সংকলন: ডা. পি. গুপ্ত:
প্রজেক্ট: ওয়াটার রিসার্চ ল্যাবরেটরি (Water Research Laboratory, WRL)
Water Research Lab (WRL) হচ্ছে HRI এর মৌলিক রিসার্চ প্রজেক্টগুলোর একটি। এই গবেষণার লক্ষ্য পরীক্ষণমূলক প্রযুক্তি ও কৌশলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যবহারের মাধ্যমে পানির ভৌতকাঠামোগত বৈশিষ্ট্যকে সুস্পষ্টরূপে আবিষ্কার করা।
গবেষণা থেকে প্রত্যাশিত ফলাফলের একটি ব্যাপক বিস্তৃত সম্ভাবনাময় কার্যকারিতা রয়েছে কিন্তু HRI (Homeopathy Research Institute) এর তাতে কো-ফান্ডিং করার কারণ হচ্ছে- পাঁচ বৎসরের এই রিসার্চ প্রোগ্রামে হোমিওপ্যাথিক ঔষধগুলোর কর্মপ্রক্রিয়াকে হয়তো আবিষ্কার করা সম্ভব হবে।
Near-Infrared spectroscopy, Nuclear-Magnetic Resonance, Conductivity measurements ও Mass-spectrometry এর মতো প্রযুক্তি ও কৌশলগুলোকে পানির ভৌতকাঠামোর পদার্থবিদ্যাগত বৈশিষ্ট্য অনুসন্ধানে ব্যবহার করা হবে, যা সম্ভবত আমাদের জানাবে- কিভাবে হোমিওপ্যাথিক (এভোগ্রাডো সংখ্যার উপরের) উচ্চশক্তিগুলো তথ্যকে ধারণ করে এবং বায়োলজিক্যালি সক্রিয় থাকে।
বিভিন্ন প্রযুক্ত ও কলা-কৌশলে আন্তর্জাতিক মানের এক্সপার্টদের সমন্বয়ে গঠিত এই গবেষণা টিমটি – Dr. Alexander Tournier কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। ৫ বৎসর প্রত্যাশিত সময়ের এই গবেষণাটি ২০১৮ সালের জুন মাসে অফিসিয়ালি শুরু করা হয়েছে এবং এখনো চলমান রয়েছে, এবং যার পরীক্ষাগার জার্মানির হাইডেলবার্গে অবস্থিত।
লিড রিসার্চার Alexander Tournier BSc DIC MASt Cantab PhD লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে পড়াশুনা করেন এবং তাত্বিক পদার্থবিদ্যা স্টাডি করেন ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজে। তিনি জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব হাইডেলবার্গ থেকে ‘The biophysics of water-protein interactions’ বিষয়ের উপর পিএইডি সম্পন্ন করেন। বিগত ১০ বৎসর যাবৎ, তিনি ম্যাথমেটিক্স, ফিজিক্স ও বায়োলজি শাখার বিভিন্ন পরস্পর-সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে গবেষণা করে আসছেন এবং ইউনাইটেড কিংডমে ক্যান্সার গবেষণার একজন মুক্ত গবেষক হিসাবে কাজ করছেন (5th institute worldwide for molecular biology)।
গবেষণাটির গুরুত্ব সম্বন্ধে তিনি বলেন,
“Confirming the existence of structured phase of water would have considerable ramifications not only for homeopathy, but could also lead to completely novel therapeutic and diagnostic techniques.”
বা, “পানির কাঠামোগত পর্যায়ের অস্তিত্ব নিশ্চিত হলে তা কেবল হোমিওপ্যাথির জন্যই উল্লেখযোগ্য ফলাফল বয়ে আনবে না, হয়তো সম্পূর্ণ নতুন রোগনির্ণয় ও চিকিৎসাপদ্ধতিগত কৌশলের দিকেও আমাদের নিয়ে যেতে পারে।”