[লেখাটি ডা. জে. এন. কাঞ্জিলালের নিজের হাতে তাঁর ‘Metamorphosis of an Allopath’ শিরোনামে অ্যালোপ্যাথ থেকে হোমিওপ্যাথে রূপান্তরের ঘটনার অংশবিশেষের পর্যালোচনা- যা ডা. অমরনাথ চক্রবর্তী অত্যন্ত আন্তরিকভাবে সম্পন্ন করেছেন। কোন্ চিন্তা- কোন্ কোন্ বিষয়, প্রশ্ন ও দ্বন্দগুলো ডা. জে. এন. কাঞ্জিলালের মতো প্রখ্যাত অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসক, যিনি হোমিওপ্যাথিকে ঘৃণা করতেন- কিভাবে তার মনোজগতে পরিবর্তনের সূচনা করলো- এ অংশে ডা. অমরনাথ স্যার তা অত্যন্ত সুচারুরূপে বিশ্লেষণ ও তার নিজ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানগর্ভ আলোচনার সাথে তুলে ধরেছেন। আশা করি, আমরা এবং সকল মানুষই এই লেখাটিতে যথেষ্ঠ চিন্তার উপাদান খূঁজে পাবো।]
‘Metamorphosis of an Allopath’ তাঁর একটি অসাধারন লেখা যা আমার মতো নিরেট মাথার মানুষকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা যোগায়- মনে হয় যেন আমিও পারবো। সৎ ও সত্যের পূজারী এই প্রাতঃস্মরণীয় মানুষটি কি ভাবে কুসংস্কারের জাল ভেদ করে হোমিওপ্যাথ হলেন সেটা বর্তমান তথা আগামী প্রজন্মের চিকিৎসকদের শিক্ষনীয়।
এবার তাঁর কথায় আসি। ডা.
কাঞ্জিলালের শ্রদ্ধেয় বন্ধু ডা. চন্দ্রপ্রকাশের বিশেষ অনুরোধে তার সম্মানার্থে তিনি কি ভাবে অ্যালোপ্যাথ থেকে হোমিওপ্যাথে রূপান্তরিত হলেন তা খুব সুন্দরভাবে লিখেছেন। যদিও তিনি মনে করেন তার এই লেখা কাউকে আনন্দ দেবেনা।
আমরা মনে করি তার এই ধারণা সম্পুর্ণ ভুল। তার এই লেখা পড়লে মনে জাগে শিহরণ, প্রাণে জাগে আশা, বেড়ে যায় আত্মবিশ্বাস। একজন হোমিওপ্যাথ হতে হলে চিন্তা-ভাবনার শৈলী কেমন হবে তাঁর লেখায় পাওয়া যায় । আমরা মনে করি তার লেখার গুণগত মান কোন কোন ক্ষেত্রে কেন্টকেও ছাড়িয়ে গেছেন। যথাসময়ে সে বিষয়ে আলোচনা করবো।
তিনি যখন অ্যালোপ্যাথির ছাত্র ছিলেন তখন অন্যান্য ছাত্রদের মতো যান্ত্রিক-বস্তুতান্ত্রিক ধারণায় মন পরিপূর্ণ ছিল আর হোমিওপ্যাথির প্রতি ছিল তীব্র ঘৃণা। হোমিওপ্যাথি ছিল তার কাছে ছিল সস্তা মজা ও উপহাসের বিষয়। তিনি উপহাস করে.বলতেন, ‘হরিদ্বারের গঙ্গা ঘাটে এক ফোঁটা নাক্স ভমিকা ফেলে হুগলী নদীতে এক ফোঁটা জল খেলে সব রোগ আরোগ্য হয়ে যাবে।’ তার হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে অতি নিকৃষ্ট ধারণা ছিল। তখন তিনি মনে করতেন- এটা ফালতু। তিনি মনে করতেন, এর থেকে ওঝা বা সাধুদের ঝাড়-ফুক অনেকগুণ ভাল। ওঝা বা সাধুরা তাও সম্মোহন করে ইতিবাচক ধারণা প্রেরণ করেন। এছাড়াও তারা দেশীয় গাছ গাছড়া পরিপূরক ওষুধ হিসাবে দিয়ে রোগীকে আরোগ্য করেন।
কিন্তু তার এই ধারণাটিতে প্রথম আঘাত আসে কিভাবে? তাঁর ভাষায়-
“But this fool’s Paradise of my mind received its first shock and that a very rude one—When I became familiar with the books on Practice of Medicine.”
তিনি বলছেন, “Practice of Medicine” পড়তে গিয়ে তিনি হোঁচট খেলেন। বরং বলা যেতে পারে তাঁর চৈতন্য উদয় হলো। আচ্ছা বন্ধু, নিজের ভুলকে সৎ ভাবে স্বীকার করার সাহস ক’জনের আছে? এক্ষেত্রে মনে পড়ে হ্যানিম্যানের সর্বাপেক্ষা মুল্যবান কথা। “AUDE SAPERE” কথাটির অর্থ এতদিন জানতাম, ‘Dare to be wise’. নেট ঘেঁটে জানলাম- Aude sapere is the Latin phrase meaning, ‘DARE TO KNOW’, and also is loosely translated as, ‘Dare to be wise’. আমার মনে হয়, AUDE SAPERE অর্থ Dare to know- হওয়া উচিৎ।
তিনি Practice of Medicine-এ দেখলেন, একটি রোগের জন্য ডজন-ডজন তত্ত্ব ও কারণের সম্পর্কে বিশাল বিশ্লেষণ (এখানে MAY BE- এর প্রাধান্য) এবং রোগবিদ্যার (Pathology) সম্পর্কে জ্ঞানগর্ভ, মনোমুগ্ধকর বর্ণনা তাকে মুগ্ধ করলেও অধিকাংশ রোগের চিকিৎসায় এই জ্ঞান কোন কাজে লাগে না। অধিকাংশ রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে বলা হয়েছে ‘TREATMENT UNKNOWN OR SYMPTOMATIC’। একদিন তিনি তার শিক্ষককে নালিশ করলেন,
“People will call us not for hearing speculative stories about the aetiology and pathology of their diseases of which we are learning plenty but for prescription of the remedy by which they would get rid of the disease, where to get that knowledge?”
এক্ষেত্রে আমরা শুনতে পাচ্ছি অর্গাননের ১৭ নং সূত্রে বলা ডা. হ্যানিমানের কথার প্রতিধ্বনি —
“But when the disease is annihilated the health is restored, and this is the highest, the sole aim of the physician who knows the true object of his mission, which consists not in learned- sounding prating, but in giving aid to the sick.”
Samuel Hahnemann
তাঁর প্রশ্নের উত্তর শিক্ষক কি দিয়েছিলেন- এবার সে কথা জানা যাক। সেই শিক্ষক এড়িয়ে যাবার জন্য বলেছিলেন-
“GO AND FIND OUT FOR YOURSELF.”
তার এই উত্তরটি ডাঃ কাঞ্জিলালকে অনুপ্রাণিত করেছিল সত্যকে খুঁজে নেবার জন্য যা Practice of Medicine এ নাই। আমি প্রণাম জানাই সেই শিক্ষককে- যার পরামর্শে আমরা একজন প্রাতঃস্মরণীয় হোমিওপ্যাথ পেলাম।
তার মনোবল ভেঙে গেলেও মনকে চাঙা করার জন্য তিনি মনকে সান্তনা দিতে শুরু করলেন এই ভেবে যে— অ্যালোপ্যাথিতে রোগ চিকিৎসার ঘাটতি থাকলেও শল্যচিকিৎসা, স্ত্রীরোগবিদ্যা ও ধাত্রীবিদ্যা মানব কল্যানে আশীর্বাদ স্বরূপ। বিষয়টা আসলে- ‘ভাঙবো তবু মচকাবো না’ এই ধরনের মানসিকতা।
তার অভিভাবক চেয়েছিলেন ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হোক। কিন্তু তিনি অভিভাবকের মতের বিরুদ্ধেই চিকিৎসক হবার জন্য কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজ, অধুনা আর. জি. কর. মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলেন। তার মনে একটি স্বপ্ন ছিল তিনি স্ত্রীরোগবিদ্যা ও ধাত্রীবিদ্যা বিশেষজ্ঞ হবেন। তার মনের ঐকান্তিক ইচ্ছা ছিল বিশেষজ্ঞ হিসাবে তিনি তার দেশের গ্রামের বাড়ীর নিকটবর্তী মফস্বল শহরে পেশা শুরু করবেন। যে সময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঐ অঞ্চলে প্রায় ছিল না। তিনি অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তার ব্যক্তিগত স্বপ্ন পূরণের জন্য তিনি তার অভিভাবক এবং তার শুভাকাঙ্ক্ষী শিক্ষকদের মতের বিরুদ্ধেই কলকাতা ছেড়ে মফস্বলে চলে যান। তার অনবদ্য লেখাটি পড়লেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে–
“And to fulfill this latter motto I had again to disoblige not only my guardians but also some of my professors who wanted me to remain in Calcutta attached to my alma mater (Carmichael medical college) at least as a research worker ( research was one of the hobbies in the student days and I had done some research on calcium while a resident scholar in Midwifery in the final year ).”
তার অ্যালোপ্যাথিতে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ থাকা সত্ত্বেও নীতিগত কারণে অ্যালোপ্যাথি ত্যাগ করে হোমিওপ্যাথিতে আসেন আর হোমিও নামধারী কিছু ব্যক্তি (চিকিৎসক কথাটির অবমাননা হবে বলে চিকিৎসক বলিনি) অ্যালোপ্যাথি করবার জন্য আন্দোলন করছেন, সত্য সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ! কিন্তু বেসরকারী ভাবে চেম্বারে রোগী চিকিৎসা করতে গিয়ে বাস্তবতার প্রয়োজনে শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞ হবার ইচ্ছাকে দমন করে তিনি সাধারণ চিকিৎসক হিসাবে রোগী দেখেন এবং পাশাপাশি ধাত্রীবিদ্যার চিকিৎসাও চলতে থাকলো।
যাই হোক, স্ত্রীরোগবিদ্যা ও ধাত্রীবিদ্যার প্রতি গভীর ভালোবাসার জন্য ঐ সময়ের হতাশা থেকে তিনি মুক্তি পান। কিন্তু তিনি শীঘ্রই উপলব্ধি করেন স্ত্রীরোগবিদ্যা ও ধাত্রীবিদ্যায় অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। যথা- ডিসমেনোরিয়া, গর্ভকালীন টক্সমিয়া, পিউপেরাল সেপসিস, ম্যানিয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন । তৎসত্ত্বেও অ্যালোপ্যাথির প্রতি শূন্যদৃষ্টি বজায় রেখেও অন্য চিকিৎসার প্রতি কোন আকর্ষণ ছিল না। তখন হোমিওপ্যাথির প্রতিও তাঁর বিশেষ শ্রদ্ধা ছিল না। এখানে তার লেখাতেই দেখা যাক, এ ব্যাপারে তাঁর মনোভাব কেমন ছিলো –
“Even at this time my notion regarding HOMOEOPATHY was that it often enjoyed undeserved credit. HOMOEOPATHS were generally called after over- drugging with other systems of treatment. Any apparent improvement under their hands were really through negative channel— namely, suspension of all drugging. Still I could not believe that one or two drops of simple water or spirit could have any positive effect.”
এরপরের অনুচ্ছেদে তিনি বললেন, মনের এরূপ ধারণার মধ্যে তিনি দ্বিতীয়বার আশ্চর্যজনক ধাক্কা খেলেন যখন তিনি তার কলেজের স্যার কেদারনাথ মেটারনিটি হাউসের হাউস সার্জেন ছিলেন। এ সময়ে ব্যক্তিগতভাবে তিনি কিছু রোগী দেখতেন যারা তাঁর হাসপাতালের চিকিৎসায় উপকৃত হয়েছিলেন। এক মধ্যবিত্ত পরিবারের ডাকে চিকিৎসা করতে গেলে সেই পরিবারের বিশেষ অনুরোধে পাশের ঘরের পিউপেরাল সেপসিসের রোগীর অবস্থা পরিদর্শন করেন। ঐ সময়ে ১৯৩০ সাল, তখন এই রোগের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা ছিলনা। একমাত্র সালফার দ্বারা তৈরি অ্যান্টিবায়োটিক প্রন্টোসিল ছিল একমাত্র ওষুধ যা সামান্য উপকার করতো।
পর্যবেক্ষণ করে দেখলেন রোগীটির অবস্থা খুবই খারাপ। হয় কয়েকদিনের মধ্যে মারা যাবে নয় কয়েক মাস রোগে ভুগে অরোগ্য লাভ করলেও পঙ্গু জীবন যাপন করবে। আমি রোগীর ভবিষ্যৎ ভেবে ভীত- সন্ত্রস্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কে চিকিৎসা করছেন?’ তারা বললেন, ‘ডাঃ সনৎ কুমার ঘোষ।’ ডাঃ সনৎ কুমার ঘোষ ছিলেন কাঞ্জিলালের কলেজের প্রাক্তন ছাত্র- তার থেকে দশ বছর আগে। তাকে সবাই ভালবাসতেন ও শ্রদ্ধা করতেন তার নম্র ও আন্তরিক ব্যবহারের জন্য। তিনি কলেজে নাটক বিভাগের উদ্যোক্তা ছিলেন । এছাড়াও কলেজ অর্কেস্টার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন । অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
কিন্তু তার সম্বন্ধে ডাঃ কাঞ্জিলালের তখনকার মত ছিলো,
‘But we failed to appreciate his Prudence in taking to the “UNSCIENTIFIC” line homoeopathy after going through a creditable medical career.’
এবার তাঁর জানতে ইচ্ছা হলো ডাঃ ঘোষ রোগী সম্পর্কে কি বলেছেন। রোগীর পরিবার জানালেন, উনি সারিয়ে দেবেন এবং আশা করছেন সাত দিনের মধ্যে ভাত দিতে পারবেন। একথা শুনে ডাঃ কাঞ্জিলালের মনের কি ভাবনা হলো তা তাঁর ভাষাতেই তুলে ধরছি –
“It was with great difficulty that I suppressed a sarcastic smile at this piece of BLATANT HUMBUGISM of homoeopathy manifested through Dr. GHOSH, and said to myself, yes, the fate of the patient as well as homeopathy is most likely to be decided within 7 days”
কিন্তু অতীব আশ্চর্যের বিষয় তিন দিনেই রোগীর মুখমন্ডলের অভাবনীয় পরিবর্তন দেখা গেল। আগের পর্বের একটি বাক্যের বিশেষ ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। ওষুধ দেবার পরে রোগীকে সঠিক পর্যবেক্ষণ করা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা দেখেছি দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্রের ভুল প্রয়োগের ফলে কত রোগী সদৃশবিধানসম্মত ভাবে আরোগ্যের পথ থেকে বঞ্চিত হয়। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ব্যবস্থাপত্রের ভুলের জন্য আরোগ্য হয় না বা স্বাভাবিক রোগ ও অসদৃশ রোগ সৃজনী ওষুধের মিশ্রণের ফলে রোগীর অবস্থা আরো জটিল হয় অথবা ঐ স্তরে রোগ চাপা পড়ে ইত্যাদি। ওষুধ দেবার পরে আরোগ্যকারী পরিবর্তন হয়েছে কিনা বুঝতে কিছু সময় প্রয়োজন। যেমন গতকাল একটি রোগীর দুই মাস পড়ে বুঝলাম রোগী আরোগ্যনীতি অনুসরণ করছে। কিন্তু এত সময় সব রোগীর ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে না।
আমার এক রোগীর কথা বলি। জরায়ুতে টিউমার আছে। রক্তপাত চলছে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ চলা সত্ত্বেও। তাকে স্ত্রীরোগ বিশারদ জরায়ু বাদ দেবার উপদেশ দিয়েছেন। কিন্তু তার একটিও বাচ্চা হয়নি। তার অবস্থা কি নিশ্চয় অনুভব করতে পারছেন। এই রোগীকে আমি ক্যালকেরিয়া কার্ব হাজার শক্তির একটি মাত্রা দশ গ্লাস পরিবর্তন করে শুধু চামচের এক কোনা একবার ঠেকিয়ে দিতে বললাম। পরের দিন খবর দেবার কথা কিন্তু রোগী আসেনি। অপারেশনের ব্যবস্থা করে তিনদিন হাতে ছিল। এমন অবস্থায় দ্বিতীয় দিনে রোগীর বিশেষ ইচ্ছায় আমার কাছে আসে ভ্যানে শুয়ে। আমি রোগীকে প্রশ্ন করি তুমি কেমন আছো? আমার প্রশ্নের উত্তরে এক চিলতে হাসি দিয়ে বলল- ‘আপনি আর একটু চেষ্টা করুন, ওখানে গেলে কোনদিন মা হতে পারবো না’। আমার কিছুই কমেনি বরং রক্ত মাঝে মাঝে আগের থেকে বেশি বের হচ্ছে। কিন্তু তার ’Facial expression is slight better than her distress’, আর এক চিলতে হাসি- আমাকে বাধ্য করলো প্লাসিবো দিতে। এই ধরণের Expression কে আমরা সাধারণভাবে বলি LOOKS BETTER. পরের দিন দুপুরে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে হাজির ।সেদিন সন্ধ্যাবেলাতেই রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়।
Looks Better এর ওপর ভিত্তি করে অনেক রোগী অরোগ্য করেছি। Looks Better হেরিং ও কেন্টের আরোগ্যকারী পর্যবেক্ষণ নয় তবুও এর এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? আসলে Looks Better represents the patient as a whole. এটা খুবই সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ। এটা ঠিক ঠিক বুঝতে পারলে, এমনকি লক্ষণের পরিবর্তন হবার অনেক আগেই বোঝা যায় রোগীর ভবিষ্যৎ কোন পথে? একবার ভেবে দেখুনতো এই পর্যবেক্ষণ না বুঝলে রোগীর কি সর্বনাশ হতো! তিনি আর মা হতে পারতেন না। বর্তমানে দুই সন্তানের মা।
এবার ডাঃ কাঞ্জিলালের লেখায় ফিরে আসা যাক। রোগীটি পঞ্চম দিনেই (৭ দিনে নয়) খুব আগ্রহ সহকারে ভাত খেয়েছিলেন এবং ষষ্ঠ দিনে নিজে পায়ে হেঁটে শৌচাগারে যেতে পেরেছিলেন। এই ঘটনা ডাঃ কাঞ্জিলালের মনের মধ্যে কি প্রভাব ফেলেছিল সেটা তার লেখাতেই পড়ুন-
“This event blew away like a gush of wind all the filthy air of prejudice against Homoeopathy in the dungeons of my mind and forced me to a retrospection of some past events; amongst which the most important was my recovery from a formidable attack of diarrhea in my childhood at the hands of a village Homoeopath. These events had been long buried in the dark corners of my mind and simply worn out by time factor and then over-covered by so-called scientific studies.”
সূচনা হলো তাঁর চেতনার উন্মেষের………………….
Discussion about this post