প্রতিটি অর্গান ও টিস্যুর উপর কাজ করার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি গভীর ক্রিয়াশীল ঔষধ। এর সুস্পষ্ট চারিত্রিক লক্ষণ বহু ভয়ানক রোগের ক্ষেত্রে নিশ্চিত ও লাগাতার প্রয়োগের উপযোগী সদৃশ ঔষধে পরিণত করেছে। এর সার্বিক লক্ষণই তাকে সফল প্রেসক্রিপশন করার ব্যাপারে পথ দেখানোর জন্য যথেষ্ঠ। এই লক্ষণগুলোর মধ্যে সার্বজনীন দুর্বলতা, অবসন্নতা, প্রচণ্ড অস্থিরতা, সাথে রাত্রে বৃদ্ধি- এগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য পরিশ্রম করার পরই প্রচণ্ড দু্বলতা। জ্বালাপোড়া। এমন পিপাসা যা মিটতে চায় না। তার জ্বালাপোড়া উত্তাপে উপশম হয়। সমুদ্রের তীরে সমস্যার বৃদ্ধি (নেট্রাম মিউর; আকুয়া মেরিনা)। ফলমূল খেলে ব্যাপক হানিকর প্রতিক্রিয়া ঘটে- বিশেষ করে যেসমস্ত ফলে পানির পরিমাণ বেশি।

জীবনের শেষ মুহূর্তটিতে উচ্চশক্তিতে প্রয়োগ করা হলে শান্তিতে ও সহজে মৃত্যু নিশ্চিত হয় (Euthanasia)। আশঙ্কাপরায়ণতা হচ্ছে আর্সেনিকের মুল কথা। নিরাপত্তার অভাববোধ করে। অবসাদ এবং অস্থিরতা সাথে রাত্রে বৃদ্ধি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে অত্যন্ত খুঁতখুঁতে- শুচীবায়ুগ্রস্ত। আর্সেনিকের মধ্যে প্রচণ্ড মৃতুভয় কাজ করে। একা থাকিলে রোগলক্ষণের বৃদ্ধি। শীতকাতর- ঠান্ডা বাতাসে ও ভেজা আবহাওয়ায় বৃদ্ধি। ঠান্ডা পানির আকাঙ্ক্ষা করে, কিন্তু ঠান্ডা পানিতে বৃদ্ধি হয়। পিপাসা থাকলেও অল্প, অল্প পানি বার বার পান করে। শিশুদের কালাজ্বর (ডা. নিটবি)। মদ্যপানের অভ্যাস থেকে উদ্ভূত রোগে আর্সেনিককে স্মরণ করা উচিৎ। টোমাইন পয়জনিং, বিষাক্ত প্রাণীর হুল, দেহ-ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে হওয়া ক্ষত, তামাক চাবানোর অভ্যাস থেকে হওয়া রোগে এটির ব্যাপক ক্রিয়াশীলতা দেখা যায়। বাসি-পচা খাবার বা প্রাণীদেহের উপাদান থেকে আক্রান্ত রোগ। এর স্রাব মাংশ-পচা গন্ধযুক্ত। রোগলক্ষণগুলোর বার্ষিক পর্যায়শীলতার প্রবণতা থাকে। রক্তশূন্যতা ও ক্লোরোসিস। বিধ্বংসী প্যাথলজিকাল পরিবর্তন। পুষ্টিহীনতা থেকে লাগাতার ওজন-হ্রাস। যে কোন ম্যালিগন্যান্সির ক্ষেত্রে শরীরযন্ত্রের সিস্টেমগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করে- তা সেই রোগের মূল আক্রমণস্থান যেখানেই হোক না কেন। ম্যালেরিয়াজনিত দুর্বলতা। নিম্নমানের জীবনীশক্তির সাথে পচনশীল প্রদাহ।