ডা. শাহীন মাহমুদ:
সমস্ত রোগীর কেইসকে একটি নির্দিষ্ট ফরমেটে ফেলে চিকিৎসা করা যাবে- এটি আমি নিজেও বিশ্বাস করি না। কোন চিকিৎসকই কোন ধরণের ফরমেটকে কখনোই চোখ বুঁজে অনুসরণ করবেন না। ব্যক্তিস্বাতন্ত্রতা হোমিওপ্যাথির মূল কথা। কাজেই, চিকিৎসক ও রোগীভেদে প্রশ্নের ধরণ ভিন্ন না হওয়াটাই অস্বাভাবিক। একিউটের ক্ষেত্রে এর কড়াকড়িটা কিছুটা শিথিলযোগ্য বলেও আমি মনে করি। বিশেষ করে, বর্তমান সময়ের বিশেষ প্রয়োজনের খাতিরে।
বর্তমানে চলমান ইনফ্লুয়েঞ্জাটি একটি একিউট অবস্থা (এমনকি সেটা করোনা হলেও)। একিউট উপসর্গগুলোতে রোগীর বিশেষ, অস্বাভাবিক, অনন্য, বিরল লক্ষণগুলো বিশেষভাবে পথ-প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক অল্প কিছু প্রশ্নেই একিউট অবস্থার সমগ্রতা অনুধাবন করতে পারেন, বা ঔষধ নির্বাচন করতে পারেন। কিন্তু সব চিকিৎসক ও সব রোগীর জন্য একটি কেইস-টেকিং ফরমেট প্রস্তুত করতে গেলে, সেই অল্প প্রশ্নের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকার উপায় নেই। নিচের প্রশ্নাবলীগুলো এমন ভাবে তৈরি করতে চেষ্টা করা হয়েছে- যাতে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) রোগীর প্রতিটি উপসর্গের স্থান, অনুভূতি, হ্রাস-বৃদ্ধি ও আনুষঙ্গিক লক্ষণটি উঠে আসে এবং লক্ষণগুলো পূর্ণতা পায়, কেইসটা সম্পূর্ণ হয়ে উঠে। আমি যতদূর বুঝতে পারছি- এই প্রশ্নগুলোকে অনুসরণ করলে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যে প্রকারের ইনফ্লুয়েঞ্জাই হোক, চিকিৎসক তাকে আরোগ্য করতে পারবেন। এটি সাধারণ মানুষদেরও মাঝেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেয়া দরকার- যাতে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের কি ধরণের তথ্য জানতে হবে- তা উপলব্ধি করে, প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন।
আবারও উল্লেখ করছি, এই প্রশ্নগুলোই চূড়ান্ত তা আমি দাবী করছি না। চিকিৎসকগণ রোগীক্ষেত্রে তাদের হোমিওপ্যাথসুলভ বিচক্ষণতা, বিচার-শক্তি, পর্যবেক্ষণ প্রয়োগ করবেন। তবে, এই ফরমেটের মাধ্যমে বহু চিকিৎসকের একটি সাধারণ পথ-নির্দেশনা এসে যাবে বলে আমি আশা করছি।
ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য প্রশ্নাবলী
নাম: | বয়স: | পেশা: | মোবাইল: |
ঠিকানা:
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন- আপনি করোনায় আক্রান্ত? এটি মনে করার পেছনে যুক্তি কি? আক্রান্ত কারোর সংস্পর্শে এসেছেন বা সেরকম কোন সম্ভাবনা আছে?
উত্তর:
প্রশ্ন: আপনার কি অন্য কোন জটিল রোগ, যেমন- হার্টের রোগ, হাইপারটেনশন, এ্যাজমা, লিভার বা কিডনির রোগ, ডায়াবেটিস বা এরকম কিছু আছে? থাকলে উল্লেখ করুন।
উত্তর:
প্রশ্ন: আপনার সমস্যাগুলো বিস্তারিত বলুন। সম্ভব হলে, প্রথম দিন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা দিন এবং সবশেষে বর্তমানে কোন কোন সমস্যায় ভুগছেন, তা জানান।
উত্তর:
১ম দিন | |
২য় দিন | |
৩য় দিন | |
৪র্থ দিন | |
৫ম দিন | |
৬ষ্ঠ দিন | |
৭ম দিন | |
৮ম দিন | |
৯ম দিন | |
১0ম দিন |
[হোমিওপ্যাথি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাব্যবস্থা বিধায়, এবার আপনার সমস্যাগুলোর কিছু বিস্তারিত দিক জানতে হবে। অন্যান্য চিকিৎসাব্যবস্থার তুলনায় অনেক বেশি খুটিনাটি প্রশ্ন করা হচ্ছে মনে হলেও, অনুগ্রহ করে ও ধৈর্য্য ধরে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন। আপনার তথ্য যত পূর্ণাঙ্গ, সুস্পষ্ট ও সঠিক হবে- রোগী তত দ্রুত আরোগ্য হবে, ইনশাআল্লাহ]
আপনার কি অন্য কোন জটিল রোগ, যেমন- হার্টের রোগ, হাইপারটেনশন, এ্যাজমা, লিভার বা কিডনির রোগ, ডায়াবেটিস বা এরকম কিছু আছে? থাকলে উল্লেখ করুন। | |
উত্তর | |
১. কয়দিন ধরে ঠান্ডা লেগেছে? আপনার ঠান্ডা লাগার কোন কারণ আছে কিনা- কোন অনিয়ম, ঘাম অবস্থায় গোসল দেয়া, ভ্রমণ করা, ব্যায়ামের পর বা পরিশ্রমের পর পরই গোসল করা, শরীরে বা মাথায় ঠান্ডা বাতাস লাগানো ইত্যাদি? অর্থাৎ, কোনকিছুকে এই ইনফ্লুয়েঞ্জাটি শুরুর কারণ বলে আপনি মনে করেন কিনা। | |
উত্তর | |
২. শরীরে দুর্বলতা দেখা দিয়েছে? কি পরিমাণ বা কতটা একটু বুঝিয়ে বলুন। কখন সবচেয়ে বেশি দুর্বল লাগে? কি করলে তা বাড়ে বা কমে? | |
উত্তর | |
৩. শ্বাসকষ্ট আছে? শ্বাস নিতে নাকে বাঁধে নাকি বুকে? শ্বাসকষ্ট কিসে বাড়ে বা কমে? বসা, শোয়া, দাড়ানো, উপুর হয়ে শোয়া, আধশোয়া- কোন পজিশনে ভালো লাগে বা খারাপ লাগে? মিনিটে কয়বার শ্বাস নেন? বুকে আর কোন ধরণের অসুবিধা, যেমন- জ্বালাপোড়া, টাইট লাগা, চিলিক দেয়া ইত্যাদি আর কোন অসুবিধা অনুভব করেন। | |
উত্তর | |
৪. মাথাব্যথা আছে? ব্যথাটা কোথায় অনুভব হয়? কেমন লাগে? কখন বা কিসে বাড়ে বা কমে? মাথাব্যথার সাথে মাথা ঘুরানো, বমি, বমির ভাব, চোখে অন্ধকার দেখা বা অন্য আর কোন সমস্যা হয়। মাথাব্যথার ব্যাপারে বিস্তারিত জানান। | |
উত্তর | |
৫. কাশি আছে কি? কখন বাড়ে বা কমে? কি অবস্থায় বাড়ে বা কমে? পানি খেলে, গরম পানি খেলে, ঠান্ডা পানি খেলে কি হয়? কোন সময়ে বাড়ে বা কমে কিনা। কেমন কাশি- শুকনো, কফ উঠে? কাশি দিলে কোথাও ব্যথা লাগে? কাশির সাথে বমি, বমির ভাব, চোখ দিয়ে পানি পড়া, শ্বাসকষ্ট বা অন্য আর কোন সমস্যা হয়? | |
উত্তর | |
৬. গলা ব্যথা আছে? ব্যথার ধরনটা কেমন? গলাব্যথা কখন বেশি করে? কিসে কম থাকে? গলার কোন পাশে বা কোন স্থানে ব্যথা? গরম পানি বা ঠান্ডা কিছু খেলে গলা ব্যথা বাড়ে বা কমে? খালি ঢোক চিপলে, শক্ত খাবার খেতে গেলে বা তরল খাবার খেতে গেলে – কোনটায় ব্যথা বেশি লাগে? গলাব্যথা কি কান, মাথা, বুক কোনদিকে ছড়ায়? গলায় কাপড় পেচিয়ে রাখলে কোন পরিবর্তন হয়? | |
উত্তর | |
৭. গলা ভেঙ্গেছে? ঘুম থেকে উঠার পর স্বর কেমন থাকে? কথা বললে বাড়ে নাকি কমে? গরম পানি, ঠান্ডা পানি বা অন্য কোন কিছুতে বাড়ে বা কমে – এমন কিছু হয়? গলা ভাঙ্গার ব্যাপারে আর কোন কিছু বলার থাকলে বলুন। | |
উত্তর | |
৮. ডায়রিয়া আছে? পায়খানা কেমন? কি পরিমাণ? দিনে, রাতে কত বার? কখন বেশি হয়? গন্ধ কেমন? কখন পায়খানার প্রথম বেগ আসে? অনিচ্ছাকৃতভাবে পায়খানা হয়ে যায়? | |
উত্তর | |
৯. শরীর ব্যথা আছে? কোন নির্দিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে নাকি, সারা শরীরে? ব্যথার ধরণ কেমন, বা কেমন লাগে? কখন বা কিসে বাড়ে বা কমে? সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ব্যথা কেমন থাকে? এরপর নড়াচড়ায় ব্যথা আরো বৃদ্ধি পায়, নাকি কিছুটা হালকা হয়? ঠান্ডা প্রয়োগে, উত্তাপ প্রয়োগে, নড়াচড়ায়, দাঁড়িয়ে থাকলে, বসে থাকলে, টিপে দিলে, স্পর্শ করলে, দিনে, রাতে ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোনটায় বাড়ে বা কমে? ব্যথার সাথে আর কোন অসুবিধা দেখা দেয়? | |
উত্তর | |
১০. হাঁচি আছে কিনা। থাকলে কখন দেখা দেয়? একসাথে কয়টা হয়? কোন অবস্থায় বা কোন সময় বেশি হয়। হাঁচির সময় বমি, চোখ দিয়ে পানি পড়া বা অন্য আর কোন সমস্যা হয় কিনা। | |
উত্তর | |
১১. নাক দিয়ে স্রাব পড়ে? ঘন নাকি পাতলা? রঙ কেমন? কখন পড়ে? এসম্বন্ধে আরো কিছু বলার থাকলে লিখুন। | |
উত্তর | |
১২. কফ উঠলে তা কেমন? ঘন নাকি পাতলা? তুলতে কষ্ট হয় নাকি সহজেই উঠে? অল্প নাকি প্রচুর? কোন স্বাদ আছে? কফ কখন উঠে? | |
উত্তর | |
১৩. নাক বন্ধ থাকে কি? কখন নাক বন্ধ থাকে? ঘরে বা বাইরে কোথাও নাক বন্ধ বাড়ে বা ছাড়ে? নাক যখন বন্ধ থাকে, তখন কি নাক দিয়ে পানি পড়ে? | |
উত্তর | |
১৪. পানির পিপাসা কেমন? অল্প অল্প বার বার/ পিপাসা নেই/ ব্যাপক পিপাসা/ অনেকক্ষণ পর পর অনেকটুকু – ধরণটি লিখুন। ঠান্ডা পানি খেতে ইচ্ছে করে কিনা সেটাও উল্লেখ করুন। | |
উত্তর | |
১৫. জ্বর কেমন? কত থাকে? কখন বাড়ে বা কমে? জ্বরের সময় কি করতে ইচ্ছে করে? শীত, গরমবোধ ও ঘামের অবস্থা কি? কোন অবস্থায় প্রলাপ হয়? এগুলোর কোনটার সময় পিপাসা কেমন থাকে? শীতবোধ আছে কি? থাকলে কতটা? শরীর ঢাকা ভালো লাগে, নাকি খোলামেলা থাকতেই ভালো লাগছে? এ সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বলার থাকলে বলুন। | |
উত্তর | |
১৬. জ্বরে ঝিমিয়ে এসেছেন নাকি অস্থির লাগে? শরীর বা গা হাত পা ব্যথা আছে? সেগুলো কিসে বাড়ে বা কমে? কি করতে বা কোন অবস্থায় থাকতে ভালো লাগে? কেমন পরিবেশ আকাঙ্ক্ষা করছেন? | |
উত্তর | |
১৭. কি করতে ইচ্ছে করে? লোকজন ভালো লাগে নাকি একা থাকতে ইচ্ছে করে? শব্দ, আলো, তাপ, গন্ধ কোনকিছু অতিরিক্ত খারাপ লাগে? কোন ধরণের পরিবেশ ভালো লাগে? খোলা বাতাস, আটকা ঘর- কোথায় কেমন লাগে? | |
উত্তর | |
১৮. মন-মেজাজের কি অবস্থা? আচরণে রোগটা হবার আগের অবস্থার তুলনায় কোন ধরণের পরিবর্তন লক্ষ করছেন? কোন অস্থিরতা, উদ্বেগ, নৈরাশ্য, বিষণ্নতা কাজ করছে? এরকম অনুভূতি থাকলে আপনি কি করছেন বা কি করলে একটু ভালো বোধ করছেন? | |
উত্তর | |
১৯. লোকজন ভালো লাগছে, মানুষের সঙ্গ পছন্দ হচ্ছে? নাকি একা একা থাকতে ভালো লাগছে? | |
উত্তর | |
২০. ক্ষুধা সম্বন্ধে বিশেষ কিছু বলার আছে? সমস্যা থাকলে যথাসম্ভব বিস্তারিত বলুন। | |
উত্তর | |
২১. বিশেষ কোন খাবারের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে বা বার বার খেতে ইচ্ছে করছে? | |
উত্তর | |
২২. ঘাম কেমন হয়? কোন সময় ঘাম হয়? কোন অংশগুলো বেশি ঘামে? কোন অবস্থাতে ঘামেন? ঘাম কি উষ্ণ নাকি শীতল? ঘামে দুর্গন্ধ আছে? | |
উত্তর | |
২৩. পায়খানা, প্রস্রাব কোন সমস্যা থাকলে বিস্তারিত জানান। | |
উত্তর | |
২৪. ঘুম কেমন হচ্ছে? কোন রকম অসুবিধা থাকলে সে সম্বন্ধে বিস্তারিত জানান। স্বপ্ন সম্বন্ধে কিছু বলার থাকলে বলুন। | |
উত্তর | |
২৫. এছাড়াও আর কিছু বলার থাকলে এবং তা যদি আপনার কাছে অদ্ভুতও লাগে তবুও সেগুলো বিস্তারিত জানান- | |
উত্তর |
মোদ্দাকথাটি হচ্ছে, আপনাকে রোগীর উপযুক্ত ঔষধটি নির্বাচন করার জন্য প্রয়োজন হবে তার লক্ষণাবলী, মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন ও অবস্থাগুলোর সামগ্রিক চিত্র। আর একবার তা যথানিয়মে করতে পারলে, সে ইনফ্লুয়েঞ্জাটি করোনাই হোক, আর যাই-ই হোক- আরোগ্য হবে এটা নিশ্চিত থাকতে পারেন। একিউটের চিকিৎসায় একটি বিশেষ সুবিধা হচ্ছে- আপনি যদি অনন্য, অসাধারণ, ব্যতিক্রম, বিরল, অদ্ভূত লক্ষণগুলো চিহ্নিত করতে পারেন, তাহলে আপনার ঔষধ নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজটিই প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেলো; তবে বিশেষভাবে লক্ষ রাখতে হবে, এই লক্ষণগুলোর মাধ্যমে যে ঔষধটির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে- রোগীর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণও যেন নির্বাচিত ঔষধটির সাথে সমন্বিত ও সদৃশ হয়।
তবে, কেইস-টেকিংয়ের সময় একটি ব্যাপারে বিশেষভাবে চিকিৎসকদের লক্ষ রাখতে হবে- বিশেষ ব্যতিক্রম ব্যতীত, প্রায় সব ক্ষেত্রেই এখানে নতুনভাবে আগত ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। কোনভাবেই যেন রোগীর ক্রনিক রোগের লক্ষণ, বা রোগীর ক্রনিক বৈশিষ্ট্যকে অতিরিক্ত গুরুত্বারোপ করা না হয়, কিংবা রেপার্টরি করার সময় মিশ্রিত করে ফেরা না হয়। চিকিৎসককে সতর্কভাবে এর পার্থক্য নির্ণয় করে নিতে হবে।
আর ফলো-আপের ব্যাপারেও চিকিৎসককে বিচক্ষণতার সাথে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মনে রাখবেন, বেশিরভাগ ইনফ্লুয়েঞ্জার কেইস একটি ঔষধ প্রয়োগেই সেরে যাবার সম্ভাবনা থাকলেও, কিছু কিছু কেইসে একাধিক ঔষধের প্রয়োজন হতে পারে। এমনকি কোন কোন রোগীকে তার রোগটির একিউট মেনিফেস্টেশনের শেষে ধাতুগত, অথবা এন্টিমায়াজমেটিক চিকিৎসা দেবারও প্রয়োজন হতে পারে।
রোগ যত বেশি একিউট, লক্ষণ যত তীব্র, রোগীর অবস্থা যত বেশি জরুরি – ঔষধ কাজ করবে তত দ্রুত এবং এসব ক্ষেত্রে সঠিক ঔষধ প্রয়োগে অল্প সময়েই বিস্ময়কর ফলাফল প্রদর্শিত হবে। কাজেই রোগীর অবস্থা, লক্ষণাবলীর তীব্রতা, জীবনীশক্তির প্রাবল্য ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনা করে চিকিৎসককে ফলো-আপের সময় নির্ধারণ করতে হবে। মনে রাখবেন, ব্যক্তিস্বাতন্ত্রতার নীতি হোমিওপ্যাথির সর্বত্র প্রবহমান। কাজেই, কোন নির্দিষ্ট সময়ের ফরমেটে ফলো-আপ করার চিন্তা থেকে অন্তত একিউটের সময়, বিশেষ করে এই ভীষণ মহামারীর সময়টিতে বিরত থাকুন। বিচক্ষণতার সাথে প্রতিটি রোগীর আলাদা আলাদা ফলো-আপ সময়সূচী নির্ধারণ করুন। আমি বিশ্বাস করি, উপরোক্ত প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে ও উল্লেখ করা সতর্কতা অনুসরণ করে চিকিৎসা করলে, আমাদের যে কোন স্তরের হোমিওপ্যাথই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল লাভ করতে পারবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
Discussion about this post