ডা. শাহীন মাহমুদ:
সম্প্রতি আমাদের দেশের স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. শেখ ফারুখ এলাহী স্যারের “অন্ত্র নোসোড” বইটি পড়ে শেষ করলাম। স্যারের পক্ষ থেকে বইটিকে আমাদের প্রতি একটি মহান উদ্যোগ বলতে আমি বাধ্য। যদিও অন্ত্র নোসোড (Bowel Nosodes) এদেশে এখনও দুষ্প্রাপ্য কিন্তু এ জন্য তো আর এই নোসোডগুলোর কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীতা হ্রাস পায় না। অত্যন্ত মূল্যবান এই নোসোডগুলোর সাথে অন্তত আমাদের পরিচিতি ও এর গুরুত্বের উপলব্ধি আমাদের প্রয়োজন। আর এই কাজটি স্বল্প-পরিসরে বেশ সুচারুরূপে বইটিতে সম্পন্ন করা হয়েছে।
একজন মানুষ কিছু নিয়ম শিখে ক্যালকুলাস গণিতটি কষতে পারে। কিন্তু যতক্ষণ কেউ ক্যালকুলাস- কেন? কিভাবে? কোথায়? কোন অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়, তা জানতে পারে- ততক্ষণ আসলে সে ক্যালকুলাসের কিছুই শিখে উঠতে পারেনি। বাস্তব জীবনে তার ক্যালকুলাস কোনো কাজে আসবে না। একইরকমভাবে, গুটি কয়েক লক্ষণ মুখস্ত করে ঔষধ প্রয়োগ করা বা কোন পদ্ধতি ও কৌশলকে ব্যবহার করতে যাওয়া- একই প্রকারের বোকামি। স্যারের বইটিতে অন্ত্র নোসোডগুলোর পেছনের দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, প্রক্রিয়াকে অল্পকথায় অত্যন্ত পদ্ধতিগত উপায়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাথে প্রদান করেছেন- গুরুত্বপূর্ণ নোসোডগুলোর স্বয়ংস্বম্পূর্ণ পূর্ণাঙ্গ বর্ণনা, ব্যবহারপদ্ধতি, অন্যান্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধের সাথে সম্পর্ক, শক্তি-মাত্রা নির্বাচন ও প্রয়োগবিধিসহ বহুমাত্রিক ব্যবহারিক বিষয়ের বাস্তবমুখী শিক্ষা।
বাংলাদেশে ও বাংলাভাষায় স্যারের এ উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি এবং সাথে এই প্রত্যাশা রাখছি, এ ধরনের মহৎ উদ্যোগ যেন তিনি নিরন্তর বহাল রাখেন- যাতে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাবিদ্যা অর্জনে ও তার প্রয়োগকলায় আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারি।
Discussion about this post