অনুবাদ: ডা. শাহীন মাহমুদ:
[৫৮ বছর বয়স্ক Jeremy Farrar মেডিক্যাল রিসার্চের সহায়তাকারী বৃহত্তম প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ‘Wellcome Trust’ এর ডিরেক্টর। একজন ক্লিনিক্যাল সায়েন্টিস্ট হিসাবে তিনি ভিয়েতনামের ভয়ানক শ্বাসযন্ত্র-সম্পর্কিত মহামারী SARS এর ব্যাপারে বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করেন। এই সাক্ষাৎকারটি সর্বপ্রথম ফেব্রুয়ারির ৭ তারিখে জার্মানের সাপ্তাহিক সংবাদ-ম্যাগাজিন ‘Der Spiegel’ এ সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়। ইন্টারভিউটিতে রোগ-বিশেষজ্ঞ Jeremy Farrar নভেল করোনাভাইরাসের আশঙ্কাজনক দ্রুত-বিস্তার, ভ্যাকসিন অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে সমস্যা, ইউরোপের শহরগুলোকে চীনের মতো বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হবে কিনা ইত্যাদি ভাইরাস সংক্রান্ত বৃহত্তর ব্যাপারগুলো সম্বন্ধে আলোচনা করেছেন এবং ইন্টারভিউটি Der Spiegel এর পক্ষ থেকে গ্রহণ করেছেন- Veronika Hackenbroch]
DS: Der Spiegel
JF: Jeremy Farrar
DS: বিশ্বায়নের এই সময়টিতে আপনি কয়েক বছর ধরে, পৃথিবীজুড়ে একটি ভয়ানক ভাইরাস অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার ব্যাপারে সতর্ক করে আসছিলেন। আপনার সবচেয়ে খারাপ এই দুঃস্বপ্নটি কি নোভেল করোনাভাইরাসের চেহারায় বাস্তব হয়েছে?
JF: চীনে তো অবশ্যই হয়েছে। নোভেল ভাইরাসটি- এর সাথে সম্বন্ধীয় ভয়ঙ্কর শ্বাসযন্ত্রের আক্রমণ SARS এর চাইতে বহু দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে। SARS ৯ মাসে যা করতে পেরেছিলো- মাত্র কয়েক সপ্তাহে, এটি পৃথিবী জুড়ে তার চাইতেও বেশি মানুষকে এটি সংক্রামিত করেছে এবং এক চীনেই তার চেয়ে বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। ওয়াহুন এবং ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিতে চীনের অন্যান্য অংশেও, জনসমাজগুলো একটি দুঃস্বপ্নময় অবস্থার মধ্য দিয়ে বেঁচে আছে। হাসপাতালে তিল ধারণের ঠাঁই নেই, ডাক্তার ও নার্সগণকে তাদের সাধ্যাতিরিক্ত কাজ করে যেতে হচ্ছে। রোগীদের সাহায্য করতে তারা নিজেদের জীবনকে বাজি রাখছে। আমরা তাদের সকলের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
DS: জার্মানি ও ইউরোপেও কি আমাদের এই হরর–সিনেমার মতো দৃশ্য দেখতে পাবার ঝুঁকি আছে?
JF: আমি মনে করি সবচেয়ে খারাপ যে পরিস্থিতিটা আসতে পারে- তাকে এখনো প্রতিরোধ করা যেতে পারে। কিন্তু এজন্য আগামী কয়েক সপ্তাহ বেশ কঠোর কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে: আমাদের ইমিউন সিস্টেমে এই ভাইরাসটি একটি নতুন, অজানা প্রতিপক্ষ- যে মানুষের মধ্যে অত্যন্ত সংক্রমণক্ষমতাসম্পন্ন। এবং একদম হালকা লক্ষণ থেকে সাংঘাতিক তীব্র লক্ষণ- যে কোন কিছু এটি সৃষ্টি করতে পারে। বৈশিষ্ট্যগুলোর এরকম সমন্বয় এই ভাইরাসটিকে নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ কষ্টসাধ্য করে তুলেছে। এই নতুন ফুসফুস-কেন্দ্রিক রোগটি SARS এর মতো দ্রুত প্রস্থান করবে না।
DS: যতদূর জানা গেছে, চীনের বাইরেও অল্প কিছু কেইস প্রত্যক্ষ করা গেছে।
JF: এ ব্যাপারে, আমাদের চীনের সরকারের ৫০ মিলিয়ন মানুষকে কোয়ারেনটাইন করার মতো চরম পদক্ষেপগুলোর জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতেই হচ্ছে। তবে এটাও হয়তো অবশেষে ভাইরাসকে আটকানোর জন্য যথেষ্ঠ হবে না। তারপরও, যা কিছুই এর বিস্তৃতিকে চীনের বাইরে ছড়াতে বিলম্ব করাবে, এমনকি তা এক সপ্তাহের জন্য হলেও – সেটাই একটি ব্যাপক পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারে । আমরা আক্রমণের সময়টির মধ্যমণিতে আছি। চিকিৎসকদের অফিসগুলো কাশিযুক্ত জ্বরের রোগীতে ভর্তি, হাসপাতাল ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগী নিয়ে মহাব্যস্ত।

DS: কি ধরণের কঠোর সিদ্ধান্ত নেবার প্রয়োজন হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
JF: আমরা হয়তো কোন কোন শহর বা অঞ্চলে অতিরিক্ত কোয়ারেনটাইন নিতে দেখবো। অথবা আকাশপথ, রেলপথ ও সমুদ্রপথে যোগাযোগ কয়েকসপ্তাহ বিঘ্নিত হবে, যা হয়তো বিলিয়ন বিলিয়ন মূল্যের আর্থিক ক্ষতির কারণ হবে। আমরা সংক্রামক রোগ ও মহামারী বিশেষজ্ঞগণ এখানে মানচিত্রে সম্পূর্ণরূপে অচিহ্নিত এলাকাগুলোতে কাজ করছি। না SARS, না Swine flu-তে শহরগুলোকে বিচ্ছিন্ন করা, জন-যানগুলো বন্ধ করা ও বর্তমানে চীনের মতো সমগ্র দেশকে অবধারিতভাবে আলাদা করা হয়েছে। এ ধরণের নির্মম পদক্ষেপ সর্বশেষ গ্রহণ করা হয়েছিলো ১৯১৮ ও ১৯২০ সালের Spanish Flu-এর সংক্রমণকে রোধ করতে, যখন ৫০ মিলিয়নেরও উপরে মানুষ মারা গিয়েছিলো। তথাপি জার্মানি Robert Koch-Institute (the German center for disease control) এবং Charité university hospital গুলোর মতো বিশিষ্ট ইন্সটিটিউশনগুলোর সুবাদে এই মহামারীর বিরুদ্ধে ভালোরকমেই প্রস্তুত। আমাদের মতো, এরাও World Health Organization এর মুখ্য পৃষ্ঠপোষক। তাদের সকলকেই আমাদের সহায়তা প্রয়োজন।
DS: মিউনিখ বা প্যারিসের মতো শহরগুলোকেও কি কোয়ারেনটাইন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবার সম্ভাবনা আছে?
JF: বৃহত্তর পশ্চিমা শহরগুলোর অধিবাসীগণ অন্যান্য শহরগুলোর সাথে কয়েক সপ্তাহব্যাপী বিচ্ছিন্নতা রক্ষা করতে পারবে কিনা- তা নিয়ে সন্দেহ আছে। এ ধরণের নির্মম পদক্ষেপ জনসমাজে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। যদি সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিটি বাস্তবেই দৃশ্যমান হয়, মানুষজন হয়তো স্বেচ্ছাপ্রণোদিতভাবেই নিজের ঘরে থাকতে চাইবে। কিন্তু এই স্বেচ্ছাপ্রণোদিত উপায়টি কার্যকর করতে, রাজনীতিবিদ ও জনস্বাস্থ্য এক্সপার্টদের মানুষজনকে প্রস্তুত করার জন্য- তাদের সাথে এখনই খোলাখুলি, আন্তরিক ও স্বচ্ছ যোগাযোগ শুরু করা উচিৎ। আস্থা রাখাটা প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ- যা সৃষ্টি হতে সময় নেয় কিন্তু নষ্ট হয়ে যায় খুব তারাতারি।
DS: সম্ভাব্য বিশ্ব–সংক্রমণ নিয়ে কি আপনি ব্যক্তিগতভাবে ভীত?
JF: আমার পেশাগত জীবনের বৃহত্তর অংশটি জুড়ে- ২০ বৎসরেরও বেশি সময় বার্ড-ফ্লু, ডেঙ্গু বা ইবোলার মতো রোগগুলো নিয়ে কাজ করেছি। আপনি যে জিনিস সম্বন্ধ অবগত, তা নিয়ে আপনার ভীত হবার প্রবণতা থাকে না। নিঃসন্দেহে আমি চিন্তিত। কিন্তু এটি এমন একটি সময়, যেখানে আপনাকে শান্ত থাকতে হবে এবং যৌক্তিকভাবে কাজ করতে হবে। ভীত হওয়াটি আমাদের বাঁচাতে পারবে না।
DS: নতুন করোনাভাইরাসটি অনিয়ন্ত্রিত হবে কিনা তা নিশ্চিত হতে, পৃথিবীর কোন অংশটি নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াবে– উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলো নাকি দুর্বল স্বাস্থ্যব্যবস্থাযুক্ত উদীয়মান জাতিগুলো?
JF: ঠিক এই ভয়টিই World Health Organization পাচ্ছে। উয়াহুনের মতো একটি খারাপ পরিস্থিতি- এমনকি জার্মানি বা সিঙ্গাপুরের মতো অতি-উন্নত স্বাস্থ্য-ব্যবস্থাতেও একটি ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে এই শীতের সময়টিতে। কিন্তু বাংলাদেশ, ভেনিজুয়েলা বা কিছু আফ্রিকান দেশগুলোর মতো কম-সম্পদশালী দেশগুলোতে একটি সামান্য মহামারীও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে। দরিদ্র দেশগুলোতে যা কিছু প্রয়োজন- নিরাপত্তামূলক উপকরণ, পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপকরণ, ঔষধপত্র ও চিকিৎসা-পরামর্শ – সব দিয়ে সহায়তা করার এটি একটি যুক্তি।
DS: অবস্থাটির পৃথিবীব্যাপী অনিয়ন্ত্রিত হবার প্রথম চিহ্নটি কি হতে পারে?
JF: আমার মতে, আগামী দুই বা তিন সপ্তাহ চীনের বাইরের জনসমাজগুলোতে সংক্রমণ বহাল আছে, এরকমটি দেখতে পাওয়া শুরু করেছি কিনা- তা খেয়াল রাখাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার এক রোগীর একটি রিপোর্ট আছে, যে থাইল্যান্ড গিয়েছিলো কিন্তু চীনে যায়নি বা চীনের কারো সাথে কোন সংস্পর্শেও আসেনি, তারপরও সংক্রামিত হয়েছে। এটি খুবই চিন্তার বিষয়।
DS: চায়নিজ জনগণ বর্তমানে তাদের কর্তৃপক্ষের প্রতি চরমমাত্রায় অবিশ্বাসী হয়ে উঠেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে যে, মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধটি বহু দেরী করে শুরু করা হয়েছে। আসলে কি চলছে?
JF: অভিযোগটিকে আমার বাড়াবাড়ি মনে হয়। ভুলে যাবে না, মহামারীটি ধীর-গতিতে শুরু হয়েছে, তারচেয়েও বড় কথা- এটি হয়েছে চায়নিজ নববর্ষ উৎসবের ঠিক আগ মুহূর্তে। কল্পনা করুন, আপনাদের উৎসবের সময়টিতে একটি বড় মহামারীর প্রাদুর্ভাব। একগুচ্ছ মানুষ একটি অদ্ভূত নিউমোনিয়া নিয়ে বেশ কিছু সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন হাসপাতালে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। আপনি কি মনে করেন, কর্তৃপক্ষ তক্ষুণি একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারতো? আমার হিসাবে, সমালোচনা করা আসলে সহজ। কিন্তু এখন এটি করার সঠিক সময় নয়- এখন সংহতির সময়, বিভেদ ও দোষারোপের নয়। আমাদের এখন কাজ করতে হবে!

DS: পৃথিবীজুড়ে প্রতিরক্ষামূলক দ্রব্যাদির ঘাটতি আছে। কিভাবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এর উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে?
JF: এই প্রতিরক্ষামূলক দ্রব্যগুলোর একটি ব্যাপক পরিমাণ চীনেই প্রস্তুত হয়। এখন এটি পরিষ্কার হচ্ছে যে- যখন বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতকৃত দ্রব্য কেবল একটি দেশ থেকেই আসে, তখন পৃথিবী কতটা অরক্ষিত হয়ে পড়ে। বিশ্ব-অর্থনীতির অবস্থা কেমন দাঁড়াবে- যদি এই মহামারী চীন এবং পৃথিবীজুড়ে কয়েক মাসের বেশি স্থায়ী হয়? আমরা তা একদমই জানি না। এমনকি চীনের এই জরুরি অবস্থা আমাদের স্বাস্থেরও হানি ঘটাতে পারে; উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা যায়, যদি তা জেনেরিক ঔষধ ও ভ্যাকসিনগুলোর উৎপাদনকে হুমকির মুখে ফেলে। যদি এই ভাইরাসের বিস্তার চীনের বাইরে অগ্রসর হয়, প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতে কঠোরতম কোয়ারেনটাইন হয়তো তাকে থামিয়ে রাখতে পারবে। যে সময়ের মধ্যে আমরা একটি নতুন অবস্থায় উপনীত হতে পারবো।
DS: ভ্যাকসিনের একটি ত্বরিৎ–উদ্ভাবন কি ভাইরাসটির বৈশ্বিক বিস্তারকে থামাতে সহযোগিতা করতে পারে?
JF: না, ভ্যাকসিন হয়তো এই কাজটির জন্য অনেক বেশি দেরী হয়ে যাবে। অন্যান্য সংস্থাগুলোর সাথে সাথে, একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা The Coalition for Epidemic Preparedness Innovations (CEPI) – যার ফান্ড সরবরাহ করা হয় German Ministry of Education and Research and the Wellcome Trust থেকে- ভ্যাকসিন প্রস্তুতের জন্য কঠিন শ্রম দিচ্ছে। কিন্তু এতে অন্তত ছয়টি মাস সময় লাগবে। বাস্তবতার দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে, ভ্যাকসিন এই বছরের শেষভাগের আগে বা এক বছরের আগে পাওয়া যাবে না এবং তা হলেও সেটা হবে রেকর্ড-টাইম দ্রুত। ভ্যাকসিন হচ্ছে এমন একটি জিনিস যা আপনি সুস্থ মানুষের শরীরে প্রদান করবেন। এর নিরাপত্তার ব্যাপারে আপনাকে একেবারে পূর্ণমাত্রায় নিশ্চিত হতে হবে। আর কপাল ভালো না হলে, আমরা আদৌ কোন ভ্যাকসিনই প্রস্তুত করতে পারবো না।
DS: তাহলে, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিগুলোর এ ব্যাপারে এত ব্যাপক জোরদার প্রচেষ্টার মানে কি?
JF: ভ্যাকসিন অতি গুরুত্বপূর্ণ হবে, যদি এই নতুন ভাইরাসটি SARS এর মতো চলে না গিয়ে, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতো একটি লাগাতার হুমকি হয়ে থেকে যায়। এমনকি এটাও সম্ভব যে, নোভেল করোনাভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো মৌসুমি না হয়ে সারা বছর ধরেই আবর্তিত হতে থাকবে।
DS: অন্তত এই আশা কি করা যায় যে, এন্টিভাইরাল ঔষধগুলো মারাত্মক অসুস্থদের সাহায্য করতে পারবে?
JF: হ্যা। আবারও বলছি, বেশ কিছু গ্রুপ প্রচণ্ড চাপের মুখে এই ব্যাপারটি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এন্টি-এইচআইভি ঔষধ নিয়ে একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল মধ্য জানুয়ারির দিকে ওয়াহুনে শুরু করা হয়েছিলো এবং এ পর্যন্ত ২০০ রোগীকে এই গবেষণাটিতে অংশগ্রহণের জন্য যোগদান করানো হয়েছে। এই সপ্তাহে, Remdesivir নামে অন্য একটি ঔষধ নিয়ে আরেকটি ট্রায়াল শুরু করা হয়েছে। অন্যান্য উপাদানগুলোও ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে যে- তা এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে কিনা। একদম সম্পূর্ণ নতুন ঔষধ আবিষ্কারের চেষ্টাও করা হচ্ছে। আমাদের এই সব উপায়ই লাগবে, যেখানে এ পর্যন্ত আমরা প্রামাণ্যরূপে 2019-nCoV এর বিরুদ্ধে কাজ করে এরকম কোনকিছু পাইনি। চিকিৎসকগণ কেবল আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণগুলোকে একটু উপশম দিতে পারে এবং মারাত্মক অসুস্থ ব্যক্তিকে Intensive Care Unit সরবরাহ করতে পারে।

Discussion about this post