বাংলাদেশে যে হোমিওপ্যাথ ডা. জি. এম. ফারুক স্যারের নাম শোনেননি- তাকে কোনক্রমেই সচেতন চিকিৎসক বলা চলে না। তার যে কোন একটি বই পড়লেই তিনি কোন্ মানের চিকিৎসক- সে সম্বন্ধে ধারণা পাওয়া যায়। ক্ষুরধার বিশ্লেষণী ক্ষমতা, তথ্য-উপাত্তসমৃদ্ধ যৌক্তিক উপস্থাপন, বহু অজানা তথ্যের উৎঘাটন তার প্রতিটি লেখার মৌলিক বৈশিষ্ট্য- ঠিক যেরকম লেখাটি আমি কামনা করি।
ডা. জি. এম. ফারুকের প্রতিটি লেখাই আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সমৃদ্ধ রচনা। কিন্তু তার লেখার কথা মনে পড়লো- একটি প্রয়োজনে তার ‘ওষুধ প্রয়োগ বিজ্ঞান’ বইটিতে চোখ বুলানোর পর। বইটি তিনি অধ্যাপক ডা. আবদুল মান্নান স্যারকে উৎসর্গ করেছেন এবং বাংলাদেশে বি.এইচ.এম.এস. কোর্স প্রতিষ্ঠায় তার অবদানকে উৎসর্গপত্রে স্মরণ করেছেন।
আর তার লেখার ব্যাপারে বলাটি তো বাহুল্যই বটে! একদম ভূমিকায় বলা প্রারম্ভিক কথাগুলো থেকে শুরু করে শেষ লাইনটি পর্যন্ত অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় ও বাহুল্যবর্জিত মানসম্পন্ন উপস্থাপন। বইটি দুইটি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশে তিনি ওষুধ কি, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ কি, কোন ফার্মাকোপিয়া অনুসরণ করবো, অর্গাননের ভূমিকা, ঔষধ তৈরির বিভিন্ন পদ্ধতি, বিভিন্ন পোটেন্সিগুলোর পেছনের রহস্য ইত্যাদি বিষয়গুলো সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ ও অকাট্য তথ্যযোগে তুলে ধরেছেন। এবং দ্বিতীয় ভাগে, তিনি পোটেন্সির নতুন পদ্ধতি বা পঞ্চসহস্রতমিক পদ্ধতির বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।
আমার মনে হয়, স্যারের এই বইটি হোমিওপ্যাথির তো বটেই- আমাদের বাংলাদেশী, বাংলাভাষী চিকিৎসকদের নিকট একটি ঐতিহ্যস্বরূপ। আর যারা পঞ্চসহস্রতমিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা করছেন- তাদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ও অপরিহার্য বই।
Discussion about this post