[লেখকের কথা: কার্সিনোসিন ওষুধটি বর্তমান যুগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার্সিনোসিন ওষুধটি ভালো করে বুঝলে অনেক গুলি ওষুধের জ্ঞান বোঝা সম্ভব হবে। আমি বই পড়ে ওষুধটি শিখিনি বরং বলা যায় ডা. তপন কাঞ্জিলালের চেম্বারে বসে শিখেছি। সুতরাং এই লেখায় যা কিছু ভাল সবই স্যারের। আমি তাঁর শিক্ষাকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। সেইসাথে বিশেষভাবে উল্লেখ্য, আমার এই লেখাটি আমার শ্রদ্ধাস্পদ গুরু ডা. তপন কাঞ্জিলাল (B.M.S.) ও ডা. বিভা কাঞ্জিলালের (D.M.S.) রচিত ‘On Nosode Carcinosin: Prophylaxis Defending Homoeopathy’ গ্রন্থটি অনুসরণে বিবৃত।]
Task – Excessive shyness in children who do not know how to defend themselves along with consequential irritability. Fastidious.
Shyness – Mind, timidity, bashful (লাজুক) (page –89) Def. Shyness is the feeling of apprehension, lack of comfort or awkwardness, especially when a person is around other people.
লাজুকতার স়ংজ্ঞা থেকে পেলাম রোগীটি লাজুক তার সঙ্গে আশঙ্কা (এক প্রকার ভয়), অস্বস্তি বা হতবুদ্ধিকর অবস্থার কথা বলা হয়েছে। ভয় যখন আছে তখন অবশ্যই সোরা। লেখকদ্বয় বলছেন এত লজ্জা পায় যে কোন অস্বস্তিকর অবস্থা হলেও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না। এমনকি মনে মনে রেগে গেলেও মুখ ফুটে কিছু কাউকে বলে না। এই লক্ষণ বাচ্চাদের মধ্যে বেশি পাওয়া যায় তবে মেয়েদের অধিক।
Fastidious নিয়ে আলোচনা করার আগে গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোচনা সংক্ষেপে সেরে নিতে হবে। কারণ এই আলোচনাটি নবীন চিকিৎসকদের মনে বিশেষ ভাবনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে।
হোমিওপ্যাথি জগতে Practice of medicine (POM) ও Pathology (PAT) নিয়ে দুই প্রকার ধারণা প্রবাহমান। প্রশ্ন হচ্ছে নবীন চিকিৎসকেরা কোন স্রোতে সাঁতার কাটবেন?
(১) একদল চিকিৎসক মনে করেন POM & PAT এর কোন প্রয়োজন নাই ওষুধ নির্বাচনে। অন্ততপক্ষে যারা ডা. কেন্টের দর্শন পড়েছেন তারা মনে করেন PAT এর উপর ভিত্তি করে ওষুধ নির্বাচন কখনোই Classical Homoeopathy হতে পারে না। আপনারা দেখেছেন ডা. কেন্ট তাঁর মেটিরিয়ায় বহু জায়গায় PAT এর মুন্ডপাত করেছেন। আবার সেই ডা. কেন্ট অরাম মেটালিকামের শেষ অনুচ্ছেদের ঠিক আগের অনুচ্ছেদে বেশ জোর গলায় বলছেন,
“Study your pathology with these things in mind and you will be able to perceive the nature of sickness and its results. These things are not mere observation, whims and theories, but are the outcome of studying things from internal to external.”
বন্ধুদের অনুরোধ করছি আপনারা আরাম মেট ভালো করে পড়ুন তারপর ভাবুন কোন কেন্টকে গ্রহণ অথবা বর্জন করবেন?
(২) একদল চিকিৎসক বলেন POM & PAT এর দ্বারা রোগীর সাধারণ লক্ষণগুলি আলাদা করে নিতে হবে। তাহলে বাকি বিশেষ অদ্ভুত লক্ষণ দিয়ে সহজেই ওষুধ নির্বাচন করতে পারবো। তাহলে আমরা কী একটি পরিবর্তনশীল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে চলবো? তাহলে বন্ধু, POM এবং PAT মানে কী শুধুই সাধারণ লক্ষণ? আচ্ছা, আমরা যদি হোমিও দৃষ্টিভঙ্গিতে POM ও PAT কে দেখি তাহলে কেমন হয়? আমাদের একটু সাহসী হলে কী খুব দোষের হবে? আচ্ছা POM (PAT এর উত্তর স্বয়ং ডা. কেন্ট দিয়েছেন) – এ কোন অদ্ভুত লক্ষণ কী নেই? আসুন আমার সাহসী বন্ধুরা, একটু বিপরীত স্রোতে সাঁতার কাটা যাক।
আমাদের বহুল পরিচিত OCD (Obsessive compulsive disorder) সম্পর্কে আমি সহজভাবে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করবো।
OCD – Fastidious লক্ষণটিকে আমরা বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এই লক্ষণটি OCD এর অন্তর্গত। তাহলে বন্ধু এটি POM এ আছে বলে সাধারণ লক্ষণ বলে বাদ দেব? বাদ দিলে কিন্তু মারাত্মক ভুল হবে। এটি অদ্ভুত লক্ষণ এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যসূচক লক্ষণ। তাহলে বন্ধু POM – তে অদ্ভুত লক্ষণের সন্ধান পাওয়া গেল।
(ক) Obsession – কোন চিন্তা অনিচ্ছা সত্ত্বেও করতে হচ্ছে কিন্তু মন থেকে দূর করা যাচ্ছে না। কাজের মানুষটি থালা ধুয়ে গেছেন কিন্তু তার মনে হলো বাসনটি ভালো ধোয়া হয়নি। ভালো করে না ধোওয়া হলে রোগ হতে পারে। তাহলে ভয় যখন আছে এই ভাবনার অংশটি অবশ্যই সোরা। সোরা পরিবর্তনশীল। কিন্তু এই চিন্তা কিছুতেই দূর হচ্ছে না । চেষ্টা করেও কিছুতেই মন থেকে দূর করা যাচ্ছে না অর্থাৎ মনে পেরেকের মতো গেঁথে আছে। গেঁথে থাকা বৈশিষ্ট্যকে Fixity Or Persistency বলে আর এটাই সাইকোসিসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এটি কী সাধারণ (POM – এ আছে বলে?) লক্ষণ? তাহলে Obsession = Psora + Sycosis.
তাহলে বন্ধু গেঁথে থাকা চিন্তা দূর হবে কেমন করে?
(খ) Compulsion – চিন্তা দূর হবার উপায়। দেখবেন রোগী বলেন কারো কাজ তার পছন্দ হয় না। মনে হচ্ছে বাসন ভালো করে ধোওয়া হয়নি আসলে এটা তার বদ্ধমূল ধারণা (Fixed idea – Sycosis) । তাহলে চিন্তা দূর করতে বাসনটি নিজ হাতে ধুতেই হবে। এই বাধ্য হওয়াকে Compulsion বলে। বারবার কোন অপ্রয়োজনীয় যুক্তিহীন কাজ যথা, বারেবারে হাত ধোওয়া, বারবার টাকা গোনা, বারবার কাঁধ নাড়ানো, বারবার তালা পরীক্ষা ইত্যাদি।
এই অংশটি সম্পূর্ণভাবে সাইকোসিস। আমার আলোচনা থেকে আশাকরি এই লক্ষণটিতে সাইকোসিসের প্রাধান্য বুঝতে পারা গেছে। একবারও কি আপনাদের মনে হয়েছে এটি সাধারণ লক্ষণ।
Task – Fastidiousness or Tidy, Squeamish, Wants Everything In Perfect Order (Anacardium orientale, Arsenicum album, Graphites, Nux vomica.) upto the extent that if anybody, even his own baby, sits on the bed when ready for sleep, will clear the bed again. He may be as dirty as sulphur even. (Part — 1)
এই রুব্রিকটির মধ্যে Obsession ও Compulsion দুইটি আবেগ পাবেন যা আগেই আলোচনা করেছি। এই দুটি রুব্রিকের ক্ষেত্রে সাইকোসিসের প্রভাব বোঝা যায়।
সোরা এখানে সক্রিয় অবস্থায় থাকে। সামান্য নো়ংরা বা অগোছালো দেখলেই উত্তেজিত হয়। উত্তেজনা স়ংবেদনশীলতার জন্য হয় সুতরাং সোরা। এই রুব্রিকটি তাহলে সোরা ও সাইকোসিসের মিশ্রণে হয়েছে। আমরা বর্তমান সময়কে Mixed Miasm -এর যুগ বলি। কিন্তু মায়াজমের মিশ্রণ বলতে ঠিক কী বোঝায়- সে সম্পর্কে কোন লেখা আমার চোখে পড়েনি জে. এইচ. অ্যালেন বাদে। আমি যা বুঝি সেটাই বলছি। লক্ষণ একটি মায়াজমের হতে পারে। এই লক্ষণ চেনা খুব সহজ। তাহলে একই রোগীর মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে তারা বর্তমান। কিন্তু সমস্যা হয় যখন একাধিক মায়াজম দিয়ে একটি লক্ষণ তৈরি হয়। এর সমাধানের জন্য বিভিন্ন নতুন ধরনের মায়াজম সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু দুঃখের বিষয় এই সব মায়াজমের মৌলিক উপাদান সোরা – সিফিলিস- সাইকোসিসকে চিহ্নিত না করে, এই সব বইতে অনেক পান্ডিত্যপূর্ণ কথা থাকলেও- আমি একসময় বেশ বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। তাই মিশ্র মায়াজমের মধ্যে মৌলিক মায়াজমকে চেনার ক্ষুদ্রতম প্রয়াস। আপনাদের কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই দেবেন। মিশ্রণ কীভাবে হয় সেটা না বুঝলে মনে হয় সঠিক চিকিৎসা করা বেশ মুশকিল। আমি পন্ডিত নই তাই সহজভাবে যা বুঝি তাই বলছি। সবই রোগী পর্যবেক্ষণ করে পাওয়া।
লেখকদ্বয় এখানে Fastidious বা খুঁতখুঁতে রুব্রিকটিকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করার জন্য বিভিন্ন শব্দ বা বাক্য গঠন করেছেন।
Fastidiousness – খুঁতখুঁতে। এটি ডা. কেন্টের রেপার্টরিতে পাবেন — Mind, Fastidious — page –42 + Mind, Rest, cannot, when things are not in proper place — page — 72.
TIDY – পরিছন্ন, পরিপাটি, ছিমছাম, ফিটফাট ইত্যাদি। যখন শব্দগুলোর সঙ্গে অতিরিক্ত শব্দটি যোগ হবে তখন আমরা লক্ষণ হিসেবে গ্রহণ করবো। যথা অতিরিক্ত পরিছন্ন যা সাধারণ মানুষ শুচিবাই বলেন। সুতরাং অতিরিক্ত হলে তবেই আমাদের নজরে পড়ে। “অতিরিক্ত” সাইকোসিসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ল্যাকেসিসে দেখুন – Great loquacity (Keynotes and characteristics with comparison by H. C. Allen. Page — 159 — B Jain publishers.). এখানে Great শব্দটি অতিরিক্ত বোঝাবার জন্য।
Squeamish — খুঁতখুঁতে।
Wants everything in perfect order – Mind, Rest, cannot when things are not in proper place. যারা এরকম নিখুঁত সাজানো পছন্দ করে দেখবেন তার বই বা আলমারিতে কেউ হাত দিলেই ঘরে ঢুকেই বুঝতে পারেন। তিনি রেগে যান বা চিৎকার শুরু করেন কে হাত দিয়েছে? ইত্যাদি। তিনি তখন বাইরে থেকে এসে বিশ্রাম না নিয়ে বা জামাকাপড় না খুলে সাজাতে শুরু করে। আর এটাই তো অসঙ্গতি। তাই সাইকোসিস।
“Even his own baby, sits on the bed when ready for sleep, will clear the bed again.” এখানে দেখুন এমনকি প্রাণাধিক প্রিয় নিজের সন্তান বসে থাকলেও মনে করে বিছানার ভাঁজ নষ্ট হয়েছে বা বিছানা নোংরা হয়েছে। আর এটাই তো অসঙ্গতি। আবার বিছানা পরিষ্কার (Compulsion) করতে বাধ্য হয়। তারপরে ঘুমায়।
Dirty — কার্সিনোসিনের রোগী সালফারের মতো নোংরা হতে পারে। পরিচ্ছন্নতার অভাব তাই সোরা।
Fastidious বা খুঁতখুঁতে রুব্রিকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানসিক লক্ষণ। খুঁতখুঁতে লক্ষণটি কোন কোন উপায়ে রোগীর কাছ থেকে স়ংগ্রহ করতে হবে? আমাদের তাত্ত্বিক জ্ঞান যতই থাকুক না কেন- রোগীলিপি ভাল না হলে সব ব্যর্থ। আমি যেসব উদাহরণ দিয়েছি তার মর্মার্থ বুঝতে পারলে অন্য উপায়ে বার করা সম্ভব। সোজা কথায়- সৃষ্টিশীলতা। এই কারণেই বলা যায় একজন হোমিওপ্যাথ আসলে শিল্পী।
(১) একটি রোগী দেখছি। তাকে অন্য প্যাথির চিকিৎসকেরা পেস – মেকার বসানোর বিধান দিয়েছেন। সেদিন আমার চেম্বারে ডা. অর্ণব চক্রবর্তী উপস্থিত ছিল। যা পেয়েছি তাতে কার্সিনোসিন দিতে আমার একটু কিন্তু লাগছে। আমি অর্ণবকে বললাম দেখতো কিছু বার করতে পার কিনা? এই কথা শুনে রোগী বলতে লাগলো, “আমি কি আর সারবো না? আমি যদি মরে যাই তাহলে আমার বাচ্চার কী হবে?,” বলে কাঁদতে শুরু করে। আমরা আগেই জানতে পেরেছিলাম ছেলেকে খুব ভালবাসে। সবসময় একসঙ্গে খেতে বসে। এইরকম পরিস্থিতিতে অর্ণব বুদ্ধি করে বললো, “আচ্ছা আপনি ছেলের সঙ্গে খেতে বসেছেন। ছেলের পাতের খাবার না খেতে পারলে আপনি কি খাবেন ?,” রোগী উত্তর দেবার আগেই তার দাদা বললেন, “ডাক্তারবাবু ও কখনোই খাবে না। এমনকি ওর গ্লাসেও জল খাবে না।” এটাই খুঁতখুঁতে।
(২) প্রশ্ন – আপনার জিনিস কেমন গুছিয়ে রাখেন?
উত্তর — যদি রোগী বলেন আমার জিনিসে কেউ হাত দিলে আমি রেগে যাই। কেউ হাত দিয়ে গুছিয়ে রাখলেও আমি ঠিক ধরে ফেলি। এটাও খুঁতখুঁতে।
(৩) প্রশ্ন — ধরুন ঘুম পেয়েছে। আপনি তখন কি করেন?
উত্তর — যদি রোগী বলেন বিছানাটা আগে টানটান করবো তারপরে ঘুমাবো অথবা বিছানায় ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে তবেই ঘুমাবো। মনে রাখতে হবে বিছানা পরিষ্কার থাকলেও সে এরকম করে। এটাও খুঁতখুঁতে।
(৪) প্রশ্ন — ধরুন খুব ঘুম পেয়েছে শুতে গিয়ে দেখলেন চাদরের একটি কোন সামান্য জড়ানো। আপনি তখন কি করবেন?
উত্তর: যদি রোগী বলেন আগে চাদরের কোনা ঠিক করবো তারপরে ঘুমাবো। এটা খুঁতখুঁতে।
(৫) প্রশ্ন — শুতে গিয়ে দেখলেন মশারীর মাঝখানে সামান্য ঝুলে পড়েছে। আপনি কি করবেন?
উত্তর: যদি রোগী বলেন মশারীর মাঝখানটা টানটান করবো তারপরে ঘুমাবো। এটাও খুঁতখুঁতে।
(৬) পূজার সময় জামা – কাপড় কিনতে গিয়ে পছন্দ হয় না বলে এক দোকান আর এক দোকানে ঘুরে বেড়ায়। প্রচুর সময় নষ্ট হয়। এমনকি বাড়ির লোকজন তার খুঁতখুঁতের জন্য বিরক্ত হয়।
(৭) প্রশ্ন – বাইরের খাবার কেমন পছন্দ করেন?
উত্তর – একদম পছন্দ করি না।
প্রশ্ন – কেন?
উত্তর – আমার ঘেন্না করে। ওরা ঠিক ধোয় না, নাক ঝেড়ে লুঙ্গিতে মোছে ইত্যাদি।
আমি এমন রোগী দেখেছি একুশদিন বেড়াতে গেছেন সঙ্গে মুড়ির বস্তা, চালভাজা, মুড়কি, বাদাম ইত্যাদি। এদের সঙ্গে নিজেদের রান্নার ঠাকুর থাকা সত্ত্বেও। এখানে জানতে হবে কোন ধর্মীয় দীক্ষার জন্য এই ব্যবস্থা কিনা? এই রোগী খুব ঘুরতে ভালোবাসেন। এগুলি সব খুঁতখুঁতে।
(৮) প্রশ্ন — আপনার মেয়ে বা কাজের মেয়ের বাসন মাজা বা ধোয়া আপনার কেমন লাগে?
উত্তর – যদি রোগী বলেন কারো কাজ আমার পছন্দ নয়। আমি নিজে সাবান দিয়ে ভালো করে ধোব তবে শান্তি।
(৯) কৌশলে জানার চেষ্টা করতে হবে বাড়ির কাজের মেয়ে কতদিন টিকে থাকে? এখানে না টেকার কারণ খুঁতখুঁতে হতে পারে।
(১০) অনেক রোগীর হাতে হাজা থাকে। হাজার কারণ জানতে চেয়ে অনেক সময় খুঁতখুঁতে পাওয়া যায়। দেখেছি দিনে ৪ /৫ বার ফিনাইল দিয়ে ঘর মোছে। নিষেধ করলেও শোনে না।
(১১) কোন পুরুষ মানুষের চুল আঁচড়াতে কমপক্ষে আধ ঘণ্টা লাগে। এর জন্য গাড়ি ছেড়ে গেলেও কোন অসুবিধা নাই। একে চুল পরিপাটি করা বলে। এটাও খুঁতখুঁতে।
(১২) দেখবেন কোন কোন রোগী আপনার ব্যবস্থাপত্রটি এত যত্ন করে রেখেছেন মে একটুও ভাঁজ পড়েনি। তিনি খাতার মধ্যে থেকে বার করে দিলেন। এটা অতি যত্নে বা পরিপাটি করে রাখা। এরাও খুঁতখুঁতে হয়।
(১৩) বাড়ির লোকজন খাবার পরে একবার জলে থালা ধুয়ে দিলে তবেই তিনি বাসন মাজতে পারেন। আসলে খাবার পরে ডাল বা ঝোল থালায় থাকে সেটা দেখে ঘেন্না করে তার। এটাও খুঁতখুঁতে।
(১৪) এক রোগী বললেন তিনি পাঁচটা বাজলেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। জানা গেল তিনি রাস্তার সাইনবোর্ড দেখেন। কিন্তু কেন দেখেন? তিনি রাস্তার সাইনবোর্ড খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। সেখানে অনেক ভুল আবিষ্কার করেন। জানা গেল তিনি খুব ভাল আঁকতে পারতেন। সিনথেসিস এখন আমার কাছে নাই। ওখানে সম্ভবত Art, ability for- rubric আছে। একটু দেখে নেবেন। এর সঙ্গে খুঁতখুঁতে যোগ হবে।
(১৫) অনেকে খাতায় লিখতে গেলে অনেক কাটাকুটি করে। এটা ভুলে যাবার জন্য হতে পারে অথবা খুঁতখুঁতে হতে পারে। এরা মনের ভাব প্রকাশ করবার জন্য কোন শব্দটি ঠিক ঠাক হবে সেই কারণে কাটাকুটি করে।
(১৬) অনেকেই দেখবেন খুব ফিটফাট পোশাক পড়েন অর্থাৎ সবসময় ইস্ত্রি করা। এটা অবশ্যই খুঁতখুঁতে। কিন্তু যদি ব্যবসা বা চাকরির জন্য এমন ফিটফাট থাকলে খুঁতখুঁতে হবে না।
সোজা কথায় লক্ষণ সংগ্রহ করতে আমাদের সৃষ্টিশীল হতে হবে। এটাই হোমিওপ্যাথির সর্বোচ্চ কলার অন্তর্গত। এখানে দক্ষতা অর্জন না করতে পারলে কোন তত্ত্বজ্ঞানই কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
Discussion about this post