রেপার্টরিতে আমার হাতে-খড়ি যে বইটি দিয়ে হয়েছিলো, তা হচ্ছে ডা. গৌরীনাথ মুখোপাধ্যায়ের লেখা ‘ঔষধ বাছাই প্রণালী’ বইটি দিয়ে। একজন শিক্ষার্থীর রেপার্টরি সম্বন্ধে ধারণা নিতে, রেপার্টরাইজেশনের পদ্ধতিগুলো জানতে, এদের তুলনামূলক বিচার করতে, এর হিসাব-নিকাশ করতে, রেপার্টরির উপর আগ্রহ সৃষ্টি করাতে ও বাস্তব কেইসে তার ব্যবহার ও প্রয়োগটি কেমন হবে- তা জানতে এই বইটির মতো উপযুক্ত বই খুব অল্পই আছে।
প্রথমে অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক ভাষায় রেপার্টরির (লক্ষণকোষ) পরিচয়, ব্যবহারতত্ত্ব বর্ণনা করেছেন। এবং এরপর বিভিন্ন প্রকারের রেপার্টরাইজেশন ও ঔষধ সিলেকশন মেথড, তথা- গাণিতিক পদ্ধতি, চক্রাবর্ত প্রণালী, সহচর লক্ষণ নীতি, কারণতত্ত্ব, মারী ঔষধতত্ত্ব, প্রজ্ঞাদর্শন ইত্যাদি পদ্ধতি তিনি বইটিতে তুলে ধরেছেন। রেপার্টরিকে ব্যবহার করার আগে, চিকিৎসকদের ন্যূনতম এইটুকু জ্ঞান অপরিহার্য- কোথায় রেপার্টরির কতটুকু, কিভাবে, কখন ব্যবহার হবে এবং কোথায় রেপার্টরিকে ব্যবহার করা যাবে না। আর চিন্তাশীল শিক্ষার্থী ও হোমিওপ্যাথের মধ্যে এই কাজটুকু অত্যন্ত যত্নের সাথে সম্পন্ন করার সামর্থ্য রাখে এই বইটি।
বইটিকে ডা. গৌরীনাথ মুখোপাধ্যায় পূর্ণাঙ্গ আঙ্গিক দান করেছেন- তার পরিশিষ্টে কেন্টের নির্দেশক লক্ষণসমূহের মূল্যমান তালিকাটি প্রদান করে এবং চূড়ান্তরকমের চিত্তাকর্ষক ও স্মৃতিতে আয়ত্ত্বযোগ্য করেছেন তাতে বিভিন্ন পদ্ধতির ঔষধ বাছাইয়ের বাস্তব কেইস উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরে। যারা এখনো বইটি পড়েননি কিন্তু রেপার্টরি ব্যবহার করতে যাচ্ছেন- তাদের জন্য এটি তাহলে এখন দ্রুতপাঠ্য।
Discussion about this post