সাধারণ নাম: ফুল’স পার্সলে (Fool’s Parsley)
কিংডম: উদ্ভিদ
ক্লাস টাইপ: আমবেলিফেরাই (Umbelliferae)
মূল বৈশিষ্ট্য: গরমকাতর, একিউট রোগে ও শিশুরোগে বিশেষ কার্যকরী
উদ্ভিদের যে অংশ ঔষধ প্রস্তুতে ব্যবহৃত হয়: ফুল, পুরো উদ্ভিদ
কিছু লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য:
- প্রাণীকূলের প্রতি অত্যন্ত মোহাসক্ত।
- দুধ সহ্য করতে পারে না।
- নবজাতকের তীব্র, ভয়ানক বমি (যেখানে ছানাকাটা দুধ থাকে) এবং ডায়রিয়া, সাথে প্রচণ্ড দুর্বলতা।
- হিপোক্রাটিক (জীর্ণ, শীর্ণ, চিমসে) মুখমণ্ডল।
উত্তেজক কারণ: দাঁত উঠা, উত্তপ্ত গ্রীষ্মকাল, দুধ বা দুধজাতীয় খাদ্যগ্রহণ, অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ, অতিরিক্ত পড়াশুনা
বৃদ্ধি: গ্রীস্মকাল, অতিভোজন, দুধ ও দুধজাতীয় খাদ্য, পানীয় গ্রহণ, রাত্রি ৩-৪ টায়, বমির পর, পায়খানা করার পর
হ্রাস: হাঁটলে, কথোপকথনের মধ্যে থাকলে, বিশ্রামে
মানসিক লক্ষণাবলী:
- অতিরিক্ত পড়াশুনা ও গবেষণা করার দরুন কিংবা পরীক্ষা-ভীতি থেকে রোগোৎপত্তি, কোন কিছু নিয়ে একাগ্র চিন্তা করতে পারে না- এমনকি সাধারণভাবে চিন্তা করার শক্তিও বিলুপ্ত হয়।
- জড়বুদ্ধি প্রকৃতির।
- সারাটি জীবন প্রাণীদের জন্য নিবেদিত- পোষাপ্রাণীদের প্রতি তীব্র সহানুভূতিশীল।
- ভ্রান্তিবশত কুকুর, বিড়াল, ইদুর দেখে।
- যাতনা ও উদ্বেগময় অভিব্যক্তি- নাকের পাশে গভীর দাগ পড়ে (Linea nasalis) ।
- ‘হয়তো আর কোনদিন জাগবে না’- এই ভয়ে ঘুমাতে পারে না।
নির্দেশক লক্ষণ:
- প্রচণ্ডতা – প্রচণ্ড বমি, প্রচণ্ড আক্ষেপ।
- বমি বা ডায়রিয়ার পর ঘুম ঘুম ভাবের সাথে দুর্বলতা ও অবসন্নতা।
- মাথা সোজা রাখতে পারে না (দুর্বলতার দরুন)
- একদমই পিপাসা থাকে না।
- শরীর ঠান্ডা- স্যাতস্যাতে ঘামযুক্ত।
- শিশুরা একদমই দুধ সহ্য করতে পারে না- দুধ খাবার পর বমি, ডায়রিয়া, অবসন্নতা দেখা দেয়, কান্নাকাটি করে।
- নাকের ডগায় উদ্ভেদ।
- দুধের কোন খাবারই সহ্য করতে পারে না।
- শিশুদের দাঁত উঠার সময়কার বদহজম, বমির সাথে ফেনাযুক্ত সাদা সাদা মিউকাস থাকে অথবা হলুদাভ তরল থাকে- এরপর ছানাকাটা দুধ ও পনিরের মতো পদার্থ নির্গত হয়।
- টক দইয়ের মতো এত বড় দলা বমির সাথে নির্গত হয় যে, সেটি কিভাবে শিশু বের করতে পারলো- তা নিয়ে আশ্চর্য হতে হয়।
- বমির পর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়।
- খাবার একঘণ্টা বা এরকম সময় পরে বমি, বমির পর আবার ক্ষুধার্ত হয়, আবার খায় এবং আবার বমি করে – এভাবে চক্র চলতে থাকে।
- জ্বরের সময় কোন পিপাসা থাকে না- নাকের ডগায় হার্পিস জাতীয় উদ্ভেদ।
কি–নোটস:
ভীতিকর বমিভাব, দুধ-অসহ্য, খাবার একঘণ্টা বা এরকম সময় পরে বমি, বমির পর আবার ক্ষুধার্ত হয় – সাথে ডায়রিয়া, প্রচণ্ড দুর্বলতা ও তন্দ্রাচ্ছন্নতা। ঠাণ্ডা হাত-পায়ের সাথে- আক্ষেপ, চোখ নিচের দিকে ঘুরে যায়, বৃদ্ধাঙ্গুল মুঠোতে ধরা থাকে; নাড়ী- সূক্ষ, শক্তিশালী, দাঁত-লেগে যায়, মুখে ফেনা থাকে। খাবারের একঘন্টা বা এরকম সময় পরে খাদ্যোৎগীরণ। বমির পরে ক্ষুধা। পিপাসার সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি।
যে কথাগুলো বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে:
- ঔষধটি শিশুদের দাঁত উঠার সময় ও গ্রীষ্মকালে বেশি নির্দেশিত হয়।
- প্রচণ্ডতার সাথে সমস্যাগুলো শুরু হয় ও গভীর অবসন্নতা সৃষ্টি হয়।
- দুধ ও দুধজাতীয় খাদ্য হজম করতে পারে না।
- খিঁচুনী।
- বিদ্ধকর ব্যথা।
- দুর্বলতা ও তন্দ্রাচ্ছন্নতা।
নিশ্চিতকারী লক্ষণ:
- পরিপূর্ণ পিপাসাহীনতা।
- পরীক্ষা-ভীতি: চিন্তা করার অসামর্থ্য, জড়বুদ্ধি।
- ছানাকাটা দুধ, ফেনাযুক্ত দুধের মতো বমি, যাতে পনিরের মতো পদার্থ থাকে।
- দুধ বা দুধযুক্ত খাবারে প্রচণ্ড বমি এবং ডায়রিয়া, যার পরে অবসন্নতা ও তন্দ্রাচ্ছন্নতা দেখা দেয়।
ক্লিনিক্যাল কন্ডিশন: Bronchitis, Diarrhoea, Eczema, Gastritis, Gastroenteritis, Herpes, Lactose intolerance, Otorrhoea.
স্মরণযোগ্য কথা: যখন বড় বড় ছানাকাটা বমিতে ইথুজা ব্যর্থ হয়- ভ্যালেরিয়ানা ব্যবহার করুন। -ডা. রবার্ট
তুলনীয় ঔষধ: Ant-c, Ars, Calc, Mag-c, Nat-m, Nat-c, Sanic
সম্পূরক ঔষধ: Calc
Discussion about this post