এটি ভেটেরিনারি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডা. মাসুদুর রহমান গবাদি পশুর চিকিৎসার ব্যাপারে বাস্তব প্রয়োগকৃত তার নিজের যে অভিজ্ঞতা, তা তার নিজের ভাষায়ই এখানে শেয়ার করছি-
নিজের হোমিও চিকিৎসা জ্ঞান যা এতদিন মানুষের জন্য ব্যবহার করতাম- তা এখন গবাদি পশুর সেবায় ব্যবহার করতে শুরু করলাম। ফলাফল চিকিৎসা ব্যয় কমে এল, দুধ বৃদ্ধি পেল, গরুগুলোর স্বাস্থ্য অটুট থাকছে। যা ব্যবহার করেছি-
(১) জিংকের বিকল্প চায়না / আর্টিকা ইউরেন্স মাদার টিংচার ১০ মিলি প্রতি গাভী প্রতিদিন ১ বার। এটা গাভীর দুধ দোহানোর কারনে ভগ্ন স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করছে।
(২) ক্যালসিয়ামের পরিবর্তে বায়োকেমিক ক্যালকেরিয়া ফস ১২ এক্স ৪০/৫০ টি ট্যাবলেট সামান্য গরম পানিতে গুলিয়ে ৩ দিনে একবার।
(৩) লিভার টনিকের বদলে চেলিডোনিয়াম মাদার টিংচার ১০ মিলি সপ্তাহে ১ বার।
(৪) হিটে আনার জন্য পালসেটিলা মাদার অথবা জনোসিয়া অশোকা মাদার ১০ মিলি সপ্তাহে ২ বার।
(৫) বাছুরের নিউমোনিয়া লক্ষণে রাসটক্স ২০০ জেলসিমিয়াম ২০০ এন্টিম টার্ট ২০০ সাথে জাস্টিশিয়া পেটেন্ট।
(৬) ডায়রিয়ায় চায়না ২০০ সাথে ডায়ডিজ সিরাপ।
(৭) আমাশয়ে মার্কসল ২০০ সাথে ডায়ডিজ।
(৮) ম্যাস্টাইটিসে মার্কসল ২০০।
(৯) খুরা হলে রাসটক্স ২০০/ মার্কসল ২০০ সাথে ক্যালেন্ডুলা টিংচার গরম পানিতে মিশিয়ে পা ও জিহবা ধুয়ে দেওয়া। প্রতিষেধক হিসেবে থুজা ১০০০ অথবা ভেরিওলিনাম ২০০ তিনদিন সকালে।
(১০) ডেলিভারীর জন্য আর্নিকা ২০০, পালসেটিলা ২০০ ম্যাগফস ১২ এক্স ভালো ফল দিচ্ছে।
(১১) গর্ভফুলে বিলম্ব হলে আর্নিকা ২০০ ভালো কাজ করছে।
এখন আমার ফার্মে ৮ টি সুস্থ সবল গাভী, ৪ টি বাছুর। সবগুলোই সুস্থ আছে।
Discussion about this post