Monday, January 18, 2021
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

Homeodigest

  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস
No Result
View All Result
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট
No Result
View All Result
Home ফিচার

করোনা চিকিৎসায় আমরা কেন আর্সেনিকামের কথা ভাববো?

May 23, 2020
in ফিচার
7 min read
0
753
SHARES
610
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare via Email

ডা. শাহীন মাহমুদ:

করোনা সংক্রমণের পর থেকেই আর্সেনিকামের এল্বামের ব্যবহার ও প্রয়োগ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এর পক্ষে-বিপক্ষে বহু কথা, যুক্তি, বাদানুবাদ এ পর্যন্ত আমরা দেখতে পাবো। কিন্তু বাস্তবে যে দৃশ্যটি আমরা দেখতে পাচ্ছি, তা হচ্ছে- করোনার চিকিৎসাক্ষেত্রে শুরু থেকেই কম-বেশি, বা রোগীর আরাগ্যকার্যের শুরুতে, মাঝে বা শেষে- কোন না কোন পর্যায়ে আর্সেনিকাম এল্বামের প্রয়োজন হচ্ছে, ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু নিশ্চয়ই তার একটি কারণ আছে, তাই না? সবাই ব্যবহার করে, বা কেউ একজন ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে- এটি কভিড-১৯ এ আর্সেনিকাম ব্যবহারের কোন যুক্তি হতে পারে না; কোন প্রামাণ্য ভিত্তিও নয়। কাজেই কেন, কোথায়, কিভাবে, কোন সাদৃশ্যতার ভিত্তিতে আর্সেনিকাম ব্যবহার হবার সম্ভাবনা, তাতে আলোকপাত করতেই এই লেখাটির অবতারণা।

ভারতের আয়ুশ মন্ত্রণালয়, শুরুতেই আর্সেনিকাম এল্বামকে কভিড-১৯ প্রতিরোধক হিসাবে ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ডও এই সিদ্ধান্তের সাথে একাত্মতাস্বরূপ আমাদের দেশেও প্রতিরোধক হিসাবে গ্রহণ করতে নির্দেশনা প্রদান করেছে। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর অভূতপূর্ব কার্যকারিতাও দেখতে পাচ্ছি। গুজরাটে ২৫২৬ জনের উপর সফল ট্রায়াল, ইসকনে ৩৬ জনের আরোগ্য, এছাড়া বাংলাদেশের বহুস্থানে এমনকি নারায়ণগঞ্জের মতো হটস্পটেও এর প্রতিরোধক শক্তির কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। হ্যা, এসমস্ত ক্ষেত্রেই আমাদের পণ্ডিত, বোদ্ধা ও অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথদের সিদ্ধান্তের উপর আমরা নিঃসন্দেহে আস্থা রাখতে পারি। কিন্তু কোন ব্যাপারকে ঠিকমতো বুঝে না নিলে তাকে যথাযথ অনুসরণও করা যায় না। এ কারণে, কেবল আস্থার উপর নির্ভর না করে এর মর্মটিকে বুঝে নেয়া, এর কোন প্রকারের প্রয়োগযোগ্যতা ও প্রযোজ্যতার ভিত্তিতে এটিকে নির্বাচন করা হচ্ছে, কোথায় কিভাবে প্রয়োগ করতে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে, মোদ্দাকথা কেন এটিকে নির্বাচন করা হচ্ছে- তাকে উপলব্ধি করে নেয়া,  আমাদের চিকিৎসকদের সকলেরই অবশ্য কর্তব্য।

কাজেই, এখন অবধারিতভাবেই আমাদের মনে-মাথায়-মস্তিস্কে একদিকে যেমন এর গুরুত্ব, তাৎপর্য ও প্রয়োজনীয়তাকে উপলব্ধি করতে হবে; অন্যদিকে, এর প্রয়োগযোগ্যতা, সাদৃশ্যতাকে উপলব্ধি করে এর প্রযোজ্যতার ব্যাপারেও ন্যূনতম সতর্কতা হলেও স্মরণে রাখতে হবে। সবাই দিচ্ছে, সবার হচ্ছে- এধরণের রুটিন প্রেসক্রিপশন- আর যাই হোক, হোমিওপ্যাথি নয়। কাজেই, আমাদের অত্যন্ত গভীর মনোযোগের সাথে স্টাডি করে উপলব্ধি করে নিতে হবে, কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীতে আমরা আর্সেনিকামের কথা কেন ভাববো? কোথায় এটি প্রয়োগ করা হোমিওপ্যাথিক হবে? কেন হবে?

প্রথমেই, একটি ব্যাপার বিস্ময়ের সাথেই লক্ষ করতে হয়, বর্তমান সময়ে যে জীবনযাত্রা, মানসিক পরিস্থিতি ও সামাজিক পরিবেশে আমরা অভ্যস্ত বা বাধ্য হচ্ছি, সেটি আসলে কোন চিত্রটিকে প্রতিফলিত করে! এককথায় যদি বলতে যাই, আমরা আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রথমেই আসে স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তাহীনতা; প্রতি মুহূর্তে আছি কভিড-১৯ নামক এক সংক্রমণের আক্রান্ত হবার ভয়ে, ইনফেকশনের ভয়ে, এমন এক রোগে আক্রান্ত হবার ভয়ে- যা অত্যন্ত মারাত্মক ও প্রাণসংহারক, যেটিতে আমাদের ফুসফুস ও হৃদপিণ্ডসহ সমস্ত মৌলিক অঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে; মৃত্যুচিন্তা আজ আমাদের অনুভূতিতে আসন গেঁড়ে বসেছে। যতটা না নিয়মে, তার চেয়ে ভয়েই আমরা হাত ধুচ্ছি বেশি; আজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা প্রায় বাতিকে পরিণত করতে বাধ্য হচ্ছি।

এরপর আসে আমাদের অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা। আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য অনুযায়ী আমাদের সম্পদকে আগলে ধরে রক্ষা করতে চাইছি- আগামীর আসন্ন দুর্দশার চিন্তা করে। ব্যবসা-বানিজ্য, চাকুরি তথা আয়-উপার্জনের চিন্তায় বোধহয় কমবেশি আমরা সবাই আক্রান্ত; আক্রান্ত আসন্ন দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্রতার ভয়ে। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মধ্যে এক প্রকার অলক্ষিত আত্মকেন্দ্রিকতা ও ক্ষেত্রবিশেষে কৃপণতা দেখা দিয়েছে বা দেবে। ইতোমধ্যে আমরা কতটা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছি, তার উদারহণ পাবেন, পত্রিকার বা ভিডিও সংবাদের সামনে বসলেই- অতি ঘনিষ্ঠজনরাও সংক্রমণের ভয়ে পরিত্যাগ করছে তাদের ঘনিষ্ঠজনদের! লাশকে দাফন করার কেউ নেই; অসুস্থ ব্যক্তি রাস্তায় পড়ে আছে, তার কাছে যাবারও কেউ নেই!

আজ আমরা সময় কাটাচ্ছি উদ্বেগযুক্ত এক ভয়কে সঙ্গী করে। অহরহ দুঃসংবাদের ত্রাস- এই বুঝি কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে! এবং যদি শুনতে পাই কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, এবার নিজের মাঝে উদ্রেক হয় ভয়াবহ আতঙ্কের- এরপরেই বুঝি আমার ডাক পড়বে।

এই অনিশ্চয়তা, উদ্বেগ, ভয়, আতঙ্ক, সীমাবদ্ধতা, অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা অবধারিতভাবেই আমাদের মাঝে তৈরি করছে অস্থিরতা, অধৈর্যতা। আমরা অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে আছি- কখন এই দুর্যোগ কাটবে, সুসংবাদ আসবে, ভ্যাকসিন বা ঔষধ আবিষ্কৃত হয়েছে বলে জানতে পাবো। জাতিগতভাবেই আমরা ভুগছি সিদ্ধান্তহীনতায় এবং নৈরাশ্যে। সার্বিকভাবে এই হচ্ছে আমাদের সমাজ, মানব-সম্পদ্রায়ের মানসিক চিত্র।

এবার যদি এগুলোকে রুব্রিকে সাজাই তাহলে কি দেখতে পাবো!

[Mind]Anxiety: Health, about:

[Mind]Fear: Disease, of: Impending: Contagious, epidemic, infection:

[Mind]Fear: Disease, of: Incurable, of being:

[Mind]Anxiety: Fear, with:

[Mind]Fear: Death, of:

[Mind]Fear: Heart (See Anxiety; chest; heart delusions; heart): Disease:Of:

[Mind]Selfishness, egoism:

[Mind]Avarice:

[Mind]Anxiety: Future, about:

[Mind]Finance: Aptitude for:

[Mind]Washing: Always: Hands, her:

[Mind]Fastidious:

[Mind]Fear: Starving, of:

[Mind]Fear: Poverty:

[Mind]Anxiety: Others, for:

[Mind]Fear: Happen: Something will:

[Mind]Fear: Happen: Something will: Family, to, or to him:

[Mind]Impatience:

[Mind]Restlessness, nervousness: Tendency:

[Mind]Rest: Cannot, when things are not in proper place:

[Mind]Irresolution, indecision:

[Mind]Despair:

এটি কভিড-১৯ রোগীর মানসিক অবস্থার রেপার্টরাইজেশন নয়, বা আমি এটাও বলতে চাচ্ছি না যে- বর্তমানের সবাই আর্সেনিকামের রোগীতে পরিণত হয়েছি; আমাদের মাঝে বহুজন ব্যতিক্রম আছে অবশ্যই। এই রুব্রিকগুলো নিয়ে রেপার্টরি করলে ক্যালকেরিয়া সহ আরো কিছু ঔষধ ভালো মার্ক নিয়ে রিপ্রেজেন্ট করতে পারে। কিন্তু  আমি যা দেখাতে চেয়েছি তা হচ্ছে- এই রুব্রিকগুলোর প্রতিটিতেই আর্সেনিকামের উপস্থিতি এবং যার সার্বিক চিত্র, সামগ্রিকভাবে আমাদের মানসিক অবস্থাকে উপস্থাপন করতে সক্ষম। আর মানসিক অবস্থা প্রায় সবসময়ই ঔষধ নির্বাচনের ভিত্তি হিসাবে উপস্থিত হবার সম্ভাবনা থাকে।

প্রচলিত চিকিৎসা-ধারা বেশ কিছু প্রশ্নের ঠিকঠাক উত্তর দিতে সক্ষম নয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, কেন কিছু মানুষকে সংক্রমণটি তীব্রভাবে আক্রমণ করে, আবার কেন কিছু সংখ্যক মানুষের শরীরে ও মনে কোন লক্ষণই প্রকাশ করে না? কেন একজন ১০৩ বৎসরের বৃদ্ধা করোনাকে কাটিয়ে উঠতে পারে, কেন ৩ বৎসরের একটি বাচ্চা শ্বাসকষ্টে মারা যায়? কিন্তু এর উত্তর হোমিওপ্যাথিতে আছে।

মূলত বর্তমান সময়ের আমরা, আজ মায়াজমের প্রাদুর্ভাবে ভারাক্রান্ত। আমাদের মাঝে এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না- যে একাধিক মায়াজমে আক্রান্ত নয়। কিন্তু স্বতন্ত্রতা যেহেতু পৃথিবীর একটি মৌলিক বিধান (Law of Individuality)- কাজেই মায়াজমের তীব্রতা, প্রকাশভঙ্গি, মিশ্রণের অনুপাত ইত্যাদি বিষয়েও আমরা দেখতে পাবো এই স্বতন্ত্রতার বহিঃপ্রকাশ। এবার যদি চলমান মহামারীকে গভীরভাবে বিবেচনা করি, দেখতে পাবো- কভিড-১৯ এমন একটি সংক্রমণ, যার মায়াজমেটিক বৈশিষ্ট্য ক্ষেত্রবিশেষে মায়াজমের তিনটি ধরণেরই বহিঃপ্রকাশকে নিশ্চিত করে।

আমাদের একদল লোকের মাঝে এটি প্রকাশ পাচ্ছে, অত্যন্ত মৃদু লক্ষণ নিয়ে, সামান্য সর্দি-কাশি-গলাব্যথা অথবা কোন উপসর্গবিহীনরূপে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বিবেচনা করলে নিঃসন্দেহে বলা যায়, এই গ্রুপের ব্যক্তিগণ সোরিক বৈশিষ্ট্য সম্বলিত। আবার কারো মাঝে, মাঝারী প্রকারের উপসর্গ প্রকাশ পেয়ে, রোগী ভুগে, কষ্ট পেয়ে অবশেষে তাকে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। হয়তো তার কষ্টগুলো দীর্ঘস্থায়ী ও যন্ত্রণাদায়ক হয়েছে কিন্তু তা আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাককে (Upper Respiratory Track) আক্রান্ত করেই ক্ষান্ত হয়েছে। প্রসঙ্গের ভিন্নতার দরুণ বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাচ্ছি না- তবে সাধারণভাবে ধারণা করা যায়, এরা সাইকোটিক মায়াজমের প্রবণতাযুক্ত। কিন্তু এক গ্রুপ লোক, তা সে যে বয়সেরই হোক, সংক্রমণটির আক্রমণে তারা অতি-দ্রুত প্রাণসংহারক পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়; তাদের ফুসফুসে বাজে প্রকৃতির নিউমোনিয়া হয়, পূযোঁৎপত্তি ঘটে, পালমোনারি থ্রম্বোসিস হয়, রক্তপরিবহনতন্ত্রের (Blood Circulatory System) অন্যান্য স্থানেও থ্রম্বোসিস দেখা দেয় এবং রোগী মৃত্যুবরণ করে। আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুসারে, এদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সিফিলিটিক প্রবণতা প্রবল।

সন্দেহ নেই, গোটা পৃথিবীজুড়ে আমাদের আশঙ্কার ক্ষেত্র এই তৃতীয় গ্রুপের ব্যক্তিদের নিয়েই। এবার যদি আমরা মানসিক এই পরিস্থিতির সাথে, মায়াজমেটিক অবস্থাকে মূল্যায়ন করি- তাহলেই আর্সেনিকামের ব্যবহারের সম্ভাব্যতা ও ক্ষেত্রটি আমাদের চোখে পড়ার কথা। সালফার বা ক্যালকেরিয়া বা অন্য কোন এন্টিসোরিক বা এন্টিসাইকোটিক ঔষধ হয়তো আগের দুই গ্রুপের মাঝে বেশি ব্যবহৃত হতে পারে; কিংবা পুরোপুরি আরোগ্য করতে প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু তৃতীয় এই গ্রুপটির চিকিৎসার কোন না কোন ক্ষেত্রে আমরা আর্সেনিকামের পর্যায় দেখতেই পাবো, বা বাস্তবে যা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

রোগের ভিন্ন ভিন্ন বহিঃপ্রকাশের আরো বহুবিধ কারণ থাকতে পারে, কিন্তু মানুষের রোগের মূল কারণ যেহেতু মায়াজম; কাজেই, এর ভিত্তিতে মৌলিক যে পার্থক্যের সূচনা হয়, আমি এখানে সেটিই তুলে ধরছি। সেই সাথে, এই বিশ্লেষণটিই আসলে ব্যাখ্যা করে, কোন কোন অঞ্চলে ব্রায়োনিয়া (নৈমিনাথ, ইটালি), কোথাও ক্যাম্ফর (ইরান), কোথাও সালফার (দ. আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র) বা কোথাও জেলসিমিয়াম (চিন) কেন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে।

কিন্তু ইন্টারেস্টিং বিষয়টা হলো, এর প্রায় সব জায়গাতেই একটি অংশে কিন্তু আর্সেনিকাম এল্বামের প্রয়োগ করতে হয়েছে। মূলত আর্সেনিকাম এল্বাম এমন একটি গভীর ক্রিয়াসম্পন্ন ঔষধ, যে তার লক্ষণ ও কর্মপরিধিতে তিনটি মায়াজমের বৈশিষ্ট্যকেই ধারণ করে। এজন্য এটিকে Tri-Miasmatic বলা হয়। একারণে, অন্য মায়াজমের প্রাদুর্ভাব যখন আর্সেনিকামের লক্ষণসাদৃশ্যে কষ্টকর উপসর্গগুলো প্রদর্শন করে তখনও আর্সেনিকামের প্রয়োজন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু বিশেষ করে, এর বিধ্বংসী প্রবণতা আমাদেরকে এর সিফিলিটিক বৈশিষ্ট্যের প্রাধান্যের কথাই মনে করিয়ে দেয়। বিভিন্ন মেটেরিয়া মেডিকাতেও আমরা আর্সেনিকাম এলবামের এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যটির কথা উল্লেখ পাবো।

জীবনীশক্তির দুর্বলতার ও ইমিউনিটির অত্যন্ত বাজে অবস্থাতে (সিফিলিটিক) এই ঔষধটির প্রয়োজনীয়তাটির সর্বজনস্বীকৃত। বার বার জীবনীশক্তির দ্রুত অবক্ষয়ের (সিফিলিটিক বৈশিষ্ট্য) কথা আমাদের মেটেরিয়া মেডিকাগুলোতে আলোচিত হয়েছে। যেমন J. P. H. Berjeau ও J. P. H. Frost তাদের ‘The Homoeopathic Treatment Syphilis, Gonorrhoea, etc.’ বইটিতে উল্লেখ করছেন,

‘Rapid sinking of the vital powers prevails.’

W. A. Dewey তাঁর ‘Practical Homeopathic Therapeutics’ গ্রন্থের ‘Intermittent Fever’ চ্যাপ্টারে বলছেন,

‘The collapse of vital power and the marked prostration.  The longer the disease has lasted the more likely will Arsenicum be indicated.’

Dr. E. Petrie hoyle ১৯৩৩ সালের ‘Heal Thyself’ এর ফেব্রুয়ারি মাসের সংখ্যায় (Vol LXVIII No 806) প্রকাশিত তাঁর রচনা ‘How to cure influenza’ এর ‘Influenza’ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আর্সেনিকামের প্রযোজ্যতার প্রসঙ্গটিতে বলছেন,

‘The patients requiring this remedy will have great and sudden prostration and sinking of vital forces, with great mental disturbance, such as anguish, and intense restlessness.’

একই কথার প্রতিধ্বণি আমরা দেখতে পাবো J. Laurie এর ‘The Homoeopathic Domestic Medicine’ গ্রন্থে

‘Arsenicum is also advantageously administered in the majority of cases in an advanced stage of the complaint, if the vital power seems rapidly sinking.’।

যাকে Dr. Boericke  তার ছোট্ট শব্দগুচ্ছ দিয়েই এককথায় প্রকাশ করেছেন-

‘Low Vitality’

অর্থাৎ, যে সমস্ত কেইসে সিফিলিটিক মায়াজমের একটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য, জীবনীশক্তির দ্রুত অবক্ষয় দেখতে পাবো এবং যে মায়াজমের উপস্থিতির দরুণই একটি রোগীতে কভিড-১৯ প্রাণসংহারী রূপ ধারণ করার সুযোগ পায়- সেখানে আর্সেনিকাম এল্বামের কথা আমাদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে।

হোমিওপ্যাথিকভাবে প্রয়োগকৃত অথবা বলা চলে, যে কোন রোগে, হোমিওপ্যাথি থেকে আরোগ্যকৃত রোগীতে উক্ত ঔষধটি তার জীবনীশক্তিকে নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি করে এবং তার ইমিউনিটির বৃদ্ধি ঘটায়। যে ইমিউনিটির কথা আজ বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। এমনকি প্রচলিত চিকিৎসাধারায় কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় তার এই নিজস্ব ইমিউনিটি। হোমিওপ্যাথি কিন্তু এই কথাটি তার উদ্ভবের শুরু থেকেই বলে যাচ্ছে! এবং বরাবর হোমিওপ্যাথি দাবী করে যাচ্ছে যে, ঔষধ নিজে রোগের উপর কোন কাজ করে না। সে মানুষের মৌলিক জীবনীশক্তিকে বৃদ্ধি করে, তার ইমিউনিটিকে বৃদ্ধি করে এমন এক মাত্রায় নিয়ে যায়, যেখানে শরীর নিজেই রোগটিকে আরোগ্য করতে পারে; তার সহজাত আরোগ্যকারী ক্ষমতাই রোগের বিরূদ্ধে জয়ী হয়।

আর্সেনিকাম এল্বামও যখন হোমিওপ্যাথিক্যালি প্রয়োগ করা হবে, ঠিক একই কাজই করবে। এবং যেহেতু সিফিলিটিক বিধ্বংসী প্রবণতার সময়ও এটি তার চমৎকার সক্ষমতা প্রদর্শন করতে সমর্থ হয়, কাজেই এর সেই আরোগ্যক্ষমতা একটি বিস্ময়কর ও লক্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া আমরা বেশ কিছু গবেষণার মাধ্যমেও অন্যান্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সাথে সাথে, আর্সেনিকাম এল্বামেরও জীবনীশক্তি ও ইমিওনিটিকে বৃদ্ধি করার ক্ষমতাটির প্রমাণ সুস্পষ্টভাবেই দেখতে পাবো। যেমন বলা চলে, ‘Cell sensitivity, non-linearity and inverse effects’ গবেষণাকর্মটির কথা [১]।হোমিওপ্যাথিক সমস্ত ঔষধের কার্যক্ষমতা নিয়ে এই গবেষক দলটি ব্যাপক সংখ্যক গবেষণা করেছেন। এবং তারা তাদের গবেষণায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সক্ষমতাকে প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষণাটিতে বিভিন্ন ক্ষেত্র ও অবস্থা উল্লেখ করে অন্তত ২০ টি ঔষধের কর্মক্ষমতার প্রমাণ দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে আর্সেনিকাম এল্বাম রয়েছে অনন্য অবস্থানে। উক্ত গবেষণাপত্রে আরো ১৮২ টি রেফারেন্স দেয়া হয়েছে, যেখানে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের এই ক্ষমতাকে প্রমাণ করে।

এছাড়া উল্লেখ করা যায়, ‘Homeopathic treatment of patients with influenza-like illness during the 2009 A/H1N1 influenza pandemic in India’  গবেষণাপত্রটির কথা [২]; সেখানে অন্য ৪৩ টি হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সাথে ইন্ফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গযুক্ত রোগে আর্সেনিকামের এই সক্ষমতাকে প্রদর্শন করা হয়েছে। কিংবা ‘Effect of individualized homoeopathic treatment in influenza like illness: A multicenter, single blind, randomized, placebo-controlled study’ গবেষণাপত্রটিও [৩] এখানে উল্লেখযোগ্য, যেখানে হোমিওপ্যাথিক অন্যান্য ২০ টি ঔষধের সাথে ইনফ্লুয়েঞ্জাতে আর্সেনিকামের ব্যাপক প্রয়োগযোগ্যতা বিভিন্ন প্রকারের গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এবং এই গবেষণায় আর্সেনিকামই সবচেয়ে বেশিসংখ্যকবার প্রয়োজন হয়েছে বলে দেখা যায়। ২ বৎসরের ফলো-আপকে বিচার-বিশ্লেষণ করে একটি বিস্তৃত গবেষণা ‘Management of early years of simple and mucopurulent chronic bronchitis with pre-defined homeopathic medicines – a Prospective Observational Study with 2-Years Follow- Up’, যেটি মূলত বিভিন্ন সময়ের কেইসগুলোতে রেপার্টরিভিত্তিক বিশ্লেষণ [৪]; এবং তাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান আমরা দেখতে পাবো আর্সেনিকাম এলবামকে (দ্বিতীয় অবস্থান, স্ট্যানাম মেটের পরেই)।

ইনফ্লুয়েঞ্জার বা বর্তমানের কভিড-১৯ এর যে সাধারণ লক্ষণগুলো আছে, সেগুলোকে রেপার্টরি করলে বহু ঔষধই সাধারণভাবে প্রদর্শিত হতে পারে কিন্তু আমরা হোমিওপ্যাথগণ নিশ্চয়ই কেবল সাধারণ লক্ষণের উপর ভিত্তি করে প্রেসক্রিপশন করি না। আমাদের বিবেচনা করতে হয়, রোগের প্যাথফিজিওলজি, এর মায়াজমেটিক প্রবণতা, এর ধ্বংসকারী পরিসীমা, এর সম্ভাব্য গতি-প্রকৃতি ও পরিণতি, এর বিশেষ বৈশিষ্ট্যবাচক চিহ্ন, এটি রোগীতে কি মানসিক অবস্থা সৃষ্টি করেছে ইত্যাদি বিষয়। হোমিওপ্যাথিতে আমরা সেইসমস্ত লক্ষণগুলোকে ব্যবহার করি, যা ব্যক্তির মৌলিক শক্তিস্তরের বিঘ্নতার ইঙ্গিতবাহী এবং স্বতন্ত্র ফিজিওলজিক্যাল প্রতিক্রিয়া বা সেই প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ (লক্ষণ)। আমাদের সেই সমস্ত লক্ষণগুলোকে বিবেচনা করতে হয়, যে লক্ষণাবলী ব্যাক্তিকে স্বতন্ত্র, অনন্য, অন্য সবার চেয়ে ভিন্ন এবং একই সময়ই আমাদের পর্যবেক্ষণে ব্যক্তির সমগ্রতাকে সবচেয়ে ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারে। যে লক্ষণগুলো সমগ্র ব্যক্তিকে প্রভাবিত করেছে, কোন একটি অংশবিশেষমাত্রকে নয়- এবং যাকে আমরা সার্ব-মনোদৈহিক লক্ষণ (General Symptoms) বলি। আমাদের গুরুত্ব দিতে হয় মানসিক লক্ষণাবলীকে (Mental Symptoms)- যা ব্যক্তির বিভিন্ন অবস্থায় তার ব্যক্তিত্বের প্রতিক্রিয়াজনিত প্রকাশভঙ্গি-সংশ্লিষ্ট লক্ষণ। আমাদের গুরুত্ব দিতে হয়- অদ্ভূত, বিশেষ, অনন্য, অসাধারণ লক্ষণগুলোর (Peculiar Symptoms) প্রতি। এবং এর যে কোনটি সাধারণ বা স্থানীয় লক্ষণগুচ্ছের (Common & Particular) তুলনায় হোমিওপ্যাথিক দৃষ্টিকোণ থেকে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। আর উপরে উল্লিখত বর্ণনাটি কভিড-১৯ এর বিভিন্ন আঙ্গিকের সাথে আর্সেনিকাম এল্বামের এই বিষয়গুলোর সাদৃশ্যতাকে প্রদর্শন করে।

সাধারণ লক্ষণগুলোতে আর্সেনিকাম এল্বাম বহুলভাবে রেপার্টরিতে প্রদর্শন করবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সেটি এর আরোগ্যকারী সাদৃশ্যতা নয়- যে সাদৃশ্যতার কথা বহুস্থানে, বহুভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি। কভিড-১৯  এ আক্রান্ত কষ্টকর-উপসর্গযুক্ত বহু রোগীতে কোন না কোন পর্যায়ে উপরে উল্লেখ করা প্রতিটি আঙ্গিকেরই উপস্থিতি আমরা দেখতে পাবো। আর্সেনিকাম এল্বামের যৌক্তিক আরোগ্যকারী সক্ষমতা নিহিত- উল্লিখিত বিভিন্ন আঙ্গিকে কভিড-১৯ এর সাথে এর সমগ্রতার সাদৃশ্যতা (Similarity of Wholeness)। আর সেটি যে তখন আর্সেনিকাম এল্বাম প্রয়োগেরই উপযুক্ত ক্ষেত্র, সে বিষয়ে আর কোন সন্দেহ নেই এবং নিঃসন্দেহে বলা যায়, সেসময় আর্সেনিকামের প্রয়োগই রোগীতে একমাত্র পুনর্জীবন দান করতে পারে। মূলত কভিড-১৯ তে আর্সেনিকাম এল্বামের রোগী যে লক্ষণাবলী বা রোগের যে গতিপ্রকৃতি নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে পারে-

রোগী মানসিকভাবে ব্যাপক অস্থির থাকবে। রোগ নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়বে  এবং খুব শিঘ্রী মারা যাচ্ছে বলে প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে । রোগ ও সংক্রমণ নিয়ে রোগীর মাঝে প্রচণ্ড উদ্বেগ কাজ করে  এবং স্বভাবগতভাবেই রোগীর মাঝে বার বার হাত ধোয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। রোগী প্রচণ্ড শীতকাতর। তবে মাঝে মাঝে তার শীতকাতরতার সাথে গরমভাবও পর্যাবৃত্তিক ভাবে দেখা দিতে পারে। একিউট অবস্থায় অধিকাংশ সময়ই রোগীর প্রচুর পানির পিপাসা থাবে। বিশেষ করে শুকনো গলা ভেজানোর জন্য অল্প অল্প করে বার বার পানি পান করার প্রবণতা থাকবে (কভিড-১৯) এর একটি বৈশিষ্ট্য।  ভয়ানক দুর্বলতা।  তারপরও কোথাও স্থির থাকতে পারে না। এমনকি সামান্য নড়াচড়া করাটাও তার কাছে ব্যাপক কষ্টকর।

রোগী এসময় ভীড় পছন্দ করে না, মানুষের ভীড়ে তার রোগের বৃদ্ধি ঘটে। রোগীর মাথাব্যথা, ও তার সাথে চোখ ব্যথা থাকে। এটি একই সাথে যেমন একিউটের উপর ব্যাপক ক্রিয়া প্রদর্শন করতে পারে- তেমনি এটি গভীর পলিক্রেস্ট ঔষধ। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়, অতীতে বহুবার আমি ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাথমিক অবস্থায় যখন অস্থিরতার সাথে প্রচন্ড দুর্বলতা থাকে ও নাক দিয়ে কাঁচা পানির মতো জ্বালাকর স্রাব হতে থাকে কিন্তু একোনাইটের স্টেইজ থাকে না- আর্সেনিকাম প্রয়োগে ব্যর্থ হতে হয়েছে বলে মনে পড়ে না। সেই সাথে নাক, গলায়ও জ্বালাপোড়া থাকে। নাক বন্ধ থাকে। ঠান্ডায় পানি পানে, ঠান্ডা-বাতাসে, ভেজা আবহাওয়ায় বৃদ্ধি হয়। কিন্তু অন্যদিকে আবার মানুষের প্রতিটি অর্গান ও টিস্যুর উপরও এর কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে। একারণে, রোগীর অকাধিক অর্গান ফেইলিউরের সময়ও এটি ক্রিয়া প্রদর্শন করার সক্ষমতা রাখে। অর্থাৎ একদম শুরুর স্টেইজ থেকে শেষাবস্থা পর্যন্ত রোগীর মাঝে এর সদৃশ লক্ষণ সাপেক্ষে প্রয়োগ করা যেতে পারে।

শ্বাসকষ্ট, রোগী শুয়ে থাকতে পারে না । উঠে বসতেই হয়। কোন কিছুর গন্ধে, হাসলে, উপরে বেয়ে উঠলে, বিছানায় পাশ ফিরলে বৃদ্ধি পায় । কফি খেলে কমে। ঠান্ডা পানি খেলে বা গ্রীষ্মকালের মাঝামাঝিও রোগলক্ষণ বাড়ে। শুকনো কাশির সাথে ভেজা কাশির পর্যাবৃত্তি দেখা দিতে পারে। রাত্রে শুকনো কাশির দরুন উঠে বসতে হয়, পানি খেলে বাড়ে। ফুসফুসে পানিসঞ্চয় বুকে জ্বালাপোড়ার অনুভূতি। কাশির সাথে রক্তমিশ্রিত শ্লেষ্মা। ফুসফুসের পচনপ্রবণতা । ডান ফুসফুসের উপরের একতৃতীয়াংশ অঞ্চলে বিদ্ধকর ব্যথা। বুকে হলদেটে ছোপ দেখা যেতে পারে। নিউমোনিয়ার স্টেইজে গেলে রোগীর মধ্যে কোলাপ্স দেখা দেবার মাত্রা পর্যন্ত যেতে পারে। জীবনীশক্তি তখন সম্পূর্ণ নিঃশেষিত হয়ে যায়।

এছাড়া এই রোগে দ্রুতবর্ধনশীল তীব্র প্রাদাহিক অবস্থা। আচমকা তীব্র প্রতিক্রিয়াযুক্ত উপসর্গ। হঠাৎ করে, দ্রুত জীবনীশক্তির ক্ষয়। আপাতদৃষ্টিতে সঠিক ঔষধ নির্বাচন করার পরও তাতে রোগীর প্রতিক্রিয়াহীনতা। ইত্যাদি ব্যাপারগুলোও আর্সেনিককে ইঙ্গিত করে। সংক্রমণের বাজে অবস্থায় রোগীর মধ্যে ঠাণ্ডা ঘাম, মাথাঘুরানো, ঘরঘরে শ্লেষ্মা এসব প্রত্যক্ষ হতে পারে।

আর এগুলোকে রুব্রিক অনুসারে সাজালে আমরা পাবো-

Anxiety: Health, about:

Delusions, imaginations: Die: Time has come to:

Fear: Disease, of: Impending: Contagious, epidemic, infection:

Washing: Always: Hands, her:

Thirst: Small quantities, for: Often:

Room: Agg.: People, full of:

[Nose] Coryza: Extending to: Chest

[Respiration]Difficult: Lying, while: Agg.:

[Respiration]Difficult: Turning: Bed, in:

[Chest]Edema, pulmonary: 

[Chest]Abscess: Lungs:

তবে কেবল এটুকুতেই এর সক্ষমতাকে আসলে পুরোটা প্রকাশ করা হয় না। এটা এতটাই গভীরক্রিয় ও সক্ষম ঔষধ যে, যেকোন অর্গানে এটি তার ক্রিয়া প্রকাশ করতে পারে। একদিকে এটি যেমন কভিড-১৯ এর আদর্শ অবস্থা, বা ফুসফুসকে আক্রমণ করে প্লুরো বা ব্রঙ্কোনিউমোনিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ক্রমান্বয়ে ফুসফুসে পূঁজসঞ্চয় করে, রোগীর মাঝে সায়ানোসিস সৃষ্টি করে তাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে পারে; তেমনি এটি ক্রিয়া করতে পারে রক্তের উপর, রক্তপরিচলনতন্ত্রের উপর, হৃদপিণ্ডের উপর।

আমরা সাম্প্রতিক সময়ে জানতে পেরেছি, করোনা ভাইরাস রক্তের বিটা চেইনকে ভেঙ্গে ফেলে রক্তের Heme অংশটিকে পৃথক করে মুক্ত Iron  কে Porphyrin এ পরিণত করে এবং করোনা ভাইরাসের গ্লাইকোপ্রোটিন রক্তের RBC এর Heme গ্রুপটির সাথে যুক্ত হয়ে Toxic Oxidative Iron Ion সৃষ্টি করে, যা রক্তে মুক্তভাবে ঘুরে বেড়ায়। যার ফলে, একটি বিশেষ প্যাথফিজিওলজিক্যাল প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। রক্তের আর অক্সিজেন বহন করার সামর্থ্য থাকে না, যা ফুসফুসে থ্রম্বোসিস (Pulmonary Thrombosis) সৃষ্টি করে এবং মৌলিক অঙ্গগুলোর ফেইলিউরের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহের ক্রিয়া নষ্ট করে তাকে মৃত্যুমুখে পতিত করে।[5]

এবার আমরা যদি কেন্টের রেপার্টরিতে ‘Thrombosis’ রুব্রিকটির দিকে তাকাই, তাহলে সেখানে একমাত্র ঔষধ দেখতে পাবো- এই আর্সেনিকাম এল্বাম (পরবর্তী রেপার্টরিগুলোতে আরো কিছু ঔষধ আমরা দেখতে পাবো)। কিংবা যদি রক্তের এই বিশৃঙ্খলার প্রতিনিধিত্বকারী ‘Disorganization of Blood’ রুব্রিকটিকে বিবেচনা করি [6], সেখানে সর্বোচ্চ গ্রেডের ও গুরুত্বপূর্ণ ঔষধগুলোর মধ্যে আমরা আর্সেনিকাম এল্বামকে খুঁজে পাবো।

সত্যিকথা বলতে গেলে, কেবল এই ফুসফুস বা রক্তপরিচালনতন্ত্রই নয়, দেহের যে কোন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গেরই মারাত্মক প্রকারের বাজে অবস্থার সৃষ্টি হলে লক্ষণসাদৃশ্যে আমাদের এই ঔষধটির কথা বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে। আর এ অবস্থাটিকে যে এই ঔষধটি সামাল দিতে পারে, এর সাক্ষ্য দিচ্ছেন ডা. বোরিক তাঁর মেটেরিয়া মেডিকাতে,

Maintains the system under the stress of malignancy regardless of location.

নিঃসন্দেহে বহু সংখ্যক রোগীতে আমরা উক্ত লক্ষণগুচ্ছের উপস্থিতি দেখতে পাবো। ব্যাপক সংখ্যক, বিশেষ করে সিফিলিটিক প্রকৃতির, বিধ্বংসী গতি-প্রকৃতিযুক্ত, দ্রুত জীবনীশক্তি হ্রাসকারী ইনফ্লুয়েঞ্জা বা কভিড-১৯ এর রোগীতে আর্সেনিকামের নির্দিষ্ট মানসিক  ও সার্বদৈহিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী  এর প্রয়োগের মাধ্যমে রোগীকে নিশ্চিতভাবেই আরোগ্য করা সম্ভব হবে, এবং সেখানে অন্য কোন ঔষধই এর বিকল্প হতে পারবে না।  আর উপর্যুক্ত আলোচনাতেই আমরা দেখতে পেয়েছি, কভিড-১৯ বর্তমান সময়ে ঠিক এই বৈশিষ্ট্যগুলোই ধারণ করছে, কাজেই এবার এই মহামারী বা সংক্রমণের চিকিৎসায়, এই ব্যাপারগুলোকে লক্ষ রেখে আমরা আর্সেনিকাম  এল্বামের কথা বিশেষভাবে স্মরণে রাখবো। এই সাদৃশ্যতার (Homeopathicity) দরুণই কভিড-১৯ এর রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে আর্সেনিকাম এল্বামের কথা ভাববো। এবং এই ভাবাটি হবে যুক্তিগ্রাহ্য; হুযুগে ঔষধ প্রয়োগ নয়, সত্যিকারের হোমিওপ্যাথি। আর কেবল তখনই সেটা, হোমিওপ্যাথিক ঔষধ দিয়ে করা আন্তরিক শ্রমটি ‘এলোপ্যাথিক চিকিৎসায়’ পরিণত হবে না।

রেফারেন্স:

১. Bellavite P, Signorini A, Marzotto M, Moratti E, Bonafini C, Olioso D. Cell sensitivity, non-linearity and inverse effects. Homeopathy. 2015 Apr; 104(2):139-60

২. Mathie RT, Baitson ES, Frye J, Nayak C, Manchanda RK, Fisher P. Homeopathic treatment of patients with influenza-like illness during the 2009 A/H1N1 influenza pandemic in India. Homeopathy (2013) 102, 187-192.

৩. Chakraborty PS, Lamba CD, Nayak D, John MD, Sarkar DB et al. Effect of individualized homoeopathic treatment in influenza like illness: A multicenter, single blind, randomized, placebo-controlled study. Indian Journal of Research in Homoeopathy. 7 (1); Jan-Mar 2013.

৪. Gupta J, Rao MP, Raju K, Prasad RVR, Arya JS, Mondal BK et al. Management of early years of simple and mucopurulent chronic bronchitis with pre-defined homeopathic medicines – a Prospective Observational Study with 2-Years Follow- Up; International Journal of High Dilution Research 2019; 18(3-4):47-62.

৫. Post Mortem Results Are Gradually Revealing The Pathophysiology Of Covid 19 Diseases, Prof Sherif Sultan MD, FRCS, FACS, PhD

৬. Pocket Manual of Homeopathic Materia Medica with Repertory – W. Boricke

৭. The Homoeopathic Treatment Syphilis, Gonorrhoea, etc. – J. P. H. Berjeau ও J. P. H. Frost

৮. Practical Homeopathic Therapeutics – W. A. Dewey

৯. Heal Thyself, How to cure influenza, Dr. E. Petrie hoyle, Vol LXVIII No 806

১০. The Homoeopathic Domestic Medicine – J. Laurie

১১. Homeopathic Materia Medica – W. Boericke

Tags: আর্সেনিকামকরোনাহোমিও ঔষধহোমিওডাইজেস্টহোমিওপ্যাথিহোমিওপ্যাথিতে করোনাহোমিওপ্যাথিতে করোনার চিকিৎসা

Related Posts

একই রোগীক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন চিকিৎসকের ভিন্ন ভিন্ন ঔষধ নির্বাচন কতটা অসঙ্গত?

by sayeed
October 22, 2020
0
250

ডা. শাহীন মাহমুদ: হোমিওপ্যাথিক সমাজে একটি বিতর্ক প্রায়শই বিভিন্ন স্থানে আলোচিত হতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয় বহু চিকিৎসককে দুঃখপ্রকাশ ও আবেগঘন কাতরোক্তিও করতে দেখা যায়। অভিযোগটি...

কোভিড-১৯ এর বিচিত্র লক্ষণ হার্ড ইমিউনিটি ও হোমিওপ্যাথিক ভাবনা

by ডা. নূরে আলম রাসেল
July 17, 2020
0
341

ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভাবে  প্রায় সকলের জানা হয়ে গেছে  নোভেল করোনা ভাইরাস কী এবং এর দ্বারা  সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগের লক্ষণ সম্পর্কে। এবার  এই কোভিড-১৯ রোগের  কিছু নতুন...

কভিড-১৯ চিকিৎসা: হোমিওপ্যাথির সাফল্য নাকি বিপর্যয়!

by sayeed
July 7, 2020
0
380

ডা. মাহমুদুল কবির: কোন সন্দেহ নেই – বর্তমানের করোনা দুর্যোগে হোমিওপ্যাথগণ তাদের জীবন হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। বহু কেইসে দুর্দান্ত সাফল্য হোমিওপ্যাথদের চমৎকৃত করছে। নিজেদের ক্ষুদ্র...

Alan V. Schmukler এর নেয়া Dr. Timothy Fior এর সাক্ষাৎকার

by sayeed
June 28, 2020
0
168

[Dr. Timothy Fior  ২৯ বৎসর যাবৎ হোমিওপ্যাথি ও ফ্যামিলি মেডিসিন প্র্যাকটিস করছেন এবং তিনি Illinois Homeopathic Medical Association এর যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক প্র্রেসিডেন্ট এবং বর্তমান ভাইস-প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে...

করোনাভাইরাস আংশিকভাবে ল্যাবে তৈরি!

by sayeed
June 12, 2020
0
232

অনুবাদ: ডা. পি. গুপ্ত Professor Luc Montagnier একজন ফ্রেঞ্চ নোবেল প্রাইজ বিজেতা, যিনি ফ্রেঞ্চ চ্যানেল CNEWS (Canal+ Group) এর একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, কভিড-১৯ আংশিকভাবে ল্যাবে তৈরি। তার...

Next Post

করোনা প্রতিরোধে টাঙ্গাইলে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ বিতরণ

ধাতুগত চিকিৎসায় প্রেসক্রিপশনের ভিত্তি

Homeopathy

ভোপালে হোমিও চিকিৎসায় সুস্থ ৩ করোনা রোগী

Discussion about this post

Subscribe Us

Join 118 other subscribers

CATEGORIES

  • অনুবাদ
  • আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
  • ইন্টারভিউ
  • ঔষধ পরিচিতি
  • কেস রেকর্ডস
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • বায়োগ্রাফি
  • বুক রিভিউ
  • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
  • রিসার্চ রিভিউ
  • হোমিও সংবাদ

RECOMMENDED

প্রবন্ধ

রোগীর চিকিৎসা বা হোমিওপ্যাথি

June 29, 2020
প্রবন্ধ

স্ত্রীপ্রজননতন্ত্রের অসুস্থতা ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা (২য় পর্ব)

August 19, 2020

TAGS

biography Corona in homeopathy Corona in Repertory homeodigest Homeopathic remedy of Corona Homeopathic treatment of Influenza Homeopathy Phase of Corona Remedy Selection for Corona Remedy Selection for COVID-19 Repertorial analysis of Corona Repertorial Introduction for Corona Repertorial Introduction for COVID-19 Repertory about Pneumonia Repertory of Corona Repertory of COVID-19 Repertory of Influenza Rubrics about Corona Rubrics about COVID-19 Rubrics of Corona Stage-wise Symptoms of Corona Symptoms of Corona অর্গানন করোনা ভাইরাস করোনাভাইরাস কেস রেকর্ডস চিকিৎসক চিকিৎসা ডাক্তার মায়াজম মায়াজমের দর্শন-চিন্তা মেটেরিয়া মেটিকা হোমিও হোমিও ওষুধ হোমিও ঔষধ হোমিও চিকিৎসক হোমিও চিকিৎসা হোমিওডাইজেস্ট হোমিও ডাক্তার হোমিওপ্যাথ হোমিওপ্যাথ বুক রিভিউ হোমিওপ্যাথি হোমিওপ্যাথিক হোমিওপ্যাথিক ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
HomeoDigest | হোমিওডাইজেস্ট

বাংলাদেশের প্রথম আদর্শিক অনলাইন হোমিওপ্যাথিক প্লাটফর্ম। হোমিও বিষয়ক সংবাদ, প্রবন্ধ, কেস রেকর্ডস, কেস স্টাডি, বুকস রিভিউ, ইন্টারভিউ, বায়োগ্রাফিসহ বিভিন্ন বিষয়ের লেখার এক সমৃদ্ধ ভান্ডার। এছাড়াও স্টুডেন্টদের জন্য রয়েছে বিশেষ সাজেশন্স।
contact@homeodigest.com

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.

No Result
View All Result
  • হোম
  • প্রবন্ধ
  • ফিচার
  • রিসার্চ রিভিউ
  • বুক রিভিউ
  • অনুবাদ
  • কেস রেকর্ডস
  • স্টুডেন্টস কর্নার
    • DHMS
    • BHMS
    • রেজিস্ট্রেশন
  • ইন্টারভিউ
  • বায়োগ্রাফি
  • করোনা সেল
  • আরও
    • হোমিওডাইজেস্ট চিকিৎসক তালিকা
    • হোমিও সংবাদ
    • ভেটেরিনারি এন্ড এগ্রো
    • ঔষধ পরিচিতি
    • কেস কুইজ
    • টিপস এন্ড সাজেশন
    • ডক্টরস পয়েন্ট
    • রোগীর জিজ্ঞাসা
    • গুরুত্বপূর্ণ লিংকস

Copyright © 2020 - Homeodigest | All Rights Reserved.