অনুবাদ: ডা. পি. গুপ্ত
Professor Luc Montagnier একজন ফ্রেঞ্চ নোবেল প্রাইজ বিজেতা, যিনি ফ্রেঞ্চ চ্যানেল CNEWS (Canal+ Group) এর একটি সাক্ষাৎকারে বলেন যে, কভিড-১৯ আংশিকভাবে ল্যাবে তৈরি। তার গবেষণা প্রমাণ করে যে, এটি এইডস ভাইরাস, তথা HIV এর একটি ক্ষুদ্র সিকোয়েন্সকে ধারণ করে।
২০০৮ সালে ফিজিওলজি বা চিকিৎসাবিদ্যায় নোবেল প্রাইজ বিজেতা Professor Luc Montagnier জোর দাবী করেন- ক্রমান্বয়ে অধিক থেকে অধিকতর গবেষক এই একই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছচ্ছেন যে, করোনাভাইরাস আংশিকভাবে ল্যাবে প্রস্তুত।
সেই সাথে তিনি এটিও বলেন, প্রমাণ ও গবেষণাপত্রগুলো ধামাচাপা দেয়া হচ্ছে; কিন্তু তার সুনাম ও নোবেল-বিজেতা পরিচয়ের জন্য তার উপর কেউ চাপ প্রয়োগ করতে পারছে না।
উল্লেখ্য, এর আগে তিনি তার বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের কার্যকারিতার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে মানুষের ব্যাপক বিস্ময় সৃষ্টি করেন। Luc Montagnier বৈজ্ঞানিক গবেষণার দ্বারা পর্যবেক্ষণ করেন যে, শক্তিকৃত ব্যাকটেরিয়া 5C and 6C পোটেন্সিতে (হোমিওপ্যাথিক শক্তি-একক) ও ভাইরাস DNA সিকোয়েন্স- ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক সিগনাল ((EM) signals) নির্গত করে (নিম্ন ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও-ওয়েভ) এবং নির্দিষ্ট ন্যানো-স্ট্রাকচার গঠন করে, যা ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত টিকে থাকে এবং তা দিয়ে ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক ইফেক্ট পরিমাপ করা যায়। ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক সিগনেচার দ্রবণের পর্যায় (Dilution levels) অনুসারে পরিবর্তিত হয় কিন্তু প্রারম্ভিকভাবে সৃষ্টি হওয়া সংহতির (Concentration) কোন পরিবর্তন হয় না এবং সেটি DNA fragment গুলোকে রাসায়নিক এজেন্টগুলো দিয়ে ধ্বংস করা হলেও টিকে থাকে। কিন্তু ইলেকেট্রো-ম্যাগনেটিক সিগনাল ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উত্তাপে ও -৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস শৈত্যে অনুভূতিপ্রবণ। কেবল তাই নয়, ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক সিগনেচার থেকে কাছাকাছি ধারণ করা বিশুদ্ধ পানিতে ১৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই DNA sequence গুলো নতুন করে সৃষ্টি করা যায়। যেটি বোঝায়, EM signals পানিতে প্রেরণ করা গিয়েছে- যেখানে কোন DNA ছিলো না; এটি DNA এর টেলিপোর্টেশন ক্রিয়াকে প্রদর্শন করে। এবং যে সমস্ত এনজাইম DNA molecules কে কপি করে- তাদের যদি যোগ করা হয়, তারা সেখানে এমন আচরণ করে, যেন সেই পানিতে DNA উপস্থিত আছে এবং সেভাবেই নতুন DNA molecules উৎপন্ন করে। তিনি এই ঘটনাটি ১২ বার পুনঃপরীক্ষণ করে ঘটিয়েছেন। [১]
নোবেল বিজয়ী Luc Montagnier বুদ্ধিবৃত্তিক সন্ত্রাসের হাত থেকে পালাতে পেরেছেন এবং তিনি বর্তমানে চিনের Shanghai Jiaotong University তে ফুল-টাইম অধ্যাপক হিসাবে কাজ করছেন। এই ফ্রেঞ্চ ভাইরোলজিস্ট সাইন্স ম্যাগাজিনের এক সাক্ষাৎকারে হোমিওপ্যাথি সম্বন্ধে বলেছিলেন,
“আমি বলেছি যে, কিছু লোক বেনেভিস্তের কাজকে পুনঃসংঘটন করে দেখিয়েছে (হোমিওপ্যাথি মাত্রাগুলোর ক্রিয়ার মাধ্যমে), কিন্তু যারা এটি বুঝতে পারবে না, সেরকম মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক সন্ত্রাসের দরুণ, তারা (ইউরোপ) তা (হোমিওপ্যাথি) প্রকাশ করতে ভয় পায়।”
“আমি এখন যা বলতে পারি, উচ্চশক্তি সঠিক। কোনকিছুর উচ্চশক্তিতে কিছুই নেই- ব্যাপারটা এরকম নয়। তারা পানির গঠন-কাঠামো, যা প্রকৃত মলিকিউলসকে নকল করে।”
High dilutions of something are not nothing.
তিনি সেই সাক্ষাৎকারটি এই বলে সমাপ্ত করেন,
“এইগুলো (হোমিওপ্যাথি) হচ্ছে বাস্তব ঘটনা, যা আরো গবেষণার দাবী রাখে এবং বেনেভিস্তে হচ্ছেন এসময়ের গ্যালিলিও।” [২]
যাই হোক, এবার আমরা দেখবো এই কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব বর্তমান সময়ের চলমান কভিড-১৯ এর উৎপত্তির ব্যাপারে তার গবেষণার কি ফলাফল প্রকাশ করছেন তার কথায়ই দেখতে যাচ্ছি [৩]–
ইন্টারভিউ ট্রান্সক্রিপ্ট (অনুবাদ):
Host:আপনি বর্তমানে ভাইরাসের উপর কাজ করছেন, আসলে এই ব্যাপারটিই আজকে সকালে আপনার কাছে আমাকে টেনে এনেছে…….
Pr. Montagnier: আমি এর উপর গবেষণা করছি, কিন্তু মূলত তা ল্যাবে নয়- আমি আসলে আমার এক সহকর্মীর সাথে কম্পিউটারে এটা নিয়ে কাজ করছি। আমরা কোন পরীক্ষণ সম্পন্ন করিনি কিন্তু খোদ রোগটি থেকেই আমাদের অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে; সেই মানদণ্ড থেকে- বর্তমানে যা রোগীদের উপর এবং ল্যাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
Host: এবং আপনি কোন একটা সিদ্ধান্তে এসেছেন…
Pr. Montagnier: হ্যা, আমরা সিদ্ধান্তে এসেছি যে, এই ভাইরাসটিকে এক প্রকার কৃত্রিমভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে।
Host: আপনি আসলে কি বোঝাচ্ছেন?
Pr. Montagnier: সত্যি কথা বলতে, পুরোটা নয়- ভাইরাসের অংশবিশেষ কৃত্রিমভাবে তৈরী করা। হ্যা, ভাইরাসটি একটি ক্লাসিক মডেলের মতো- যা বাদুর থেকে এসেছে; কিন্তু এই মডেলের উপরে তারা এইডস ভাইরাস, HIV-এর সিকোয়েন্স যুক্ত করেছে।
Host: “তারা যুক্ত করেছেন” বলে এখানে আপনি কাদেরকে বোঝাতে চাচ্ছেন?
Pr. Montagnier: আচ্ছা, আমি ঠিক জানি না!
Host: ….এবং এটি প্রাকৃতিক নয়….এটাই তো আপনি বোঝাচ্ছেন?
Pr. Montagnier: হ্যা, এটি প্রাকৃতিক নয়। এটি প্রফেশনাল মলিকিউলার বায়োলজিস্টদের ল্যাবরেটরি-কর্ম। খুব নিঁখূত একটি কাজ। আমরা বলতে পারি একদম নির্মাতার কাজ………..
Host: কিন্তু তা কি উদ্দেশ্যে?
Pr. Montagnier: বেশ, কি উদ্দেশ্যে…সেটা অপরিষ্কার। আমার কাজ সত্যকে উৎঘাটন করা। আমি কাউকেই অভিযুক্ত করছি না। আমি জানি না এটি কে করেছে; বা কেন করেছে। সম্ভাবনা আছে, তারা বোধহয় এইডসের বিরুদ্ধে একটি ভ্যাকসিন বানাতে চেয়েছিলো। এজন্য তারা ভাইরাসটির একটি ক্ষুদ্র সিকোয়েন্স নিয়ে নেয় এবং করোনাভাইরাসের বৃহৎ সিকোয়েন্সে যুক্ত করে দেয়।
Host: আপনি যা কিছু বলছেন তা বুঝতে পারছি বলে আমি ঠিক আসলে নিশ্চিত নই,….আপনি বোঝাতে চাচ্ছেন, ভাইরাসটি একটি HIV-এর অংশ?
Pr. Montagnier: আপনি ঠিকই বলেছেন। ভাইরাসটির জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল RNA এর একটি লম্বা ফিতে…… DNA তে যেমনটি হয়, কিন্তু এটি RNA। এই ফিতেটির উপর; এর কোন একটি নির্দিষ্ট স্থানে তারা HIV-এর ক্ষুদ্র সিকোয়েন্সকে রোপণ করেছে। আসলে এইসব সিকোয়েন্স কোন ক্ষেত্রেই ছোট করে দেখার বিষয় নয়; উদাহরণস্বরূপ বলছি, আমরা যাদের এন্টিজেন সাইট বলি- তাকে পরিবর্তন করার সক্ষমতা এদের আছে। এটি বোঝায়, যদি আমরা একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে চাই, আমরা ভ্যাকসিনের প্রোটিন অংশটি অন্য কোন ভাইরাস থেকে নেয়া একটি ক্ষুদ্র সিকোয়েন্সের দ্বারা পরিবর্তন করতে পারি।
Host 2: কিছু জল্পনা শোনা যায় যে, এর উৎপত্তি নাকি মানুষ থেকে- কিন্তু বৈজ্ঞানিক কর্তৃপক্ষের দ্বারা এই দাবী ভুল বলে প্রতিপন্ন হয়েছে।
Pr. Montagnier: এই বিষয়ের উপর গবেষণাকে ধামাচাপা দেবার জন্য একটি শক্তি কাজ করছে। আমরাই প্রথম নয়। ইন্ডিয়ান গবেষকদের একটি বিখ্যাত গ্রুপ একই ফলাফল প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু চাপ প্রয়োগ করে তাদের পিছিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।
Host 2: তারা কিভাবে তাদের বাধ্য করেছে?
Pr. Montagnier: সেটিকে (গবেষণা) বাতিল করা হয়েছিলো। যদি আপনি তাদের গবেষণাটি পরীক্ষা করেন, সেখানে একটি বাতিলকরণ ছাপ্পা দেখতে পাবেন।
Host 2: কিন্তু আপনি এ ব্যাপারে যা দাবী করছেন, বেশিরভাগ বিজ্ঞানীই তার বিপরীত কথা বলছে।
Pr. Montagnier: ক্রমান্বয়ে (বিরোধীতা) কমে যাচ্ছে। স্রেফ এই বছরের শুরুতেই এটি প্রকাশ হয়েছে; এবং ক্রমান্বয়ে অধিক থেকে অধিকতর গবেষণা এটিকে সমর্থন করছে। আমি বয়সের একটি স্তরে পৌঁছেছি এবং একজন নোবেল-বিজেতা, কাজেই আমি মুক্তভাবে কাজ করতে পারি; আমার উপর চাপ প্রয়োগ করতে সমর্থ হবে না।
তথ্যসূত্র:
১. Discussion on Luc Montagnier paper by Society of Homeopaths, Institute of Science in Society, Homeopathy World Community
২. This shows intellectual terror
the so-called science puts up on homeopathy and
homeopaths
Water has a memory
Nobel Prize Winner does homeopathic study; with supportive findings.
Nobel Prize winner reports the effects of homeopathic
dilutions
Luc Montagnier delivered a talk on “Electromagnetic Waves & Water Properties” in UNESCO Headquarter on 8th
Oct 2014
৩. ১৮ই এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে https://ponderwall.com/index.php/2020/04/18/lab-grown-coronavirus/ সাইটিতে প্রকাশিত প্রফেসর মন্টেগনিয়ারের সাক্ষাৎকারের ট্রান্সক্রিপ্ট থেকে অনুবাদকৃত