নামক একজন Austrian Physician সিফিলিসে (Syphilis) আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে Malaria জীবাণু অনুপ্রবেশ করান। Malaria জীবাণু সিফিলিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরে প্রবল জ্বর তৈরি করে। Wagner von Jauregg তাদের কাঁপুনি দিয়ে তীব্র জ্বর আসতে দেন এবং তাদের এই অবস্থায় কিছুদিন ফেলে রাখেন। তারপর তাদের কুইনাইন (Quinine – an anti-parasitic drug, যা ১৮০০ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে আবিষ্কৃত হয়েছিল) দ্বারা চিকিৎসা করেন। তিনি দেখতে পান Malaria জীবাণু যা তীব্র জ্বর সৃষ্টি করেছিল সেই জ্বরের কারণে সিফিলিস (Syphilis) রোগ ভাল হয়ে গেলো। এই অর্জনের জন্য তিনি পরবর্তিতে ১৯২৭ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। পরে গনোরিয়া (Gonorrhea) রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও তার এই পর্যবেক্ষণলব্ধ জ্ঞান প্রয়োগ করে সফলতা লাভ করেছিলেন।

Wagner von Jauregg আমাদের কাছে প্রমাণ করেছিলেন যে, জ্বর যে কোন ধরনের ইনফেকশান বা সংক্রমণ বা প্রদাহ সারিয়ে তোলার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে এই প্রশ্নটিও আমাদের সামনে চলে আসে জ্বর কমিয়ে দেওয়া অর্থই কি যে কোন ইনফেকশান বা সংক্রমণকে আরো খারাপ এর দিকে নিয়ে যাওয়া? বর্তমানে ছোট বড় অনেক মানুষের উপর গবেষণা করা হয়েছে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবার জন্য। উত্তরগুলি ছিল প্রায় একই রকমঃ

• Antipyretics ঔষধ, Salmonella Bacteria এর নিঃসরণের ফলে Intestinal Infection ভুগতে থাকা মানুষজনের আরোগ্য আরো দীর্ঘায়িত করে দেয়।

• বাচ্চাদের Pneumonia বা রক্তের সংক্রমণের (Sepsis) ক্ষেত্রে জ্বর কমিয়ে দেয়া হলে তারা মারাও যেতে পারে।

• Influenza এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের Antipyretics এর মাধ্যমে জ্বর কমিয়ে দিলে আরোগ্য দীর্ঘায়িত হয়, রোগীর অবস্থা আরো বেশী জটিল হয়ে যেতে পারে।

• কিছু স্বেচ্ছাসেবীকে পরীক্ষামূলক ভাবে Rhinovirus নামক এক Common Cold virus দ্বারা সংক্রমিত করে দেখা যায় যে Antipyretics দিয়ে চিকিৎসা করা হলে তাদের আরোগ্য দীর্ঘায়িত হয় এবং তাদের সার্বিক অবস্থা আরো খারাপের দিকে চলে যায়।

• Chickenpox এ আক্রান্ত বাচ্চাদের Antipyretics দ্বারা চিকিৎসা করা হলে সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে।

এই ধরনের ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায় যে, জ্বর আসা আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং কখনোই সেই জ্বর চিকিৎসার নামে জোরপূর্বক চাপা দেয়া উচিৎ নয়। উচ্চ জ্বরে অর্থাৎ উচ্চ তাপমাত্রায় আমাদের শরীরের রক্তের WBC (White blood cells- neutrophils), B cells, এবং T cells পূর্ণমাত্রায় ভালোভাবে কাজ করতে পারে। এই প্রতিটা উপাদান (যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ) যে কোন ইনফেকশান বা সংক্রমণ বা প্রদাহকে সারিয়ে তোলার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমনঃ Neutrophils আমাদের শরীরের আভ্যন্তরীণ ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলিকে মেরে ফেলে। B cells আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে এন্টিবডি তৈরি করে- যা ক্ষতিকর ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণকে প্রতিহত করে। আর T cells আমাদের শরীরে ভাইরাস আক্রান্ত কোষগুলিকে মেরে ফেলে আমাদের সুস্থ রাখে।

এই সমস্ত তথ্যগুলি জানার পরেও কেন আমরা জ্বর হলেই, জ্বর কমানোর জন্য এত উদগ্রীব হয়ে পড়ি? কেন আমরা জ্বর নিয়ে এত ভীত-সন্ত্রস্ত (Fever-phobic)? এর একটা কারণ হতে পারে- আমরা জ্বরকেই রোগ বলে মনে করে বিভ্রান্ত হই। আমরা মনে করি আমাদের জ্বর যত কম আসবে ততই আমরা সুস্থ থাকবো, অথবা জ্বর এলেই তা কমিয়ে দিলে আমরা সুস্থ হয়ে গেলাম। যদিও বাস্তবিক পক্ষে এর বিপরীত অবস্থাটাই সত্য এবং সেই অবস্থাটাই আমাদের কাম্য হওয়া উচিৎ। জ্বর নিয়ে আমাদের এই উদ্বেগ-উৎকন্ঠার অন্য আর একটি কারণ হয়ত আমরা মনে করি, উচ্চ জ্বর হলে আমাদের Brain damage হতে পারে, যদিও এই তত্বের কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ এখনো পাওয়া যায় নি। অন্য আর একটি মতবাদ হল, জ্বর না কমালে রোগীর Febrile Seizures (প্রচন্ড জ্বরে খিঁচুনি) হতে পারে, তাই আমাদের জ্বর হলে জ্বর কমানো উচিৎ। এটা যদিও ভয়ের কারণ বলে মনে হতে পারে, তবুও এই Febrile Seizures কোন Permanent ক্ষতি করে না। আর Antipyretics দিয়ে জ্বর কমিয়ে দিলেও Antipyretics কখনোই Febrile Seizures রোধ করতে পারে না।

সম্ভবত জ্বর কমানোর পিছনে সবচেয়ে যে কারণটি বেশী কাজ করে তা হল- যখন আমাদের জ্বর হয়, তখন আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, ফলে সাময়িক কষ্ট অনুভূত হয় আর আমাদের শরীরের তাপমাত্রা যখন স্বাভাবিক থাকে তখন আমরা বেশী স্বাচ্ছন্দ (Comfort) বোধ করি। যখন আমাদের শরীরে কোন ইনফেকশান বা প্রদাহ ঘটে বা রোগ জীবাণু আমাদের শরীরে আক্রমণ করে- তখন আমাদের শরীর জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে জ্বর নিয়ে আসে, জ্বর আমাদের শরীরের বেসিক Metabolic rate বৃদ্ধি করে দেয়- ফলে আমাদের হৃদপিন্ড দ্রুত গতিতে রক্ত পাম্প করতে থাকে, আমরা দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেই। যখন আমাদের জ্বর আসে, তখন আমরা সবাই বিছানায় শুয়ে থাকতে চাই, তরল পানীয় পান করতে চাই। জ্বর এলে স্কুল কলেজে বা কাজে না যেয়ে আমাদের আসলে ঠিক এই কাজই করা উচিৎ, কারণ এ অবস্থায় অন্য কেউ সংক্রমিত হতে পারে। তাহলে আমরা দেখতে পাই সংক্রমণ রোধে সামাজিক ভাবেও জ্বর আমাদের শরীরকে একটা ইঙ্গিত দেয়- যেন আমরা লোক সমাগমের স্থান ত্যাগ করে নিজেদের আলাদা করে (Isolate ourselves) রাখতে পারি।

Pharmaceutical companies গুলি এ ব্যাপারে একেবারেই নিশ্চুপ। বরং তাদের “জ্বর ভালো নয়, এই জ্বর না কমালে সর্বনাশ হয়ে যাবে” “ডাক্তার যা বলেছে তা শুনে চলতে হবে।” অথবা “যখনই জ্বর ও ব্যাথা তখনই-Tylenol” এই জাতীয় বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে বা “জ্বর হওয়া মানেই অসুস্থ হওয়া তাই এই জ্বর অবশ্যই কমাতে বা বন্ধ করতে হবে”- এই জাতীয় মতবাদে বিশ্বাসী হয়ে আমরা বুঝে না বুঝেই আমাদের শরীরের ন্যাচারাল Immune system কে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে চলেছি।

আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক Hippocrates, অনেক আগে প্রায় 400 B.C. সময়কালের মানুষ ছিলেন। তিনি জ্বরের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে আমাদের শরীরের চারটি উপাদান বা ধাতু (Humors), যথাঃ কালো পিত্ত, হলুদ পিত্ত, রক্ত ও শ্লেষ্মা বা কফ (Black bile, Yellow bile, Blood, and Phlegm) যদি অতিরিক্ত তৈরি হয় তাহলে আমরা রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ি। Hippocrates এর মত অনুযায়ী- জ্বর এই অপরিশোধিত Humors গুলিকে পরিশোধন করে আমাদের সুস্থ করে। পরে জার্মান কোম্পানি Bayer ১৮৯৯ সালে Aspirin আবিষ্কার করে।

চিকিৎসা শাস্ত্রের দীর্ঘ ইতিহাসে জ্বর আশীর্বাদ হয়েই ছিল, কিন্তু এখন হঠাৎ করেই কেন যেন জ্বর হলে আমরা জ্বরের চিকিৎসা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি। এখন কেন যেন “আজ জ্বর এলে দুটি Aspirin ট্যাবলেট খাও, আর কাল সকালেই সুস্থ হয়ে হাসি খুশি জীবনে ফিরে যাও” –এই মতবাদ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

অবশেষে এটাই বলা চলে, শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে, চারিপাশে এত এত ব্যাকটেরিয়া আর ভাইরাসের সমুদ্রের মধ্যে বাস করে এত Aspirin, Antibiotic, Antipyretics ট্যাবলেট দিয়ে কতদিন আমাদের জীবাণু বিরোধী যুদ্ধ চলতে থাকবে, যেখানে জীবাণু প্রতিনিয়ত তাদের Mutation করে বা ধরন পরিবর্তন করে নতুন ভাবে আমাদের আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে? এবার অন্তত আমাদের Hippocrates এর কথা হয়ত মেনে চলার সময় এসেছে……।

Source: https://www.thedailybeast.com/let-it-burn-why-you-should-let-fevers-run-their-course?
মো. ইমরান খান

মো. ইমরান খান

ট্রেইনিং এন্ড রিসার্চ কো-অর্ডিনেটর, DRHF (Dr. Rahim Homeopathy Foundation)
Email: imran.drhf@gmail.com

Related Posts

ব্যবস্থাপত্র-কৌশল

by homeodigest
January 9, 2021
0
155

ভাষান্তর: ডা. মো. শাফায়াত হোসেন: [আজকের লেখার শুরুতেই দুটি কথাঃ এই প্রবন্ধটি অনুবাদ ও সংকলন করেছিলেন আমাদের সবার প্রিয় ডাঃ মোঃ শাফায়েত হোসেন (BHMS)। তিনি বিশুদ্ধ...

হোমিওপ্যাথি অধ্যয়নের সূচনা

by ডা. মো: মোয়াজ্জেম হোসেন
January 7, 2021
0
140

(দ্বিতীয় অধ্যায়) [এটি HERBERT A. ROBERTS, M.D. এর অমূল্য গ্রন্থ “Principles and Art of Cure by Homoeopathy” এর দ্বিতীয় অধ্যায় ‘Introduction to the study of homœopathy’...

যুব সমাজকে হোমিওপ্যাথি কী দিতে পারে?

by ডা. মো: মোয়াজ্জেম হোসেন
November 18, 2020
0
208

[এটি HERBERT A. ROBERTS, M.D. এর অমূল্য গ্রন্থ “Principles and Art of Cure by Homoeopathy” এর প্রথম অধ্যায়টির অনুবাদ। হোমিওপ্যাথিক দর্শনের ক্ষেত্রে এই গ্রন্থের গুরুত্ব, অনন্যতা...

কেন এলোপ্যাথিক চিকিৎসকগণ হোমিওপ্যাথিকে পেশা হিসাবে বেছে নেন?

by sayeed
September 20, 2020
0
188

মূল লেখক: ডা. মুহাম্মদ রফিক, কেরালা অনুবাদ: ডা. স্বরূপ গুপ্ত এখানে কেরালাতে, প্রায়শই আমরা আমাদের মডার্ন চিকিৎসাবিদ্যায় প্রশিক্ষিত বন্ধুদেরকে (অবশ্যই সবাই নয়) সোস্যাল মিডিয়াতে হোমিওপ্যাথিকে নিয়ে...

কেইস-টেকিংয়ের ক্ষেত্রে ডা. বোগারের বিশেষ পরামর্শ

by sayeed
July 29, 2020
0
299

অনুবাদ: ডা. শাহীন মাহমুদ: [এটি ডা. সাইরাস ম্যাক্সওয়েল বোগারের “A SYNOPTIC KEY OF THE MATERIA MEDICA” গ্রন্থটির “FOREWORD” অংশটুকুর সরাসরি অনুবাদ। উল্লেখ অংশটিতে কেইস-টেকিংয়ে লক্ষণের গুরুত্ব, ...

Discussion about this post

Subscribe Us

Join 118 other subscribers

CATEGORIES

  • অনুবাদ
  • আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  • ইন্টারভিউ
  • ঔষধ পরিচিতি
  • কেস রেকর্ডস
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • বায়োগ্রাফি
  • বুক রিভিউ
  • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
  • রিসার্চ রিভিউ
  • হোমিও সংবাদ

RECOMMENDED

প্রবন্ধ

মায়াজমের দর্শন-চিন্তা (পর্ব-৫)

April 29, 2020
বায়োগ্রাফি

বর্তমান সময়ের বিশ্বখ্যাত ও আধুনিক ধারার হোমিওপ্যাথ ফ্রানস ভেরমেউলেন

May 2, 2020

TAGS

biography Corona in homeopathy Corona in Repertory homeodigest Homeopathic remedy of Corona Homeopathic treatment of Influenza Homeopathy Phase of Corona Remedy Selection for Corona Remedy Selection for COVID-19 Repertorial analysis of Corona Repertorial Introduction for Corona Repertorial Introduction for COVID-19 Repertory about Pneumonia Repertory of Corona Repertory of COVID-19 Repertory of Influenza Rubrics about Corona Rubrics about COVID-19 Rubrics of Corona Stage-wise Symptoms of Corona Symptoms of Corona অর্গানন করোনা ভাইরাস করোনাভাইরাস কেস রেকর্ডস চিকিৎসক চিকিৎসা ডাক্তার মায়াজম মায়াজমের দর্শন-চিন্তা মেটেরিয়া মেটিকা হোমিও হোমিও ওষুধ হোমিও ঔষধ হোমিও চিকিৎসক হোমিও চিকিৎসা হোমিওডাইজেস্ট হোমিও ডাক্তার হোমিওপ্যাথ হোমিওপ্যাথ বুক রিভিউ হোমিওপ্যাথি হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

বাংলাদেশের প্রথম আদর্শিক অনলাইন হোমিওপ্যাথিক প্লাটফর্ম। হোমিও বিষয়ক সংবাদ, প্রবন্ধ, কেস রেকর্ডস, কেস স্টাডি, বুকস রিভিউ, ইন্টারভিউ, বায়োগ্রাফিসহ বিভিন্ন বিষয়ের লেখার এক সমৃদ্ধ ভান্ডার। এছাড়াও স্টুডেন্টদের জন্য রয়েছে বিশেষ সাজেশন্স।
contact@homeodigest.com

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.

No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.