ডা. শাহীন মাহমুদ:
বর্তমান কভিড-১৯ একটি মারাত্মক সংক্রমণ এবং বিশ্বজুড়ে এর আরোগ্যের জন্য সম্ভাব্য ঔষধগুলো নিয়ে বেশ চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বেশি কিছু চিকিৎসক ইতোমধ্যে কিছু রোগীকে চিকিৎসা করার সুযোগ পেয়েছেন এবং বিভিন্ন গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের দ্বারা আমরা এখন এর প্যাথজেনেসিস, লক্ষণাবলী, জটিলতা ইত্যাদি সম্বন্ধেও কিছুটা ধারণা লাভ করতে পেরেছি। এগুলোর উপর ভিত্তি করে আমি কিছু সংখ্যক সম্ভাব্য ঔষধের চিত্র বর্ণনা করতে চেষ্টা করবো- যেগুলোর সাথে কভিড-১৯ এর চিত্রের সাদৃশ্য দৃষ্ট হয়।
ইতোমধ্যে আমরা সম্ভাব্যে ঔষধের তিন পর্বে আর্সেনিকাম এল্বাম, ফসফরাস, ব্রায়োনিয়া, জেলসিমিয়াম, লাইকোপডিয়াম ও ক্যাম্ফর‘র চিত্র প্রকাশ করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় আজ চতুর্থ পর্বে থাকছে- এন্টিম টার্ট ও গ্রিনডেলিয়া স্কোয়ারোসা।
এন্টিমনিয়াম টার্টারিকাম (ANTIMONIUM TARTARICUM):
Chest Full: Pleuritis or pleuro-pneumonia when serous effusion has commenced; stabbing, cutting pains; frequent respiration; bloody expectoration; high fever; bursting headache, worse on motion and full inspiration:
কি মনে হচ্ছে? আমি কভিড-১৯ এর বাজে অবস্থার লক্ষণের তালিকা দিচ্ছি! না, এটি আসলে Gentry এর রেপার্টতে দেয়া এন্টিম টার্টের একটা রুব্রিক। কেবল এই লক্ষণটিই নয়, এন্টিম টার্ট স্টাডি করতে গিয়ে কভিড-১৯ তীব্র অবস্থার সাথে এর সাদৃশ্য দেখে আমি বেশ আশ্চর্য হয়েছি। মূলত কভিড-১৯ আক্রান্ত কারো অবস্থা বাজে দিকে এগুতে থাকলে, বিশেষ করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার উপক্রম হলে – এই ঔষধটির কথা আমাদের বিশেষভাবে মনে রাখতে অনুরোধ করছি।
গ্রভোগলের হাইড্রোজেনয়েড কন্সটিটিউশনযুক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। রোগী জড়তাগ্রস্ত, ফ্ল্যাগমেটিক ([Mind]Temperament:Phlegmatic:)। এন্টিম টার্ট বিশেষ করে ব্রঙ্কাই ও ফুসফুসের মিউকাস মেমব্রেনকে আক্রমণ করে। বুক ও ব্রঙ্কিয়াল টিউব মনে হয় মিউকাসে বোঝাই হয়ে আছে কিন্তু তা বের করা যায় না। দ্রুত, ছোট ছোট, কষ্টকর শ্বাসপ্রশ্বাস, পেট লেগে আসে ([Respiration] Abdominal:), যেন শ্বাস কাটতে পারছে না। কাশতে ও শ্বাস নিতে উঠে বসতে হয়। কাশি খাওয়ার পর বৃদ্ধি পায়, সাথে বুকে ও ল্যারিংসে ব্যথা থাকে। ভোর তিনটায় বৃদ্ধি।
এর প্রধানতম আক্রমণপ্রবণতাই হচ্ছে শ্বাসযন্ত্র। রেসপিরেটরি ট্র্যাকের সর্দি ও মিউকাস সঞ্চয়। বুকে ভেজা মিউকাসের ঘরঘর ও কর্কশ শব্দ হয় ([Respiration] Rattling:), মনে হয় অনেক মিউকাস জমে আছে কিন্তু অল্প মিউকাস অনেক কষ্টে উঠাতে পারে ([Expectoration] Difficult:) কিংবা একেবারে উঠাতে পারে না। বুকে বুদবুদের মতো শব্দ হয়; যে কারণে শ্বাসকষ্ট হয় এবং হৃদপিন্ডের ক্রিয়াও স্তিমিত হয়। রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয়, ফলে সায়ানোসিস দেখা দেয়, জীবনীশক্তির ব্যাপক ঘাটতি দৃষ্ট হয়।
শ্বাস নিতে গেলে দমবন্ধ হয়ে আসে। রুক্ষ, খিটখিটে মেজাজ। নিউমোগ্যাস্ট্রিক নার্ভের উপর ক্রিয়া করে তা শ্বাসযন্ত্র ও রক্তপরিচলনকে স্তিমিত করে, শ্বাসযন্ত্রে প্রচুর পরিমাণ শ্লেষ্মাসঞ্চয় করে, প্রচুর ঘরঘরে শব্দ সৃষ্টি করে। বমির ভাব, বমি, শীতলতা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, অবসন্নতা, ঘাম- এগুলো ঔষধির মূল বৈশিষ্ট্য।
রোগীর জিহ্বার উপর ঘন, সাদা, আঠা আঠা সর কিন্তু প্যাপিলা লালচে, জিহ্বার প্রান্ত লাল বা জিহ্বায় লাল ডোরাকাটা। ডানকাত ছাড়া অন্য কোন কাতে শুলে বমির ভাব ও বমি। এছাড়া শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় একদমই পিপাসাহীনতা থাকে। সামান্য নড়াচড়ায় বমির ভাব ও ঠান্ডা আঠা আঠা ঘাম দেখা দেয় ([Perspiration]Cold: Motion, on:)। সমস্ত রোগলক্ষণের সাথে অপ্রতিরোধ্য তন্দ্রাচ্ছন্নতা থাকে ([Sleep]Sleepiness: Complaints: With nearly all:)।
এর রোগীর আপেল, টক খাবার, টক ফল, টক খাদ্য, ও মদজাতীয় পানীয়ে আকাঙ্ক্ষা। দুধ ও তামাকে বিতৃষ্ণা।
শিশুদের ও গাউট-আক্রান্ত ও মদ্যপায়ী বৃদ্ধদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় বেশি প্রয়োগ হয়। যে কোন অবস্থায়ই ঘামের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়। প্রতিক্রিয়াশক্তির অভাবযুক্ত ব্যক্তি। চোখ বসে যায়, চারদিকে কালো ছোপ পড়ে, ঠোট ফ্যাকাসে ও কুঁচকানো ([Face] Hippocratic:)। নাকের পাখা ছড়ানো ও উঠানামা করে, ভেতরে কালচে ঝুলের মতো রং ধারণ করে। মুখ দেখে মনে হয়, ভীষণ কষ্টে ভুগছে ([Face]Expression: Suffering:), উদ্বেগজনক হতাশা। মুখমন্ডল – শীতল, কালচে, ফ্যাকাসে, ঠান্ডা ঘামযুক্ত। জিহ্বার মাঝখানে শুকনো। জিহ্বায় দাঁতের ছাপ পড়ে ([Mouth]Indented: Tongue:)।
বমির ভাব ও বমি বিশেষ করে খাবারের পরে মারাত্মক দুর্বলতা ও অবসন্নতা থাকে। থেকে থেকে বমির ভাব। বমির ভাবটি প্রি-করডিয়াল এলাকায় চাপের অনুভূতিসহ একটি ভয়ের অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং এরপর মাথাব্যথার সাথে হাই-ওঠা ও চোখ দিয়ে পানি পড়া শুরু হয়।
ফুসফুসের প্যারালাইসিস অবস্থা ও শোধ। শ্বাসকষ্ট ঢেকুরে কমে, ডান পাশে শুলে কমে ([Respiration]Difficult: Lying, while: Amel.: Side, on: Right:)। ডায়রিয়াযুক্ত কভিড–১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির যদি সাম্প্রতিকসময়ে কোন উদ্ভেদ চাপা দেবার ইতিহাস থাকে, তাহলে যেন শুরুতেই এই ঔষধটিকে বিবেচনা করা হয়।
সন্ধ্যায়, রাত্রে শোয়ার পর, উষ্ণতায়, ভেজা ঠান্ডা আবহাওয়ায়, টক খাদ্যে ও দুধে, সকালে, বসে থাকলে, বসা থেকে উঠতে গেলে, বসন্তকালে আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এর বৃদ্ধি ঘটে। এবং সোজা হয়ে বসে থাকলে, শ্লেষ্মা ফেলতে পারলে, ঢেকুর তুললে, বমির পরে, ডান কাতে শুলে, নড়াচড়ায়, ঠান্ডা খোলা বাতাসে উপশম পাওয়া যায়।
এটি শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার সাথে কভিড-১৯ রোগীর যখন একাধিক মৌলিক যন্ত্রের অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে, তখন এই ঔষধটির কথাও স্মরণ করা উচিৎ। নিচে আমি এর আরো কিছু রুব্রিক উল্লেখ করছি, যাতে কভিড-১৯ এ এর উপযোগিতা সম্বন্ধে আরেকটু স্বচ্ছ ধারণা সৃষ্টি হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জাতে ফুসফুসের প্রদাহ রুব্রিকটিতে যদিও এন্টিম আর্স উল্লেখ আছে, তবে আমার ব্যক্তিগত অভিমত- অন্যান্য সমগ্রতার মিল থাকলে সেক্ষেত্রে এন্টিম টার্টের কথাও চিন্তা করা যেতে পারে। রুব্রিক উল্লেখ করার আগে, এন্টিম টার্টের ক্ষেত্রে যে কি-নোটসগুলো আমরা স্মরণ রাখবো তা দিয়ে নিচ্ছি-
১. রেসপিরেটরি ট্র্যাকের সর্দি ও মিউকাস সঞ্চয়। বুকে ভেজা মিউকাসের ঘরঘর ও কর্কশ শব্দ হয়, মনে হয় অনেক মিউকাস জমে আছে কিন্তু অল্প মিউকাস অনেক কষ্টে উঠাতে পারে কিংবা একেবারে উঠাতে পারে না। দমবন্ধ হয়ে আসে। সায়ানোসিস দেখা দেয়।
২. রুক্ষ, খিটখিটে মেজাজ। তীব্র তন্দ্রাচ্ছন্নতা।
৩. সমস্ত রোগলক্ষণের সাথে অপ্রতিরোধ্য তন্দ্রাচ্ছন্নতা থাকে।
৪. প্রচুর শ্লেষ্মা জমে কিন্তু তা উঠে না।
৮. শ্বাসযন্ত্রের সকল সমস্যায়ই একদম পিপাসাহীনতা।
৬. জিহ্বার উপর ঘন, সাদা, আঠা আঠা সর কিন্তু প্যাপিলা লালচে, জিহ্বার প্রান্ত লাল বা জিহ্বায় লাল ডোরাকাটা।
৭. ডানকাত ছাড়া অন্য কোন কাতে শুলে বমির ভাব ও বমি।
৯. মাজায় প্রচণ্ড ব্যথা, ভারী কিছু তুললে বৃদ্ধি, সামান্য নড়াচড়ায় বমির ভাব ও ঠান্ডা আঠা আঠা ঘাম দেখা দেয়।
৫. আপেল খাবার দুর্দমনীয় আকাঙ্ক্ষা।
যে রুব্রিকগুলো স্টাডি করা যেতে পারে:
[Chest]Inflammation: Lungs: Influenza, with: Antim ars
[Complete] [Chest]Catarrh:Coma, with:
[Mind]Anxiety:Pneumonia, in:
[Mind]Complaining:Symptoms, about his numerous, in pneumonia:
[Mind]Delirium:Muttering:Sleep, in:Stupid, in pneumonia:
[Nose]Motion of wings:Fan, like a:Pneumonia, in:
[Rectum]Diarrhea:Pneumonia, in:
[Respiration]Difficult:Pneumonia, in:
[Chest]Inflammation:Lungs:Pleura pneumonia:
[Knerr ] [Inner Head]Headache (undefined): Cough, with: Forehead, worse in (influenza):
[Knerr ] [Cough and Expectoration]Cough: Constant (incessant, unceasing):Influenza, in:
[Knerr ] [Sleep]Drowsiness (sleepiness, somnolence):Sleep: Cannot sleep, in influenza:
[Knerr] [Fever]Sweat:Influenza in bed:Influenza copious does not relieve chilly skin:
[Boericke ] [Respiratory System]Lungs:Stages of pneumonia:Consolidation:
[Boger ] [Chest and lungs]Pneumonia & bronchitis:
[Gentry ] [Mouth]Dry:Lips dry parched in pneumonia and fevers:
[Gentry ] [Hypochondrium]Pneumonia:Jaundice, with pneumonia, especially of right lung:
[Gentry ] [Chest, Lungs, Bronchia and Cough]Adhering:Expectoration streaked with blood, rusty colored, adhering like glue to vessel in
[Knerr ] [Nerves]Restlessness:Tossing about:Pneumonia, in, and meningitis:
[Gentry ] [Chill and Fever]Dyspnoea:With symptoms of paralysis of pneumogastric nerve:
গ্রিনডেলিয়া স্কোয়ারোসা (GRINDELIA SQUARROSA):
এটি মূলত নিউমো-গ্যাস্ট্রিক নার্ভের কার্ডিও-পালমোনারি শাখায় কাজ করে। ঔষধটি একই সাথে এন্টিম টার্ট ও ল্যাকেসিসের বহু সাদৃশ্য বহন করে। এন্টিম টার্টর মতো এটিও নিউমো–গ্যাস্ট্রিক (ভ্যাগাস) নার্ভের পক্ষাঘাত তৈরি করে শ্বাসক্রিয়াতে বিঘ্ন ঘটায় ([Knerr] [Nerves]Paralysis:Inner, of, parts: Pneumo-gastric nerve appeared half paralyzed:)। এন্টিম টার্ট যেখানে ভেজা-পূঁযময় শ্লেষ্মা উৎপন্ন করে, এটি উৎপন্ন করে শুকনো জাতের সর্দি।
শুকনো কাশি, কিন্তু রোগীর মনে হয় শ্লেষ্মা বেরোবে, এমনকি শ্লেষ্মা না থাকলেও। রোগী বহু চেষ্টা করে সামান্য পরিমাণ শ্লেষ্মা নির্গমন করে এবং সেটি করতে পারলে রোগী আরাম অনুভব করে ([Respiration] Difficult: Expectoration: Amel.:)। বেশ খানিকটা শ্লেষ্মা বের করতে পারলে যেরকম আরাম অনুভব করতো, রোগী তেমন আরামই তাতে অনুভব করে। শ্বাসরুদ্ধকর কাশি দমকে দমকে দেখা দেয়। রোগী তার এই শ্বাসকষ্ট নিয়ে প্রচণ্ড উদ্বেগে থাকে (Fear: Suffocation, of:)। শ্বাসযন্ত্রে এটি এতটাই প্রভাব বিস্তার করতে পারে যে, Chyne-stroke respiration এই ঔষধটি পরিলক্ষিত হয় । মূলত ব্রঙ্কাসের ছোট শাখাগুলিতে এটি অত্যন্ত আঠালো শ্লেষ্মায় পূর্ণ করে ফেলে।
Cardiac Asthma- এর লক্ষণে এই ঔষধটি বহু আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বেশ কিছু ব্যাপারে ল্যাকেসিসের সাথে এর মিল আছে। ঘুমাতে গেলে, তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে শ্বাসজনিত সমস্যার বৃদ্ধি ([Respiration] Difficult: Sleep: Falling asleep, on:)। ঘুম থেকে চমকে উঠে, ঘুম থেকে উঠে শ্বাসের জন্য খাবি খায় ([Respiration] Difficult: Waking, on:)। এজন্য রোগী ঘুমাতে যেতে, বা ঘুমিয়ে পড়াতে ভয় থাকে ([Mind] Fear: Sleep: Go to, to:)। রোগী অন্ধকারে ভয় পায়, আলো জ্বালিয়ে রাখতে বলে। লোকসঙ্গ চায়। চিন্তা বিশৃঙ্খল হয়ে থাকে, মাতাল মাতাল লাগে।
ডা. রজার মরিসন, তার ডেস্কটপ গাইডে এই ঔষধটি সম্বন্ধে এককথায়ই বলেছেন,
“Grindelia is a remedy to consider in more advanced cardiac or respiratory illness when patient has the characteristic sleep apnea. He starts up from sleep with a sensation of suffocation or with actual apnea.”
২৪ ঘণ্টায় ২-৩ বার জ্বর উঠানামা করে। দুর্বলতা, বিশেষ করে তা ভোরের দিকে অনুভূত হয়। স্পন্দনশীল মাথাব্যথা, মূলত অক্সিপুটে দেখা দেয়, যা বসে থাকলে আরাম বোধ হয়। কিছু রোগী ব্যথার যন্ত্রণায় শুইতে চায় কিন্তু ব্যথা বাড়ে বলে শুতে পারে না। রোগী শীতকাতর। চোখে ব্যথা থাকে, নড়াচড়া করলে বাড়ে। শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার সাথে হৃদপিন্ডের বা স্প্লিনের সমস্যা দেখা দিলে এই ঔষধটির কথা চিন্তা করতে হবে।
এই ঔষধটির যে কি–নোটসগুলো আমাদের স্মরণ রাখা উচিৎ–
১. ঘুম ঘুম ভাব আসার সাথে সাথে শ্বাসরোধের অনুভূতি (ল্যাকেসিস), শ্বাসের জন্য খাবি খেতে থাকে।
২. শুইলে শ্বাস নিতে পারে না, অবশ্যই উঠে বসতে হবে।
৩. বুকে ঘড়ঘড়ে শব্দ, অতিকষ্টে ফেনাযুক্ত শ্লেষ্মা উঠে, প্রচণ্ড আঠাময়, তুলতে খুব কষ্ট হয়।
৪. শ্বাসযন্ত্রের সাথে হৃদপিন্ডের সমস্যা।
Discussion about this post